আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

একা ভ্রমণে বেরোনোর আগে যা জানা দরকার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ভ্রমণ ডেস্ক

Image

মায়েদের সময়ে মেয়েদের ভ্রমণের একমাত্র জায়গা ছিল বাপের বাড়ি। এই প্রজন্মের নারীরা সে চিত্রটা পাল্টে দিতে শুরু করেছে। বাঙালি নারী ভ্রমণ করতে শিখে গেছে। বিশেষ করে নগরের নারীরা। তাই ভ্রমণের আগে কিছু প্রস্তুতি ভ্রমণে নারীকে আরাম দেবে। তেমনই কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক।

নথিপত্র: ভ্রমণের সব নথির এক সেট ছাপা ও এক সেট সফট কপি তৈরি করুন। নথি বলতে পাসপোর্টের ফটোকপি, হোটেল বুকিং, টিকিট, টিকার সনদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে), ভিসা পেজ, ইনস্যুরেন্স, প্রয়োজনীয় ফোন নম্বরসহ দরকারি কাগজপত্র। যিনি ভ্রমণে যাবেন, তিনি নিজেই এটা করবেন।  প্রিন্ট কপিগুলো নিজে ব্যাকপ্যাকে অথবা ট্রলিব্যাগে রাখুন। কখনোই এগুলো চেক-ইন লাগেজে রাখবেন না, তাহলে প্রয়োজনের সময় হাতের কাছে পাবেন না। ভ্রমণের আগেই সব নথির সফট কপি নিজের মেইলে রাখার পাশাপাশি এমন একজন বিশ্বস্ত পরিচিতজনের মেইলে দিয়ে রাখুন, যিনি নিয়মিত ইমেইল চেক করেন এবং ভিনদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ইমেইল আদানপ্রদানে যথেষ্ট পারদর্শী। কী জন্য? ধরুন ভ্রমণে গিয়ে সব খোয়া গেল! তখন আপনার সমস্যা জানার সঙ্গে সঙ্গে ওই পরিচিতজন অনলাইন ঘেঁটে সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশ, দূতাবাস ও ফরেন মিনিস্ট্রির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের প্রয়োজনীয় নথির সফট কপি পাঠাতে পারবেন। আপনি তো তখন অসহায়, নিজে সবটা কুলিয়ে নাও উঠতে পারেন।

ভ্রমণের জায়গা সম্পর্কে ধারণা: যে শহর বা দেশে যাচ্ছেন, যাওয়ার আগে সেই জায়গা নিয়ে গুগল করুন। পরিচিত কারও অভিজ্ঞতাও শুনতে পারেন। সেই জায়গার ঐতিহাসিক ভিত্তি, আবহাওয়া, নিরাপত্তাব্যবস্থা, আর্থসামাজিক অবস্থা কিংবা খরচাপাতি কেমন, জানুন। এ জানাশোনা আপনার ভ্রমণকে সহজ করবে। একেবারে কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না? ভ্রমণ শুরুর আগে যে হোটেল বুকিং করেছেন, তাদের সঙ্গে চ্যাট করুন। কিছু ঐতিহাসিক স্থান আছে, যেগুলোর প্রবেশ টিকিট দু-এক মাস আগেই কিনে রাখতে হয়, না হলে নির্দিষ্ট দিনে দেখা যায় না। যেমন পেরুর মাচুপিচু। এমন কোনো স্থানে ঘুরতে গেলে অন্তর্জাল ঘেঁটে জেনে নিন সেসব তথ্য। প্লেনের টিকিট কাটার আগেই অনলাইনে এসব দুষ্প্রাপ্য টিকিট কেটে ফেলুন।

নারীর নিরাপত্তা: ভিনদেশে যাওয়ার আগে অনলাইনে সে দেশের জরুরি সেবার নম্বরগুলো সংগ্রহ করুন। পুলিশ, হাসপাতাল, দূতাবাসের ফোন, ইমেইল ইত্যাদি। মধ্যরাতে পৌঁছেছেন কোনো শহরে? রাস্তায় আলোর স্বল্পতা আছে? ছোট্ট একটি টর্চলাইট সঙ্গে রাখুন। বিদেশে গিয়ে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আইনি জটিলতায় পড়ে যান, নিরাপত্তা সংস্থায় নিজের পরিচয় দেওয়ার সময় পেশাগত পরিচয়পত্রটি এগিয়ে দিন। আপনার গুরুত্ব বাড়বে।

