আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

এখনও আ.লীগের দিকে তাকিয়ে ১৪ দলের শরিকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যখন মহা উৎসবে প্রায় সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে, এরপরও দলটির দিকে তাকিয়ে আছেন ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা।

সরকার পতন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের একদফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগ কর্মসূচি পালন করে রাজপথে অবস্থান নিচ্ছে। তবে দলটির নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটকে রাজপথে সেভাবে সক্রিয় থাকতে দেখা যাচ্ছে না। এমনকি অন্যতম বিরোধীরা ভোটে না আসায় ক্ষমতায় যেতে জোট গড়ার প্রয়োজন আছে কিনা সেই প্রশ্ন সামনে এনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। দলটির জোট শরিকরা বলছেন, তাদের সঙ্গে আসন সমঝোতা তো দূরের কথা, আসন বণ্টন নিয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি। তবে আগামী দুই দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত আলোচনা হওয়ার আশা করছেন তারা।

রবিবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৮টিতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বাকি দুইটি আসনে প্রার্থী পরে ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে একটি আসন ১৪ দলের অন্যতম শরিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর। অপরটিতে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) এ কে এম সেলিম ওসমান বর্তমান সংসদ সদস্য।

এছাড়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে ১৪ দলীয় জোট ও মহাজোটকে (বিকল্প ধারা, জাতীয় পার্টি) ছেড়ে দেওয়া ৩১টি আসনে নিজেদের প্রার্থী দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

জাতীয় পার্টি-জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাহ ও জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতারসহ জোট শরিকদের আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। অবশ্য জোটের একাধিক দলের নেতা এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিলেও তাদের প্রার্থী করেনি আওয়ামী লীগ।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যখন মহা উৎসবে প্রায় সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা করছে, এরপরও দলটির দিকে তাকিয়ে আছেন ১৪ দলের শরিক দলগুলোর নেতারা। এবার বেশি আসন ছাড়ের আশা করে আসলেও এখন খোদ আসন সমঝোতা নিয়েই শঙ্কায় থাকার কথা জানিয়েছেন কয়েকজন নেতা। এই শঙ্কার মূলে রয়েছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের অতি সাম্প্রতিক জোট নিয়ে দেওয়া বক্তব্য।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাইছাইয়ের মধ্যেই শনিবার (২৫ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, শরিক সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত আমাদের এখনও হয়নি। আমরা এখনও ঠিক করিনি শরিকদের আসলে আমাদের প্রয়োজন আছে কিনা। জোটের বিপরীতে জোট, আমাদের প্রতিপক্ষ যদি বড় জোট করতো, তাহলে তার বিপরীতে আমাদের জোট হতো। তাছাড়া আমরা কেন অহেতুক জোট করতে যাবো? প্রয়োজন না থাকলে তো জোট করবো না। আর জোট করবো যাদের নিয়ে, তাদের তো মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে।

এমতাবস্থায় ১৪ দলের বড় কয়েকটি শরিক দলের শীর্ষ নেতারা বলেন, তারা ১৪ দলীয় জোটগতভাবেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে চান। জোটের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুও ১৪ দল জোটগতভাবে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।

দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা ও বৈশ্বিক চাপের মধ্যে এই নির্বাচনকে আওয়ামী লীগও 'অগ্নিপরীক্ষা' হিসেবে দেখার কথা বলছে। এই কারণে জোট শরিকরা এখনও আওয়ামী লীগের দিকে তাকিয়ে আছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মিলন বলেন, আসন সমঝোতার বিষয়ে আমাদের সঙ্গে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। তবে তারা আশ্বস্ত করেছে আমাদের সঙ্গে সমঝোতা করবে। তারা দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পরই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। তারা জানিয়েছে সমঝোতার পথ আছে। দেখা যাক কী হয়।

জাসদ সাধারণ সম্পাদক শিরিন আকতার বলেন, দেখলাম তারা নমিনেশন ঘোষণা করেছে। আওয়ামী লীগ থেকে জানানো হয়েছে দুই একদিনের মধ্যে ১৪ দলের সভা হবে। সেখানে হয়তো সমঝোতা হবে। আমরা সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করি।

জাতীয় পার্টির জেপি মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরাও দেখলাম আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে মনোনয়ন দিয়েছে। গত তিন টার্ম সমঝোতার পরে মনোনয়ন ঘোষণা হলেও এবার কেন এককভাবে আগেই ঘোষণা করলেন সেটার কারণ উনারাই বলতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিগগিরই তিনি ১৪ দলের সঙ্গে বসবেন। উনার সঙ্গে বসলে হয়তো এটার একটা নতুন সমাধান হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের প্রার্থিতা ঘোষণায় আশা-হতাশা কোনটাই দেখছি না। তবে কিছুটা হতাশ এই কারণেই যে, উনারা যেভাবে নমিনেশন দিয়েছেন সেভাবে নির্বাচন হলে যে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে সেটা সম্ভব হবে না। আর ওই নির্বাচনের পরে যে সরকার হবে সেখানে বিরোধী দলের অবস্থান-শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে।

