আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

এইচএসসির ফল প্রকাশ আজ, জানবেন যেভাবে

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশ করা হবে। সকালে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে নিয়ে এ পরীক্ষার ফলের সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন। এরপর দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন। তবে তার আগেই বেলা সাড়ে ১১টা থেকে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফলাফল আপলোড করা হবে। এ সময় থেকে যে কেউ রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএস করে ফল দেখতে পারবেন।

করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় গত ৬ নভেম্বর সারাদেশে স্বাভাবিক পরিবেশে শুরু হয় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীন মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখের কিছু বেশি।

এ পরীক্ষার ফল প্রকাশে ৭-৯ ফেব্রুয়ারি সম্ভাব্য সময় উল্লেখ করে শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। মন্ত্রণালয় থেকে সে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠালে তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি ফলাফল প্রকাশের জন্য সময় নির্ধারণ করেন। প্রধানমন্ত্রী সময় নির্ধারণ করার পর শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বিষয়টি জানানো হয়।

যেভাবে জানা যাবে ফলাফল

মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসেই ফল পাওয়া যাবে।

আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২২ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফল জানানো হবে।


আরও খবর



দু’দিন ধরে যোগাযোগ বন্ধ, উৎকণ্ঠায় জিম্মি নাবিকদের পরিবার!

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

সোমালি জলদস্যুরা এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি ছিনতাই করার পর প্রথম দিকে জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দিলেও গত দুই দিন ধরে সেটি বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) থেকে রবিবার (১৭ মার্চ) পর্যন্ত জিম্মি নাবিকদের কাছ থেকে আর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু সাইদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবারের পর থেকে আজ পর্যন্ত জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাই নাবিকরা এখন কেমন আছেন, জাহাজে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা এসব বিষয়ে আমরা কোনো তথ্য পাচ্ছি না।’

জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাদের স্বজনরা। তারা বলছেন, প্রথম দিকে স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ দিলেও এখন কেন দিচ্ছে আমরা বুঝছি না। এটি নিয়ে আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। এটি ভারতীয় নৌবাহিনীসহ ইইউর অভিযানের কারণে নয়তো? অন্যদিকে ছিনতায়ের পর ছয়দিন পার হতে চললেও এখনও মুক্তিপণ চেয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি জলদস্যুরা। তাই জিম্মি নাবিকদের উদ্ধারে তৎপরতাও শুরু করতে পারছে না মালিকপক্ষ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার এডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম গত শনিবার (১৬ মার্চ) জানান, সোমালিয়ার জলদস্যুরা যখন বাংলাদেশি জাহাজ জিম্মি করে সে সময় ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি জাহাজ অভিযান চালানোর জন্য বাংলাদেশের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু জাহাজটিতে থাকা নাবিক, ক্রু এবং অন্যদের প্রাণনাশের আশঙ্কার কথা ভেবে বাংলাদেশ সরকার অভিযানের অনুমতি দেয়নি।

এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলামের স্ত্রীর ভাই শিবলি মাহমুদ বলেন, মঙ্গলবার সর্বশেষ আমাদের সঙ্গে তৌফিকুল ইসলামের যোগাযোগ হয়। তখন জানিয়েছিল সোমালিয়ান জলদস্যুরা জাহাজটি ছিনতাই করে সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে। এরপর গত পাঁচদিন ধরে তার সঙ্গে আমাদের আর যোগাযোগ হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, যোগাযোগ না হওয়ায় আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি। বিশেষ করে যখন শুনেছি ভারতীয় নৌবাহিনী এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে, হাইজ্যাক হওয়া মালটার একটি জাহাজ উদ্ধারের সময় ৩৫ জন জলদস্যুকে আটকের ঘটনা আমাদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জলদস্যুরা এখন জিম্মি নাবিকদের নির্যাতন করতে পারে।’

একই ধরনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের থার্ড অফিসার তারিকুল ইসলামের বড় ভাই আলমগীর হোসেন। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার যে যোগাযোগ হয়েছে এরপর আমাদের সঙ্গে আমার ভাইয়ের আর যোগাযোগ হয়নি। গত দুই দিন তার কাছে থেকে কোনো বার্তা পাইনি। তাই জিম্মি অবস্থায় এখন তারা কেমন আছে সেটি উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় আছি। খবর শোনার পর থেকে আমার মা অনবরত কাঁদছেন। ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় ঠিক মতো খাওয়া দাওয়াও করছেন না। জিম্মি জাহাজ উদ্ধারের খবর শুনে আমরা আরও বেশি দুশ্চিন্তায় আছি।’

