আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

একনায়কতন্ত্রের দ্বারপ্রান্তে তুরস্ক

প্রকাশিত:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২২ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট বা ন্যাটোর মধ্যে তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম। দেশটি অশান্ত প্রতিবেশি দেশগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায়। সম্প্রতি দেশটি পশ্চিম বলকান, পূর্ব ভূমধ্যসাগর ও আফ্রিকায় প্রভাব বিস্তার করা শুরু করেছে। সর্বোপরি, এটি কৃষ্ণ সাগর ঘিরে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গত বছর তুরস্ক ক্ষুধার্ত বিশ্বে ইউক্রেনীয় শস্য পাঠানোর ব্যাপারে জাতিসংঘের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছিল। তুরস্কের সাধারণ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। ২০২৩ সালেই নির্বাচন হচ্ছে দেশটিতে। এবারের নির্বাচন ঘিরে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ানের ফিরে আসার সম্ভাবনা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছে দ্য ইকোনমিস্ট।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, বহিরাগতদের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও সংসদীয় নির্বাচনের দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোয়ান আভাস দিয়েছেন, আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নির্বাচন। অনিয়মিত প্রেসিডেন্টের কারণে দেশটি বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের আচরণ ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্রকে স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

২০০৩ সালের মার্চ মাসে যখন এরদোয়ান দেশটির প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তুরস্কের জন্য তিনি প্রতিশ্রুতির ডালি নিয়ে বসেছিলেন। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীদের ভয় ছিল, তার একটি অতিমাত্রায় ইসলামপন্থি এজেন্ডা ছিল, কিন্তু তিনি ও তার জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টি এটি অনুসরণ করতে পারেননি। এরদোয়ানের ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রথম কয়েক বছর তার সরকার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এনেছে যেটি কয়েক দশক ধরে সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। তিনি সেই জেনারেলদের প্রতিহত করেছিলেন যারা প্রায়ই রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করেন এবং অভ্যুত্থানের চেষ্টা চালান। অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে তিনি সংস্কার পথ বেছে নেন। এমনকি তিনি তুরস্কের সবচেয়ে বড় জাতিগত সংখ্যালঘু কুর্দিদের কাছে শান্তির অনুভূতিও প্রকাশ করেন, যারা দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনীর হাতে নিপীড়নের শিকার হন। ২০০৫ সালে তার বড় অর্জন যা তার সমস্ত পূর্বসূরীরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। সেটি হচ্ছে, তুরস্কের ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদানের বিষয়ে আলোচনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান যতবেশি ক্ষমতায় থাকছেন তার ততবেশি স্বৈরাচারী মনোভাবও বেড়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১১ বছর পর তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন এবং সেই আগের দুর্বল পদটিকে একটি প্রভাবশালী পদে পরিণত করতে শুরু করেন। ২০১৬ সালে একটি অভ্যুত্থানের চেষ্টার পর তিনি কয়েক হাজার লোককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। এই চক্রান্তের জন্য দায়ী ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে সংযোগের নিছক অজুহাতে গ্রেফতারও করা হয় অনেককে। এই ইস্যুতে দ্য ইকোনমিস্টের বিশেষ প্রতিবেদনে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এভাবে, তিনি অবিচ্ছিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন এবং চেক ও ব্যালেন্স নষ্ট করেছেন। তিনি অনেক গণমাধ্যমকে রাষ্ট্রীয় প্রচারের হাতিয়ারে পরিণত করেছেন। তিনি কার্যত ইন্টারনেট সেন্সর করেছেন। তিনি বিরোধী নেতাসহ অনেক সমালোচককে কারাগারে নিক্ষেপ করেছেন। তিনি একে পার্টির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দূরে সরিয়ে দিয়েছেন। তিনি বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন, আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হয়রানি করেন বলেও অভিযোগ আছে।

এরদোয়ান ক্ষমতার তৃতীয় দশকের কাছাকাছি এসে তার ক্রমবর্ধমান উদ্ভট ধারণা দ্রুত জনসাধারণের নীতিতে পরিণত হচ্ছে। এভাবে, তিনি পূর্বে স্বাধীন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওপর একটি আর্থিক তত্ত্ব চাপিয়েছেন যা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। তিনি মনে করেন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিকার হলো অর্থ সস্তা করা। তুর্কি মুদ্রাস্ফীতি ৬৪ শতাংশ হওয়ার এটাই প্রধান কারণ ছিল। ফলে দেশটিতে জীবনযাত্রার মান সংকুচিত হচ্ছে এবং উত্তেজনা বাড়ছে। বিশেষ করে শহরগুলোতে ভোটাররা পিছিয়ে পড়ছেন।

