আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

একদিনেই ঘুরে আসুন রূপসী ঝরনায়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নাম তার রূপসী ঝরনা। প্রথম দেখায় প্রেমে পড়বে যে কেউ। সৌন্দর্যের পসরা বিছিয়ে রেখেছে ঝরনাটি। সব ধরনের মানসিক চাপ কিংবা ক্লান্তি সবই কেটে যাবে রূপসী ঝরনায় পা রাখতেই।

রূপসী ঝরনার রূপের জাদু আপনাকে পাগল করবে। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যের আরেক নাম বড় কমলদহ রূপসী ঝরনা। আঁকাবাঁকা গ্রামীণ সবুজ শ্যামল মেঠো পথ পার হয়ে পাহাড়ের পাদদেশে গেলেই শোনা যাবে ঝরনার পানি গড়িয়ে পড়ার অপরূপ নুপুরধ্বনি। দুপাশে সুউচ্চ পাহাড়। সাঁ সাঁ শব্দে উঁচু পাহাড় থেকে অবিরাম শীতল পানি গড়িয়ে যাচ্ছে ছড়া দিয়ে। মেঘের মতো উড়ে আসা শুভ্র ঝরনা পানি আলতো করে ছুঁয়ে দেখলেই এর শীতল পরশ মুহূর্তে ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে।

টলটলে শান্ত পানির চুপচাপ বয়ে চলার ধরনই বলে দেবে এর উৎস অবশ্যই বিশাল কিছু থেকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পর্যটকেরা আবিষ্কার করবেন লাল আর নীল রঙের ফড়িঙের মিছিল! যত দূর পর্যন্ত ঝিরিপথ গেছে, তত দূর পর্যন্ত তাদের মন মাতানো ঝিঁ ঝিঁ পোকার গুঞ্জন শোনা যায়। রূপসী ঝরনার পানিতে গোসল করার লোভ সামলানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। বছরের পর বছর ঝরনার পানি গড়িয়ে যাচ্ছে এই ছড়া বয়ে। কয়েক বছর পূর্বে রূপসী ঝরনা নামে আবিষ্কার হয়েছে এটি। মিরসরাই উপজেলার সর্ব দক্ষিণে বড় দারোগারহাটের উত্তরে পাহাড়ের কোল অবস্থিত এক দৃষ্টিনন্দন, অনিন্দ্যসুন্দর জলপ্রপাত এটি।

যারা একদিনেরে ভ্রমণে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে চান, তাদের জন্য সেরা হতে পারে রূপসী ঝরনা। কিছুটা ট্রেকিংও হবে আবার ঝরনার অপলুপ সৌন্দর্য মুগ্ধও হতে পারবেন। মিরসরাইয়ের অন্যান্য ঝরনাগুলোর চেয়ে এই ঝরনায় যাওয়া অনেকটাই সহজ। সৌন্দর্যে কোনো অংশেই খৈয়াছড়া, নাপিত্তাচড়া ঝরনার চেয়ে কম না। এই ঝরনার যাওয়ার পথে দৃষ্টিনন্দন ছরা, দুপাশের দণ্ডায়মান পাহাড়, সবুজ প্রকৃতি, গুহার মতো ঢালু ছড়া, তিনটি ভিন্ন ভিন্ন অপরূপ ঝরনা রূপসীর সৌন্দর্যকে অন্যান্য ঝরনা থেকে আলাদা করেছে।

এই ঝরনার নাম শুনে প্রতিদিন ছুটে আসছে শতশত ভ্রমণ পাগল মানুষ। ফেনী শহর থেকে প্রথমবারের মতো রূপসীতে ছুটে এসেছেন মাইনুল, রনি, মুকিত ও সালাহ উদ্দিন। তারা আক্ষেপ করে বলেন, এতো সুন্দর ঝরনা আগে কেন এলাম না। প্রথমবার এসে এতো ভালো লাগছে যা বুঝাতে পারবোনা। কথা হয় রূপসীতে ঘুরতে আসা দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার দুই কলেজ ছাত্র আরাফাত ও জিহানের সঙ্গে। তারা বলেন, আমরা ফেইসবুকে দেখে এখানে ছুটে এসেছি। এসে অনেক ভালো লাগছে। দেশের অনেক ঝরনায় গিয়েছি। কিন্তু চমৎকার ঝরনা কোথাও দেখিনি। এক কথায় রূপসী ঝরনার রূপ আমাদের পাগল করে দিয়েছে।

