আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

এক রাস্তায় হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

শহীদুল ইসলাম, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

হাওর এলাকায় একটি প্রবাদ আছে বর্ষায় নাও হেমন্তে পাও। অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা, আর হেমন্তে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়।আর এ থেকে মুক্তি পাচ্ছে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের চকিয়াচাপুর গ্রামের হাজারো মানুষ।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ আওতায় প্রায় ৩ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এ রাস্তা নির্মাণের ফলে গ্রামের পুরো চিত্র পাল্টে গেছে।

রাস্তা নির্মাণের আগে বর্ষা মৌসুমে পানি ও কাদা মাড়িয়ে এলাকার লোকজন যাতায়াত করত চরম দুর্ভোগে মধ্য দিয়ে। ঐ গ্রামের স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বর্ষা মৌসুমে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে হাওর পাড়ি দিয়ে নৌকা করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া করতো। হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হত। আর এ জনদুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেল হাজারো মানুষ একটি রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে।

এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে আসা এক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে সে জানায়, ওই রাস্তা নির্মাণের ফলে ভালো উপকার হইছে। স্কুলে যাওয়া আসায় অনেক উপকারই পাইতেছি। আগে তো কাদা মাদা (কাদামাটি) টানিয়া যাওয়া লাগত। আগে সু গুলো ফিনতে (পড়তে) পারতাম না। এখন তো সু টু ফিইন্দা গাছতলা বাদশাগঞ্জ যাওয়া যায়। অনেক সুবিধা হইছে।এখন সরাসরি বাড়ি থেকে অটোরিকশা কিংবা সিএনজি করে যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায়।

চকিয়াচাপুর গ্রামের যুবক নোমানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা এই রাস্তার কারণে আগে হাঁটাচলা করতে পারতাম না রাস্তার পেক কাদার কারণে। এখন রাস্তা হওয়াতে অনেক সুযোগ-সুবিধা হইছে । আমরা গাড়ি ঘোড়া মানে সবকিছু নিতে পারি। হাওর থেকে ধান নিতে পারি বাড়িতে। অনেক সুবিধা হয়েছে এই রাস্তার কারণে। আগে তো সাঁতরাইয়া পাড় হইতে অইত। রাস্তার সুযোগ সুবিধা ছিল না এখন আমাদের এলাকা উন্নত হইছে।

পার্শ্ববর্তী উপজেলা মোহনগঞ্জ থেকে আসা এক ভাংগারী ব্যবসায়ীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাস্তা হওয়াতে তো উন্নতই হইছে।আগে গাড়ি ঘোড়া নিয়ে আসতে পারছিনা সমস্যা অইত।কাদাকোদা ছিল এখনতো ভালই হইছে।এখন গাড়িঘোড়া নিয়া আসা যায়। গ্রামবাসীরও উন্নত অইছে (হয়েছে)।

চকিয়াচাপুর গ্রামের মুরুব্বি সজল মিয়া প্রতিনিধিকে জানান, রাস্তা হওয়াতে আমরা গ্রামবাসীর খুব উপকার হইছে। পাইকুরাটি থেকে আমরার গ্রামের ভিতর দিয়া বালিজুরি পর্যন্ত এই রাস্তাটা এমপি সাহেবের বরাবরে হইছে। এতে কইরা আমরা গ্রামবাসী সকলেই খুশি। এখন আমরা চাইযে দিন দিন আরও উন্নত হউক।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন মহোদয়ের নির্দেশে আমরা বাস্তবায়নকৃত প্রকল্প গুলোর উন্নয়নে সার্বিকভাবে তদারকির মাধ্যমে শতভাগ কাজ ঠিকাদারদের কাছ থেকে আদায় করে নিচ্ছি।

নিউজ ট্যাগ: ধর্মপাশা

আরও খবর



দেশ ছাড়বেন না ইমরান খান, করবেন না সমঝোতাও

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তান ছেড়ে কোথাও যাবেন না দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান। এমনকি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কোনো ধরনের সমঝোতা না করার কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে অ্যাটক কারাগারে বন্দি রয়েছেন ইমরান। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করার পর আইনজীবীরা এ দাবি করেন। রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। খবর ডনের।

শনিবার কারাগারে ইমরানের সঙ্গে দেখা করেন তাঁর আইনজীবীরা। পরে কারাগারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অ্যাডভোকেট শোয়েব শাহীন বলেন, ইমরান  যে কোনো চুক্তি বা সমঝোতার সম্ভাবনা বাতিল করেছেন এবং  বিদেশে স্থায়ী হওয়ার ধারণাটিকে তাঁর জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য ভিত্তিহীন প্রচার বলেও অভিহিত করেছেন।