৩ বছর আগে এরদোয়ানের দল তিনটি বৃহত্তম শহর আঙ্কারা, ইস্তাম্বুল এবং ইজমিরে মেয়র নির্বাচনে হেরে যায়। বিভিন্ন জরিপ বলছে, তিনি চার মাসের মধ্যে প্রেসিডেন্টের পদ হারাতে পারেন, যদি বিরোধীরা তার সেরা প্রার্থীর পেছনে একত্রিত হয় এবং নির্বাচন কমবেশি স্বচ্ছ হয়। তবে এটি একটি বড় যদি। কেননা এরদোয়ান অসম ক্ষেত্রটিকে তার বাগে আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইস্তাম্বুলের মেয়র একরেম ইমামোগ্লু, সম্ভবত এরদোয়ানের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী। সম্প্রতি কারাগারে গেছেন তিনি এবং রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাকে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের যারা তার প্রথম মেয়র বিজয় বাতিল করেছে তাদের মূর্খ বলার জন্য তার এ সাজা। সরকার সাংবিধানিক আদালতকে পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি (এইচডিপি) বাতিল ঘোষণা করতে বলেছে। এটি কুর্দিদের বৃহত্তম দল, যাদের অনেক নেতা এখন কারাগারে বন্দী। আদালত এইচডিপির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেন। দেশটির এই প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে বিরোধীদের কুর্দি ভোটারদের সমর্থন প্রয়োজন হবে।

প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান একবার গণতন্ত্রকে একটি ট্রাম যাত্রার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আপনি যখন আপনার গন্তব্যে পৌঁছাবেন, আপনি নামবেন। বলা হচ্ছে, তার অধীনে নির্বাচন খুব কমই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। যদিও বিপুল সংখ্যক ভোটার অংশ নিয়েছে নির্বাচনে। এবার উদ্বেগের বিষয় হলো এরদোয়ান পরাজয়ের ভয়ে যদি উঠে দাঁড়ান এবং নির্বাচন সুষ্ঠু বা অবাধ হবে না বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পশ্চিমা নেতাদের কথা বলা দরকার। আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলো প্রায়শই এরদোয়ানের সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকে কারণ সমস্যাগুলো এক হলেও বিচ্ছিন্ন হওয়ার ভয় আছে। কেউ চায় না তুরস্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ সম্পূর্ণ দুর্বৃত্ত হয়ে যাক। সবাই অবগত যে একজন অসন্তুষ্ট, বিচ্ছিন্ন তুর্কি প্রেসিডেন্ট বড় দুষ্টুমি করতে পারে। তিনি গ্রীস ও সাইপ্রাসের সঙ্গে ভয়ানক আঞ্চলিক ঝগড়া উসকে দিতে পারেন। সিরিয়ায় আরও বিভ্রান্তি ও সংঘর্ষের সৃষ্টি করতে পারেন। তিনি তুরস্কের ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ অভিবাসী বা শরণার্থীদের দক্ষিণ ইউরোপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার অনুমতি দিতে পারেন। তিনি ন্যাটো সদস্য হওয়া সত্ত্বেও ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের জন্য ন্যাটোতে যোগদানকে অবরুদ্ধ করে ইউক্রেনের পক্ষ নিতে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন।

তবুও তুরস্কের পশ্চিমাদেরও প্রয়োজন, অন্তত দেশটির বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য। দেশটিকে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ পুনরুজ্জীবিত করার একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে। কারণ এটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রতিক্রিয়ায় ভেঙে পড়েছে। তুরস্ক কম উৎপাদনশীলতা উন্নত করতে পশ্চিমা প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে। এটি পশ্চিমা অস্ত্র চায়, বিশেষ করে আমেরিকান যুদ্ধবিমান। এরদোয়ান যদি গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যান এবং স্বৈরশাসকদের ক্লাবে যোগদান করেন তবে এসব জিনিস কোনোটিই সুরক্ষিত হবে না। এই সব তাকে পশ্চিমের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য একটি শক্তিশালী প্রণোদনা দেয়।

দ্য ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পশ্চিমা নেতাদের দর কষাকষির ক্ষমতা দেওয়া উচিত। এরদোয়ান সম্প্রতি তার মধ্যপ্রাচ্যের অনেক প্রতিবেশি দেশের নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। পশ্চিমা নেতাদের তাই নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগতভাবে এবং প্রকাশ্যে ইমামোগ্লু ও এইচডিপির ওপর সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কথা বলে এরদোয়ানকে দেখানো উচিত, তারা তার আচরণ সম্পর্কে কতটা সচেতন। এরদোয়ানকে প্রান্ত থেকে টেনে তুলতে দেরি হয়নি পশ্চিমাদের। তবে এখনই তাকে সতর্ক করা শুরু করতে হবে।