মিরসরাইয়ের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সোনালী স্বপ্নর সভাপতি মঈনুল হোসেন টিপু বলেন, সম্প্রতি আমরা রূপসী ঝরনায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। মিরসরাইয়ে অনেকগুলো পাহাড়ি ঝরনা আছে, সবগুলোর সৌন্দর্যই মুগ্ধ হওয়ার মতোই। তবে অন্য ঝরনাগুলোতে যেতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়। আর মহাসড়ক থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই দেখে মেলে রূপসী ঝরনার। এই ছড়ার তিনটি ধাপ আছে। বড় কমলদহ ঝরনা, ছাগলকান্দা ও পাথরভাঙ্গা ঝরনা।

জানা গেছে, মিরসরাইয়ের বড় দারোগারহাট বাজারের সামান্য উত্তরের ব্রিকফিল্ড সড়ক ধরে পূর্ব দিকে আধা কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই রেললাইন। রেললাইন পেরুলেই মেঠো পথ, দুপাশে সবুজ ফসলি মাঠ, সামনে পাহাড়ের বিশালতা। আর সেই মেঠো পথ ধরে একটু হাঁটলেই পাহাড়ের পাদদেশ। বাম দিকে ৫০ গজ হাঁটলেই বিশাল ছড়া। যেটি রূপসীর প্রবেশপথ। রূপসীর প্রথম ধাপটা বড় একটি ঝরনার মতো। অনেকটা খাড়া তবে ঢালু। বর্ষায় পুরো ঝরনা বেয়ে পানি পড়ে। শুষ্ক মৌসুমে শুধু দক্ষিণ দিকটায়। অনেকে সেখানে যাত্রার ইতি টানে। মনে করে রূপসী শুধু এটাই। অথচ এটি রূপসীর বাইরের রূপ। ভেতরের রূপ আরো বেশি সুন্দর। রূপসীর প্রথম ধাপের ঝরনা বেয়ে উপরে উঠলে খোলা একটা জায়গা। তারপর একটা বড় পাথর। এই পাথরের মাঝ দিয়ে অনবরত পানি ঝরছে। ১০ ফুটের খাড়া পাথরটি বেয়ে উঠতে পারলেই এবার অন্যরকম এক সৌন্দর্য। বিশাল ছরা তবে বেশ আঁকাবাঁকা। ঠিক বয়ে চলা কোন নদীর মতো।

ছরা দিয়ে হাঁটার সময় চোখে পড়বে হরেক রকম পাহাড়ি বৃক্ষ, ফুল, ফল, লতা। ছড়ার বুক ছিড়ে হাঁটতে হাঁটতে মনে হবে যেন কোনো গুহার মধ্য দিয়ে হেঁটে হেঁটে রহস্যভেদ করা হচ্ছে। আর ছরার মধ্য দিয়ে স্বচ্ছ পানির বয়ে চলার কল কল ধ্বনি, মুগ্ধ করবে শুধুই। যেতে যেতে দেখা যেতে পারে বানরের দল। বন্যমোরগের ছুটাছুটি। ছরা ধরে হাঁটতে হাঁটতে পাওয়া যাবে দুটি পথ। এক পথের ছড়া বড়, আরেক পথের ছোট। বড় ছড়া ধরে একটু এগুলোই রূপসীর মূল ঝরনা। অনেক দূর থেকেও কানে ভেসে আসে ঝরনার অবিরাম পানি পড়ার সুমধুর ধ্বনি। ৫০ ফুট উঁচু পাথর বেয়ে পড়ছে জল, অনবরত, শত বছর ধরে।

ওহ! রূপসী। কি অনিন্দ্যসুন্দর তোমার রূপ। তব্দা হয়ে যাওয়ার মতো সৌন্দর্য। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকার মতো জৌলুস। পানির প্রবাহে কি গতিময়তা। পাথর বেয়ে পড়া স্বচ্ছ জলরাশি। তুমিই তো সত্যিকারের রূপসী। ভ্রমণপ্রিয় দশর্নাথীরা সঙ্গে হালকা খাবার ও পানি নিয়ে যেতে পারেন সেখানে। কারণ যাওয়া ,আসা ও ঝরনা উপভোগ সব মিলিয়ে অন্তত ঘণ্টা তিনেক সময় লাগবেই। যারা প্রথমবারের মতো যাবেন তারা স্থানীয় পরিচিত কাউকে গাইড হিসেবে সঙ্গে নেবেন। না হলে পথ চিনতে কষ্ট হবে।

