আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২০ যথাযথ ও সুশৃঙ্খলভাবে উদযাপন করার জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টা পর্যন্ত ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় জনসাধারণের চলাচল ও সব ধরনের যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশ

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রবেশের জন্য পলাশী ক্রসিং, এসএম হল এবং জগন্নাথ হলের সামনের রাস্তা ব্যবহার করা যাবে। অন্য কোনো রাস্তা ব্যবহার করে শহীদ মিনার এলাকায় ঢোকা যাবে না।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বের হওয়া

শহীদ মিনার থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রে দোয়েল চত্বরের দিকের রাস্তা অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। ঢোকার রাস্তা দিয়ে বের হওয়া যাবে না।

যেসব রাস্তা বন্ধ থাকবে

১। বকশিবাজার-জগন্নাথহল ক্রসিং সড়ক

২। চাঁনখারপুল-রোমানা চত্বর ক্রসিং সড়ক

৩। টিএসসি-শিববাড়ী মোড় ক্রসিং

৪। উপচার্য ভবন-ভাস্কর্য ক্রসিং (ফুলার রোড)

ডাইভারশন

(ক) ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা পর্যন্ত রাস্তায় আলপনা আঁকানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের রাস্তা বন্ধ থাকবে। ওই সময় শিববাড়ী, জগন্নাথ হল ও রোমানা চত্বর ক্রসিংগুলোতে গাড়ি ডাইভারশন করে দেওয়া হবে।

(খ) ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা পর্যন্ত নীলক্ষেত, পলাশী মোড়, ফুলার রোড, বকশীবাজার, চাঁনখারপুর, শহিদুল্লাহ হল, দোয়েল চত্বর, জিমনেশিয়াম, রোমানা চত্বর, হাইকোর্ট, টিএসসি, শাহবাগ ইন্টারসেকশনগুলোতে গাড়ি ডাইভারশন করে দেওয়া হবে।

(গ) ২১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টা থেকে সাইন্সল্যাব হতে নিউমার্কেট ক্রসিং, কাঁটাবন ক্রসিং হতে নীলক্ষেত ক্রসিং এবং ফুলবাড়িয়া ক্রসিং হতে চাঁনখারপুল ক্রসিং পর্যন্ত প্রভাতফেরি উপলক্ষে সকল প্রকার যাত্রীবাহী গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

গাড়ি পার্কিং

(ক) একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জিমনেশিয়াম মাঠে ভিআইপি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।

(খ) নীলক্ষেত-পলাশী, পলাশী-ঢাকেশ্বরী সড়কে গাড়ি পার্ক করা যাবে।

সাধারণ নির্দেশনা

(ক) কবরস্থান এবং শহীদ মিনারে যারা শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করতে যাবেন তাদের অসুবিধার কথা বিবেচনায় রাস্তায় বসা বা দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে।

(খ) সর্বসাধারণের চলাচলের সুবিধার জন্য উপরে বর্ণিত রাস্তায় কোনো প্রকার প্যান্ডেল তৈরি করা যাবে না।

(গ) শহীদ মিনারে প্রবেশের ক্ষেত্রে আর্চওয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা তল্লাশী শেষ করে সবাইকে প্রবেশ করতে হবে।

(ঘ) শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ হতে প্রচারকৃত নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।

(ঙ) কোন ধরনের ব্যাগ বহন করা যাবে না।

(চ) যে কোন পুলিশি প্রয়োজনে শহীদ মিনার এলাকায় স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করা যাবে।


আরও খবর



আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তান নারী দলের সাবেক অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। আজ (বৃহস্পতিবার) পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

সর্বশেষ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজে ভালো ছন্দে থাকলেও অধিনায়ক হিসেবে দলকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি বিসমাহ। পরে নতুনদের সুযোগ করে দিতে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। এবার ক্রিকেটকেই বিদায় বলে দিলেন ২৭৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সি গায়ে খেলা বিসমাহ। দেশটির যে কোনো নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে যা সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। এ ছাড়া দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৯৬ টি ম্যাচে।

অবসর ঘোষণার বিবৃতিতে বিসমাহ মারুফ বলেছেন, 'আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা ছিল, চ্যালেঞ্জ, বিজয় এবং অবিস্মরণীয় অনেক স্মৃতিতে ভরা।'

