আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কেন্দ্রে ৩০ স্বজন

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রথমবারের মতো হরিজন সম্প্রদায় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন বেবি বাস্পর। লেখাপড়া করে জীবনে সে অনেক বড় হতে চায়। তাকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যান তার সম্প্রদায়ের ৩০ জন স্বজন।

বেবি জেলার দুর্গাপুরের জহুরা জালাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। পৌরসভার মুক্তারপাড়া এলাকার মৃত নির্মল বাস্পরের মেয়ে সে। বেবির মা মালা বাস্পর দুর্গাপুর ইউএনও অফিসে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজ করেন।

ছোটবেলা থেকেই বেবি পড়াশুনায় খুব আগ্রহী। টানাপোড়েনের সংসারে অনেক কষ্ট করে তার পড়ার খরচ জোগান তার মা মালা বাস্পর। মেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারায় তিনি আনন্দিত।

মালা বাস্পর বলেন, অনেক কষ্টের মধ্যেও আমার মেয়ে লেখাপড়া করে যাচ্ছে। এবার সে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিচ্ছে। এতে আমি খুব আনন্দিত। সবাই আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন সে যেন অনেক বড় হতে পারে। মালা বাস্পর যখন কথাগুলো বলছিলেন তখন তার চোখের কোণে টলমল করছে জল।

জীবনের অন্যতম বড় পাবলিক পরীক্ষা এবং পড়াশোনা প্রসঙ্গে বেবি বাস্পর জানায়, যত কষ্টই হোক মা আমাকে সবসময়ই পড়ার খরচ জুগিয়েছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা আমাকে অনেক সহযোগিতা করেছেন। এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। আমি চাই আমার সম্প্রদায়ের ছেলেমেয়েরা যেন পড়াশুনা করে উচ্চশিক্ষিত হতে পারে। আমি জীবনে অনেক বড় হতে চাই।বেবি আরও জানায়, সে পড়ালেখা শেষ করে প্রশাসনের কর্মকর্তা হতে চায়।

বিষয়টি জেনে দুর্গাপুরের অনেকে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় কলেজের প্রভাষক কবি জনপদ চৌধুরী বলেন, দুর্গাপুরে যে সম্প্রদায়ে কোনো শিক্ষার আলো ছিল না সেখানে ব্যতিক্রম বেবি বাস্পর। তার এ প্রচেষ্টা যেন অব্যাহত থাকে সেজন্য নাগরিক সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তার পাশে দাঁড়াতে হবে। যতটা সম্ভব সহযোগিতা করতে হবে।

উন্নয়নকর্মী মোরশেদ আলম বলেন, বেবি বাস্পর যেভাবে এসএসসি পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়েছে সেটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এই পরিশ্রম তার জীবনে ফুল হয়ে ফুটুক। আমরা তাকে যথাসাধ্য সহযোগিতা করব।

কলেজ শিক্ষক দীপক সরকার বলেন, বেবি বাস্পরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি ইতোমধ্যে অনেকে জেনেছেন। সমাজের সবাইকে তার পাশে দাঁড়াবার আহবান জানাই।

জানতে চাইলে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব উল আহসান বলেন, বেবি বাস্পর মেধাবী শিক্ষার্থী। তার কোনো সহযোগিতার দরকার হলে আমরা তা করব। আশা করছি সে খুব ভালো রেজাল্ট করবে।


আরও খবর



গরুর দাম কোটি টাকা, কারণ 'বংশমর্যাদা'

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ মেলায় নানা জাতের গরু নিয়ে হাজির হয়েছিল সাদিক এগ্রো। এর মধ্যে আমেরিকার ব্রাহামা জাতের একটি গরুর দাম হাঁকানো হয় এক কোটি টাকা। ১ হাজার ৩০০ কেজি ওজনের গরুটি দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা।

গরুর দাম এত বেশি কেন জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ইমরান হোসেন বলেন, গরুটির বংশমর্যাদার জন্য দাম বেশি। এই গরুটার বাবা, দাদা, দাদার বাবার পরিচয় আছে।