আইনজীবীর মতে, ইমরান খান বলেছেন, বিদেশে তাঁর কোনো সম্পদ বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। এ ছাড়া পিটিআই চেয়ারম্যান পাকিস্তানে আগাম, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন দাবি করেছেন এবং এই নির্বাচনকে দেশের সব রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংকটের মহৌষধ বলেও অভিহিত করেছেন। জাতির উদ্দেশে দেওয়া বার্তায় ইমরান জনসাধারণকে তাদের অধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।


আরও খবর



যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল হরদীপ সিংকে

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন অন্তত ছয়জন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছিল দুটি গাড়ি। হামলাকারীরা হরদীপকে লক্ষ্য করে ৫০টি গুলি চালিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৩৪টি তাঁর শরীরে লেগেছিল। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী ও তদন্তকারীদের বক্তব্যে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

গত ১৮ জুন ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার একটি শিখ মন্দিরের বাইরে হত্যা করা হয় হরদীপকে। স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়ের লোকজন বলছেন, হত্যা নিয়ে তদন্তকারীরা তাঁদের খুব কম তথ্যই দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশও গিয়েছিল দেরিতে। আর ওই মন্দিরের কাছের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড নিয়ে বক্তব্য শুনতে বা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ নিতে তাঁদের কাছে যাননি তদন্তকারীরা।

হরদীপ হত্যার পর গত সপ্তাহে কানাডার পার্লামেন্টে বিস্ফোরক এক মন্তব্য করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি বলেন, এই হত্যায় ভারতের হাত আছে, এমন বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। গোয়েন্দা তথ্য আদানপ্রদানকারী নেটওয়ার্ক ফাইভ আইসের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযোগ করেন ট্রুডো। ফাইভ আইসের পাঁচ সদস্যদেশের মধ্যে রয়েছে কানাডাও।

যে মন্দিরের বাইরে ৪৫ বছর বয়সী হরদীপকে হত্যা করা হয়, সেটির সভাপতি ছিলেন তিনি। ভারতে শিখদের জন্য স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে সক্রিয় ছিলেন হরদীপ। তাঁর হত্যা নিয়ে কানাডার অভিযোগ নাকচ করেছে ভারত। একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে দেশটি। তবে ভারতের তালিকায় আগে থেকেই হরদীপ একজন সন্ত্রাসী

হরদীপ হত্যার ঘটনা ধরা পড়েছে ওই মন্দিরে স্থাপন করা একটি সিসিটিভি ক্যামেরায়। ৯০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও তদন্তকারীদেরও দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, হরদীপের একটি ধূসর পিকআপ ভ্যান মন্দিরের কাছে পার্কিং থেকে বের হচ্ছে। এ সময় সাদা একটি গাড়িও কাছাকাছি দেখা যায়। পরে সেটি হরদীপের পিকআপের পাশাপাশি চলতে থাকে।

পিকআপটি পার্কিং থেকে বের হওয়ার সময় সাদা গাড়িটি সেটির সামনে এসে পথরোধ করে দাঁড়ায়। এ সময় কাছের একটি জায়গা থেকে বেরিয়ে দুজন পিকআপটির দিকে যান। তাঁরা মাথা ঢাকা পোশাক পরে ছিলেন। পিকআপের চালকের আসনের দিকে বন্দুক তাক করেন তাঁরা। এরপর পার্কিং থেকে সাদা গাড়িটি বের হয়ে দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যায়। বন্দুকধারী দুজনও একই দিকে দৌড়ে যান।

ওই মন্দিরের এক স্বেচ্ছাসেবক ভূপেন্দরজিৎ সিং। হত্যাকাণ্ডের সময় কাছেই একটি পার্কে ফুটবল খেলছিলেন তিনি। গুলির শব্দ শুনে প্রথমে আতশবাজির শব্দ বলে মনে হয়েছিল তাঁর। তিনি বলেন, আমার মাথায় দ্বিতীয় যে চিন্তা এসেছিল, তা হলো গুলি চালানো হয়েছে। আর আমাদের সভাপতি সেখানে রয়েছেন।

হরদীপকে হত্যার পর প্রথম তাঁর পিকআপের কাছে পৌঁছেছিলেন ভূপেন্দরজিৎ। তিনি বলেন, গাড়ির কাছে গিয়েই তিনি চালকের পাশের দরজা খোলেন। সেখানে হরদীপ ছিলেন। তিনি তাঁর কাঁধে হাত দেন। বুঝতে পারেন যে তিনি আর শ্বাস নিচ্ছেন না। শিখ সম্প্রদায়ের অন্য সদস্যরা বলেছেন, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন যে হরদীপের ওপর প্রায় ৫০টি গুলি চালানো হয়েছিল। ৩৪টি তাঁর শরীরে লেগেছিল।