রূপসী ঝরনায় কীভাবে যাবেন: দেশের বিভিন্ন স্থান হতে যে কোনো বাস যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগাহাট বাজারে নামবেন। এরপর সিএনজি অটোরিক্সা যোগে বাজারের উত্তর পাশের ব্রিকফিল্ড সড়ক দিয়ে পাহাড়ের পাদদেশ পর্যন্ত যাবে। এরপর পায়ে হেঁটে ঝরনায় যাওয়া যাবেন। অথবা যে কোনো বাস থেকে ব্রিকফিল্ড সড়কের মাথায় নেমে অটোরিকশা ছাড়া আধা কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন।

কোথায় থাকবেন ও খাবেন: কমলদহ বাজারে বাজারে বিখ্যাত ড্রাইভার খাওয়ার হোটেল আছে। আরো ভালো হোটেলে খাওয়ার জন্য সীতাকুন্ড উপজেলা সদরের বিভিন্ন রেষ্টুরেন্ট আছে। দুর-দুরান্ত থেকে আসা পর্যটকরা থাকা ও খাওয়ার জন্য যেতে পারেন ঝরনা এলাকা থেকে গাড়ি যোগে মাত্র ৪০ মিনিটের পথ। চট্টগ্রাম শহরের প্রবেশ মুখে এ কে খান ও অলংকারে কুটুম্ববাড়ি রেস্তোরায়ও খেতে পারেন। থাকার জন্য এ কে খানে মায়ানী রিসোর্ট ও অলংকারে রোজ ভিও, ড্রিম লাইট হোটেলে রুম ভাড়া নিতে পারেন।

নিউজ ট্যাগ: রূপসী ঝরনা

আরও খবর



সেনাবাহিনী বান্দরবানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম: সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কয়েকজন সন্ত্রাসী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

সেনাপ্রধান বলেন, গতকাল (শনিবার) রাতে কিছু সন্ত্রাসীকে ধরতে সক্ষম হয়েছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়েছে। একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, বান্দরবানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম সেনাবাহিনী। দৃশ্যমান কিছু কার্যক্রম আপনারা দেখতে পাবেন। এর ফল আপনারা সময়মতো পাবেন। আমি আপনাদের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে চাই, আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা খুবই পরিষ্কার।

শফিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণের শান্তির জন্য, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য যা যা করণীয়, প্রধানমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ সেটাই করতে হবে। সেটা বাস্তবায়নে আমরা সক্ষম হব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। এর আগে সকাল ১০টার দিকে ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা পরিদর্শনে যান সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



ওমরা ভিসার মেয়াদ নিয়ে সৌদির নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ওমরা ভিসার মেয়াদসংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগে ওমরা ভিসার ৯০ দিন মেয়াদ গণনা শুরু হতো সৌদিতে প্রবেশের পর। বর্তমানে এই নিয়ম পরিবর্তন করে ভিসা ইস্যুর দিন থেকে ৯০ দিন সৌদিতে অবস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট তাদের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে ওমরা ভিসায় যারা সৌদি আরবে অবস্থান করছেন তাদের আগামী ২৩ মের আগেই সৌদি আরব ত্যাগ করতে হবে। সৌদিতে আসার পর ৯০ দিন পূর্ণ হোক বা না হোক। এসময়ের পরেও যারা ৯০ দিন পূর্ণ হয়নি বলে রয়ে যাবেন তারা আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেছে হজ মন্ত্রণালয়।

গত কয়েক বছর ধরে ওমরা ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করায় পবিত্র ওমরা পালনকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এ বছর পবিত্র রমজানে ৩০ মিলিয়ন (তিন কোটি) মুসলমান ওমরা পালন করেছেন।

আগামী জুনের শুরুতে পালিত হবে এবারের হজ। অস্বাভাবিক খরচ বেড়ে যাওয়ায় হজযাত্রীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। অনেকে হজের পরিবর্তে ওমরায় যাচ্ছেন। এ কারণেও আগের তুলনায় ওমরাযাত্রীর সংখ্যা কয়েক গুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরও খবর



পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূলে যে ব্যবস্থা নিচ্ছে র‌্যাব

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) আগামীতে আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তাদের নির্মূলে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, নিজেদের কৌশল অবলম্বন করে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব।