এক প্রশ্নের জবাবে শেখ শহিদুল ইসলাম বলেন, জানি না কেন ওনারা এভাবে নমিনেশন ঘোষণা করলেন। হয়তো নির্বাচনি মাঠ সরগরমের জন্য এটা করতে পারেন। তবে যেটা হয়েছে তা সরগরমের পরিবর্তে  নির্বাচনি মাঠকে স্থিমিত করবে।

এদিকে জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় পার্টি-জেপি, তরিকত ফেডারেশনসহ ১৪ দলের শরিক দলগুলো দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার শুরু করেছে এবং এগিয়ে নিচ্ছে। কোনও কোনও দল দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তও করেছে। সম্ভাব্য এসব প্রার্থীরা প্রচারণা চালিয়ে আসছেন।

প্রসঙ্গত, নবম, দশম ও চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক দলগুলোর সঙ্গে আওয়ামী লীগ আসন ভাগাভাগি করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ওইসব নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে দলীয় প্রার্থী ঘোষণার আগেই জোট নেতাদের সঙ্গে বসে আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। সমঝোতার মাধ্যমে যেসব আসন ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সেই সব আসনে আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী দেয়নি। বিপরীতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার আসনে ১৪ দলীয় জোটের কোনও দলও প্রার্থী দেয়নি।

গত তিনটি নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে এমনটি আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা আগে থেকে বলে আসছে। এর অংশ হিসেবে ১৪ দলীয় শরিকদের মধ্যে নিবন্ধিত দলগুলোর প্রায় সবগুলোই নির্বাচন কমিশনে তাদের দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকায় ভোট করবে বলে জানিয়েছে। আওয়ামী লীগ ইসিতে পৃথক চিঠি দিয়ে এই দলগুলোর নৌকা প্রতীকে ভোটের বিষয় তাদের সম্মতিও জানিয়েছে।


আরও খবর



সমালোচনার মুখে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন পলকের শ্যালক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের শ্যালক লুৎফুল হাবীব রুবেল। আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।

ভিডিও বার্তায় লুৎফুল হাবিব রুবেল বলেন, আমি ২০০২ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে রয়েছি। ২০০৫ সালে সিংড়া গোল-ই আফরোজ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছি। গত ৩ তারিখে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পদত্যাগ করি। ইউনিয়ন পরিষদের পর পর তিন বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই।

গত ৮ই এপ্রিল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন পত্র সাবমিট করি। তারপর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তার সাথে আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। আমাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে বিভিন্ন মহল সক্রিয় আছে। লুৎফুল বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে, কোন মন্ত্রী-সংসদ সদস্যের আত্মীয়-স্বজন নির্বাচন করতে পারবে না। তার-ই আলোকে এই ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং জুনাইদ আহমেদ পলকের নির্দেশনা অনুযায়ী মনোনয়ন পত্রটি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। অফিসিয়াল যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করব।

গত সোমবার সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেন, তার ভাই ও এক আত্মীয়কে অপহরণ করেন লুৎফুল হাবিবের সমর্থকরা। গাড়িতে মারধরের পর ওইদিন দেলোয়ারকে তার বাড়ির সামনে আহত অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উদ্ধারের পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনার দুটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়, যেখানে দেখা যায় দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করে যে গাড়িতে তোলা হয় সেটি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লুৎফুল হাবীবের। এ ঘটনায় দেলোয়ার হোসেনের ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের স্বীকারোক্তি ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে মূল ঘটনা সামনে এলে গত শুক্রবার লুৎফুল হাবীবকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন প্রতিমন্ত্রী পলক।


আরও খবর



সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ হারালেন ৩ শ্রমিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) নাসিরনগর গুনিয়াউক ইউনিয়নের গুটমা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে একজনের নাম আলম মিয়া। বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, গুটমা বাজারের পাশে আহাদ মিয়া নামের এক ব্যক্তির ভবনে কাজ করতেন ওই শ্রমিকরা। সকালে নির্মাণাধীন ভবনের সেপটিক ট্যাংকের কাঠের মাচা খুলতে ট্যাংকে নামেন ওই তিন জন। পরে তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। এ সময় শ্রমিকদের নিথর দেহ দেখতে পান তারা।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা জানান, আমরা ধারণা করছি গ্যাসের কারণে এমনটা হতে পারে। তবে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা পরবর্তীতে বলা যাবে।


আরও খবর



নারী শিল্পীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন নায়িকা রত্না

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

শেষ হয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। নতুন মেয়াদের সভাপতি পদে মিশা সওদাগর (২৬৫) ভোট ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২২৫) ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এবার সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছেন আলেকজান্ডার বো। মিশা-ডিপজল প্যানেল থেকে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে তিনি ২৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আলেকজান্ডারের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ ভোট পেয়েছেন সভাপতি পদে জয়ী মিশা সওদাগর।