ভূপেন্দরজিৎ সিং বলেন, চারপাশে রক্ত ও ভাঙা কাচ পড়ে ছিল। মেঝেতে গুলি ছড়িয়েছিটিয়ে ছিল। এর পরপরই গুরমিত সিং নামে মন্দিরের আরেক নেতা পিকআপ নিয়ে সেখানে আসেন। ভূপেন্দরজিৎ ওই পিকআপে ওঠার পর তাঁরা বন্দুকধারীদের ধরতে বেরিয়ে পড়েন।

মন্দিরের কমিটির আরেক সদস্যের নাম মালকিত সিং। হরদীপকে হত্যার সময় তিনিও ফুটবল খেলছিলেন। মাথা ঢাকা পোশাক পরা দুজনকে কাছের কোউগার ক্রিক পার্কের দিকে দৌড়ে যেতে দেখেছিলেন তিনি। ওই দুজনকে তাড়া করেছিলেন মালকিত। তবে তাঁদের চিনতে পারেননি।

মালকিত সিং বলেন, দুজনকে দেখে শিখ বলেই মনে হয়েছে তাঁর। একজনের উচ্চতা পাঁচ ফুটের সামান্য বেশি এবং স্থূলকায়। দ্রুত দৌড়াতে কষ্ট হচ্ছিল তাঁর। আরেকজন ছিলেন প্রথমজনের চেয়ে প্রায় চার ইঞ্চি লম্বা এবং রোগাপাতলা। দৌড়ে গিয়ে তাঁরা একটি রুপালি গাড়িতে ওঠেন। ওই গাড়িতে আরও তিনজন অপেক্ষা করছিলেন। তাঁদের কারও চেহারা দেখতে পাননি তিনি। এরপর গাড়িটি সেখান থেকে চলে যায়।

হত্যার ঘটনাটি তদন্ত করছে দ্য রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্ডেড পুলিশ (আরসিএমপি)। তারা জানিয়েছে, ১৮ জুন রাত ৮টা ২৭ মিনিটে প্রথম হরদীপকে হত্যার খবর পায় পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গুলি চলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশের আসতে ১২ থেকে ২০ মিনিট সময় লেগেছিল। এটি অবাক করার বিষয়। কারণ, এই এলাকায় অনেক পুলিশ সদস্য নিয়মিত টহল দেন।

এদিকে হত্যার এক মাসের বেশি সময় পর ২১ জুলাই দুই বন্দুকধারী ব্যক্তিকে শনাক্তের জন্য সাধারণ মানুষের কাছে সাহায্য চান তদন্তকারীরা। আর ১৬ আগস্ট রুপালি গাড়ি ও সেটির চালককে শনাক্তের বিষয়ে সহায়তা চাওয়া হয়। এ ছাড়া যে পথ দিয়ে দুই বন্দুকধারী পালিয়েছিলেন, সেখানকার ৩৯টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ি পরিদর্শন করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট। তবে সেসব ব্যবসার মালিক ও বাড়ির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড তদন্তের বিষয়ে তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি।

হরদীপের জীবননাশের হুমকি নিয়ে আগে থেকেই শঙ্কিত ছিল স্থানীয় শিখ সম্প্রদায়। যে মন্দিরের বাইরে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে, সেটির সদস্যদের অনেকেই হরদীপের একাকী গাড়ি চালানো নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। হরদীপের ছেলে বলরাজ সিং নিজ্জর বলেন, তাঁর বাবা বুলেটপ্রুফ গাড়ি চালাতে চাইতেন। তবে ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় এমন গাড়ি চালানো অবৈধ। তা ছাড়া নিরাপত্তার জন্য বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটও পরতে চাইতেন তিনি। এমন জ্যাকেট ব্যবহারের জন্য সরকারের অনুমতি লাগে।

সম্প্রতি হরদীপের পিকআপের চাকায় অবস্থান শনাক্তের যন্ত্র (ট্র্যাকার) খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল বলে জানান ব্রিটিশ কলাম্বিয়া শিখ গুরুদুয়ারা কাউন্সিলের মুখপাত্র মনিন্দর সিং। তিনি বলেন, হরদীপের মতো তাঁর নামও হত্যাকারীদের তালিকায় আছে বলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো তাঁকে জানিয়েছিল। তবে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তাঁকে জানানো হয়নি। এ তথ্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে কি না, তাও জানেন না তিনি।

বিষয়টি নিয়ে কানাডার গোয়ান্দা সংস্থা কানাডিয়ান সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স সার্ভিসের এক মুখপাত্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যপ্রাপ্তি নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বিষয়টি সামনে আনায় এখন তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে বেশ আশাবাদী মন্দিরের কমিটির সদস্য মালকিত সিং।

মালকিত বলেন, গত সপ্তাহে ট্রুডোর ঘোষণার আগপর্যন্ত হরদীপ হত্যার রহস্যের সমাধান হবে বলে আমার বিশ্বাস ছিল না। এ হত্যা নিয়ে তদন্তকারীরা আমার সঙ্গে মাত্র একবার কথা বলেছেন। আর কয়েক মাসের মধ্যে তাঁরা কিছুই আমাদের জানাননি। তবে গত সপ্তাহে সবকিছু বদলে গেল। ট্রুডো যদি শেষ পর্যন্ত বুঝতেই পারেন যে ভারত এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে, তাহলে গোয়েন্দারা সঠিক পথেই এগোচ্ছেন।

 

সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট


আরও খবর



যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য রাজধানী ও আশপাশের বেশ কিছু এলাকায় আজ শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। গতকাল শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।

এতে বলা হয়েছে, গ্রাহকসহ সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, সোনারগাঁও- জনপদ রেল ক্রসিং এলাকায় পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মোট ১২ ঘণ্টা সমগ্র উত্তরখান, দক্ষিণখান, উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর ও উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরে বিদ্যমান সকল শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এ ছাড়া উত্তরা ২ নম্বর সেক্টর ও উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। একই সঙ্গে সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।


আরও খবর



শিক্ষা ছাড়া বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অসম্ভব: চবি উপাচার্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চবি সকালে মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাচিন্তা ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও চবি সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুল মান্নান এবং মূখ্য আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহফুজুল হক চৌধুরী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সিরাজ উদ্ দৌল্লাহ।

এছাড়াও সেমিনারে বক্তব্য রাখেন চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জনাব তানজিম আফরিন ও চবি সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি) জনাব কাজী তাসলিমা নাসরিন জেরিন।

চবি উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর প্রথমেই বঙ্গবন্ধু ভেবেছিলেন শিক্ষার আলো ছাড়া একটি জাতির উন্নয়নের শিখরে পৌঁছানো সম্ভব নয়, শিক্ষা ছাড়া বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো অসম্ভব। এ ধ্রুব সত্যকে মাথায় রেখে স্বাধীনতার পর জাতির পিতা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশের সোনালী সূর্যকে নতুন করে দেখতে শিখিয়েছেন। জাতির পিতা আরও ভেবেছিলেন দেশ রক্ষায় প্রতিরক্ষা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি দেশ গঠন ও দেশের অগ্রগতিতে শিক্ষা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতার শিক্ষা ব্যবস্থার স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশকে বিশ্বের কাছে উঁচু আসনে অধিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট আছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে শহর থেকে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিয়েছেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকারী ভর্তুকী প্রদান এবং বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের মাধ্যমে দেশের সর্বস্তরের মানুষের জন্য শিক্ষা অবারিত করে দিয়েছেন।

সেমিনারে চবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত), হলের প্রভোস্টবৃন্দ, প্রক্টর ও প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



আদম তমিজীকে আ.লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের প্রস্তাব

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথাবার্তা ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে আদম তমিজী হককে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি দিয়েছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তারা এই প্রস্তাব করেন।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম মিজু।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, তার ভিডিওটি আমাদের যথেষ্ট বিব্রত করেছে। তিনি শুধু দলীয় বিষয়ে বলেছেন সেটা নয়, তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি বলেন, বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে শুনেছি। যদি সত্যি সত্যি এমন কিছু বলে থাকেন তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি পাসপোর্ট পুড়িয়ে থাকেন তাহলে সেটা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ হয়েছে। পাসপোর্টের অপমান করলে অবশ্যই দেশকে অপমান করা হয়।

দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে পাঠানো ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের চিঠিতে উল্লেখ করা হয়মাননীয় সভানেত্রী, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ সালাম জানবেন। অতি সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আদম তমিজী হক তার বাংলাদেশের পাসপোর্ট প্রকাশ্যে পোড়ান এবং ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল গালাগাল করেন। লাইভ সম্প্রচারের ভিডিও দেখে আমরা বিস্মিত ও মর্মাহত হয়েছি।

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়রোববার মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাষ্ট্রদ্রোহী কর্মকাণ্ড ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি (ভিডিও চিত্র) প্রাপ্তি সাপেক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে তমিজী হককে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সভানেত্রী, আমরা তাকে মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করছি।

এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজী হক নিজের বাংলাদেশি পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন।

সেই ভিডিওতে আদম তমিজী হক বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যে কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এ দেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।

নিউজ ট্যাগ: আদম তামিজী হক

আরও খবর