বেড়াতে যাওয়ার আগে সেখানকার পরিবেশ সমন্ধে একটা ধারনা রাখুন: ইউরোপ-আমেরিকার বৃষ্টিকে বিশ্বাস নেই। এসব দেশে গেলে ছাতা সঙ্গে রাখুন। হোটেল বুকিং দিন শহরের প্রাণকেন্দ্রে। সেখানে লোকসমাগম বেশি থাকে। বুকিং দেওয়ার আগে হোটেলের রিভিউ পড়ুন, সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে। পৌঁছেই একটা লোকাল ম্যাপ সংগ্রহ করুন। এ ম্যাপ হেঁটে শহর ঘোরায় আপনার কাজে লাগবে। যে ভৌগোলিক অঞ্চলে যাচ্ছেন, ওখানকার একজন হোস্ট নির্বাচন করুন। চেনাজানা কেউ নেই? হোটেলের কর্মকর্তাকেই আপনার হোস্ট নির্বাচন করতে পারেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার ঠিকানা, নম্বর সব সময় সঙ্গে রাখুন। আর হোস্ট নির্বাচনে নিজের বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশলগুলো কাজে লাগান।

আর্থিক বিষয়াদি: ভ্রমণে একটি আর্থিক উৎসের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া উচিত হবে না। ক্রেডিট কার্ডে ডলার এন্ডোর্স করার পরও কোনো দেশে সেটি ব্যবহারে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। নগদ অর্থও সঙ্গে রাখুন। বেশি লাভের আশায় অবৈধ মার্কেট থেকে ডলার এক্সচেঞ্জ করবেন না। আইনি জটিলতায় পড়তে পারেন।

পোশাক ও প্রসাধন: ভ্রমণের সময় পোশাক ও প্রসাধনের বাহুল্য পরিহার করা উচিত। শীতকালে ভ্রমণে গরম কাপড় সঙ্গে নিন। তরল দ্রব্য ১০০ মিলিগ্রামের বেশি হলেই বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন তা ফেলে দেবে। তাই লোশন, সানস্ক্রিন, পারফিউম চেক-ইন লাগেজে রাখুন। সানগ্লাস-টুপি ভ্রমণ সহায়ক। সঙ্গে রাখুন কয়েকটি প্লাস্টিকের ব্যাগ। ভেজা কাপড় সংরক্ষণ করতে সহায়ক হবে। সুই-সুতা রাখুন। হাসছেন বুঝি? ভাবুন তো, ফস করে ছিঁড়ে গেল জামা বা ওভারকোটের একটি বোতাম। কী করবেন? সমতল শহরে হেঁটে বেড়ানোর জন্য এক জোড়া স্পঞ্জ আপনাকে দারুণ আরাম দেবে। তবে পাহাড়ি এবং পাথুরে অঞ্চলের জন্য কেডস বেশি আরামদায়ক।

দরকারি দাওয়াই: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক, হাঁপানি, বমির সমস্যা আছে? সে অনুযায়ী ওষুধ সঙ্গে নিন। প্রয়োজনের চেয়ে কিছু ওষুধ বেশি নিন। ফিরতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বও তো হতে পারে। আমেরিকা বা ইউরোপে গেলে আমাদের দেশের ওষুধের নাম শনাক্ত করা কঠিন। ইউরোপ-ল্যাটিন অঞ্চলে ভাষাও একটা বড় বাধা। তাই দেশ থেকেই ওষুধ কিনে নিন। আফ্রিকা ও লাতিনের কিছু অঞ্চলে কীটপতঙ্গের ঝুঁকি আছে। অ্যান্টিমস্কিইটো স্প্রে বা ক্রিম সঙ্গে নিন। মাইনাস আবহাওয়ার দেশে হঠাৎ আপনার শরীর ঠান্ডা মানিয়ে নিতে নাও পারে। করোনাপরবর্তী এই সময়ে সেসব দেশ ভ্রমণে সামান্য গরমমসলা সঙ্গে রাখুন। বাজেট ট্রাভেলাররা ডর্মে বা হোস্টেলের রান্নাঘরে ঝটপট পানির সঙ্গে মসলা মিশিয়ে ফুটিয়ে পান করুন। শরীরে আরাম পাবেন। নারীদের সঙ্গে আরও একটি দরকারি জিনিস নিতে হবেস্যানিটারি ন্যাপকিন। ডলার-পাউন্ড যেমন প্রতিদিন নিজের সঙ্গে রাখবেন, তেমনি ন্যাপকিনও সঙ্গে রাখুন। স্যালাইন, অ্যান্টিসেপটিকও থাকুক।

