আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এলসি জটিলতায় বন্ধের শঙ্কায় জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ড

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে নজরদারি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানিতে বড় অংকের এলসি খোলার আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। এমন নির্দেশনা দিয়ে গত মাসে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরই সংকটের মুখে পড়ে দেশের জাহাজ ভাঙা শিল্প। ডলার সংকটের কারণে এরই মধ্যে দেশের ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি বাজারের শিল্প খাতটি অনেকটাই স্থবির। এলসি-সংক্রান্ত জটিলতায় জুলাইয়ে মাত্র আটটি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করেছেন আমদানিকারকরা। বাজারে চাহিদা থাকলেও স্ক্র্যাপ সরবরাহ করতে পারছে না ইয়ার্ডগুলো। ফলে স্ক্র্যাপের দামও বেড়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, দেশের বাজারে ডলারের মাত্রাতিরিক্ত সংকট তৈরি হয়েছে। তার ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক বড় অংকের এলসি খোলার ক্ষেত্রে মনিটরিং বাড়িয়েছে। এর ফলে জাহাজ ভাঙা শিল্প চ্যালেঞ্জের মুখে। আরো কয়েক মাসে যদি সরকার বৈদেশিক মুদ্রার বাজার সংকট নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে তাহলে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি একেবারেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে অনেক ইয়ার্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন মালিকরা। ডলার সংকটের কারণে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৫০ লাখ ডলারের বেশি অর্থমূল্যের এলসি খোলা সম্ভব হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হচ্ছে। যার কারণে জাহাজ ভাঙা শিল্প বড় সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একেকটি জাহাজ আমদানিতে ১৫০-২০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়। অথচ গত মাস থেকে আমদানিকারকরা ব্যাংকে এলসি খুলতে পারছেন না। ফলে গত মাস থেকেই স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি তলানিতে নেমেছে। আগামী মাসগুলোয় এলসি জটিলতার সমাধান না হলে শিপইয়ার্ডগুলো একেবারেই বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইকেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২১ সালে বাংলাদেশে মোট স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি হয়েছিল ২৮০টি, যার সম্মিলিত ওজন ছিল ২৭ লাখ ২৮ হাজার ৫৯৭ টন। অন্যদিকে চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে আমদানি করা হয়েছে মাত্র ৯৩টি স্ক্র্যাপ জাহাজ, যার মোট ওজন ৭ লাখ ৬৯ হাজার ২১৫ টন। গত বছরের প্রথম সাত মাসে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি করা হয়েছিল ১৭১টি, যার ওজন ছিল ১৭ লাখ ২৩ হাজার ৬০০ টন। বছরের ব্যবধানে আমদানি কমেছে ৭৮টি এবং ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮৫ টন।

জাহাজ ভাঙা শিল্প মালিকদের সংগঠন বিএসবিআরএর সিনিয়র সহসভাপতি এবং ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, আমরা ব্যাংকে এলসি করতে গেলে ডলার দিতে পারছে না ব্যাংকগুলো। যার কারণে জুলাইয়ে বাংলাদেশে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি কমে প্রায় অর্ধেকে নেমেছে। চলতি মাসে অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাবে। এদিকে বিদ্যুতের প্রাপ্যতা নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে ইয়ার্ডগুলোয়। বিএসবিআরএর সহকারী সচিব নাজমুল ইসলাম জানান, জাহাজ ভাঙা শিল্প বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে নানা সংকটের মধ্য দিয়ে বাজারে ইস্পাত খাতের চাহিদা বাড়লেও ইয়ার্ড থেকে স্ক্র্যাপের জোগান বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। গত বছরের প্রতি মাসে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি বাড়লেও চলতি বছরের শুরু থেকেই সেই হার নিম্নমুখী।

