পল্লী এলাকার তুলনায় শহরে অস্ত্রপচারের
মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা
প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় বেশি। এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো
(বিবিএস)। সম্প্রতি বিবিএসসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল
স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে অস্ত্রপচারের
মাধ্যমে বেড়েছে সন্তান জন্মদানের হার। দেশে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয় ৪৯ দশমিক
৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম
হয় ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, পল্লী এলাকার চেয়ে
শহর এলাকায় অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় বেশি। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে
পল্লী এলাকায় স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২২ সালে ছিলো ৬১ দশমিক ৫
শতাংশ আর ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে ২০২২ সালের তুলনায়
বেড়েছে অস্ত্রপচারের হার। পল্লী এলাকায় ২০২২ সালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম
হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকার চিত্র ঠিক
বিপরীত। শহর এলাকায় ২০২২ সালে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয়েছে ৪৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে
এই হার কমে হয়েছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর এলাকায় ২০২২ সালে যেখানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে
সন্তান জন্ম হয়েছে ৫৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ।
পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা
প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ২০২২ সালে ছিলো ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে
বেড়ে এই হার হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর বিপরীতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে
সন্তান জন্ম হয় ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এই হার ছিলো ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বাসাবাড়িতে
সন্তান জন্মদানের হার ২০২২ সালের চেয়ে কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
পল্লী এবং শহর এলাকাতেও বেড়েছে বেসরকারি
স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার। পল্লী এলাকায় এই হার ৩৮ দশমিক ৮৪
শতাংশ আর শহর এলাকায় এই হার ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া এই পরিসংখ্যান অনুযায়ি দেশে ২০২২
সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে জীবিত সন্তান জন্মদানের হার। ২০২২ সালে এই হার ছিলো
৮৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।