ডিভাইস: ভ্রমণে মোবাইল, ল্যাপটপ, ক্যামেরা সঙ্গে থাকে। সেগুলো রিচার্জ করার জন্য সঠিক অ্যাডাপটর সঙ্গে নিয়েছেন তো? দেশভেদে ইলেকট্রিক প্লাগ, সকেট, ভোল্টেজ ভিন্ন ভিন্ন হয়। ভ্রমণ একটি দীর্ঘ চলমান প্রক্রিয়া। ভ্রামণিকেরা বারবার দেশান্তরি হবেন। তাই বিভিন্ন দেশ-মহাদেশের অ্যাডাপটর সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন আর আজীবন তা সংগ্রহে রাখুন।

খাবারদাবার: ভাবুন কোনো দূর দ্বীপে কিংবা মেক্সিকোর কানকুন শহরে বেশ রাতে গেছেন। ততক্ষণে দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে গেছে। কিছু শুকনো খাবার সঙ্গে রাখুন। অল্প পরিমাণে রান্নার কিছু মৌলিক উপাদান যেমন চাল, ডাল, মসলা নিয়ে নিতে পারেন। হোস্টেল বা ডর্মে রান্নার ব্যবস্থা থাকে। ব্যাপারটা এমন নয় যে আপনি বিরিয়ানি-তেহারি রেঁধে খাবেন। সামান্য খিচুড়ি রেঁধে নিজের পেটকে ওই মুহূর্তে সামাল দেওয়া যাবে। ফ্লাইটে পচনশীল খাবার বহন দণ্ডনীয়, এমন কিছু তাই নেওয়া যাবে না। প্রতিটি ভ্রমণই আনন্দের। তাই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে যাতে বড় সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। পর্যটক নিজের মতো করে প্রস্তুতি নেবে, সেটাই স্বাভাবিক।

নিউজ ট্যাগ: একা ভ্রমণ

আরও খবর



সেতু থেকে খাদে পড়ে ৪৫ বাসযাত্রীর মৃত্যু, অলৌকিকভাবে বেঁচে গেল শিশু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু পার হওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী একটি বাস। এতে ৪৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। তবে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে একটি শিশু। খবর বিবিসির।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি বাস সেতু থেকে প্রায় ৫০ মিটার (১৬৫ ফুট) গভীর খাদে পড়ে যাওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। অবশ্য বৃহস্পতিবারের এ ঘটনায় আট বছর বয়সী এক মেয়ে শিশুকে একমাত্র জীবিত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং গুরুতর আহত অবস্থায় পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব লিম্পোপো প্রদেশে। জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঘটনাস্থলটি। দুর্ঘটনার শিকার সবাই ছিলেন তীর্থযাত্রী এবং তারা বতসোয়ানার রাজধানী গ্যাবোরোন থেকে মোরিয়া শহরে ইস্টার সার্ভিসে যাচ্ছিলেন।

জানা গেছে, বাসটি পথিমধ্যে জোহানেসবার্গের প্রায় ৩০০ কিলোমিটার (১৯০ মাইল) উত্তরে মোকোপানে এবং মার্কেনের মধ্যে অবস্থিত মামামতলাকালা পর্বত গিরিপথের একটি সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ অবস্থায় সেতুর ব্যারিয়ারে ধাক্কা দিয়ে ছিটকে ১৬৫ ফুট গভীর খাদে পড়ে যায় যাত্রীবাহী বাসটি। খাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুনও ধরে যায় বাসটিতে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন দেশটির পরিবহন মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা। একই সঙ্গে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে পূর্ণ তদন্ত করবে।

এ সময় ইস্টার উইকএন্ড উপলক্ষে রাস্তায় মানুষের ভিড় বৃদ্ধি পাওয়ায় আরও বেশি সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্বশীলভাবে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেন মন্ত্রী।


আরও খবর



শবে কদর নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

মহিমান্বিত রাত শবে কদর।  এ রাতে ইবাদতের সুযোগ পেলে আল্লাহ তায়ালা পেছনের সব গুনাহ মাফ করে দেন। রাসূল সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি রমজানে ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় লাইলাতুল কদরে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করবে, তার অতীতের গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি : ১০১৪; মুসলিম : ৭৬০)

