ধর্ম পালনের অধিকার যেমন সবার রয়েছে, তেমনি অন্যের ধর্মকেও কেউ যেন হেয় করতে না পারে। এটা কোন ধর্ম শিক্ষা দেয় না। নিজের ধর্মকে সম্মান করার সঙ্গে সঙ্গে অন্যের ধর্মকেও সম্মান করতে হয়, অন্য ধর্মকে হেয় করলে নিজের ধর্মকেই অসম্মান করা হয়। মানবধর্মকে সম্মান করাই প্রতিটি ধর্মের শিক্ষা।
রবিবার দুপুরে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দির ও জেএমসেন হলে শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ ও ধর্মীয় গোঁড়ামি প্রতিরোধে আমাদের সবার দায়িত্ব রয়েছে। পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় নেতাদের পাশাপাশি রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি।
শ্রীজগন্নাথদেবের স্নানযাত্রার বর্ণিল উৎসবে মহান আশির্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারত মায়াপুরের ইসকন নামহট্টের কো- রিজিওনাল সেক্রেটারী ও দীক্ষা গুরু শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ।
নন্দনকানন শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির ও গৌর নিতাই আশ্রম’র অধ্যক্ষ শ্রীমান পন্ডিত গদাধর দাস ব্রহ্মচারী’র সভাপতিত্বে ও সুমন চৌধুরীর সঞ্চালনায় উদ্বোধক ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সেকেন্ড সেক্রেটারী উদত ঝা।
প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খিষ্ট্রান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রিয় সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত। তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে যারা মুজিবকোট গায়ে চাপিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি দখল করেছে আমরা তাদের ভোট দেবনা। ২০২১ সালের ঘটনার পরে যারা বিদেশে গিয়ে বলেছেন কিছু হয়নি আমরা তাদের ভোট দেব না।
স্নানযাত্রায় বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন স্থান হতে হাজার হাজার ভক্ত নর-নারীগণ অংশ নেয়। স্নানযাত্রা উৎসবে জগন্নাথদেবের বিশেষ আরতি, সকলের অংশগ্রহণে স্নান, মধ্যাহ্নকালীন ভোগারতি, ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বৈদিক নাটক অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে ইসকন প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আশীর্বাদক ছিলেন ইসকনের অন্যতম গুরু গৌরাঙ্গা প্রেম স্বামী গুরু মহারাজ। প্রধান বক্তা ছিলেন হাটহাজারী শ্রীশ্রী পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী।
উল্লেখ, আগামী ২০ জুন রথযাত্রা ও ২৮ জুন উল্টো রথযাত্রা মহোৎসব প্রবর্তক ইসকন মন্দির ও নন্দনকাননস্থ শ্রীশ্রী রাধামাধব মন্দির সামনে ডিসি হিল প্রাঙ্গন হতে শুরু হবে।