আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এক দশকে বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে ২৫ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
অলিউল্লাহ্ ইমরান, বরগুনা

Image

বাংলাদেশে প্রতি বছর পানিতে ডুবে প্রায় ১৪ হাজারেরও বেশি শিশু মারা যায়। গত এক দশকে বিশ্বব্যাপী পানিতে ডুবে ২৫ লাখেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যা ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ।

গ্রামে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। পানিতে ডুবে বেশির ভাগ শিশুদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে থেকে আশে-পাশের জলাশয়ে। শহরের শিশুরাও বেড়াতে গিয়ে এমন করুণ মৃত্যুর শিকার হয়।

স্কুল পড়ুয়া শিশুদের সচেতন, ইতোমধ্যে মারা যাওয়া শিশুদের পরিবার ও সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে, এই সময়ে বাবা-মা সবাই কাজে ব্যস্ত থাকেন। বাবা-মায়ের কাজের ফাঁকে চোখের আড়ালে বাড়ির নিকটবর্তী পুকুর কিংবা জলাশয়ে পড়ে শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি বরগুনার সাংবাদিকদের নিয়ে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু বিষয়ক প্রশিক্ষণে এসব তথ্য জানায় সোসাইটি ফর মিডিয়া এ্যান্ড সুইটাবেল হিউম্যান কমিউনিকেশন টেকনিকস (সমষ্টি)। 

সন্তুষ্টির করা জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বেশির ভাগ শিশু মারা যায় সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১ টার মধ্যে এবং মায়ের ১০০ গজ দূরত্বের মধ্যে। বাংলাদেশে প্রতিদিন অন্তত ৫০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। আর বেশিরভাগ শিশু যারা ইতোমধ্যে পানিতে ডুবে মারা গেছে তারা সবাই অস্বচ্ছল দরিদ্র পরিবারের।

সংস্থাটির পরিচালক রেজাউল হক শাহিন বলেন, প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে এই মৃত্যু কমানো সম্ভব। পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যুর কারণ, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, অভিভাবকদের ভূমিকা, সতর্কতা এবং আত্মরক্ষায় সাঁতার ও সচেতনতার লক্ষ্যে বরগুনা সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করছি।

তিনি আরও বলেন, এই কাজে মিডিয়ার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ সংক্রান্ত সংবাদ তৈরি, সচেতনতা সৃষ্টি এবং ওয়াচ ডগ হিসেবে সাংবাদিকদের নিয়ে আমরা কাজ শুরু করেছি।

এ বিষয়ে প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির ইইসিডি প্রকল্পের গবেষক তারিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যু কমাতে হলে সন্তানকে অবশ্যই সাঁতার শেখানোর কোনো বিকল্প নেই।

এদিকে বরগুনা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে বরগুনায় গত ৫ বছরে ১১৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। এর মধ্যে ২০১৮ সালে ২৫, ২০১৯ সালে ৩৪, ২০২০ সালে ২৮, ২০২১ সালে ১৬ ও ২০২২ সালে ১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, একদিকে শিশুদের অভিভাবকদের সচেতনতার অভার অন্য দিকে অধিকাংশ পরিবারের বাড়ির উঠানে বড় বড় পুকুরসহ আশেপাশে খাল, নদী ও জলাশয় থাকায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু থামছেই না। এ মৃত্যু কমাতে সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে প্রতি বছর আন্তজার্তিক দিবস পালিত হচ্ছে। এ দিবসের মাধ্যমে অনেক বাবা-মাসহ অভিভাকরা সচেতন হচ্ছেন। এভাবে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে সবাই সচেতন হলেই পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে শিশুর সুরক্ষা এবং মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ইনটেগ্রেটেড কমিউনিটি বেইজড সেন্টার ফর চাইল্ড কেয়ার, প্রটেকশন অ্যান্ড সুইম-সেইফ ফেসিলিটিজ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সারা দেশে ১৬ টি জেলার ৪৫ টি উপজেলায় ৮ হাজার শিশু-যত্নকেন্দ্র পরিচালনা করা হবে। এসব যত্নকেন্দ্রে কাজ পাবে ১৬ হাজার গ্রামীণ নারী। প্রতিটি যত্নকেন্দ্রে ২৫ শিশুকে ভর্তি করা হবে। একই সঙ্গে ৬-১০ বছর বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখানো হবে।


আরও খবর



৩০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ইউজিসির সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এসব বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য ছাড়াই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈধ কোনো কর্তৃপক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। ফলে ভর্তি হয়ে কেউ প্রতারিত হলে ইউজিসি কোনো দায়-দায়িত্ব নেবে না বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত সতর্কীকরণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১১৪টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৪টিতে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য রয়েছেন। এ ছাড়া অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে ৩০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রপতির নিয়োগ করা উপাচার্য নেই। ইউজিসি বারবার নির্দেশ দিলেও তা মানছে না এসব বিশ্ববিদ্যালয়।

