আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

একদিনে আরও ১৯৬ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ জুলাই ২০২১ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ জুলাই ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশে করোনা বিপর্যের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতিরও অবনতি ঘটছে। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯৬ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেল্থ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে।

তাদের মধ্যে ঢাকায় ১৯৪ জন এবং বাকি দুজন ঢাকার বাইরে ভর্তি হয়েছেন।

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে ৭৭৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে ৭৪৭ জন এবং ঢাকার বাইরে ৩০ জন ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।

সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬৫৮ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।  অন্যদিকে, চিকিৎসা শেষে ১ হাজার ৮৭৭ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

তাদের মধ্যে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে চারটি মৃত্যুর তথ্য প্রেরিত হয়েছে।


আরও খবর



বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্দোলনে বাধা দেওয়া, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সরকার পরিবর্তনে নাগরিকদের অক্ষমতা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণে গুরুতর ও অযৌক্তিক বাধাসহ বাংলাদেশে সরকারে আছে মারাত্মক দুর্নীতি। এছাড়া দেশের ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনগুলোর ওপর আছে সরকারের কঠোর বিধিনিষেধ। সরকারের তরফ থেকে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম, নিষ্ঠুর নির্যাতন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণ ও শাস্তি দেওয়া হয়। আছে জীবনের প্রতি হুমকি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে গুরুতর সমস্যা, রাজনৈতিক বন্দি ও আটক। জাতীয় নিরাপত্তায় হুমকি এমন অজুহাতে মিথ্যা অভিযোগসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে।

২০২৩ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক মানবাধিকার রিপোর্টে এসব পরিস্থিতি তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে ওই বছরে বাংলাদেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে তা পুনঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বাংলাদেশের সময় গত রাতে এই রিপোর্ট প্রকাশ পায়।

এতে বলা হয়েছে, ওই বছরও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপারসনকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে।

খালেদা জিয়া সম্পর্কে এতে আরও বলা হয়, ২০১৮ সালে ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়। রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভিতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।

সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান সংবাদ মাধ্যম ও মিডিয়ার সদস্যসহ সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু সরকার এই অধিকারে ঘন ঘন হস্তক্ষেপ করেছে। এক্ষত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সীমাবদ্ধতা আছে। সরকারের হয়রানি অথবা প্রতিশোধ নেওয়ার ভয়ে সরকারের সমালোচনার ক্ষেত্র মিডিয়ার সদস্যরা ও ব্লগাররা নিজেরাই সেন্সর করেছেন। এতে তুলে ধরা হয়েছে সরকারি পর্যায়ে দুর্নীতি ও অনিয়মের চিত্র, বিচারের ক্ষেত্রে হয়রানি, খেয়ালখুশিমতো গ্রেপ্তারসহ নানা রকম নিষ্পেষণের কথা।

রিপোর্টে বলা হয়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেসব যুদ্ধাপরাধ ও নৃশংসতা সংঘটিত হয়েছে তার বিচার করার জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত। সেই আদালত শাস্তি দিয়েই যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে মৃত্যুদণ্ড। এ প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে, আদালত বিশেষত বাছাই করে অভিযুক্ত করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের। এতে খেয়ালখুশিমতো ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সহ বেআইনি হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, পুলিশের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তার তদন্ত নিজেরাই করেছে। তারা এমন সব ঘটনা ঘটিয়েছে যেখানে তাদের শারীরিক মারাত্মক প্রহারে মানুষ আহত হয়েছে অথবা মারা গেছেন। নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের হাতে কতজন মানুষ মারা গেছেন তার মোট কোনো সংখ্যা সরকার প্রকাশ করেনি। এমনকি এসব ঘটনার স্বচ্ছ তদন্তও করেনি। এই তদন্ত যারা করেছেন তাদের স্বাধীনতা ও পেশাগত মান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, সারা বছরেই আইন প্রয়োগকারীরা তল্লাশি বা রেইড দিয়েছে কথিত সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ড, মাদক ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে। কোনো কোনো ঘেরাওয়ের কালে, গ্রেপ্তারকালে সন্দেজজনক কিছু মৃত্যু ঘটেছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্য আইন প্রয়োগকারীদের অপারেশনেও। রিপোর্টে আরও বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায় গত বছর। মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন আইন ও শালিশ কেন্দ্র রিপোর্ট করেছে যে, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, অথবা হেফাজতে থাকা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন আটজন। এর মধ্যে দুজন আইন প্রয়োগকারী এজেন্সির গুলিতে নিহত হয়েছেন। তিনজন নিহত হয়েছেন নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার আগে বা হেফাজতে নেওয়ার পর শারীরিক নির্যাতনে।

