আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

বোতামের সুত্র ধরে হত্যাকারীকে আটক করল পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে শার্টের বোতামের সূত্র ধরে একটি চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে সম্পত্তির লোভে, তারাবি নামাজের সময় বাসায় একা পেয়ে নিজের বোনকে হত্যা করেছিল হত্যাকারী।

শুক্রবার ৪ এপ্রিল সকালে সাভার মডেল থানা পুলিশ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাত সাতটায় স্বামী হারুন তার অসুস্থ স্ত্রী হনুফা আক্তারকে তারাবির নামাজ পড়ে এসে মৃত অবস্থায় পায়। ঘটনা রাতেই হারুন অর রশিদ তুষারবাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) দিদার হোসেন ও সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিরদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ সহ সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনার রহস্য উন্মোচনে মাঠে নামে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও মৃত অনুফা আক্তারের বাম গালের এবং থুতনির নিচে নখের একাধিক আচড় দেখতে পায় পুলিশ। এছাড়াও মুখ দিয়ে রক্তমিশ্রিত লালা বের হচ্ছিল। খাটের উপর একটি বালিশ রক্তমাখা অবস্থায় ছিল। এসময় ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ঘরের মেঝেঝতে একটি বোতাম এবং একটি হ্যান্ড গ্লাভস এর বৃদ্ধাংগুলির অংশ বিশেষ পান তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

শুরু হয় বোতামটি নিয়ে তদন্ত, বোতামটি মৃতের স্বামী পরিহিত শার্টের বোতামের সাথে মিল ছিল না। বিভিন্ন কৌশলে তদন্তের একপর্যায়ে দেখা যায় মৃতের সহোদর ভাই মোহাম্মদ আলীর পরিহিত শার্টের একটি বোতাম ছেড়া এবং ঘটনাস্থলে প্রাপ্ত বোতামের সঙ্গে মোহাম্মাদ আলীর পরিহিত শার্টের অন্যান্য বোতামের সাথে হুবহু মিলে আছে। মোহাম্মাদ আলীর শরীর পর্যবেক্ষন করে দেখা যায় তাহার ডান কানের নিচে এবং নাকে হালকা নখের আচড় আছে।

সন্ধ্যা হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে রাতে আনা হয়। পরে বোনের এই হত্যার ঘটনায় নিজেই জড়িত বলে স্বীকার করে।

সাভার মডেল থানার পুলিশ পরিরদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রাশিদ বলেন, আসামী জানায় যে, অনুমান ১২ বছর পূর্বে তার পিতার সমস্ত সম্পত্তি (অনুমান ২০ বিঘা) জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রেজিস্টি করিয়া নেয়েছিল সে। পরবর্তীতে তাহার পিতা কটু ফকির, বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা করিয়া উল্লেখিত জমি রায়ের মাধ্যমে নিয়ে বোন হনুফাকে ওসিয়ত দলিল করে দেন। এরপর থেকেই অর্ধেক সম্পত্তি ফেরত দেওয়া জন্য বোনকে চাপ প্রয়োগ করে আসছেলো হত্যাকারী।

এ বিষয়কে কেন্দ্র করেই হত্যার পরিকল্পনা করে সে । এবং ১২ তারিখ রাত অনুমান ৭/৮ ঘটিকার সময় বোনের স্বামী মোঃ হারুন অর রশিদ তুষার তারাবির নামাজ পড়তে গেলে, সেই সুযোগে হনুফাকে একা পেয়ে ডান হাতে গ্লাভস পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করিয়া হত্যা করে।

তার ব্যাপারে আইমানক ব্যবস্থা প্রক্রিয়া দিন বলেও জানায় এই পুলিশ অফিসার।

নিউজ ট্যাগ: হত্যাকারীকে আটক

আরও খবর



‘ডন থ্রি’ এর জন্য কিয়ারা আদভানি নিচ্ছেন ১৩ কোটি!

