রাজধানী ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শরীয়তপুরগামী
পদ্মা ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে ঘটনাস্থলে ২ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে ৬ জন নিহত হন। এছাড়া ১৯ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় সড়কের পাশে রাখা একটি বিকল ট্রাকের সঙ্গে
বাসের সংঘর্ষে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, শরীয়তপুর জেলার সখিপুর উপজেলার
লেকুরিয়া গ্রামের হাবিবের ছেলে সাইফুল (৩৫), একই জেলার সখিপুর থানার নূর মোহাম্মদের
স্ত্রী হাজেরা খাতুন (৬০), নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর গ্রামের শাহজাহান কাজির ছেলে আরিফ
কাজী, একই থানার ঢালী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা মো. হাবিব লাকুরিয়ার ছেলে নিহত সাইফুল
ইসলাম লাকুরিয়া (৩৫) । এছাড়া নিহত আরিফ কাজী শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের
শাহজাহান কাজীর ছেলে। বাকি ৫ জন নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা হলেন, বিউটি (২৫), তাহিরা (১৫) প্রাথমিক
চিকিৎসা শেষে চলে যান। আকাশ পাটোয়ারি (২৫), বিথী (৩০), আরিফ (২০), রাসেল (২৫), চাপা
(১০), মারিয়া, সাকিরা (৩০), সুলতান (৩০), আকাশ (২০), শামীম (২০), সেলিম (৩০), বাশেদ
(২৫), বিল্লাল (২৫), জান্নাত (২০), সালাউদ্দিন, সেলিম (১৯), আরিফ (২৭) এখনো চিকিৎসাধীন
আছেন।
মুন্সীগঞ্জের হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস
ও সিবিল ডিফেন্স সূত্রে জানা যায়, সড়কের পাশে বিকল হয়ে পড়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে
ধাক্কায় খেয়ে যাত্রীবাহী বাসটি দুর্ঘটনার স্বীকার হয়েছে। আহত-নিহতদের মুন্সীগঞ্জের
শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
শরীয়তপুরের পুলিশ সুপার সাইফুল হক বলেন,
মুন্সীগঞ্জের বাস দুর্ঘটনার বিষয়ে এখনও আমি জানি না। শরীয়তপুরের পদ্মা ট্রাভেলস বাস
হয়ে থাকলে আহত-নিহতরা শরীয়তপুরেরই বাসিন্দা হবেন৷ আমি জেনে বিস্তারিত জানাতে পারব।