ক্যারিয়ারজুড়ে সমর্থন ও পাশে থাকার জন্য পরিবার, সতীর্থ থেকে শুরু করে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিসমাহ। বলেন, 'আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে। আমি আমার সতীর্থ খেলোয়াড়দের ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার কাছে পরিবারের মতো হয়ে উঠেছে। মাঠে এবং মাঠের বাইরে আমাদের যে বন্ধুত্ব হয়েছে, তা আমি চিরকাল লালন করব।'

২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে এবং ২০০৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল বিসমাহ মারুফের। ১৭ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ৩৩টি ফিফটিসহ ৬,২৬২ রান করেছেন এবং বোলিংয়ে ৮০টি উইকেট শিকার করেছেন।


আরও খবর



ঝিনাইদহ থেকে চুরি যাওয়া শিশু মাগুরায় উদ্ধার, আটক ১

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মাগুরায় ১৫ মাসের শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় এক নারীর সাহসিকতায় ও স্থানীয়দের সহযোগতিায় শিশুটি ফিরে পেল তার বাবা-মাকে। ঝিনাইদহের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের ইভান ও সুমাইয়া দম্পতির ১৫ মাসের মেয়ে তাহিয়া। তাদের বাড়িতে নাঈম (২০) নামে এক দিনমুজুর কাজ করতে এসে তাহিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যাবার সময় একই গাড়িতে থাকা জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে অপর যাত্রীর সন্দেহ হলে স্থানীয়দের মাধ্যমে আটক করে মাগুরা সদর থানায় নিলে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পায়।

মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী রাসেল জানান, অভিযুক্ত নাঈম গত ২৮ মার্চ থেকে ঝিনাইদহ সদরের ধোপাঘাট গোবিন্দপুর গ্রামের  ইভান মিয়ার বাড়িতে কৃষি কাজের জন্য দিনমজুর হিসেবে কাজ করে আসছিল। এর মধ্যে নাঈম মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শিশু তাহিয়াকে চুরি করে নিয়ে ঝিনাইদহ থেকে মাহেন্দ্র অটোতে চড়ে মাগুরার দিকে রওনা দেয়। পথিমধ্যে হাটগোপালপুর এলাকা থেকে মাগুরা শহররে পশু হাসপাতাল পাড়ার জান্নাতুল ফেরদৌসী নামের এক মহিলা মাগুরার উদ্দেশ্যে ওই মাহেন্দ্রে ওঠে। শিশু বাচ্চাসহ নাঈমকে দেখে ও তার সাথে কথা বলে সন্দেহ হলে জান্নাতুল ফেরদৌসী মাগুরা শহরের ভায়না মোড়ে এসে তার সহাসিকতা ও দুরদর্শিতার মাধ্যমে অন্যদের সহযোগতিায় শিশুসহ অভিযুক্ত নাঈমকে আটক করে  মাগুরা সদর থানায় নিয়ে আসে। থানায় পুলিশি জেরার মুখে বাচ্চাটিকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসে। অভিযুক্ত নাঈমের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলায়।

এ সময় তিনি বিষয়টি ঝিনাইদহ থানায় অবহিত করলে ঝিনাইদহ থানা শিশুটির অভিভাবকদের নিয়ে মাগুরা সদর থানায় এলে অভিযুক্ত নাঈমসহ সকলকে ঝিনাইদহ থানায় সোপর্দ করা হয়।


আরও খবর



প্রতিদিন লিপস্টিক ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

প্রায় সব নারীরই সাজের অন্যতম অংশ হলো লিপস্টিক। পোশাক, অন্যান্য অনুষঙ্গ, ব্যক্তিত্ব আর রুচি অনুযায়ী নারীরা লিপস্টিকের রং নির্বাচন করেন। যারা লিপস্টিক পছন্দ করেন তাদের একটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি। তা হলো, নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের অভ্যাস আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, কীভাবে? লিপস্টিকে বেশ কিছু বিপজ্জনক উপাদান রয়েছে যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে।