এতে উল্লেখ করা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতীয় সঙ্গীত বা জাতীয় পতাকার  বিরুদ্ধে প্রাপাগাণ্ডা ছড়ানোর কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান আছে। সরকারের সমালোচনাকারীদের বিরুদ্ধে সারাবছরই সরকার ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। আইনমন্ত্রী রিপোর্ট করেছেন যে, সারাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৭০০০ মামলা মুলতবি আছে।


আরও খবর



আরসার আস্তানায় অভিযান, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গ্রেনেডসহ গ্রেফতার ২

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অভিযান চলছে। তবে এরই মধ্যে আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধারসহ আরসার দুই সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১৫ মে) ভোররাত থেকে উখিয়ার গহিন পাহাড়ে লাল পাহাড়ে এ অভিযান চালানো হয়।

র‌্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পে হেড মাঝিসহ কয়েক রোহিঙ্গাকে গুলি ও গলা কেটে হত্যার ঘটনা ঘটছে। এরই প্রেক্ষিতে র‌্যাব ক্যাম্পে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে। তারই ধারাবাহিকতায় সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়ার ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে মিয়ানমারের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার আস্তানা অবস্থান শনাক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ২টা থেকে অভিযান শুরু হয় এবং পুরো লাল পাহাড় ঘিরে ফেলা হয়। এক পর্যায়ে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ শুরু করে। এরপর র‌্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে।

এ পর্যন্ত একটি আস্তানা থেকে দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট সেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনো চলমান রয়েছে বলে জানায় র‌্যাবের ওই অধিনায়ক।


আরও খবর



সৌদিতে গ্রেপ্তার হচ্ছে ইসরায়েল বিরোধীরা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ইসরায়েলবিরোধী কথা বলায় ইতোমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ। বৃহস্পতিবার, (২ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব প্রকাশের কারণে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন একটি কোম্পানির সর্বোচ্চ কর্মকর্তা। তার কোম্পানিটি সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি প্রজেক্টের সঙ্গে কাজ করে।

নাম গোপন রাখার শর্তে একটি সূত্র জানিয়েছে, ওই কর্মকর্তা গাজায় চলমান হামাস ও ইসরায়েল যুদ্ধ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছিলেন।

আরেকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আমেরিকান মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানোয়। বিশ্বের বেশিরভাগ মুসলিম দেশে ইসরায়েলি ও মার্কিন কোম্পানির পণ্য বয়কটের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই বয়কটের জেরে অনেক কোম্পানি তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে।

ব্লুমবার্গকে সৌদি সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে সৌদিতে ইরানপন্থি একটি প্রভাবের বিস্তার ঘটতে পারে। আর এই আশঙ্কা থেকে এসব ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানের কারণে ঠিক কতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ব্লুমবার্গ।

দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদির কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এরমধ্যেই জানা গেল ইসরায়েল বিরোধীদের ওপর গ্রেপ্তারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মুসলিম দেশ সৌদি আরব।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী ২ দিনের রিমান্ডে

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী মোছা. সেহেলা পারভীনের (৫৪) দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রোববার (২১ এপ্রিল) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম তাকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। তার পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ১ এপ্রিল একই অভিযোগে গ্রেপ্তার হন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। শনিবার সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।


আরও খবর



ইউক্রেনে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে গোপনে পাওয়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে শুরু করেছে ইউক্রেন। মার্কিন কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত মার্চে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংক্রান্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছিলেন। এ মাসে অস্ত্রের চালান দেশটিতে পৌঁছে।

মার্কিন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এসব অস্ত্র ব্যবহার করে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রুশ লক্ষ্যবস্তুতে কমপক্ষে একটি হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।

সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের আরও একটি সহায়তা প্যাকেজ প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে মধ্যমপাল্লার আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) পাঠিয়েছিল। ওই সময় তারা আরও শক্তিশালী অস্ত্রসম্ভার পাঠাতে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছিল। তবে তা সত্ত্বেও গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাতে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশনায় ইউক্রেনে দূরপাল্লার এটিএসিএমএস পাঠানো হয়েছে।  তিনি বলেন, ইউক্রেনের অনুরোধে কৌশলগত নিরাপত্তার কারণে বিষয়টি নিয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।

ঠিক কতগুলো অস্ত্র ইতোমধ্যে ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, ওয়াশিংটন ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দূরপাল্লার এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি রুশ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছিল। আর নতুর সরবরাহ করা ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে গত মঙ্গলবার অধিকৃত বন্দর নগরী বেরদিয়ানস্কে রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে হামলা চালানো হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গোলাবারুদ কমে যাওয়ায় এবং রুশ সৈন্যরা ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে আসায় কিয়েভ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আরও বেশি করে অস্ত্রশস্ত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর যুদ্ধে উভয়পক্ষের ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশ সেনাসদস্য। এ ছাড়া লাখ লাখ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।


আরও খবর