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ফারহান আখতারের ডন এবার শাহরুখ খান হচ্ছে না। নতুন ডন হচ্ছেন রণবীর সিং। আর প্রিয়াঙ্কার জায়গায় থাকছেন কিয়ারা আদভানি।  শোনা যাচ্ছে, ডনের জন্য আকাশছোঁয়া পারিশ্রমিকও নিচ্ছেন কিয়ারা।

বলিউড হাঙ্গামা জানায়, ডন থ্রির জন্য কিয়ারা নিচ্ছেন ১৩ কোটি রুপি! শোনা যাচ্ছে, ওয়ার ২ সিনেমার থেকেও নাকি তিনি বেশি টাকা চেয়েছেন ডন-এ অভিনয়ের জন্য।

হৃতিক ও জুনিয়র এনটিআরের সঙ্গে ওয়ার ২-এ দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। আর যশরাজ ফিল্মসের সেই সিনেমার থেকেও প্রায় দ্বিগুণ পারিশ্রমিক ডন থ্রির জন্য দাবি করেছেন অভিনেত্রী। নির্মাতারাও খুশিমনে তাঁর পারিশ্রমিক মেনে নিয়েছেন।

খবরটি সত্যি হয়ে থাকলে  এই মুহূর্তে বলিউডের সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রীর তালিকায় নাম লেখালেন কিয়ারা।

এর আগে গত মাসে ডন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কিয়ারার অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেন নির্মাতা ফারহান আখতার। একটি স্বাগত টিজার পোস্ট করে ডন ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কিয়ারাকে স্বাগত জানান এই ফারহান। এর পর থেকেই রণবীর-কিয়ারা জুটির জাদু দেখার অপেক্ষায় অনুরাগীরা।

২০০৬ সালে মুক্তি পায় ফারহান আখতার পরিচালিত ডন, যেখানে শাহরুখ খান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, বোমান ইরানিকে দেখা গিয়েছিল।


আরও খবর



বিবাহবার্ষিকীতে উপহার না দেওয়ায় স্বামীকে ছুরিকাঘাত

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

প্রতি বিবাহবার্ষিকীতে উপহার দেন স্বামী। তবে এবার আর দেননি। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন স্ত্রী। কিন্তু কিছুই বুঝতে না পেরে বাসায় এসে ঘুমিয়ে যান স্বামী। বিবাহবার্ষীকি উপলক্ষে উপহার না দেওয়ায় ঘুমন্ত স্বামীর ওপর ছুরি চালান স্ত্রী।

২৭ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন স্বামী।

স্ত্রীর ছুরিকাঘাতে আহত ব্যক্তি (৩৭) একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার স্ত্রী (৩৫) একজন গৃহিণী।

ছুরিকাঘাতে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি। আহত ব্যক্তি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি রাতে ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ সন্ধ্যা রান্নার কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করেন। আঘাতটি তার হাতে লাগে।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই স্ত্রীর বিরুদ্ধে ১ মার্চ থানায় মামলা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পারিবারিক বিষয় হওয়ায় পুলিশ তাদের মধ্যে আলোচনার জন্য সময় দিয়েছে। আলোচনা শেষে তাদের আবারও পুলিশের কাছে আসতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



মুক্তির মহানায়কের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী আজ রোববার (১৭ মার্চ)। সারাদেশে দিনটি জাতীয় শিশু কিশোর দিবস হিসেবে উদযাপিত হচ্ছে। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা ১৯২০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

দিবসটি উদযাপনে এদিন দেশের সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু কিশোর দিবস উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধীসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন তারা।

বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল সাড়ে ৬টায় বঙ্গবন্ধু ভবন, কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। তাছাড়া সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। একইসঙ্গে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিশু সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন তারা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪০ সালে সর্বভারতীয় মুসলিম ছাত্র ফেডারেশনে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। ১৯৪৬ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ (বর্তমানে মওলানা আজাদ কলেজ) ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী মুসলিম লীগের পূর্ব পাকিস্তান শাখার যুগ্ম-সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৫৩ সালে পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের টিকেটে ইস্ট বেঙ্গল লেজিসলেটিভ এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজীবন সোচ্চার অবিসংবাদিত নেতাকে রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৮ সালের সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬-দফা ও পরবর্তীতে ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন তিনি। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু উপাধি লাভ করেন।