আরও খবর



যুদ্ধজাহাজের পাহারায় দুবাইয়ের পথে ২৩ নাবিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিককে মুক্ত করা হয়েছে। মুক্তিপণ দেওয়ার পর নাবিকসহ বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ এখন দুবাইয়ের  আল হারমিয়া বন্দরের দিকে রওনা হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ভারতীয় একাধিক যুদ্ধজাহাজের পাহারায় রয়েছে মুক্তি পাওয়া জাহাজটি। দুবাই পৌঁছানোর পর জাহাজের দায়িত্ব নেবে নতুন নাবিক দল। দুবাই পৌঁছাতে নাবিকদের আরও পাঁচদিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া নাবিক মো. শামসুদ্দিন।

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক বলেন, শামসুদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ আছে। এখন এমভি আব্দুল্লাহর পাশাপাশি একাধিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। শামসুদ্দিন জানিয়েছে, দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগতে পারে।

আরেক নাবিক হোসেন মো. সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ  বলেন,  আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি উড়োজাহাজ বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।


আরও খবর



দাম কমলো সোনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশের বাজারে এক লাফে ৩১৩৮ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকেই সারা দেশে সোনার নতুন এ দর কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার এ দাম কমার তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে কারণে সোনার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস।

নতুন করে প্রতি ভরি ভালো মানের সোনার দাম কমেছে তিন হাজার ১৩৮ টাকা। এখন থেকে দেশের বাজারে ভালো মানের সোনা প্রতি ভরি (২২ ক্যারেট) বিক্রি হবে এক লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকায়।

নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে এক লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা করা হয়েছে।

তবে দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তীত রেখেছে বাজুস।


আরও খবর



বেলাবতে এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

বেলাব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিন্ধদ্বী সকল প্রার্থীরা এক মঞ্চে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।

শনিবার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার সমাজসেবী সংগঠন লাল সবুজ চেতনা সংসদের উদ্যোগে আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা ও পুরুষ পদপ্রার্থীদের এক মঞ্চে আনা এনে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।

শনিবার বিকাল থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত লাল সবুজ চেতনা সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ব্যতিক্রমী এই নির্বাচনী ইশতেহার ও এক মঞ্চে সকল প্রার্থীদের একসাথে দেখতে বেলাব উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধারণ ভোটাররা উপস্থিত হয়।

নারায়নপুর রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের ফরিদা বেগম মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানে ভোটারদের সামনে প্রার্থীরা তাদের নির্বাচন পূর্ব প্রতিশ্রুতি ও নির্বাচন পরবর্তী কর্মপরিকল্পনার ইশতেহার ঘোষণা করেন।

চেয়ারম্যান পদ ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী বেলাব উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও ইশতেহার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন,কাপ পিরিচ পদে বেলাব উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী শরিফ উদ্দীন খান মোমেন, ঘোড়া প্রতীকে ভাস্কর অলি মাহমুদ, আনারস প্রতীকে আমান উল্লাহ আমান, চিংড়ি মাছ প্রতীকে মাজহারুল হক, টেলিফোন প্রতীকে জোনাইদ হোসেন পারভেজ।

ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে বই প্রতীকে ইসলাম উদ্দিন, টিয়া পাখি প্রতীকে সাইফুল ইসলাম, টিউবওয়েল প্রতীকে মো: খোর্শেদ আলম, তালা প্রতীকে রফিকুল ইসলাম।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রজাপতি প্রতীকে শারমিন আক্তার খালেদা, সেলাই মেশিন প্রতীকে রহিমা বেগম ময়ুরী, হাঁস প্রতীকে নাজমুন্নাহার আমিনা।

প্রার্থীরা শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ও স্মার্ট উপজেলা গড়তে সকলে ঐক্যমত পোষন করেন এবং তাদের নির্বাচনী ইশতেহারের পাতায় উঠে আসে সমাজ থেকে সন্ত্রাস, মাদক নির্মূল, বাল্যবিবাহ, দারিদ্র্য দূরীকরণসহ বিভিন্ন অঙ্গিকার ও প্রতিশ্রুতি।

কাপ পিরিচ প্রতিকের প্রার্তী শরিফ উদ্দীন মোমেন তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে বেলাব উপজেলাকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্তসহ একটি মডেল উপজেলা হিসাবে বেলাব উপজেলাকে গড়ে তুলবেন।

আনারস প্রতীকে প্রার্থী আমান উল্লাহ বলেন, নির্বাচিত হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন, সন্ত্রাস দূরীকরণ, বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা এবং কৃষিতে ন্যায মূল্য পেতে হিমাগার নির্মান করবো।