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় বান্দরবান জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে প্রেস ব্রিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যাপটপ ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা সাইবার হামলার চালাতে চেয়েছিল বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের নিজস্ব কৌশলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রুমা থেকে অক্ষত অবস্থায় ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের পর পাহাড় ও ঝিরি পথে দীর্ঘক্ষণ হেঁটে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে উদ্ধারে বিভিন্ন সংস্থার সহযোগিতায় অভিযানে নামে র‌্যাব। একটানা ৩০ ঘণ্টা অভিযানের পর কেএনএফ সন্ত্রাসীরা র‌্যাবের পাতা ফাঁদে পা দেয় এবং অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মোটরসাইকেলে করে রুমার একটি জায়গায় রেখে চলে যায়। সেখান থেকে র‌্যাব তাকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ম্যানেজারকে জীবিত উদ্ধারের কারণে আমরা হার্ড লাইনে যাইনি। তবে আজকে থেকে আমরা সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করব বিভিন্ন বাহিনীর সহযোগিতায়।

তিনি বলেন, কেএনএফ সন্ত্রাসীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো তারা আরও বড় ধরনের হামলা করতে পারে। সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না, সিসিটিভি ফুটেজ শনাক্ত করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।


আরও খবর



কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে বান্দরবানের বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৫। রোববার ভোরে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

এদিন সকালে বান্দরবানে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতারের তথ্য জানিয়েছিলেন। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্যের পরপরই চেওশিম বমকে গ্রেফতারের তথ্য জানালো র‌্যাব। তাকে গ্রেফতারের বিষয়ে বিকাল ৩টায় বান্দরবান র‌্যাব কার্যালয়ে ব্রিফিং ডেকেছে সংস্থাটি।

র‌্যাব বলছে, রোয়াল লিন বম (৫৫) এবং চেওশিম বম (৫৫) বান্দরবানে প্রথম কেএনএফ গঠন করে। তাদের সঙ্গে কেএনএফ প্রধান নাথান বমের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। জঙ্গি সংগঠন জামাতুল

আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতে জঙ্গি নেতা শামীম মাহফুজের সঙ্গে কেএনএফের যে চুক্তি হয়েছিল সেটি হয়েছিল চেওশিম বমের বাসায়।

নিউজ ট্যাগ: কক্সবাজার

আরও খবর



ইরাকে সমকামী সম্পর্কে জড়ালেই ১৫ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সমকামী সম্পর্কে জড়ালে হবে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড। এমনই এক আইন পাশ হয়ে গেল ইরাকের পার্লামেন্টে। দেশটির সরকারের দাবি, ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই নতুন আইন পাশ করা হলো।

ইরাকে আগে প্রস্তাব আনা হয়েছিল, সমকামীদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলো ও আমেরিকার বিরোধিতায় সর্বোচ্চ সাজা ১৫ বছরের কারাদণ্ডই রাখা হয়েছে। কেবল সমকামী সম্পর্ক নয়, আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে রূপান্তরকামীদের জন্যও। বলা হয়েছে, লিঙ্গ বদলকারী কিংবা নারীদের বেশ ধারণকারীদের এক থেকে তিন বছরের কারাবাস বা ৭৭০০ ইউরো জরিমানা হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে, ইরাকের সমাজকে নৈতিক অবক্ষয় ও সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া সমকামিতা থেকে রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। সমকামিতা ও দেহব্যবসা রুখতে আনা এই আইনে জানানো হয়েছে, কেউ সমকামী সম্পর্কে জড়ালে সর্বোচ্চ ১৫ ও সর্বনিম্ন ১০ বছরের সাজা হবে তার। সমকামিতা কিংবা দেহ ব্যবসার প্রচার করলে কমপক্ষে ৭ বছরের জন্য যেতে হবে কারাগারে।

এতদিন পর্যন্ত ইরাকের আইনে সমকামিতাকে অপরাধ বলা হয়নি। কেবলমাত্র দণ্ডবিধির উল্লেখে অল্প করে নৈতিকতার দিকটি আনা হয়েছিল। সেটাকেই অস্ত্র করে এলজিবিটি মানুষদের আক্রমণ করত সশস্ত্র দলগুলো। এবার সমকামিতাকে অপরাধ ঘোষণা করে শাস্তির বিধান দিল নতুন আইন।


আরও খবর