আপনি কি জানেন যে খাবার খাওয়ার সময় লিপস্টিক শরীরে প্রবেশ করে? কেউ লিপস্টিক ব্যবহার করে ভুলবশত তা গিলে ফেললে অ্যালুমিনিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো বিপজ্জনক পদার্থও পেটে চলে যায়। তাই আপনার লিপস্টিকটি এই ধরনের বিপজ্জনক উপাদান মুক্ত কি না তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত লিপস্টিক ব্যবহারের ৩টি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নিন-

শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁট : লিপস্টিক ঠোঁট শুকিয়ে ফেলতে পারে এবং ঠোঁট ফাটার কারণ হতে পারে। এটি উদ্বেগের বিষয়। এক্সফোলিয়েশন এবং ময়েশ্চারাইজেশনের মতো নিয়মিত ঠোঁটের যত্ন নেওয়া জরুরি। এগুলো লিপস্টিক ব্যবহারের ফলে তৈরি শুষ্কতা রোধ করতে সাহায্য করে।

অ্যালার্জি : কোনো কোনো লিপস্টিক হতে পারে ব্যবহারকারীর অ্যালার্জির কারণ। বিশেষ করে সস্তা এবং নন ব্র্যান্ডেড লিপস্টিক ব্যবহার করলে এ ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। স্বনামধন্য প্রসাধনী সংস্থাগুলি কঠোর নিরাপত্তা অনুসরণ করে তাদের পণ্যগুলো পুঙ্খানুপুঙ্খ পরীক্ষার পর বাজারে আনে। তাই সেগুলো ব্যবহারে অ্যালার্জির ভয় কম।

পিগমেন্টেশন : লিপস্টিক পরলে কারও কারও ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ পরিবর্তন হতে পারে। তবে জেনেটিক্স এবং ইউভি এক্সপোজার ঠোঁটের পিগমেন্টেশন নির্ধারণে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে। লিপস্টিক ব্যবহার করার পাশাপাশি ভালো মানের সানস্ক্রিন ঠোঁটের প্রাকৃতিক রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করতে পারে।


আরও খবর
গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, লুকাতে চাচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দখলদার ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বড় হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তাসংস্থা ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি (আইএসএনএ) একটি কলাম প্রকাশ করেছে।

এতে তারা জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের নাভাতিম বিমান ঘাঁটি এবং হেরমন পাহাড়ের ওপর একটি সামরিক অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এই ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, নাভাতিম বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে কারণ গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছিল, সেটি এই ঘাঁটি থেকে চালানো হয়েছিল। অপরদিকে হেরমন পাহাড়ের ওপর থাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। কারণ এই স্থান থেকে সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর চালানো অসংখ্য হামলা পরিচালিত হয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলের কোনো বেসামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামোর ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনাই করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিরা তাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাতটি পার করেছে।

হামলার ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর বিষয়টি উল্লেখ করে বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। কিন্তু ইসরায়েল এসব ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

ইরানের এমন অভূতপূর্ব হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই সময় ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তাব দেন নেতানিয়াহু। কিন্তু বাইডেন এতে সমর্থন দেননি। তিনি নেতানিয়াহুকে জানান, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে এতে যুক্ত হবে না যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তাসংস্থাটি তাদের কলামে বলেছে, ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না দেওয়ার অর্থ হলো, ইরান তাদের তেজস্বিতা প্রমাণ করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায় না। এছাড়া ইসরায়েলে হামলা না চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাধাকে যে ইরান কোনো মূল্য দেয়নি সেটিও এই হামলার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

এই কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আলী বাগারি জানিয়েছেন, গতকাল ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে, সেটির চেয়ে ১০ গুণ বড় হামলা চালানো ক্ষমতা ইরানের রয়েছে। তবে তারা পূর্ণশক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে এখনই ভাবছেন না।

নিউজ ট্যাগ: ইসরায়েল ইরান

আরও খবর



অন্যকে বাঁচাতে জীবন দেওয়া নাজিউল ছিলেন মায়ের একমাত্র সন্তান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

