আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

একটানা ৭৪ দিন পানির নিচে থেকে বিশ্বরেকর্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পানির নিচে সবচেয়ে বেশি সময় থাকার বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষক। জোসেফ ডিটুরি নামের এই অধ্যাপক ফ্লোরিডার একটি দ্বীপের ৩০ ফুট পানির নিচে ৭৪ দিনেরও বেশি সময় থেকেছেন। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জোসেফ ডিটুরি দক্ষিণ ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ফ্লোরিডার গ্রীষ্মমন্ডলীয় দ্বীপ কি লার্গোকে গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন।

সেখানকার একটি হ্রদের ৩০ মিটার পানির গভীরে জুল আন্ডারসি লজ নামের এক হোটেল রয়েছে। এরই মধ্যে এই হোটেল কক্ষেই ৭৪ দিনেরও বেশি সময় অবস্থান করেছেন জোসেফ। এ সময় বিষন্নতায় আক্রান্ত হননি তিনি।

আরও পড়ুন>> মধ্যরাতে নিউজিল্যান্ডে হোস্টেলে আগুন, নিহত ১০

পানির নিচের এই হোটেলে ১ মার্চ থেকে থাকা শুরু করেন অধ্যাপক জোসেফ। তার এই প্রকল্পের নাম নেপচুন ১০০। এই গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি জানতে চাইছেন, গভীর পানির নিচের অতিরিক্ত চাপের মধ্যে মানবদেহ কিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।

তবে এখনই থামার কোন পরিকল্পনা নেই জানিয়ে রোববার জোসেফ বলেন, আবিষ্কারের কৌতূহল আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। তিনি জানান, পানির নিচে জুল হোটেলে কমপক্ষে তিনি ১০০ দিন থাকবেন।

এই গবেষক আরও বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল একটিই, আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করা। সেই বিজ্ঞানীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া, যারা সমুদ্রের নিচের জীবন অধ্যয়ন করেন এবং জানতে চান, চরম বিরূপ পরিবেশেও কীভাবে মানবদেহ কাজ করে।

এর আগে পানির নিচে সবচেয়ে বেশি সময় থাকার রেকর্ড ছিল দুই অধ্যাপকের। ২০১৪ সালে এই কি লার্গোর জুল হোটেলেই তারা রেকর্ডটি গড়েন।

প্রসঙ্গত, সাবমেরিনের মতো দেখতে এই হোটেলে পানির নিচের বাড়তি চাপ সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কোনো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় না। জুল হোটেলের নামকরণ করা হয়েছে কল্পবিজ্ঞান লেখক জুল ভার্নের নামানুসারে। সূত্র : বিবিসি

নিউজ ট্যাগ: বিশ্বরেকর্ড

আরও খবর



বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় আড়াই কোটি টাকার টোল আদায়

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও নেই যানজট। মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহন বৃদ্ধির ফলে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিস সূত্র জানায়, রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৯ হাজার ৭৮০ যানবাহন পারাপার হয়েছে এবং টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা।

এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশে ১৫ হাজার ৮৫ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৮৫ লাখ ৪০ হাজার ৫০ এবং সিরাজগঞ্জের সেতু পশ্চিম অংশে ১৪ হাজার ৬৯৪ যানবাহন পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ১৫০ টাকা। সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপার হয়েছে দুই হাজার ৭১০।

এবিষয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮ টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। যানবাহনের চাপ বেড়েছে।


আরও খবর



বিএনপিপন্থী আইনজীবী ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার খোকনকে অব্যাহতি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নির্দেশ অমান্য করে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মো. জিয়াউর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ রোববার অব্যাহতির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। খোকন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিজয়ী হন। এরপর গত ৪ এপ্রিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিদ্ধান্ত অমান্য করে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি/সম্পাদকদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আপনার (ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন) এমন কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসেবে গণ্য করে সর্বসম্মত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




চেক ডিজঅনার কেন হয়, টাকা পেতে যা করবেন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ব্যবসায়িক লেনদেন ছাড়াও নানা সময়ে চেকের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করা হয়ে থাকে। সেই চেক ব্যাংকে জমা দিয়ে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করা যায়। আবার কেউ চাইলে চেকের বিপরীতে নগদ টাকাও ব্যাংক থেকে নিতে পারেন। চেক ইস্যুর তারিখ থেকে ৬ মাসের মধ্যে ব্যাংকে জমা দিয়ে এই টাকা উত্তোলন করতে পারেন গ্রহীতা।