ইনভেস্ট ডটকমের তথ্যমতে, ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক বাজারে টনপ্রতি স্ক্র্যাপের দাম ছিল ৩৮৮ ডলার। ১১ আগস্টও স্ক্র্যাপ বিক্রি হয় ৩৯৪ দশমিক ৫০ ডলারে। এদিকে দেশের বাজারে টনপ্রতি স্ক্র্যাপ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬২ হাজার টাকায়। স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি কমে যাওয়ার আশঙ্কায় বাজারে স্ক্র্যাপ সরবরাহে আরো বড় সংকট তৈরি হবে। ফলে টনপ্রতি আরো দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ীরা। এদিকে ইয়ার্ডের শ্রমিকরা বলছেন, গত দু-তিন মাসে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানি কমে যাওয়ায় অনেক ইয়ার্ডে বেতন-ভাতা নিয়ে বড় সংকট তৈরি হচ্ছে। জাহাজ আমদানি কমে যাওয়ায় অনেক ইয়ার্ড এখন বন্ধের পথে।


আরও খবর



ময়মনসিংহে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৫ জন।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ময়মনসিংহ-তারাকান্দা সড়কের কোদালধর বাজারের রামচন্দ্রপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারাকান্দা থানার ওসি ওয়াজেদ আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের এসআই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারাকান্দায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে অন্তত ১০-১২ জনকে আনা হয়েছে। এদের মাঝে ছয়জনকে ভর্তি করা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ময়মনসিংহ

আরও খবর



আলুর দাম বাড়ার কারণ জানা গেল

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের পর থেকে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বৃদ্ধি পেয়েছে আলুর দাম। প্রতিকেজি আলুর দাম বেড়েছে ১০-১২ টাকা। চাহিদার তুলনায় দেশীয় আলুর সরবরাহ কম এবং ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলু ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে দেখা দিয়েছে সংকট। দামও বেড়েছে। এতে কেজিতে ৬-৭ টাকা বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ভারত থেকে আলু আমদানি পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ঈদের আগে যে ভারতীয় আলু বন্দর অভ্যন্তরে পাইকাররা কেজিতে ২৮-৩০ টাকা কেজিতে কিনেছে। সেই আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৪০ টাকা। আমদানিকৃত এসব আলুর মান অনেকটাই খারাপ।

কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা জানান, ভারত অভ্যন্তরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কিছুটা পচন ধরেছে। আলু আমদানিকারক মেসার্স সততা বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী সেলিম হোসেন বলেন, ঈদের আগে ভারতে আলুর দাম ছিল ২৮-২৯ টাকা। ভারতে কৃষকরা আলু কোল্ড স্টোরে সংরক্ষণ করার কারণে সেখানে আলুর সংকট। তাই পূর্বের তুলনায় কেজিতে ৭-৮ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে আলু আমদানি না হলে দেশে আলুর দাম ৭০/৮০ টাকা হবে।

হিলি স্থলবন্দরে আলু কিনতে আসা পাইকার আইয়ুব আলী জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার প্রথম আলু আমদানি হয়। ওই দিন ৩৬-৩৮ টাকা দরে আলু কিনে বিভিন্ন মোকামে পাঠানো হয়েছে। আজ আলুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৮-৩৯ টাকা। তাছাড়া আলুর মানও খারাপ।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন জানান, হিলি স্থলবন্দরে আলু আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। রমজানে আলু আমদানিতে খরচ পড়তো ২৮-২৯ টাকা। সম্প্রতি ভারত অভ্যন্তরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেখানে আলুর আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে দেশটির অভ্যন্তরে আলুর সংকট দেখা দিয়েছে। এতে পূর্বের তুলনায় অন্তত ৫-৭ টাকা বেশি দরে কিনতে হচ্ছে।

এদিকে হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় আমদানিকৃত আলু ৪২ টাকা। হল্যান্ড (দেশীয় হাইব্রিড) ৪৮ টাকা, এবং দেশীয় আলু ৫২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি স্থলবন্দরের তথ্য মতে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৪ হাজার ৭১৭ মেট্রিকটন আলু আমদানি হয়েছে এ বন্দর দিয়ে।

