আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম
ফরেক্স ট্রেডিং ফাঁদ

এক মাসুদই নিয়ে গেল ১০ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দুবাইয়ে বসেই কুমিল্লার মাসুদ আল ইসলাম হাতিয়ে নিলেন অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বা ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের নামে বৈদেশিক মুদ্রা বেচাকেনার (ফরেন কারেন্সি এক্সচেঞ্জ বা ফরেক্স ট্রেডিং) ফাঁদ পাতেন তিনি। লোভে পড়ে সেই ফাঁদে পা দিয়েছিলেন অন্তত সাত লাখ মানুষ। সবরকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখে ধুলা দিয়ে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতারণার এই জাল বিস্তার করেন মাসুদ। এমটিএফই নামক একটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং বা এমএলএম ব্যবসার আদলে পঞ্জি স্কিম সাজিয়ে সাধারণ মানুষকে সর্বস্বান্ত করেছেন তিনি। প্রতারণার বিষয়টি জানাজানির পর ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড

ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের সাইবার অপরাধ তদন্ত ইউনিট।

জানা গেছে, বৈশ্বিক ফরেক্স ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ (এমটিএফই) গ্রুপের পরিচয় ব্যবহার করে ভুয়া এমটিএফই নামে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন মাসুদ আল ইসলাম। প্রায় সাত বছর ধরে অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এর কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নিজেদের ভুয়া পরিচয় লুকাতে নকল এমটিএফই-এর ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ প্ল্যাটফর্ম সাজানো হয়েছে আসল ও বৈধ এমটিএফইর আদলে।

ভুয়া এমটিএফই অ্যাপের একটি স্ক্রিনশট এসেছে সাংবাদিকদের কাছে। এতে দেখা যাচ্ছে, বিগত ১০ আগস্ট পর্যন্ত অ্যাপটি তাদের বিনিয়োগকারীদের থেকে ১০৩ কোটি ৪০ লাখ ৭৬ হাজার ৩১২ ডলার ৪২ সেন্ট অর্থ সংগ্রহ করেছে। সাইবার বিশ্লেষকরা বলছেন, এর অন্তত ৯০ শতাংশই বাংলাদেশি বিনিয়োগকারী। সেই হিসাবে অন্তত সাত লাখ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে এমটিএফই। পরে এই অর্থ দুবাইতে থাকা মাসুদের কাছে পাচার করা হয়েছে। অ্যাপের আরেকটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে ব্যালান্স এখন নেতিবাচক অঙ্কে রয়েছে। এর মাঝেই ব্যবহারকারীদের আরও অর্থ পরিশোধ করে এই নেগেটিভ ব্যালান্স সমন্বয় করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে অ্যাপটিতে। অথচ বিনিয়োগকারীদের টাকা উত্তোলন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্থ পরিশোধ করে ব্যালান্স সমন্বয় করা না হলে ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বার্তা দেওয়া হচ্ছে অ্যাপে।

আদিলুর রহমান নামে মুন্সীগঞ্জের এক ভুক্তভোগী বলেন, আমাদের বলা হয়েছিল এটি ফরেক্স ট্রেডিং। ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন হয়। কিন্তু আমরা এটি বুঝব না, তাই তারাই সবকিছু অ্যাপে ঠিক করে দিত। আমরা লোকাল এজেন্টদের টাকা দিতাম। সপ্তাহে পাঁচ দিন লাভ দেখাত, আর দুদিন লস; মানে অ্যাপে ব্যালান্সে নেগেটিভ দেখাত। অনেকেই টাকা পেয়েছে দেখে বিনিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু মাস খানেক ধরে টাকা আর উঠানো যাচ্ছিল না। সবশেষে বলেছিল, কারিগরি উন্নয়নের জন্য টাকা উত্তোলন বন্ধ আছে, ২২ আগস্ট ঠিক হয়ে যাবে। শুক্রবার অ্যাপে লগইন করে দেখি যে, ব্যালান্স সব নেগেটিভ। স্থানীয় এজেন্টের সঙ্গে একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ছিলাম। সেখান থেকে আমিসহ অনেককে বের করে দেওয়া হয়েছে। তখন বুঝলাম যে, এরা পালিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নিজেকে আড়ালে রাখতে বাংলাদেশে শত শত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বানিয়েছেন মাসুদ। ১০০ জন ব্যবহারকারী অথবা দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগ যিনি এনেছেন, তাকেই বানিয়েছেন সিইও। এই সিইওদের মাধ্যমেই দেশের আনাচে কানাচে নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন মাসুদ আল ইসলাম। এমটিএফইর সুনাম প্রচার এবং এলাকার জনসাধারণকে নিয়ে সেমিনার ও মিটিং আয়োজনের জন্য সিইওদের মাসিক ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে বেতনও দিতেন মাসুদ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভুক্তভোগীরা নিজ নিজ এলাকার এসব সিইওর তালিকা তৈরি করছেন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাসহ অন্তত দুই শতাধিক ব্যক্তি রয়েছেন।

এমটিএফইর অ্যাম্বাসাডর পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা অনেকেই এই মাসুদের ফাঁদে পড়েছি। সবাই এখন আমাদের দোষারোপ করছে, হয়তো আমাদেরও ভুল ছিল, লোভ ছিল; কিন্তু টাকা তো সব মাসুদের কাছে। আমরা তো নিঃস্ব হয়েছিই, সঙ্গে আমাদের মানসম্মান সব শেষ। তবে আমরা এখানে (দুবাই) যারা আছি তারা চেষ্টা করছি মাসুদকে ধরার। এখানে তার পাসপোর্ট এখন পর্যন্ত ব্লক রাখতে পেরেছি আমরা। মাসুদকে পাওয়া গেলে সবার অর্থ ফিরিয়ে আনার আশা রয়েছে।

এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) বিভাগের সাইবার অপরাধ তদন্ত ইউনিট। শিগগির ইতিবাচক ফলাফলের আশা জাগিয়ে সিটিটিসির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার পর এ নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। যারা প্রতারণার মাধ্যমে বা সাইবার অপরাধের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। বেশ কিছু নাম এবং অন্যান্য নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থেই সেগুলো এখন প্রকাশ করছি না। শিগগির একটি ইতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসার বিষয়ে আশাবাদী। এর পেছনে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করতে পারলে টাকা ফিরিয়ে আনার একটা সম্ভাবনা রয়েছে।

অবশ্য প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অর্থ সংগ্রহ এবং সেই অর্থ পাচারে বিস্ময় প্রকাশ করছেন দেশের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্টাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, এই অপরাধে ডিজিটাল ব্যবস্থার পাশাপাশি ম্যানুয়াল প্রসেসও জড়িত ছিল। তাদের এজেন্টরা কিন্তু জেলা, উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন ও গ্রামে গিয়ে মানুষদের এখানে বিনিয়োগে উৎসাহিত করত, টাকা সংগ্রহ করত। তাদের একটি সংগঠিত নেটওয়ার্ক ছিল, চেইন অব কমান্ড ছিল; কিন্তু কোনো কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আসেনি। এলে তারা নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নিতেন। বিষয়টা আসলে অবাক করার মতো। অথচ এ বিষয়ে তদারকি করা দরকার। ট্রেডিংয়ের নামে কারা টাকা নিচ্ছে, কত টাকা নিচ্ছে, কেন নিচ্ছেএগুলো মনিটরিংয়ের আওতায় থাকা দরকার।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা বলেন, পুরোপুরি না হলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার কিছুটা ব্যর্থতা আছে এখানে। বাংলাদেশের পুলিশ এমনিতেই অর্থ বা টাকা-পয়সার বিষয়ে সহজে তদন্ত করতে পারে না। একটা ব্যাংকের তথ্য নিতে হলেও তাকে অনেক আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। আর সাইবার পুলিশ মূলত হ্যাকিং এবং জঙ্গি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। তবে অর্থ যদি পাচার হয়ে থাকে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিষয়টা দেখভাল করতে পারত।

এমটিএফই ওয়েবসাইট এবং অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের ভূমিকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, পুরোটাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিষয়। এখন পর্যন্ত একজনও আমাদের কাছে এসে কোনো অভিযোগ করেনি। কোনো একটি অভিযোগ এলে এ ধরনের অ্যাপ বন্ধের বিষয়ে যা করা দরকার, সেগুলো করতাম।

তিনি বলেন, আমার কোনো মনিটরিং সেল নেই, রিপোর্টিং সেল আছে। কেউ যদি মনিটরিং করে আমাকে জানায় যে এই সাইট ক্ষতিকর এবং আমি যদি দেখি যে, আমার দেশের প্রচলিত আইনের বিরোধী, তখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমার দায়িত্ব।

এমটিএফই এর পর আর কোনো প্রতিষ্ঠান যেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে, সেজন্য আগামীতে সতর্কতা ও সচেতনতার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, এ ধরনের বিষয় আগেও বাংলাদেশে হয়েছে। সাধারণ মানুষের লোভকে কাজে লাগিয়ে প্রতারকরা প্রায়ই এমন করছে। তবে কোনো স্ক্যামই এক দিনে হয় না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর রাডারে এটি আসার কথা। এখন যেন অন্তত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা সতর্ক হয়। বাজারে এমন আরও অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

সূত্র: কালবেলা


আরও খবর



মেঘনা নদীতে কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আশরাফুল আলম সজিব, ভোলা

Image

ভোলার ইলিশা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে হাইমচর সংলগ্ন আবাল বিল চর এলাকার মেঘনায় এ আগুন লাগে বলে নিশ্চিত করেছেন ওই লঞ্চের ম্যানেজার শাহাবুদ্দিন।

প্রত্যক্ষদর্শী লঞ্চযাত্রী লিটন জানান, সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি কর্ণফুলী-৩ লঞ্চটি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর লঞ্চটি চাঁদপুরের হাইমচরের মাঝের চর নামক এলাকার মধ্য মেঘনায় গেলে ইঞ্জিন রুমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় লঞ্চে থাকা যাত্রীদের চিৎকারে লঞ্চটিকে দ্রুত তীরে নিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। অনেক চেষ্টার পর লঞ্চের স্টাফরা আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। ইতোমধ্যে লঞ্চের ইঞ্জিন পুড়ে গেছে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জানা যায়নি। পরে কর্ণফুলী-৪ নামের অপর একটি লঞ্চ ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।

বিআইডব্লিউটিএ চাঁদপুরের উপপরিচালক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রীবাহী কর্ণফুলী-৩ লঞ্চে আগুন লাগলে নদীর পাড়ে লঞ্চটি তাৎক্ষণিক ভিড়িয়ে দেওয়া হয়। কর্ণফুলী-৩ এর যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাধ্যমে ফেরত আনা হচ্ছে এবং বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ডুবোচর পড়ায় কর্ণফুলী-৩ লঞ্চটি এখনো স্পটেই রয়েছে।

কর্ণফুলী-৪ এর মাস্টার মোবারক হোসেন বলেন, সুন্দরভাবে প্রায় সবাইকেই আমাদের লঞ্চে নিয়ে নিয়েছি। যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।


আরও খবর



ঈদের রেসিপি: মজাদার দুধ সেমাই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঈদের সকালে কয়েক ধরনের সেমাই থাকে টেবিলে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুধ সেমাই।

ঈদের খাদ্যতালিকায় যে রেসিপিটি না থাকলেই নয়, সেটি দুধ সেমাই। কীভাবে পারফেক্ট স্বাদের দুধ সেমাই রান্না করবেন? জেনে নিন সেটা।

উপকরণ: দুধ এক লিটার, চিনি এক কাপ, সেমাই এক কাপ, ঘি এক টেবিল চামচ, বাদামকুচি এক টেবিল চামচ, কিশমিশ এক টেবিল চামচ, এলাচ দুইটি ও দারুচিনি দুই টুকরা।

প্রণালি: একটি পাত্রে ঘি দিয়ে অল্প আঁচে সেমাই হালকা ভেজে নিন। তারপর আরেকটি পাত্রে দুধ জ্বাল দিয়ে ঘন করুন। দুধে চিনি মেশান। তারপর সেমাই দিন। এবার একে একে এলাচ, দারুচিনি, বাদামকুচি ও কিশমিশ দিয়ে দিন। একটি পাত্রে ঢেলে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে পরিবেশন করুন।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




সকালে ৩৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ‘ফিলস লাইক’ ৪২

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে সোমবার (২৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছিল, আজ মঙ্গলবার গরমের তীব্রতা বেশি থাকবে। বাতাসে জ্বলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে অস্বস্তিও বেশি বিরাজ করবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র গরম অনুভূত হতে দেখা গেছে। সকাল ১০টায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস দেখালেও ফিলস লাইক’-এ দেখাচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি হলেও গরম অনুভূত হচ্ছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মতো। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৫৫ শতাংশ এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৩ কিলোমিটার।

বেশিরভাগ মানুষ গুগল সার্চ ইঞ্জিনের সহায়তায় তাপমাত্রা দেখেন। তবে গুগলে তাপমাত্রা দেখার সময় দুই রকম তথ্য সামনে আসে। নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা জানতে সার্চ করলেই বিরাজমান তাপমাত্রা বড় করে দেখানো হচ্ছে। বড় অক্ষরে লেখা ওই তাপমাত্রার নিচে ছোট করে লেখা থাকে ফিলস লাইক’...। যেটি মূলত অনুভূত হওয়া তাপমাত্রা নির্দেশ করে। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়, তবে ফিলস লাইক’-এ তার চেয়ে তিন থেকে চার ডিগ্রি বেশি দেখানো হয়।

এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা যেভাবে তাপমাত্রা রেকর্ড করি তাতে ফিলস লাইক’ বেশি হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ, আমরা সরাসরি রোদের মধ্যে তাপ মাপি না। আমরা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত পদ্ধতিতে তাপমাত্রা রেকর্ড করি। স্বীকৃত পদ্ধতি হলো স্টিভেনসন স্ক্রিনের মাধ্যমে তাপমাত্রা রেকর্ড করা। সে পদ্ধতিতে থার্মোমিটার থেকে বাতাসের তাপমাত্রা নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, যদি আমরা সরাসরি রোদের তাপমাত্রা রেকর্ড করতাম, তাহলে প্রকৃত তাপমাত্রা আরও বেশি হতো। রোদে গেলে যেটা ফিল’ হচ্ছে সেটাকেই গুগল ফিলস লাইক’ বলছে। এছাড়া বর্তমানে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি। এজন্য গরমে বেশি অস্বস্তি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



কলকাতায় ঈদে একমাত্র ‘মির্জা’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতায় ঈদ নিয়ে খুব একটা মাতামাতি নেই। সিনেমা মুক্তিতেও অনীহা প্রযোজক-পরিচালকদের। তাই টালিগঞ্জের দর্শকদের জন্য ঈদ উপলক্ষে মুক্তি পেতে যাচ্ছে একমাত্র সিনেমা মির্জা। সুমিত সাহিলের পরিচালনায় এতে প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ হাজরা-ঐন্দ্রিলা সেন।

অ্যাকশন ধাঁচের গল্পে নির্মিত মির্জা ১০ এপ্রিল মুক্তির কথা ছিল। তবে ঈদ ১১ এপ্রিল হওয়ায় এক দিন পিছিয়ে নেওয়া হয়। এর কারণ হিসেবে অভিনেতা ও প্রযোজক অঙ্কুশ ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, অনেক যত্নে নির্মাণ করা হয়েছে মির্জা। এতে আমি অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায়ও রয়েছি। তাই সিনেমাটি নিয়ে আমরা বেশ আশাবাদী। সেই আশা থেকেই এক দিন পিছিয়ে ঈদের দিন মুক্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিন ফেস্টিভ্যাল থাকায় আশা করছি দর্শকদের ভালো রেসপন্স পাব। তবে অঙ্কুশের মির্জাকে যুদ্ধ করতে বলিউড দুই সিনেমার সঙ্গে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী ১০ এপ্রিল ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলিউডের সিনেমা বড়ে মিয়া ছোটে মিয়াময়দান। যার কারণে কলকাতাও সেভাবে হল পাচ্ছে না মির্জা

সিনেমায় অঙ্কুশ ও ঐন্দ্রিলা ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন ঋষি কৌশিক, কৌশিক গাঙ্গুলি, শোয়েব কাবির, জিমি ব্যানার্জি, প্রিয়া মণ্ডল ও শঙ্কর দেবনাথ।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিতব্য ঈদের ৫ জামাতের সময়-সূচি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এ বছর পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাতটা থেকে পর্যায়ক্রমে জামাতগুলো অনুষ্ঠিত হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রথম জামাত সকাল সাতটায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন কারি মো.ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত সকাল আটটায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আবদুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুরের জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।


আরও খবর