তবে অনেক সময় চেকের বিপরীতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। মূলত চেকে নামের মিল না থাকা, অ্যাকাউন্টধারীর অপর্যাপ্ত তহবিল, চেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ, চেকে অ্যাকাউন্টধারীর স্বাক্ষরের মিল না থাকা কিংবা চেকে টাকার পরিমাণ অঙ্কে ও কথায় মিল না থাকার মতো কারণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এটিকেই চেক ডিজঅনার বলা হয়ে থাকে।

অপর্যাপ্ত তহবিল বা অন্য কোনো যুক্তিসংগত কারণে যদি চেক ডিজঅনার হয়, সেক্ষেত্রে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কারণ উল্লেখ করে চেক জমাদানকারীকে একটি ডিজঅনার স্লিপ দেন। আর চেক ডিজঅনার হলে ১৮৮১ সালের হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারা অনুযায়ী মামলা করতে হয়। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে উল্লেখিত টাকার ৩ গুণ অর্থ জরিমানা হতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার বিষয়ে ঢাকা জজ আদালতের আইনজীবী আলী হাসান জানান, আইনে তিন গুণ জরিমানার কথা থাকলেও বাস্তবে সাধারণত আদালত তিনগুণ টাকা জরিমানা করেন না। পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করেই দোষীকে জরিমানা করেন আদালত। আবার বিবাদী যদি স্বেচ্ছায় জরিমানার টাকা না দেয় তবে দেওয়ানি মোকদ্দমার মাধ্যমে টাকা আদায় করা যেতে পারে।

চেক ডিজঅনার হলে মামলার ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে প্রথমেই স্লিপ নিতে হবে। এরপর চেকের টাকা পরিশোধের জন্য ৩০ দিন সময় দিয়ে উকিল নোটিশ বা লিগ্যাল নোটিশ পাঠাতে হবে। বিবাদী ওই নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে এখতিয়ারসম্পন্ন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে হবে।

এক্ষেত্রে মামলার সময় বাদীকে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়াও চেক ডিজঅনারের স্লিপ, লিগ্যাল নোটিশের একটি করে ফটোকপি করে জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে মামলার সময় চেকের মূল কপি আদালতে প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মামলার আবেদনের সঙ্গে প্রসেস ফি জমা দিতে হবে।

চেক ডিজঅনার মামলায় হাইকোর্টের ৫ নির্দেশনা

মামলা হওয়ার ৩ মাসের মধ্যে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে বিচারিক আদালত চেকে উল্লেখিত টাকা এবং মামলার যাবতীয় খরচ যোগ করে গ্রহীতাকে ক্ষতিপূরণ দেবেন।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার ৩ মাস পর ও ৬ মাসের আগে গ্রহীতাকে উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকার সঙ্গে সমপরিমাণ টাকা মামলার খরচ হিসেবে জরিমানা দিতে হবে। অর্থাৎ চেকে উল্লেখিত টাকার দ্বিগুণ অর্থ গ্রহীতাকে দিতে হবে।

মামলা হওয়ার ৬ মাস পর ও এক বছরের আগে যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি গ্রহীতাকে টাকা দিতে চান, সেক্ষেত্রে চেক প্রদানকারীকে চেকে উল্লেখিত টাকা ও উল্লেখিত টাকার আড়াইগুণ জরিমানা হিসেবে দিতে হবে।

চেক প্রদানকারী যদি মামলা হওয়ার এক বছর পর ও দুই বছরের আগে উল্লেখিত অর্থ গ্রহীতাকে দিতে চান, তবে চেকে উল্লেখিত টাকা ও এর তিন গুণ টাকা জরিমানা দিতে হবে।

মামলা হওয়ার দুই বছর পরও যদি চেক প্রদানকারী ব্যক্তি টাকা না দেন, তবে আদালত চেকে উল্লেখিত টাকার তিনগুণ জরিমানা ছাড়াও প্রয়োজন মনে করলে চেক প্রদানকারীকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডে দণ্ডিত করতে পারেন।


আরও খবর



লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র, লুকাতে চাচ্ছে ইসরায়েল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দখলদার ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বড় হামলার পর ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বার্তাসংস্থা ইরানিয়ান স্টুডেন্টস নিউজ এজেন্সি (আইএসএনএ) একটি কলাম প্রকাশ করেছে।

এতে তারা জানিয়েছে, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ইসরায়েলের নাভাতিম বিমান ঘাঁটি এবং হেরমন পাহাড়ের ওপর একটি সামরিক অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে ইসরায়েল এই ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

বার্তাসংস্থাটি বলেছে, নাভাতিম বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে কারণ গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে যে ভয়াবহ হামলা হয়েছিল, সেটি এই ঘাঁটি থেকে চালানো হয়েছিল। অপরদিকে হেরমন পাহাড়ের ওপর থাকা ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর একটি গোয়েন্দা অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছে। কারণ এই স্থান থেকে সিরিয়ায় ইরানের বিভিন্ন অবস্থানের ওপর চালানো অসংখ্য হামলা পরিচালিত হয়েছে।

বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলের কোনো বেসামরিক ব্যক্তি ও অবকাঠামোর ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনাই করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিরা তাদের জীবনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর রাতটি পার করেছে।

হামলার ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর বিষয়টি উল্লেখ করে বার্তাসংস্থাটি বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। কিন্তু ইসরায়েল এসব ক্ষয়ক্ষতি লুকানোর চেষ্টা করছে।

ইরানের এমন অভূতপূর্ব হামলার পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ওই সময় ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তাব দেন নেতানিয়াহু। কিন্তু বাইডেন এতে সমর্থন দেননি। তিনি নেতানিয়াহুকে জানান, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় তাহলে এতে যুক্ত হবে না যুক্তরাষ্ট্র।

বার্তাসংস্থাটি তাদের কলামে বলেছে, ইরানে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না দেওয়ার অর্থ হলো, ইরান তাদের তেজস্বিতা প্রমাণ করেছে। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায় না। এছাড়া ইসরায়েলে হামলা না চালাতে যুক্তরাষ্ট্রের বাধাকে যে ইরান কোনো মূল্য দেয়নি সেটিও এই হামলার মাধ্যমে ফুটে উঠেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থাটি।

এই কলামে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানের বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল আলী বাগারি জানিয়েছেন, গতকাল ইরান ইসরায়েলে যে হামলা চালিয়েছে, সেটির চেয়ে ১০ গুণ বড় হামলা চালানো ক্ষমতা ইরানের রয়েছে। তবে তারা পূর্ণশক্তি প্রয়োগের ব্যাপারে এখনই ভাবছেন না।

নিউজ ট্যাগ: ইসরায়েল ইরান

আরও খবর



নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নোবেল পুরস্কার বিজয়ী মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল কাহনেম্যান মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। শেষ জীবনে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে অবস্থিত প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির মনোবিদ্যা এবং পাবলিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রফেসার এমেরিটাস হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বিহেভেরিয়াল ইকোনমিক্স বা আচরণগত অর্থনীতির সমার্থক হয়ে উঠেছিলেন ড্যানিয়েল কাহনেম্যান। যদিও কখনও অর্থনীতির কোর্স করেননি এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। ইউনিভার্সিটি ড্যানিয়েল কাহনেম্যানের মৃত্যুর কথা ঘোষণা করেছে।

মূলত মানুষের অভ্যাস, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধরন কী ভাবে ব্যয় এবং তার হাত ধরে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে (বিহেভেরিয়াল ইকনমিক্স) তা নিয়ে গবেষণা করেছেন কাহনেম্যান। বিশেষত অনেক কিছুই না জেনে কীভাবে একজন সিদ্ধান্ত নেন বা নেন না, কেমন আয়ের মানুষ বেশি খুশি থাকেন এই সব ঘিরেই আবর্তিত তার কাজ। আর এটিই পাল্টে দিয়েছে অর্থনীতি সম্পর্কে বহু চিরাচরিত ধ্যান-ধারণাকে। প্রসপেক্ট থিয়োরি (অনিশ্চয়তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া) নিয়ে গবেষণার জন্য ২০০২ সালে নোবেল পান তিনি।

১৯৩৪ সালে কাহনেম্যান ফিলিস্তিনের (বর্তমান ইসরায়েলের) তেল আবিবে জন্মগ্রহণ করেন। নিজের প্রাথমিক জীবনের বেশিরভাগ সময় নাৎসি-অধিকৃত ফ্রান্সে কাটিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তার বাবা একটি রাসায়নিক কারখানায় গবেষণার প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। তবে ইসরায়েল রাষ্ট্র সৃষ্টির ঠিক আগে ১৯৪৮ সালে কাহনেম্যানের পরিবার ব্রিটিশ শাসিত ফিলিস্তিনে ফিরে আসে।

১৯৫৪ সালে ইসরায়েলের জেরুজালেমে হিব্রু ইউনিভার্সিটি থেকে মনস্তত্ত্ববিদ্যা নিয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন কাহনেম্যান। পরে তিনি যোগ দেন ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সে। সেখানে সেনা নিয়োগে মানসিকতা যাচাই করতে তৈরি করেন বিশেষ ব্যবস্থা। পরে আমেরিকার বার্কলেতে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফর্নিয়া থেকে পিএইচডি করার পরে ফের হিব্রু ইউনিভার্টিসিতে যোগ দেন অধ্যাপক হিসেবে। ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় কাহনেম্যানের বিখ্যাত বই থিংকিং ফাস্ট অ্যান্ড স্লো


আরও খবর