মেলার আকর্ষণ রোজু নামের গরুটির রং সাদার ওপর হালকা কালো শেড ছাপ ছাপ, ছোট শিং, নাকে নথ। গলায় স্বর্ণের আদলে তৈরি চেইনের সঙ্গে লকেট। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানান ইমরান হোসেন।

তিনি বলেন, গরুটার দাম এক কোটি চাওয়া হচ্ছে, এটার অনেক কারণ আছে। এক নম্বর হচ্ছে- এই গরুটার ১১০ বছরের পেডিগ্রি (বংশ পরম্পরা) আছে। আরেকটা বড় কারণ হচ্ছে, এই গরুটার বাবা ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন ব্লাড লাইন। এটা হচ্ছে আমেরিকান ভিয়েট ল্যাঞ্চের নোবেল সিরিজ, ওদের সবচেয়ে বেস্ট সিরিজ এটা। এই জাতের গরু কম খাদ্য খেয়ে দ্রুত বড় হতে পারে। মাংস কিংবা ওজনের চিন্তা করে না বরং এটা বংশমর্যাদাপূর্ণ গরু। এর জন্যই দাম বেশি। গরুটি প্রতিপালনে মাসে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয় বলেও জানান ইমরান হোসেন।

সাদিক এগ্রোর মালিক আরও বলেন, মেলায় আমরা গরু, ছাগল, উট, দুম্বা, ভেড়াসহ অনেক প্রাণি নিয়ে এসেছি। শুধু যে বেচাকেনা করার জন্য এনেছি সেটি নয়, অনেক প্রাণি আছে মানুষ দেখেনি, তাই নিয়ে আসা। আজকে যেসব বাচ্চারা আসছে, এরা অনেকেই হয়তো উট দেখেনি, আজ দেখতে পারবে। আমরা মনে করি, এটা আমাদের মেলার একটা অর্জন। এই প্রাণিগুলোর সঙ্গে আগামী প্রজন্মকে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটাও আমাদের একটা লক্ষ্য।

এ ছাড়া সাদিক এগ্রোর আরেক কর্মকর্তা সৌরভ জানান, মেলা উপলক্ষে প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি গরু, ৪টি ছাগল, ৫টি দুম্বা, ৭টি ভুট্টি গরু মেলায় প্রদর্শন করছে। একেকটি দুম্বা ৪ লাখ করে আর ভুট্টি জাতের গরু ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে তিন লাখ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে।


আরও খবর



ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঐতিহাসিক বদর দিবস আজ। আজকের দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে হিজরির দ্বিতীয় সনের ১৭ রমজান মদিনা থেকে প্রায় ৭০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসীদের লড়াই বদরযুদ্ধ

বিশ্বমানবতার মুক্তির দূত প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নিয়ে আসা ধর্ম, ইসলামের বিরুদ্ধবাদী বিশাল সৈন্য-সামন্তের মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের সশস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি।

একদিকে আল্লাহর নবির সঙ্গে মাত্র ৩১৩ জন মুজাহিদ। তারা প্রায় নিরস্ত্র। অপর পক্ষে অবিশ্বাসীদের নেতা আবু জাহেলের নেতৃত্বে এক হাজার প্রশিক্ষিত সৈন্যের সুসজ্জিত বাহিনী। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সব ধরনের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেন। সেদিন বদরের প্রান্তরে ইমান ও কুফর, ন্যায় ও অন্যায়ের এক নতুন ইতিহাস রচিত হয়, যা শত শত বছর ধরে এক আল্লাহতে বিশ্বাসী মুসলমানদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, জয়-পরাজয় আল্লাহর হাতে। সম্মান ও অপমান আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, তারা সংখ্যায় বা উপকরণে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। পক্ষান্তরে আল্লাহর ওপর ভরসাহীন অঢেল সম্পদ ও বিপুল সৈন্য-সামন্তে সজ্জিত মুসলমানদের পরাজয়ের বর্ণনায় ইতিহাসের পাতা ভরপুর হয়ে আছে।

বদরের যুদ্ধ শুরুর আগে আল্লাহর নবী দোয়া করেছিলেন-হে আল্লাহ! তুমি যদি চাও দুনিয়াতে তোমার ইবাদত করার কেউ না থাকুক, তাহলে এ ক্ষুদ্র দলটিকে নিশ্চিহ্ন হতে দাও। আল্লাহতায়ালা রাসূল (সা.)-এর দোয়া কবুল করেন। কুরাইশদের অহমিকা ও দম্ভ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেন। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাহ্যিক উপায়-উপকরণের তুচ্ছতা। তাই প্রায় নিরস্ত্র মুষ্টিমেয় মুজাহিদদের কাছে পরাজিত হয় সুসজ্জিত বিশাল বাহিনী। তাদের পক্ষে নিহত হয় সত্তরজন। বন্দি হয় আরও সত্তরজন। আর মুসলমানদের মধ্যে শহিদ হন মাত্র চৌদ্দজন। যুদ্ধের এ ধরনের ফলাফল ছিল সম্পূর্ণ অকল্পনীয়। কিন্তু তা ছিল মহান আল্লাহর অসীম কুদরতের প্রমাণ। তিনি স্বল্পসংখ্যক মানুষকে বিশাল বাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী করে দেখিয়ে দিলেন অবিশ্বাসী লোকদের প্রকৃত দুর্বলতা ও অসহায়তা। তাই বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ যুদ্ধ।

মহানবি (সা.) মদিনায় হিজরত করে যাওয়ার দ্বিতীয় বছর সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নিয়ে হজরত জিবরাইল (আ.) কুরআন মজিদের কয়েকটি আয়াত নিয়ে আসেন-যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো হচ্ছে, তাদেরকে (যুদ্ধের) অনুমতি দেওয়া হলো এজন্য যে, তারা নির্যাতিত হয়েছে। আর আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে সক্ষম। তাদের নিজেদের বাড়িঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়েছিল অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে, তারা বলে আমাদের প্রভু আল্লাহ। (সূরা হজ, ৩৭)।

এভাবে সশস্ত্র পন্থায় অবিশ্বাসীদের প্রতিরোধ করার অনুমতি লাভের পর আল্লাহর নবী (সা.) বদরযুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। বদরের প্রান্তরে ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল। তাই প্রতিবছর ১৭ রমজান এলেই বিশ্ব মুসলিম শ্রদ্ধা ও গৌরবের সঙ্গে বদরের বিজয়কে স্মরণ করে। বদরের শহিদদের স্মরণ করে বিশেষ সম্মানে।

নিউজ ট্যাগ: বদর দিবস

আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

শুক্রবারের বিশেষ ৪ আমল

শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪




এবারও কিউএস র‌্যাংঙ্কিংয়ে স্থান পেল বুয়েট-ঢাবি

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কোয়াককোয়ারেলি সায়মন্ডসের (কিউএস) বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংঙ্কিংয়ে দেশের শুধু দুটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় দুটি হলো- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)।

বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়- এমন ৫৫টি বিষয়কে পাঁচ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ২০২৪ সালের এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়েছে। বুধবার (১০ এপ্রিল) তাদের ওয়েবসাইটে এ র‌্যাংঙ্কিং প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত র‌্যাংঙ্কিং অনুযায়ী- এ বছর বিশ্বের ৯৫টি দেশের এক হাজার ৫৫৯টি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৬ হাজার ৪০০টিরও বেশি একাডেমিক প্রোগ্রামের মর্যাদা ও গবেষণাকে বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে র‌্যাংঙ্কিংয়ে স্থান দেওয়া হয়েছে।

এবারের র‌্যাংঙ্কিংয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাটাগরিতে বুয়েট ৬৪ দশমিক পাঁচ স্কোর নিয়ে ৩০৫তম স্থানে আছে। আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে।

সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৫১ থেকে ৫০০ এর মধ্যে। আর আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিস ক্যাটাগরিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৫০১ থেকে ৫৫০ এর মধ্যে। অন্যান্য ক্যাটাগরিগুলো হলো- লাইফ সায়েন্স অ্যান্ড মেডিসিন, ন্যাচারাল সায়েন্স। এই দুই ক্যাটাগরিতে দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়নি।

এর আগে ২০২৩ সালে প্রকাশিত কিউএস বিষয়ভিত্তিক র‌্যাংঙ্কিংয়েও দেশের শুধু বুয়েট ও ঢাবির স্থান হয়েছিল। সেবার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি এবং সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ক্যাটাগরিতে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থান হয়েছিল।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নতুন উপাচার্যকে বরণ করে নিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাচ-গানে মেতে ওঠেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিএসএমএমইউয়ে কার্যালয়ে গিয়ে  দেখা গেছে, ব্যান্ডপার্টি দলের বাজনার সাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নাচ-গানে মেতে উঠেছেন। প্রায় অনেকটা সময় ধরে তারা এ আনন্দ উৎসব করেন। এ সময় সেখানে হাসপাতালের দায়িত্বরত অনেকে উপস্থিত হন। আবার  তারা হাততালি দিয়ে সবাই উৎসাহিত করেন।  

এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) দেয়া এক প্রজ্ঞাপন বলা হয় বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক ১২তম উপাচার্য হিসেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

এতে উল্লেখ করা হয়, রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের অনুমোদনক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৮ এর ১২ ধারা অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হককে বিএসএমএমইউয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হকের মেয়াদ হবে চার বছর। তিনি উপাচার্য পদে অবসর অব্যহিত পূর্ব পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। এছাড়া বিধি অনুযায়ী উপাচার্যের পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন।

রাষ্ট্রপতি ও আচার্য প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

দেশব্যাপী চক্ষু রোগী ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের কাছে খুবই প্রিয় ও সুপরিচিত নাম অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক। চক্ষু চিকিৎসক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সর্বোচ্চ সম্মাননা ডা. আলীম মেমোরিয়াল অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন এ চিকিৎসক। তার জন্মস্থান কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার হোসেন্দী এলাকায়।

বিএসএমএমইউয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের তিন বছর মেয়াদ আগামী ২৯ মার্চ শেষ হবে। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ তিনি উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান।


আরও খবর



ডেইলি স্টার থেকে চাকরি হারালেন সৈয়দ আশফাকুল হক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গৃহকর্মীর মৃত্যুর মামলায় কারাগারে থাকা দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ তথ্য জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হককে অব্যাহতির নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই নোটিশ অবিলম্বে কার্যকর বলে গণ্য হবে।

সৈয়দ আশফাকুল হক ১৯৯৩ সালে ডেইলি স্টারের ক্রীড়া বিভাগে যোগদান করেন। ক্রমান্বয়ে ক্রীড়া সম্পাদক, যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং অবশেষে ২০১৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও তার স্ত্রী তানিয়া খন্দকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন গৃহকর্মী প্রীতির বাবা লুকেশ ওড়ান। মামলায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে দণ্ডবিধি আইনের ৩০৪ (ক) ধরায় অভিযোগ করা হয়।

ওই মামলায় একই দিন গ্রেপ্তারের পর আসামিদের রিমান্ড ও জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে তিন দিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর পুনরায় রিমান্ড আবেদন করা হলে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে গত ১৮ ফেব্রয়ারি তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার অভিযোগ জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের নবম তলা থেকে পড়ে প্রীতি ওড়াং নামের এক কিশোরী গৃহপরিচারিকার মৃত্যু হয়। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করত ১৫ বছর বয়সী প্রীতি ওড়াং। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিত্তিঙ্গা গ্রামে। বাবার নাম লুকেশ ওড়াং।


আরও খবর