আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

এক দিনেই সব অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করেন বেনজীর ও পরিবার?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

অবৈধ সম্পদের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনুসন্ধান শুরু করতেই এক দিনের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে নিজেদের অ্যাকাউন্টের সব টাকা তুলে নেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানরা।

এ ব্যাপারে হাইকোর্টে দাখিলের জন্য প্রস্তুত করা দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদনে দেখা যায়, বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যরা এক দিনেই তাদের প্রায় সব অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করেন। তাদের নামে মোট ১১৬টি অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে। এসব অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

এর মধ্যে অনেক অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে। ৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন ও সংশ্লিষ্ট তথ্য- উপাত্তসহ মোট ৪২ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন হাতে এসেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য গত ১৮ এপ্রিল তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। ১৯ ও ২০ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় এই কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে ২১ এপ্রিল।

এদিকে এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ এপ্রিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ বেনজীরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু এবং দুই মাসের মধ্যে অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের দিনই বেনজীর আহমেদ-ও তার স্ত্রী-সন্তানরা বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের ১১৬টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে অন্তত ৪০টি অ্যাকাউন্ট থেকে অর্ধশত কোটি টাকা উত্তোলন করেন।

এর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক করপোরেট শাখায় বেনজীর আহমেদ তার অ্যাকাউন্ট (নম্বর-১০১৬০০০৮২০১) থেকে ৩ কোটি ৩ লাখ ২ হাজার ৮১২ টাকা তুলেছেন। তার স্ত্রী জিশান মির্জা একই শাখার অ্যাকাউন্ট (নম্বর- ১০৩০৫৭৩৯২০১) থেকে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৫ হাজার ১৪ টাকা উঠিয়ে নেন। তাদের মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর তুলে নেন ১৬ লাখ ৭০ হাজার ৮৮৬ টাকা।

এরপর দুদকের অনুসন্ধানকারী দল বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের অর্থসম্পদের তথ্য চেয়ে ২৮ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক, রাজউক, বিভিন্ন ভূমি অফিস, সাব- রেজিস্ট্রি অফিসসহ ৪৬টি দপ্তরে চিঠি পাঠায়। এরপর ২৯ ও ৩০ এপ্রিল বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানরা তাদের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলেন ও বিদেশে পাঠান।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ২৯ এপ্রিল সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিস থেকে বেনজীর আহমেদ ০০০২৬০২০০৫৬৫৮ অ্যাকাউন্ট থেকে বহির্গামী লেনদেন নিষ্পত্তির (আউটওয়ার্ড ক্লিয়ারিং) মাধ্যমে মোট ৬ কোটি ৭ লাখ টাকা পাচার করেন। এ ছাড়া ৩০ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের একই শাখা থেকে নগদ আরও ১৪ লাখ টাকা ওঠানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং তাদের মেয়ে ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর, তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীর ও নাবালিকা মেয়ে যাইরা যারীন বিনতে বেনজীরের মালিকানায় জমি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, রিসোর্ট, বাংলোসহ বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পদ রয়েছে। তাদের নামে চলতি, সঞ্চয়ী, স্থায়ী আমানত, বৈদেশিক মুদ্রাসংক্রান্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গেছে ১১৬টি। এসব অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছে।

অনুসন্ধান শুরুর পর দ্রুততম সময়ে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা ওঠানো হয়েছে। জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে নিবন্ধিত পূর্ণ ও আংশিক মালিকানাধীন কয়েকটি কোম্পানি পাওয়া গেছে। যেগুলোতে কোটি কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে। একাধিক ব্রোকারেজ হাউসে তাদের নামে বেশ কয়েকটি বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট ও তাতে অনেক লেনদেন পাওয়া গেছে।

অনুসন্ধানে আরও বলা হয়, দলিলে উল্লেখ করা মূল্য অনুযায়ী বেনজীর আহমেদের ৯ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৫ টাকা, তার স্ত্রী জিশান মির্জার ২১ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার ৪৩ টাকা, মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীরের ৮ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৬ টাকা ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের ৪ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৮ টাকার স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।

নিরপেক্ষ প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞ দিয়ে এসব জমির মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এসব সম্পদের মূল্য বহুগুণ বাড়বে। এ ছাড়া দলিলে বেনজীর আহমেদের নামে বান্দরবানে ২৫ একর জমি, মুন্সীগঞ্জে ১৪ কাঠার দুটি প্লট, তার স্ত্রী জিশান মির্জার নামে উত্তরায় বিলাসবহুল ৭ তলা বাড়ি, আদাবরে পিসিকালচার হাউজিংয়ে ৬টি ফ্ল্যাটের কোনো মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি।