ইউজিসি জানিয়েছে, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ ও কমিশনের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রাম বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে অননুমোদিত/অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকার জন্য কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একাধিকবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেট-এ স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যর নিয়োগ করা ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

আরও বলা হয়েছে, কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের উপর বর্তাবে না।

ইউজিসির সবশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস না থাকা, অনুমতিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়াসহ নানা আইনভঙ্গের কারণে ইবাইস ইউনিভার্সিটি, আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার সনদের কোনো বৈধতা নেই। ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ। আর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতেও সতর্কতা দিয়েছে ইউজিসি।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া রয়েছে। এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত বিভাগের অনুমোদন আছে কি না-সেটিও ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেখে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মঞ্জুরি কমিশন।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




বাংলাদেশকে ৪৯৫ টাকায় গরুর মাংস দিতে চায় ব্রাজিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশকে ৪৯৫ টাকায় গরুর মাংস দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ব্রাজিল। আগামী রবিবার (৭ এপ্রিল) ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউরো ভিয়েরা দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসবেন। তখন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে বলে কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। ২০২৩ সালে বিশ্বের ১২৬টি দেশে গরুর মাংস রপ্তানি করেছিল ব্রাজিল। গত বছর ব্রাজিল ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ।

ঢাকা ও ব্রাজিলের কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মাউরো ভিয়েরার সফরকে সামনে রেখে গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। এ সময় তিনি গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়টি আলোচনায় তুলেছেন। ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সে দেশের গরুর মাংস রপ্তানিকারক সমিতির একাধিক জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধির ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।

দুই দিনের সফরে ঢাকা এসে আগামী রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন মাউরো ভিয়েরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এই প্রথম ব্রাজিলের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকা সফরে আসছেন।

বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার বিষয়ে ব্রাজিল এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১১৮টি দেশের সঙ্গে একটি রূপরেখা চুক্তি সই করেছে। এবারের সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে কারিগরি সহযোগিতার ওই রূপরেখা চুক্তি সই হবে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, চুক্তিতে কোন কোন খাতে সহযোগিতা হবে, তা চিহ্নিত করা হবে। পরে নির্দিষ্ট খাতের আওতায় প্রকল্প নিয়ে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে ব্রাজিলের কারিগরি সহযোগিতার রূপরেখা চুক্তিতে রয়েছে কৃষি, জ্বালানি, পানিসম্পদ, বনায়ন, শিক্ষ ও মৎস্যসম্পদ খাত।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, ব্রাজিলের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম ঢাকা সফরে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ই মূলত প্রাধান্য পাবে। ব্রাজিলের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য তিন বছরের মধ্যে ১৫০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে এ মুহূর্তে ২৭০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ভোজ্যতেল, চিনি ও তুলার আমদানিতে অধিকাংশ ব্যয় হয়েছে। ব্রাজিলের পক্ষ থেকে এ সফরে ইথানল রপ্তানি, তুলার রপ্তানি বাড়ানো, পোলট্রি ও ফিশ ফিড ও গরুর মাংস রপ্তানির বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।


আরও খবর



ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদত পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে  গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মিরা।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।

শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব।  তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই  নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭২৮-৩২৫১৫০ নম্বরে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।


আরও খবর



আ.লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ : কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সামনে উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে।

মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনেরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনও নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হউক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।


আরও খবর



বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে: ছাত্রলীগ সভাপতি

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেছেন, বুয়েটের রাজনৈতিক কাঠামো বুয়েট ঠিক করবে, তবে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। রোববার (৩১ মার্চ) বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ফেরাতে শহিদ মিনারে ছাত্রলীগের সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এই কথা বলেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নাটক বন্ধ করতে হবে। কোন ক্যাম্পাসে যাওয়াটা মৌলিক অধিকার। অনুমতি নেয়ার দরকার নেই। কোথাও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের নিয়ম নেই। থাকলেও তা সংবিধান বিরোধী। বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি চালু করতে হবে। ছাত্র সংসদ নিবাচন দিতে হবে। বুয়েটে ইতিয়াজ রাব্বির সিট ফিরিয়ে দিতে হবে।

রোববার সকাল ১১ টায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা শুরু হয় বেলা ১২ টায়। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

মৌলবাদী গোষ্ঠীর কালো ছায়া থেকে মুক্ত করে বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতির দাবিতে এবং বুয়েট কর্তৃক গৃহীত সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার পরিপন্থী শিক্ষাবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ সমাবেশ করছে ছাত্রলীগ।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বাঙলা কলেজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগসহ আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সমবেত হন।

এ সময় নেতাকর্মীদের মৌলবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, শিবিরের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, জায়ামাত-শিবির-রাজাকার, তাড়াতাড়ি বাংলা ছাড়, শিবিরে আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।


আরও খবর