অপরিচিত এক নারীকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দেওয়া সেই কলেজছাত্র তার মায়ের একমাত্র ভরসা ছিলেন। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা যাওয়া যুবকের নাম জোবায়ের রহমান নাজিউল (১৮)।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা শহরর মাঝিপাড়া এলাকার রেললাইনে সন্তানসহ দাঁড়িয়ে থাকা গৃহবধূ রাজিয়া বেগমেকে বাঁচাতে গিয়ে নাজিউলের মৃত্যু হয়।

জোবায়ের রহমান নাজিউল গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার ভরখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম ও জেবা বেগম দম্পতির একমাত্র সন্তান ছিলেন। ছেলেকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন তার বাবা-মা। জোবায়ের রহমান নাজিউলের এমন ত্যাগে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবসহ এলাকাবাসী শোকে কাতর হয়ে পড়ছেন।

নাজিউলের মা জেবা বেগম অচেনা মানুষ দেখেই চিৎকার করে আহজারী করছেন। আর বলছেন, আমার কলিজার টুকরাকে এনে দাও। আমার ধনকে নিয়ে কত স্বপ্ন দেখতাম। আমার একমাত্র ভরসা ছিল আমার ছেলে। ভালো করে লেখাপড়া করবে, সেজন্য শহরে ভালো স্কুলে ভর্তি করালাম। মাসে মাসে এখন আমি কার কাছে টাকা পাঠাব। এখন আমি কাকে নিয়ে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের এই ত্যাগে মৃত রাজিয়া বেগমের কোলে থাকা শিশুটি বেঁচে গেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে অনেকেই এই তাকে মানবিক কিশোর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, নিহত গৃহবধূ রাজিয়া বেগমের স্বামী আনোয়ার হোসেন মাদকাসক্ত ও কর্মহীন। মোবাইল ফোনে প্রেম করে সুনামগঞ্জের রাজিয়াকে বিয়ে করে আনোয়ার। পেশা হিসেবে আনোয়ার হোসেন অন্যের রিকশা ভাড়া নিয়ে চালাতেন। আবার কিছু সময় দিনমজুরের কাজ করেন। তবে বেশিরভাগ সময়ে কাজ না করে আনোয়ার হোসেন প্রায়ই বাড়িতে বসে থাকতেন। সংসারে অভাব অনটন লেগেই থাকতো। শিশু সন্তানের খাবার ঠিকমতো দিতে পারত না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। 

ঘটনার আগের রাতে স্বামীকে কাজ করতে বলায় নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। সোমবার রাজিয়া বেগম সকালে তার শিশুকে কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া ওই গৃহবধূকে বাঁচাতে গিয়ে নিজেও ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে মারা যান। ওই গৃহবধূর কোলে থাকা ওই শিশু আবির হোসেনসহ তিনজনকে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত গৃহবধূ ও কলেজছাত্র জোবায়েরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওযার পথে তারা মারা যান। তবে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে আহত দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন বর্তমানে শঙ্কা মুক্ত রয়েছে। পরিবারের লোকজন তার দেখভাল করছেন।

স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রতিনিয়ত রাজিয়া শিশু সন্তানের গায়ে হাত তুলত। এ নিয়ে ঘটনার আগের রাতে তাকে গালিগালাজ করি। এরপর রাতেই আমার স্ত্রী ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সকালে আমি কাজে যাই। পরে সাড়ে ১১টার দিকে শুনতে পাই আমার স্ত্রী ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা গেছে। আমি এই ছোট শিশুকে নিয়ে তার মা ছাড়া কিভাবে বেঁচে থাকব।

নাজিউলের সহপাঠী জিয়াম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, জোবায়ের রহমান নাজিউল নিজের জীবন দিয়ে যে কাজটি করেছে তা ভোলার মতো না। অন্যের জীবন বাঁচাতে গিয়ে তার স্বপ্ন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলেন। কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তবুও তরতাজা জীবন দুটো বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবন দিতে হলো।

গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এ এস এম রুহুল আমিন জানান, দেড় বছরে শিশু আবির হোসেন মাথায় ও পেটে কিছুটা আঘাত পেয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসায় শিশু আবির হোসেন শঙ্কামুক্ত রয়েছে।

এসব বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, এ ঘটনায় সদর খানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর গৃহবধূর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর