একের পর এক
চমক দেখিয়ে চলেছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। সম্প্রতি এক ফ্রেমে ৪৫ হাজার গ্যালাক্সিকে
বন্দি করতে সফল হয়েছে নাসার এই অত্যাধুনিক টেলিস্কোপটি। মহাকাশে অ্যাডভান্সড ডিপ এক্সট্রা
গ্যালাকটিক সার্ভে প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ৪৫ হাজার গ্যালাক্সির ছবি ধারণ করেছে জেমস
ওয়েব।
এটি জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দ্বারা ধারণ করা সবথেকে অবিশ্বাস্য চিত্রগুলির মধ্যে একটি। খালি চোখে মনে হবে এটি একটি তারার মেলা, যে তারা ছায়াপথ গুলিকে পূর্ণ করেছে। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের আগে একমাত্র হাবল টেলিস্কোপ দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল আকাশের এই মহিমা।
আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল পৃথিবীর আধা-চাঁদের!
৩২ দিন ধরে
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এই প্রোগ্রামটি চালিয়ে গিয়েছে মহাকাশে। নাসার অত্যাধুনিক
এই টেলিস্কোপের তোলা ছবি দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বুঝতে চেষ্টা করছেন জন্মলগ্নে তারা
ও ছায়াপথগুলি কীভাবে তৈরি হয়েছিল।
আসলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বেশকিছু উত্তর পেতে চাইছেন মহাকাশের রহস্য উন্মোচনে। তারা জানতে চাইছেন প্রাচীন ছায়াপথগুলি কীভাবে নিজেদের একত্র করেছিল? জানতে চাইছেন, মহাকাশে কত দ্রুত তারা বা নক্ষত্র গঠন হয়েছিল, কেন বেশকিছু ছায়াপথে নক্ষত্রের সৃষ্টি বন্ধ হয়ে যায়?
আরও পড়ুন: এবার পাঠানো মেসেজ এডিট করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপে
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের এই ছবি দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের দলটি আরও আবিষ্কার করেছে যে প্রাথমিক ছায়াপথগুলি দ্রুত নক্ষত্র গঠনের সময়কালের মধ্য দিয়ে গেছে, যেখানে ছেদ পড়েছে সেখানে তৈরি হয়েছে কম তারা।
আরও পড়ুন: আজকের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বাংলাদেশেও
এ বিষয়ে গবেষক
দলের অন্যতম অ্যারিজেনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেভিন হেইনলাইন বলেন, আগে আমরা দেখতে পেতাম
মহাবিশ্ব সৃষ্টির প্রথম দিকে ছায়াপথগুলি ছোটো ছোটো দাগের মতো। এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি
তাদের মধ্যে কিছু দৃশ্যমান কাঠামো রয়েছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি নক্ষত্রগুলি কয়েকশ মিলিয়ন
বছর পরে জন্মগ্রহণ করেছে।