নিউজ ট্যাগ: আলু আগাম আলু

আরও খবর



চুয়েট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

বাসচাপায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করল প্রশাসন। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এতদ্বারা সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে আজ ২৫ এপ্রিল উপাচার্য মহোদয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ছাত্রদেরকে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদেরকে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহর গমনাগমন করবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এ সময় চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাস্তায় একটি বাসে আগুনও দেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক চুয়েট শিক্ষার্থী বলেন, এই সিদ্ধান্ত ছাত্রছাত্রীদের দমানোর জন্য নেওয়া হয়েছে। আন্দোলন বন্ধ করার জন্য কেউ হল ছাড়বে না, সবাই ক্যম্পাসে অবস্থান করবে।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন ও একজন আহত হন। নিহতরা হলেন- চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা ও একই বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত জাকারিয়া হিমু পুরকৌশল বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ঘটনায় ১০ দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা টানা চতুর্থদিন আন্দোলন করছেন। গাছ ও বেরিকেড দিয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে দিনব্যাপী কর্মসূচি পালন করছেন তারা।


আরও খবর



অর্থ আত্মসাতের মামলায় কারাগারে মেজর মান্নান

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সাবেক মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন তিনি।

এ সময় তার পক্ষে জামিন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহিনুর ইসলাম। অপরদিকে, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মার্চ এ মামলায় মেজর মান্নানের স্ত্রী বিআইএফসির চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম মান্নান ও মেয়ে পরিচালনা পরিষদের পরিচালক তাজরিনা মান্নান আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন। তবে ওইদিন বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফসি) পরিচালনা পরিষদের পরিচালক ও ম্যাক্সনেট অনলাইনের প্রোপাইটর উম্মে কুলসুম, মান্নানের ভাই রইস উদ্দিন আহমেদ, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক এ.এন এম জাহাঙ্গীর আলম, বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের সাবেক পরিচালক আরশাদ উল্লাহ, বিআইএফসির সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসুর রহমান ও বিআইএফসির সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব বিজনেস, সৈয়দ ফকরে ফয়সালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়।

চলতি বছর ২৬ জানুয়ারি দুদকের উপপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. আব্দুল মাজেদ ঢাকা-১ প্রধান কার্যালয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এ মামলা করেন।

এ মামলায় উপরোক্ত আসামিরা ছাড়াও বিআইএফসি পরিচালনা পরিষদের পরিচালক আব্বাস উদ্দিন আহমেদ, সাবেক পরিচালক মেজর মান্নানের মেয়ে তানজিলা মান্নান, বিআইএফসির সাবেক এভিপি অ্যান্ড ইউনিট হেড আহমেদ করিম চৌধুরী, সাবেক সিনিয়র অফিসার (বিজনেস) মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সাবেক সিনিয়র অফিসার ও রিলেশনশিপ ম্যানেজার এস, এম মোস্তাফিজুর রহমানও আসামি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অন্যের সহায়তায়, প্রতারণামূলকভাবে লাভবান হওয়ার মানসে মো. রইস উদ্দিনের নামে তার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সনেট অনলাইনের নামে ৪টি পৃথক ঋণ চুক্তি করেন। পরে এর মাধ্যমে ২৭ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করে ২৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বিতরণ করে। এই ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করে প্রদত্ত ঋণের আসল ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ করেন। ঋণের বর্তমান সুদ হিসেবে পাওনা ৮ কোটি এক লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৫ টাকা এবং সুদাসলে পাওনা ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ ৩১ হাজার ৪৭ টাকা।


আরও খবর



প্রথম সিনেমা ফ্লপ, যা বললেন মন্দিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নাটকের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রায় তিন বছর আগে। নাম কাজলরেখা। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে।

কিন্তু মুক্তির পর আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ঈদসিনেমার ভিড়ে যে কটি প্রেক্ষাগৃহ ভাগে পেয়েছে, সেখানে দর্শকদের যেতে যেন খুব কষ্ট! মোট কথা, ঈদে কাজলরেখা ফ্লপ। কিন্তু যে কজনই সিনেমাটি দেখেছেন, তারা মন্দিরার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীও বেশ সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সিনেমায়ই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ।

সেরা নাচিয়ে খ্যাত মডেল, অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী ২০১২ সাল থেকে মিডিয়াতে কাজ করছেন। ওয়াহিদ আনামের নির্দেশনায় প্রতিযোগিতা নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় তিনি মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর
নতুন খবর দিলেন বিদ্যা সিনহা মিম

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

নিজেকে দেখে নিজেই মুগ্ধ পরীমণি

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