তার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ধাপে ধাপে স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জিত হলেও তৎকালীন পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালি জাতির ওপর নানা নির্যাতন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু একাত্তরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। যা ইউনেস্কোর ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব দ্য ওয়াল্ড রেজিস্ট্রারে অর্ন্তভুক্তির মাধ্যমে বিশ্বপ্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

অন্যদিকে, ২৬ মাচর্ (২৫ মার্চ মধ্যরাতে) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন তিনি। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাঙালির বহু কাঙ্ক্ষিত বিজয় ও স্বাধীনতা অর্জিত হয়। সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বিরামহীন সংগ্রামে অবদান রাখার জন্য তিনি বিশ্বশান্তি পরিষদ প্রদত্ত জুলিও কুরি পদকে ভূষিত হন। বিবিসির এক জরিপে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি নির্বাচিত হন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে বঙ্গবন্ধু যখন বিভিন্নমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করতে শুরু করেন, ঠিক সেই মুহূর্তে স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তি ও কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহল তার বিরুদ্ধে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র শুরু করে। ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি ধানমন্ডির বাসভবনে কতিপয় সেনা কর্মকর্তার হাতে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হন।

বিশ্ব গণমাধ্যমের চোখে বঙ্গবন্ধু ছিলেন ক্ষণজন্মা পুরুষ। অনন্য সাধারণ নেতাকে স্বাধীনতার প্রতীক বা রাজনীতির ছন্দকার খেতাবেও আখ্যা দেয়া হয়। বিদেশি ভক্ত, কট্টর সমালোচক এমনকি শত্রুরাও তাদের নিজ নিজ ভাষায় তার উচ্চকিত প্রশংসা করেন। বিংশ শতাব্দীর কিংবদন্তি কিউবার বিপ্লবী নেতা প্রয়াত ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হিমালয়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।

শ্রীলংকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী লক্ষ্মণ কাদির গামা বাংলাদেশের মহান নেতা সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছিলেন, দক্ষিণ এশিয়া গত কয়েক শতকে বিশ্বকে অনেক শিক্ষক, দার্শনিক, দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, রাজনৈতিক নেতা ও যোদ্ধা উপহার দিয়েছে। কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমান সবকিছুকে ছাপিয়ে যান। তার স্থান নির্ধারিত হয়ে আছে সর্বকালের সর্বোচ্চ আসনে।

ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ৪ মার্চ নগরীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য বইয়ে লিখেছিলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন জনগণের নেতা এবং তাদের সেবায় সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তাকে দেয়া বঙ্গবন্ধু খেতাবে এই দেশপ্রেমিক নেতার প্রতি দেশের মানুষের গভীর ভালোবাসা প্রতিফলিত হয়।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং মন্তব্য বইয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্মোহনী এবং অসীম সাহসী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধে জনগণের নেতৃত্বদান করেছিলেন। ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী বলেন, দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন নেতা এবং রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি স্বাধীনতার জন্য প্রতিকূলতা ও বিরূপ পরিস্থিতি উপেক্ষা করে অটল সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করেছেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ সফরের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এসময় মন্তব্য বইয়ে তিনি লেখেন, উপ-মহাদেশের প্রতিটি মুক্তিকামী, মাতৃভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল মানুষের মনে বঙ্গবন্ধু এক জ্বলন্ত অনুপ্রেরণা। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি, স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্থপতি এবং পিতা। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের মঞ্চে অন্যতম শ্রেষ্ঠত্বে মর্যাদা এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তিনি সেই বিরল নেতা, যার প্রতি ধর্মমত নির্বিশেষে সব মানুষ প্রণাম জানিয়ে ধন্য হয়।

তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধুকে দেশদ্রোহী হিসেবে চিত্রিত করলেও ইতিহাসই প্রকৃত অবস্থান নিশ্চিত করে, যখন তাঁর এককালীন ঘোরতর শত্রু তাকে মহান দেশপ্রেমিক হিসেবে অভিহিত করে।১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি (বেলুচিস্তান) অফিসার মেজর জেনারেল তোজাম্মেল হোসেন মালিক পরে তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, বস্তুত মুজিব দেশদ্রোহী ছিলেন না (পাকিস্তানে তাকে সেভাবে চিত্রিত করা হলেও)। নিজ জনগণের জন্য তিনি ছিলেন এক মহান দেশপ্রেমিক।

আরেকজন সেনা কর্মকর্তা তৎকালীন পাকিস্তানি জান্তার মুখপাত্র মেজর সিদ্দিক সালিক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ও যুগান্তকারী ৭ মার্চের ভাষণের কথা অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। সালিক তার গ্রন্থে লিখেছেন, রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর ঘরমুখী মানুষের ঢল নামে। তাদের দেখে মনে হচ্ছিল আশাব্যঞ্জক বাণী শ্রবণ শেষে মসজিদ অথবা গির্জা থেকে তারা বেরিয়ে আসছেন।


আরও খবর



মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু ভারতের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যাপক কূটনৈতিক টানাপোড়েনের পর অবশেষে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত। গত ১০ মার্চ ২৫ জন সেনাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে, বাকিদেরও মার্চ মাস শেষ হওয়ার আগেই ফিরিয়ে আনা হবে।

মালদ্বীপভিত্তিক দৈনিক মিহারুর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রসঙ্গত, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের সম্মতির ভিত্তিতে দেশটিতে ৮৯ জন ভারতীয় সেনা মোতায়েন করেছিল ভারত। এই সেনা মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারত মহাসাগরে চীনের তৎপরতার ওপর নজরদারি করা।

তবে তার পাশাপাশি টিকাদান কর্মসূচি, মালদ্বীপের জনবসতিপূর্ন দ্বিপগুলোতে খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও করতেন ভারতীয় সেনারা।

কিন্তু ভারতীয় সেনাদের উপস্থিতিকে মালদ্বীপের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলেন দেশটির অন্যতম নেতা ও চীনপন্থী রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ মুইজ্জু। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মালদ্বীপ থেকে নিজ সেনা সদস্যদের ফিরিতে নিতে ভারতকে আহ্বানও জানান তিনি।

সেই সঙ্গে সময়সীমা বেঁধে দেন যে ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে ভারতকে তার সেনাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। পরে নয়াদিল্লির সঙ্গে এক বৈঠকের পর এই সময়সীমা ১০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করেন তিনি।

মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার আগ পর্যন্ত ভারত মহাসাগর অঞ্চলে কৌশলগত দিক থেকে নয়াদিল্লির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ছিল মালদ্বীপ। তবে মুইজ্জু ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে এই সম্পর্কে শীতলতা এসেছে, অন্যদিকে বেড়েছে এ অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সম্ভাবনা।

গত জানুয়ারিতে চীন সফরে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপের অবকাঠামো, জ্বালানি, সমুদ্র গবেষণা ও কৃষি সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষ করে এসেছেন তিনি।

অন্যদিকে ভারত গত মাসে ঘোষণা দিয়েছে এখন থেকে নিজেদের লাক্ষাদ্বীপ অঞ্চলে নৌবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি করবে দেশটি। মালদ্বীপ থেকে লাক্ষাদ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১৩০ কিলোমিটার।


আরও খবর



বাড়ল এলপিজির দাম

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ৪৭৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৪৮২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার (৩ মার্চ) বিকেল ৩টায় এলপিজির নতুন এ দর ঘোষণা করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হয় এলপিজির দাম।১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪১ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

একইসঙ্গে অটোগ্যাসের দামও বাড়ায় বিইআরসি। ফেব্রুয়ারি মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার নির্ধারণ করা হয় ৬৭ টাকা ৭৬ পয়সা।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