পেন্টাগনের একটি
রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিনগ্রহীর সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতায় লিপ্ত হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন
বলে দাবি করছেন আমেরিকার এক মহিলা।
এই রিপোর্ট অনুযায়ী,
ভিনগ্রহীরা নাকি বেশ কয়েকজন মহিলার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা
হয়েছেন একজনই। বাকিদের শরীরে নাকি পাওয়া গিয়েছে শারীরিক ঘনিষ্ঠতার চিহ্ন।
ইউএফও বা অজানা
উড়ন্ত যান নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। কল্পবিজ্ঞানের সীমা ছাড়িয়ে তা বিশ্বের
একটি বড় অংশের মানুষের বিশ্বাসেও প্রবেশ করেছে। ভিনগ্রহীরা এই সব যানে নাকি নিয়মিত
পৃথিবীতে আসে এবং কখনও কখনও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগও স্থাপন করে। এমন কাহিনি ফুটে উঠেছিল
সত্যজিৎ রায়ের ছোটগল্প 'বঙ্কুবাবুর বন্ধু'-তে এবং স্টিভেন স্পিলবার্গের 'ইটি: দ্য এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল'
(১৯৮২) ছবিতে। কিন্তু সেখানে ভিনগ্রহীদের সঙ্গে মানুষের মোলাকাতের কথা থাকলেও, শরীরী
মিলনের মতো 'দুঃসাহসিক' কাণ্ডের উল্লেখ ছিল না।
আমেরিকার প্রতিরক্ষা
বিভাগের গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা প্রকাশিত দেড় হাজার পাতার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভিনগ্রহী
নয়, বরং এক ইউএফও-র সঙ্গে মোলাকাতেই নাকি মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। অনেকেই ঘটনাটি
আজগুবি বলে মনে করলেও আমেরিকার বেশ কিছু গবেষণা সংস্থা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। ওই মহিলা
যে অজানা উড়ন্ত যানের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তার নাকি কিছু সাক্ষীও রয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে আসা যায়নি। অনেকের মতে, কয়েকটি অসংলগ্ন ঘটনাকে জুড়ে দিয়ে জনতার নজর কাড়তেই এসব আজগুবি গল্প রটানো হচ্ছে। বায়ুবাহিত কোনও রোগ অথবা রোদের কারণে সৃষ্ট দাগকেই বিভিন্ন মহিলার দেহে প্রাপ্ত তথাকথিত শারীরিক ঘনিষ্ঠতার চিহ্ন বলে দাবি করা হচ্ছে। তবে ওই মহিলা কী ভাবে এবং কোথায় ভিনগ্রহীর সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, তার কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।