রাসূল সা. হাদিসের সুসংবাদ অনুযায়ী প্রত্যেক মুসলমান এই রাতের ফজিলত লাভের চেষ্টা করেন। ফজিলতের প্রতি মানুষের আগ্রহ থেকে এই রাত নিয়ে অনেক ভুল ধারণার প্রচলন হয়েছে। এখানে এমন কিছু ভুল ধারণা তুলে ধরা হল

প্রত্যেক মুসলমানের হৃদয়েই মহিমান্বিত এই রাতের বরকত হাসিলের আকাঙ্ক্ষা থাকে। তবে এই রাতকে কেন্দ্র করে কিছু ভুল ধারণা প্রচলিত হয়ে আছে আমাদের সমাজে। এখানে তিনটি ভুল ধারণার কথা তুলে ধরা হলো

নির্দিষ্ট কোনো দিনে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা : অনেকে রমজানের ২৭ তম রাতকেই নিশ্চিত লাইলাতুল কদর মনে করেন। অথচ বিষয়টি সঠিক নয়। রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতই হতে পারে লাইলাতুল কদর।

হজরত আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা মাহে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর তালাশ করো। (বুখারি: ২০১৭)

এতএব, শুধু ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট করা ঠিক নয়।

গোসলের বিশেষ ফজিলত : যেকোনো ইবাদতের আগে পূতঃপবিত্র হওয়া আবশ্যক। তাই অনেকেই লাইলাতুল কদরে ইবাদতের আগে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করার বিশেষ ফজিলত ও সওয়াব আছে বলে মনে করেন। ইসলামের দৃষ্টিতে বিষয়টি সঠিক নয়।

যারা ফজিলতের কথা বলেন, তাদের দলিল হলো, একটি দুর্বল হাদিস, যা মূলত রমজানের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে নবীজির গোসল করার কথা জানায়। (ইবনে রজব) তবে এর সঙ্গে শবে কদরের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এর কোনো ফজিলতও বর্ণিত হয়নি।

বিশেষ নিয়মে নামাজ আদায় করা : লাইলাতুল কদরে অনেকের মুখে বিশেষ নামাজ, এর নিয়ত, নিয়ম, রাকাতসংখ্যা, বিশেষ সুরা ইত্যাদি নিয়ে কথা শোনা যায়। কেউ কেউ বলেন, এক রাকাতে সুরা কদর অন্য রাকাতে সুরা ইখলাস পড়া হবে।  কিন্তু ইসলামি শরীয়তে এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। শবে কদরে ইবাদতের কথা থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো ইবাদতের উল্লেখ নেই। (আবদুল হাই লখনবি, আল-আসার: ১১৫)


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




ঈদের আগে এলো না জিম্মি নাবিকদের মুক্তির প্রহর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের দিনও কাটাতে হবে জাহাজেই জিম্মি অবস্থায়। বিষণ্নতা, অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা তাই আরও জেঁকে বসেছে জিম্মি নাবিক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। উল্লেখ্য ভারত মহাসাগরে গত ১২ মার্চ জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের ঈদের আগেও মুক্তি মিলছে না। এ পরিস্থিতিতে জিম্মি পরিবারের সদস্যরা কাঁদছেন স্বজনদের ঈদের আগেও ফিরে না পেয়ে। আর জিম্মিরা মন খারাপ করে আছেন এক মাসেও মুক্তি না পেয়ে।

জিম্মি নাবিক ও স্বজনদের মন খারাপ করা ঈদের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, এমনটি চায়নি এমভি আব্দুল্লাহর মালিকপক্ষ। নাবিকদের জিম্মিদশা শুরুর ৯ দিন পর জলদস্যুরা যোগাযোগ শুরু করার পর থেকেই মালিকপক্ষ ঈদের আগেই এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষ করার আশা নিয়ে তৎপর হয়েছিল। বিভিন্ন সময় জাহাজ মালিকপক্ষ এবং সরকারপক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে যে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শনিবারও চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুনরায় বলেন, এম ভি আব্দুল্লাহ উদ্ধারে আলোচনার বেশ অগগ্রতি হয়েছে।

রাষ্ট্র এবং জাহাজ মালিকপক্ষ আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে বলে জানালেও তা কতদূর হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছুই জানানো হচ্ছে না। জাহাজ মালিকপক্ষ জানাচ্ছে, মুক্তিপণের টাকা দিয়ে নাবিক ও জাহাজ মুক্তি করতে হবে। কিন্তু মুক্তিপণ কত? কোথায়, কীভাবে তা দিতে হবে? এ ধরনের প্রশ্নগুলোর কোনো উত্তর মিলছে না। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে না। ফলে একধরনের তথ্য ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিকের পারিবারিক সদস্যরা