গত ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় দুপুরে জাহাজ থেকে বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়, আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুর কবলে পড়েছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। এরপরপরই জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় জাহাজটি। এরপর সেখান থেকে জাহাজটিকে চালিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে সোমালিয়ার গারাকাদ বন্দরের কাছে নোঙর করে। এরপর শুক্রবার জাহাজটির নোঙর তুলে ফেলা হয় এবং দুপুর থেকে সেটিকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

সন্ধ্যা পর্যন্ত জাহাজের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) পক্ষ থেকে এমভি আব্দুল্লাহর সর্বশেষ অবস্থান জানানো হয়েছে।

বিএমএমওএ’র সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, গতকাল জাহাজটি যেখানে নোঙর করা ছিল, সেখান থেকে আজ ৪৫-৫০ নটিক্যাল মাইল উত্তর দিকে সরিয়ে সোমালিয়ার গদবজিরান উপকূলে নেওয়া হয়েছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে আমরা তথ্য পেয়েছি বর্তমানে গদবজিরান শহর থেকে ৪ নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করা হয়েছে।’

জিম্মি নাবিকদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ওই জাহাজে থাকা ২০ জন জলদস্যু জাহাজের ক্যাপ্টেনকে বাধ্য করেছে নোঙর পরিবর্তন করে নতুন জায়গায় গিয়ে নোঙর করতে। অবস্থান পরিবর্তনের সময় জাহাজ পরিচালনা করেছেন জাহাজের ক্যাপ্টেন এবং নাবিকরা। কিন্তু তাদের জাহাজ মুভ করতে হয়েছে জলদস্যুদের কথা অনুযায়ী।

বাংলাদেশ থেকে শনিবার দুপুরে জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা একজন ক্যাপ্টেন বলেন, এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজটি নতুন জায়গায় গিয়ে নোঙর করার আগে আমরা সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে। এরপর পুনরায় যোগাযোগ করার কথা থাকলেও নতুন অবস্থানে যাওয়ার পর থেকে নাবিকদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গত দুই দিন নাবিকদের কাছ থেকে আর কোনো সাড়া পাইনি।’

অন্যদিকে গত ছয়দিনে মুক্তিপণ চেয়ে জলদস্যুরাও যোগাযোগ করেনি। এ সস্পর্কে জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা মুক্তিপণ চেয়ে যোগাযোগ করেনি। তাই জিম্মি নাবিকদের মুক্ত করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে জলদস্যুরা যোগাযোগ না করলেও আমরা বসে নেই। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, জলদস্যুরা যোগাযোগ করলে যাতে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে নেওয়া যায়।


আরও খবর



অর্ধেকের বেশি শিশুর জন্ম অস্ত্রোপচারে, পল্লীর তুলনায় এগিয়ে শহর

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

পল্লী এলাকার তুলনায় শহরে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় বেশি। এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো (বিবিএস)। সম্প্রতি বিবিএসসের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে বেড়েছে সন্তান জন্মদানের হার। দেশে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয় ৪৯ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ। আর অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০২২ সালে ছিলো ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ।

পরিসংখ্যানে অনুযায়ী, পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকায় অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয় বেশি। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে পল্লী এলাকায় স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্মদানের হার কমেছে। ২০২২ সালে ছিলো ৬১ দশমিক ৫ শতাংশ আর ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৫১ দশমিক ৬ শতাংশ। পক্ষান্তরে ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে অস্ত্রপচারের হার। পল্লী এলাকায় ২০২২ সালে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৪ শতাংশ।

পল্লী এলাকার চেয়ে শহর এলাকার চিত্র ঠিক বিপরীত। শহর এলাকায় ২০২২ সালে স্বাভাবিকভাবে সন্তান জন্ম হয়েছে ৪৭ শতাংশ। ২০২৩ সালে এই হার কমে হয়েছে ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ। শহর এলাকায় ২০২২ সালে যেখানে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম হয়েছে ৫৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ২০২২ সালে ছিলো ৩২ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে এই হার হয়েছে ৩৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এর বিপরীতে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্ম হয় ২৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ, ২০২২ সালে এই হার ছিলো ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ। আর বাসাবাড়িতে সন্তান জন্মদানের হার ২০২২ সালের চেয়ে কমে হয়েছে ৩২ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