ঘোড়া প্রতীকে প্রার্থী ভাস্কর অলি মাহমুদ বলেন, স্মার্ট, আধুনিক ও সমৃদ্ধ উপজেলা গড়তে যা যা করা দরকার তাই করবো। শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ও সমাজ থেকে মাদক নির্মূলে কাজ করবো। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করতে সকল প্রার্থীরা তাদের অঙ্গিকার পোষণ করেন।


আরও খবর



ঈশ্বরদীতে জমি নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২১

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

পাবনার ঈশ্বরদীতে জমিজমা বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে খাইরুল ইসলাম (৪০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২১ জন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত খাইরুল ইসলাম চরগড়গড়ী আলহাজ্ব মোড়ের পশ্চিমপাড়ার মৃত নসিম উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। 

পুলিশ জানায়, জমি-জমার বিরোধ নিয়ে সাহাপুর ইউনিয়নের দুপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ নিয়ে দুই দিন ধরে তাদের মধ্যে মারামারারি ঘটনা ঘটে। সেই বিরোধের জেরে বিকেলে তারা আবারও সংঘর্ষ জড়ায়। এতে ঘটনাস্থলেই খাইরুলের মৃত্যু হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আমরা ঘটনাস্থলে আছি। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলতে পারব।


আরও খবর



বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৩৯টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলেছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। গোলাগুলি, সংঘর্ষ, ভোটগ্রহণ স্থগিত, প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আটকসহ নানা বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন।

তবে অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ভোটাদের উপস্থিতি কম ছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম। 

ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে দুপুরের দিকে সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে বলে আমাদের মাঠ পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে। একেক জায়গায় একেকরকম ভোট পড়েছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রকৃত হার আরো পরে পাব।

এবারের নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলাম (আনারস) ও মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহর (কাপ পিরিচ) সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছয় রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এছাড়া নির্বাচন চলাকালীন পুলিশ ও সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।

এছাড়া সাংবাদিক মারধরের ঘটনা ঘটেছে সিলেটের সদর উপজেলায়। সদরের ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে এক যুবক আটক হলে তাকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে ছবি সাংবাদিকের ওপর চড়াও হন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা। তবে গোলাপগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে কিছুটা ভোটার উপস্থিতি দেখা যায়।

টাঙ্গাইলে মধুপুর ও ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রার্থীদের মধ্যে কোন্দল দেখা দেয়। মধুপুর উপ‌জেলার গাংগাইর আহম্মদ আলী মেমো‌রিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়সহ কয়েকটি কে‌ন্দ্রে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ দুই উপজেলায় আতঙ্ক ও বৃ‌ষ্টির কার‌ণে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপ‌স্থি‌তি অনেক কম ছিল।

সুনামগঞ্জের শাল্লার চব্বিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রের সামনে ঘোড়া ও আনারস প্রতীকের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হন। এর আগে সোমবার (৭ মে) রাত ২টার দিকে একই কেন্দ্রের সামনে থেকে অন্য কেন্দ্রের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ চারজনকে আটক করে পুলিশ।

ভোটে অনিয়মের অভিযোগে বগুড়ার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের দুই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া কুসুমকলি কেন্দ্র থেকে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দুজন আটক হন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের জাল ভোট দিতে না দেওয়ায় পোলিং অফিসারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এদিন বেলা ১১টায় উপজেলার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার সদর উপজেলায় চৌপল্ডী দক্ষিণ রাখাইন পাড়া সরকারি প্রথামিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী নুরুল আবছারের পক্ষে মাসুদ পারভেজ নাম এক এজেন্টকে প্রকাশ্যে টাকা বিতরণকালে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় নির্বাচন চলাকালীন সময়ে একটি ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে মীর রেজাউল ইসলাম বাবু নামে এক কাউন্সিলর প্রার্থীকে আটক করেছে বিজিবি টিম।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ নূর উদ্দিন নামের এক সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে।

জয়পুরহাট ও দিনাজপুরের ৩ উপজেলায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মাঝেই কম ভোটার উপস্থিতি নিয়ে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এছাড়া খাগড়াছড়ির লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করায় সাময়িক সময়ের জন্য ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়।

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম ও বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এর মধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, ৫ উপজেলার ৮ জন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী।

উপজেলাগুলো হলো, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা, বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা ও মাদারীপুর জেলার শিবচর।

এছাড়া যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবানে তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্য কিছু উপজেলায় মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সেসব পরিষদে ভোটগ্রহণ হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: উপজেলা নির্বাচন

আরও খবর