এসব সম্পত্তি লিজ ও অপ্রত্যাহারযোগ্য আমমোক্তারনামা দেখানো হয়েছে। এসব সম্পত্তিরও মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে। এসব অর্থসম্পদ আদালতের নির্দেশে ক্রোক ও ফ্রিজ করা হয়েছে। সেগুলোতে রিসিভার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের আয়কর নথি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া তাদের নামে-বেনামে ও বিদেশে থাকা অর্থসম্পদেরও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের দুই দফা তলব করা হলেও তারা হাজির হননি। ছোট মেয়ে যাইরা যারীন নাবালক হওয়ায় তাকে তলব ও সম্পদের নোটিশ পাঠানো হয়নি। প্রতিবেদনের ফরোয়ার্ডিংয়ে উল্লেখ করা হয়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নম্বর ৪৪২৫/২০২৪ সংশ্লেষে ২৩ এপ্রিলের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে, অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য পাঠানো হলো।

প্রতিবেদনটি দিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (মানি 'লন্ডারিং) মো. আনোয়ার হোসেন। বর্তমানে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রতিবেদন আগামী রবিবার অথবা সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান চলাকালে বেনজীর আহমেদ গত ৪ মে সপরিবারে দেশ ছাড়েন। তিনি ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশের মহাপরিদর্শক ছিলেন। এর আগে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত র‌্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হিসেবেও দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেন।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২২৮

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে চলতি বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যু হলো ৭৪ জনের। এদিন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২৮ জন।

যার মধ্যে ঢাকার ১২০ জন, চট্টগ্রামের ৫০ জন, বরিশালের ৪২ জন, খুলনার ৯ জন, ময়মনসিংহের ছয় ও রাজশাহীর এক জন।

বুধবার ২৩৩ রোগী শনাক্তের সংবাদ দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু বিষয়ক প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এদিন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে ১৩৮ জন পুরুষ ও ৯০ জন নারী।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আট হাজার ৯৩০ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা চার হাজার ৪৫৩ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন চার হাজার ৪৭৭ জন।

দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন। বছরের বিভিন্ন সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর মধ্যে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।

২০২২ সালে ডেঙ্গুতে দেশে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন।

২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে এডিস মশাবাহী এই রোগে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। সে বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলো।


আরও খবর
সেপ্টেম্বরে ভয়াবহ পর্যায়ে যেতে পারে ডেঙ্গু

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মৃত্যু

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




যমুনা নদীতে রেলসেতুর কাজ শেষ পর্যায়ে, চালু হতে পারে ডিসেম্বরে

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

যমুনা নদীর ওপর দেশের দীর্ঘতম রেলওয়ে সেতুর কাজ ৯৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে কাজটি শেষ করে উদ্বোধনের পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ।

জাপান এবং বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নির্মাণাধীন এই সেতুতে সব কটি স্প্যান বসানো শেষ হয়েছে। সেতুটির টাঙ্গাইলের অংশের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে এবং সিরাজগঞ্জের পশ্চিম প্রান্তেও কাজ শেষের দিকে।

ডুয়েল গেজ ডাবল ট্র্যাকসহ এ রেলসেতুর সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে যমুনার দুই প্রান্তে দুটি ভাগে কাজ হচ্ছে। টাঙ্গাইল প্রান্তে ২৭ পিলার এবং সিরাজগঞ্জ প্রান্তে ২৩ পিলারসহ ৫০ পিলারের নির্মাণকাজ দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী আর কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে চলছে।

সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম স্টেশন আধুনিকায়নের কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে। রেলসেতুটি হবে ডাবল লাইনের। এ সেতু দিয়ে ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে প্রতিদিন অন্তত ৮৮টি ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

যমুনা রেলসেতু প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে রেলসেতুর কাজ প্রায় ৯৪ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে সেতুর পশ্চিমপাড়ের স্টেশন ও প্ল্যাটফর্মের কিছু কাজ চলমান রয়েছে। এ ছাড়া সেতুর ওপরে পশ্চিমপাড়ের অংশে কিছু লেভেলিং অ্যালাইমিং ও ট্র্যাক বসানোর কাজ রয়েছে। কাজগুলো শেষ হলে টেস্টিং করার পর কমিশনিংসহ ট্রেন চালু করার কিছু নিয়ম শেষ করে ডিসেম্বরের দিকে উদ্বোধন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, যমুনা রেলসেতু নির্মাণে প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। কিন্তু পরে এর মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়। এতে প্রকল্পের ব্যয়ও বৃদ্ধি করা হয়। পরে ব্যয় বেড়ে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা দাঁড়ায়। এর মধ্যে দেশীয় অর্থায়ন ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের ৭২ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এদিকে, রেলসেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে একদিকে যেমন গোটা দেশ রেল যোগাযোগের একটি নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। অপরদিকে উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগ খাতে সড়কপথের পাশাপাশি রেল যোগাযোগে আমূল পরিবর্তন ঘটবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এই রেলসেতু চালু হলে বাড়বে যাত্রীসংখ্যাও। পণ্য পরিবহনে নতুন মাত্রা যোগ হবে।