পল্লী এবং শহর এলাকাতেও বেড়েছে বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে সন্তান জন্মদানের হার। পল্লী এলাকায় এই হার ৩৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ আর শহর এলাকায় এই হার ৪৩ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া এই পরিসংখ্যান অনুযায়ি দেশে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বেড়েছে জীবিত সন্তান জন্মদানের হার। ২০২২ সালে এই হার ছিলো ৮৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে ৮৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ।


আরও খবর



রূপগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) প্রতিনিধি

Image

রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৮ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামের হাজীবাড়ির সামনে এ সংঘর্ষ হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধরা হলেন-আকবর (২৪), তাজেল (৩৬), জয়নাল (৩৫), শামীম (২৫), মুক্তার হোসেন (৬০), নুর হোসেন (২৪), আরিফ (৯) ও রোমান (২০)।

জানা যায়, বিভিন্ন আবাসন কোম্পানির পক্ষে জমি বেচাকেনা ব্যবসা ও দখল নিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তার ভাই নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমানের সমর্থকদের সঙ্গে সাবেক ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা এই দুই পক্ষের মধ্যে প্রায় সময়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এরই জেরে রবিবার রাতে রফিকুল ইসলামের এক অনুসারীকে মোশারফের অনুসারীরা পিটিয়ে আহত করেন। এ ঘটনার জেরে সোমবার সকালে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

চিকিৎসকের বরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর (ইনচার্জ) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ৮ জন এখানে ভর্তি আছে। আমরা আহতদের চিকিৎসা চলমান রেখেছি।

রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



নির্বাচনের বাইরে রাখার চক্রান্ত বিএনপি বুঝতে পারেনি: মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখতে ছক কষে চক্রান্ত করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর প্রথম চক্রান্ত শুরু হয়। যাতে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে জন্য নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চক্রান্ত করা হয়েছিল। আমরা বুঝতে পারিনি।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, দুই বছর আগে থেকে নকশা করে বেছে বেছে আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। আমরা বুঝতে পারিনি। বোঝার ভুল হয়েছিল। অনেক নেতা-কর্মী জেলে গেছেন একটা মামলা নিয়ে আর বেরিয়েছেন ২০-২২টা মামলা নিয়ে।

তিনি বলেন, রাজনীতি করার কারণে অনেকবার জেলে গেছি, কিন্তু এবারের মতো করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করতে পারব না। বিএনপির লোকজনের ওপর নির্যাতন ও অত্যাচার সীমা ছাড়িয়েছে। এই নির্যাতন ও অত্যাচার বর্ণনা করা যায় না। তারপরও আমাদের নেতা-কর্মীরা এখনো তাদের মনোবল হারায়নি। তারা আশায় আছে, তারা যুদ্ধ করবে এবং গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে। এ সরকারের পতন ঘটবেই, বলেন বিএনপির এ নেতা।

দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, জনগণকে কষ্ট দিতেই ক্ষমতায় টিকে আছে সরকার। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা না থাকায় এমনটা করছে তারা। সরকারের সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন। জনগণের পকেটের টাকা লুটে নিতেই বিদ্যুৎ-গ্যাস ও জ্বালানির দাম বারবার বৃদ্ধি করছে ক্ষমতাসীনরা।


আরও খবর



দেশের সবচেয়ে বড় কাপড়ের বাজারে আগুন, ৩২ দোকান ভস্মীভূত

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

দেশীয় কাপড়ের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার সেখেরচর বাবুর হাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাজারের প্রায় ৩২ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র আরও জানায়, শনিবার (১৬ মার্চ) দিবাগত রাত প্রায় একটার দিকে বাজারের জিয়াউদ্দিন মার্কেটে এই অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৮টি ইউনিটের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এই মাকের্টের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের প্রতিটিতে থ্রি-পিস এবং তোশক তৈরির কাপড় ছিলো। এসব দোকানে প্রায় ৩০-৪০ লাখ টাকার কাপড় ছিলো বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম, সেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামানসহ অন্যরা।

সেখেরচর বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামান জানান, এই বাজারে প্রায় সারে তিন হাজারের মতো দোকান ঘর রয়েছে, যেখানে শুধুমাত্র কাপড় বিক্রি করা হয়। এখন ঈদ মৌসুম তাই ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত কাপড় নিয়ে বসেছিল ঈদের বেচাকেনার জন্য। এই অবস্থায় অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেলো।


আরও খবর