তবে ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজ মুক্ত হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঈদের আগে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত হচ্ছে না। এটা প্রায় নিশ্চিত। তবে ঈদের পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে মুক্তি পাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা আছে। সেই লক্ষ্যে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে কোম্পানি।

এখন আলোচনা কত দূর গিয়ে আটকে গেছে? যার কারণে ঈদের আগেই মুক্তি মিলছে না? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলোচনা আটকে নেই। থেমে যায়নি। চলছে। বেশ অগ্রগতিও ঘটেছে। কিন্তু এখানে অনেকগুলো ধাপ পার হতে হচ্ছে। তাই সময় লাগছে। তিনি বলেন, জাহাজে নাবিকরা ভালো আছে। কিছুটা পানির সংকট থাকলেও তা ক্যাপ্টেন রেশনিং পদ্ধতিতে ব্যবস্থা করে নিচ্ছেন। নাবিকদের সঙ্গে পরিবার ও জাহাজ মালিকপক্ষের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।

সাধারণ সময়ে নাবিকরা জাহাজ নিয়ে ঈদের সময়ে গভীর সমুদ্রে থাকলে ঈদের নামাজ কীভাবে পড়েন? এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশে কর্মরত ক্যাপ্টেন নূর মোহাম্মদ বলেন, গভীর সমুদ্রে নামাজ কসর পড়লে হয়। নাবিকরা সেভাবেই পড়েন। তবে ঈদের সময়ে সাধারণত নিজেদের মধ্যে একজন খুতবা পড়েন এবং জামায়াতে নামাজ আদায় করেন। জাহাজের সহকর্মীরা কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করেন। আর সুযোগ থাকলে পার্টির আয়োজন হয়। জিম্মি জাহাজে বন্দি নাবিকদের ঈদ কেমন হতে পারে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জলদস্যুরা সদয় হয়ে যদি তাদের ঈদের নামাজ পড়তে দেয়, তাহলে তো ভালো কথা। তবে জিম্মি অবস্থায় জাহাজে তো পার্টি করার সুযোগ নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে না। নিজেরা কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি হয়তো করতে পারবেন। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তাদের মুক্তিই আমাদের কাছে প্রধান বিষয়।

জিম্মি নাবিকদের একজনের পরিবারের সদস্য জানিয়েছেন, এখন দুই-তিন দিন পরপরই নাবিকরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছেন। তারা ভালো আছেন। জলদস্যুরা সশস্ত্র পাহারা দিচ্ছে। নাবিকরা নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গত কয়েক দিনের মধ্যে জাহাজটির নোঙর আর তোলা হয়নি। একই স্থানে আছে। তিনি বলেন, নাবিকরা বুঝতে পারছেন, মালিকপক্ষ জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে অর্থ লেনদেন শেষ না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না সেটাও তারা বোঝেন। তাই মানসিকভাবে শক্ত থেকে জিম্মিজীবন শেষ করার প্রহর গুনছেন তারা।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুইদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।

বিমানবন্দরে মাউরো ভিয়েরাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। দুপুরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে এবং বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। পরদিন সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

জানা গেছে, এ সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিয়েরার সঙ্গে ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। যার মধ্যে রয়েছে ব্রাজিলের গরুর মাংস আমদানি।

ঢাকা ও ব্রাজিলের কূটনৈতিক সূত্র জানান, মাউরো ভিয়েরার সফরকে সামনে রেখে সম্প্রতি পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। এ সময় তিনি গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়টি আলোচনায় তুলেছেন।

গত বছর বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল। দেশটি গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে গরুর মাংস রপ্তানিতে আগ্রহ দেখিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে চার মার্কিন ডলারে অর্থাৎ ৪৯৫ টাকা করে বাংলাদেশকে দিতে চায় লাতিন আমেরিকার এই দেশটি।


আরও খবর
চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪




ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে  ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহিতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাবখান সেতু টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে একটি ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৭ জন। তবে এ মুহুর্তে কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজতে ঝালকাটি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে।

জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৫ জন এবং আশঙ্কাজন অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখানে ভিন্ন কিছু আছে কি না তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।


আরও খবর