আরও খবর



মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে: রনি

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৭ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে টকশো, ইউটিউব কিংবা ফেসবুক সর্বত্র সরব থাকেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কলামিস্ট গোলাম মাওলা রনি। দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়েও তিনি নিয়মিত জাতিকে আপডেট রাখার চেষ্টা করছেন। এরই অংশ হিসেবে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার বেলা ২টা ২৮ মিনিটে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেছেন, সারা দেশে কি হচ্ছে। মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। সমস্যা সমাধানের পরিবর্তে মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে নতুন খেলা শুরু হয়েছে।

জনাব সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, পলকের বিরুদ্ধে গণরোষ তুঙ্গে। কিন্তু তাই বলে তাদেরকে যেভাবে অপমান করে গ্রেফতার, আদালতে নেয়া, লোক লেলিয়ে অপমান করা এটা মেনে নেয়া যায় না। এগুলো মন্দ কাজ এবং ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।

মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান কোনো দিন ডিজিএফআইয়ের সঙ্গে ছিলেন না। তাকে বলা হচ্ছে আয়নাঘরের কারিগর। অথচ জেনারেল আকবর, জেনারেল আবেদীন সম্পর্কে টু শব্দটি নেই।


আরও খবর



আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) হামলার প্রতিবাদ ও নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম।

রোববার বিকেল ৩টার দিকে প্রথমে মেডিকেলের সভাকক্ষে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। সেখানে ঢামেক হাসপাতালের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। পরে পৌনে ৪টার দিকে হাসপাতালে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূর জাহান বেগম। তিনি পরিচালকের কক্ষে চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়কও তাতে অংশ নেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো জায়গায় কিছু হলেই চিকিৎসকদের ওপর হামলা হয়। এটা আমার কাছে খুব খারাপ লাগে। আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আমিও সমব্যথী।

তিনি বলেন, আমি আপনাদের মায়ের মতো, মায়ের কাছে কিছু লুকাতে নেই। আপনারা বলেন, আমি স্বাস্থ্য খাতের সংস্কার করতে চাই।

এর আগে দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার অঙ্গীকার করে চিকিৎসকদের দেওয়া কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।

চিকিৎসকদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়ে নুরজাহান বেগম বলেন, দুটি আলাদা তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে।

ঢামেক হাসপাতালে শনিবার রাতে তিন দফায় হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এরপর রাতেই কাজ বন্ধ করে দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। অন্য ডাক্তাররা তাদের কর্মবিরতিতে সংহতি জানালে রোববার সকাল থেকে হাসপাতালের সব বিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ হয়ে যায়।


আরও খবর



ঐতিহাসিক সিরিজ জিততে বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৮৫ রান

প্রকাশিত:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | হালনাগাদ:সোমবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের বিরাট ব্যবধানে জয়। এবার দ্বিতীয় টেস্টেও পাকিস্তানকে নাগালে রেখেছে সফরকারী বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনে পাকিস্তানকে ১৭২ রানে অলআউট করেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এতে প্রথম ইনিংস ১২ রানে এগিয়ে থাকায় পাকিস্তান লিড পেয়েছে ১৮৪ রান।

অর্থ্যাৎ, দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে হারাতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৮৫ রান। আর সেটা হলে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ। 

গতকাল দিনশেষে ২ উইকেটে ৯ রান দিন পাকিস্তান আজ বাকি ৮ উইকেটে তুলেছে ১৬৩ রান। পাকিস্তান ইনিংসে ৬ চার এবং এক চারের সাহায্যে সর্বোচ্চ ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন আগা সালমান। এছাড়া ৪৩ রান করেছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

অন্যদিকে বাংলাদেশ বোলিং অ্যাটাকে দুর্দান্ত জুটি গড়েছেন হাসান মাহমুদ এবং নাহিদ রানা। গতকাল পাকিস্তানের জোড়া উইকেট নেওয়া হাসান মাহমুদ আজ নিয়েছেন আরো ৩ উইকেট। টেস্টে প্রথমবারের মতো এক ইনিংসে ৫ উইকেটের দেখা পেলেন ডানহাতি এই পেসার। এর মধ্য দিয়ে মেহেদি হাসান মিরাজের পর রাওয়ালপিন্ডির অনার্স বোর্ডে ৫ উইকেট তুলে নাম লেখালেন আরো এক বাংলাদেশি। ব্যাটিংয়ে অবশ্য সেঞ্চুরি করে নাম লিখিয়েছেন মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস।

হাসানের মতো বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন তরুণ নাহিদ রানা। ১১ ওভারে এক মেডেনসহ ৪৪ রান খরচায় নাহিদের শিকার ৪ উইকেট। এছাড়া ১ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। পাকিস্তান ইনিংসের ১০ উইকেটই নিয়েছেন টাইগার পেসাররা।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