সর্বোচ্চ ভোটের হিসেবে তৃতীয় হয়েছেন ইতিহাস খ্যাত নায়িকা রত্না কবির। তিনি পেয়েছেন ২৬৩ ভোট। নারী প্রার্থীদের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।

প্রতিক্রিয়া জানিয়ে রত্না বলেন, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। সবাই আমাকে এত ভালোবাসেন, আমি কৃতজ্ঞ। সব সময় শিল্পীদের পাশে থেকে কাজ করব আমি।

প্রসঙ্গত, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকল্যাণ বিষয়ে স্নাতক এবং একই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা চিত্রনায়িকা রত্নার ঢালিউড চলচ্চিত্রে প্রায় দুই দশকের ক্যারিয়ার। ২০০২ সালে প্রথম কেন ভালোবাসলাম ছবির মধ্য দিয়ে এ জগতে নাম লেখান এ নায়িকা। একটা সময়ে নিয়মিত অভিনয় করলেও পরে কমিয়ে দেন অভিনয়। প্রায় অর্ধশত ছবির এই নায়িকা ২০০২ সালে স্কুলে পড়া অবস্থায় প্রথম ছবিতে অভিনয় করেন। তার বিপরীতে ছিলেন নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। সেই শুরু।

দশম শ্রেণিতে পড়াশোনার সময় তার হাতে আসে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ইতিহাস ছবির কাজ। এ ছবিতে কাজী মারুফের বিপরীতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। রাতারাতি খ্যাতি এনে দেওয়া এ ছবির কল্যাণে এ ঢালিউড নায়িকার হাতে একাধিক ছবির প্রস্তাব আসতে থাকে। এরপর একে একে কাজ করেছেন ধোঁকা, মরণ নিয়ে খেলা, নষ্ট, পড়ে না চোখের পলক, সন্তান আমার অহংকার, মন যেখানে হৃদয় সেখানে, সন্তানের মতো সন্তানসহ বেশ কিছু দর্শকপ্রিয় ছবিতে।

অভিনয়ের পাশাপাশি তামান্না ফিল্মস নামে প্রযোজনা সংস্থাও গড়ে তুলেছিলেন রত্না। তবে ক্যারিয়ারের মধ্যগগনে থাকতে হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান তিনি। তখন থেকে অনিয়মিত দেখা যায় তাকে।

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আবারও চলচ্চিত্রে নিয়মিত হওয়ার কথা ভাবছেন রত্না। তার ভাষ্য, শিল্পীরা আমাকে ভালোবাসেন। সেই প্রমাণ ব্যালট বক্সে তারা দিয়েছেন। এবার আমি তাদের জন্য কাজ করতে চাই। চলচ্চিত্রে নিয়মিত থাকতে চাই।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে সকাল ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বি ব্লকের শহীদ ডা. মিলন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, চিকিৎসক, কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোঃ নূরুল হক, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মনিরুজ্জামান খান, মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আবু নাসার রিজভী, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, নার্সিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, প্রিভেনটিভ এ্যান্ড স্যোশাল মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ আতিকুল হক তুহিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ রেজাউর রহমান, পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ আব্দুল্লাহ আল হারুন, বিএসএমএমইউ স্বাচিপের সদস্য সচিব সহযোগী অধ্যাপক ডা. আরিফুল ইসলাম জোয়ারদার টিটো প্রমুখসহ বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীগণ, পরিচালকবৃন্দ, অফিস প্রধানগণ, কর্মকর্তাবৃন্দ, নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল স্বাভাবিক নিয়মে সম্পূর্ণরূপে খুলেছে।


আরও খবর



কাল খুলছে অফিস-আদালত, বাস-ট্রেনে শহরমুখী মানুষের ভিড়

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ ও পহেলা বৈশাখের ছুটি শেষ হচ্ছে। দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে ১০-১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি চলছে। টানা পাঁচ দিন ছুটি শেষে সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমা ও শেয়ারবাজার। এরইমধ্যে ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবীরা।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা প্রতিটি ট্রেনে ছিল যাত্রীদের ভিড়। প্রিয়জনের সঙ্গে সুখস্মৃতি নিয়ে ফেরা সাধারণ মানুষ বলছেন নির্বিঘ্নে রাজধানীতে ফিরতে পারছেন তারা।

মাথায় কাজের তাড়না, মননে প্রিয়জনের সঙ্গে কাটানো সুখস্মৃতি। ফেলে আসা আপনজন আর ঈদের আনন্দ। সব পেছনে ফেলে আবারো কর্মব্যস্ত হয়ে উঠবে রাজধানী। তবে স্কুল-কলেজ যেহেতু খুলছে আগামী সপ্তাহে, তখন রাজধানী স্বাভাবিকরূপে ফিরবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে যারা, নানা ব্যস্ততায় ঈদের ছুটিতে গ্রামে যেতে পারেননি তারাও ছুটছেন প্রিয়জনের সান্নিধ্য পেতে।


আরও খবর