আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

এই শীতে ঘুরে আসুন মৌলভীবাজারের সেরা ৫ স্থানে

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চা বাগান: সবুজ চা বাগানের গালিচা বেছানো চারপাশে। ঘন কুয়াশায় ঘেরা পথ। বিশাল হাওরের বুকে জেগে উঠছে সূর্য। এর মাঝেই পাহাড় আর টিলার ভাজে ভাজে কুয়াশার হাতছানি। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি মৌলভীবাজার জেলার বর্তমান চিত্র। কুয়াশার চাদরে ঢাকা এই অমিত সম্ভাবনার ভূমি অপেক্ষা করছে অতিথি-পর্যটকদের জন্য। মৌলভীবাজারে শুধু চা বাগানই নয়, আরও জনপ্রিয় কিছু স্থান এই শীত মৌসুমেই ঘুরে দেখার সময়।

পাথারিয়া পাহাড়: মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় পাথারিয়া পাহাড় অঞ্চল অবস্থিত। এই পাহাড়েই রয়েছে মনোমুগ্ধকর মাধবকুন্ড জলপ্রপাত। প্রায় ২০০ ফুট ওপর থেকে আছড়ে পড়া জলের স্রোত। এছাড়া এই পাহাড়ের বুক জুড়ে রয়েছে আরও অসংখ্য ছোট ছোট ঝর্ণা। যেগুলোর মধ্যে সন্ধ্যানী, মায়াবন, মায়াকানন অন্যতম। যেই দুর্গম ঝর্ণাগুলোতে বর্ষার মৌসুমে যাওয়াটা বেশ দুষ্কর। এই শীতই জায়গাটি ঘুরে দেখার উত্তম সময়। বড় বড় পাথর, ক্ষীণ জলস্রোত আর প্রশান্তিদায়ক সবুজে ঘেরা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে প্রায় সারাবছরই থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। মৌলভীবাজার হতে বড়লেখাগামী গাড়ি করে বড়লেখা পৌঁছার আগে কাঠালতলী নামক বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্বে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও পাথারিয়া বনভূমি অবস্থান।

বাইক্কা বিল: দূরদেশগুলোতে যখন শীতের কারণে বরফ বাতাসে উঠছে। তখন পাখিগুলো কোথায় আশ্রয় নেয়? পাখিগুলো ডানা জাপটে উড়ে আসে বাইক্কা বিলে। একাধারে পাখি, মাছ ও গাছগাছালির অভয়ারণ্য বাইক্কা বিল মূলত হাইল হাওরের অন্তর্ভুক্ত একটি অংশ। অগভীর এই হ্রদটিতে বিভিন্ন গাছপালার দেখা মেলে। সেই সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় জলাভূমিও। বিলের ঘেরাটোপে প্রবেশ করতেই পাখিদের মন মাতানো কলকাকলিতে মন ভরে উঠবে। যেহেতু বাইক্কা বিলে মাছ ধরা নিষেধ, বিলে থাকা মাছের ঝাঁক প্রতি বছরই পাখিদের আকর্ষণ করে। শীতকালে এখানে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় করে। তাই প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য অন্যতম পছন্দের জায়গা এই বিল। পাখি দেখতে আসেন অনেকে, বিজ্ঞানীদেরও দেখা যায় দূরবীন নিয়ে বসে পড়তে। বছরের নির্দিষ্ট কিছু সময় এখানে নৌভ্রমণের অনুমতি দেওয়া থাকে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌর শহর থেকে মৌলভীবাজার আসার মাঝ পথে বরুনা নামক এলাকায় আসলে পশ্চিম দিকে বাইক্কা বিল যাওয়ার সড়ক।

মাধবপুর লেক: শীতকালেই ফুটে ওঠে মাধবপুর লেকের মোহনীয় চেহারা। এ সময়ে সাদা পেটের বগলা পাখিও দেখা যায় এই লেইকে। মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত এই লেকটি। জলপদ্মসহ বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদে পরিপূর্ণ এই স্থানটিতে বহু ধরনের পাখিদেরও আনাগোনা রয়েছে। একেক ঋতুতে মাধবপুর লেকের যেন একেক রূপ। কারও চোখে হয়তোবা তা ধরা দিতে পারে জল-উপকথার বিচিত্র প্রাণীর আকৃতিতে।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান: দেশের অবশিষ্ট চিরহরিৎ বন এটি। প্রায় সারা বছরই এখানে পর্যটকদের ভীড় লেগে থাকে। বিরল প্রজাতির পাখি, বাঁদর, হরিণ প্রভৃতি প্রাণীদের বাসস্থান এই উদ্যান। এদেরকে এক নজর দেখার পাশাপাশি হাইকিং ও ট্রেকিংয়ের জন্যও এ বন বেশ উপযোগী। তবে সেসময় স্থানীয় একজন গাইড সঙ্গে রাখলে ভালো হয়। বিশেষ করে শীতে শিশিরের অন্য এক জাদু ছড়িয়ে পড়ে এই রেইন ফরেস্টে। হালকা কাদামাখা পথ দিয়ে একা একা হেঁটে যেতেও মন ছুঁয়ে যাবে প্রশান্তি। প্রকৃতি ধরা দেবে চোখের সীমানায়। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান মৌলভীবাজার শহর থেকে মাত্র প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত।

রিসোর্ট: বাঁশের সঙ্গে ছনের ঘর। কনকনে শীত অবহাওয়া। চারপাশে সবুজ গাছ আর পাখির কিচিরমিচির আওয়াজ। মৌলভীবাজার অসংখ্য ইকো রিসোর্টগুলোকে এভাবেই সাজানো হয়েছে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন স্থানগুলোর পাশাপাশি পর্যটকদের মন কেড়ে নেয় বিভিন্ন পাঁচ তারকা ও ইকো রিসোর্টগুলো। সুলভ মূল্য থেকে শুরু করে বিলাসবহুল সব রিসোর্ট গড়ে উঠেছে শ্রীমঙ্গলের আশেপাশে। যার মধ্যে রয়েছে শ্রীমঙ্গল উপজেলার গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট, লেমন গার্ডেন, বালিশিরা রিসোর্ট, নভেম ইকো রিসোর্টে, ওয়াটারলিলি, টি হ্যাভেন ও টিলাগাঁও ইকো ভিলেজ অন্যতম। এছাড়া মৌলভীবাজার জেলা শহরের পাশেই রয়েছে দুসাই রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা, মুক্তানগর রিসোর্ট ও রাঙাউটি রিসোর্ট। তবে এসব রিসোর্টগুলোতে যেতে হলে আগে থেকে তাদের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে শর্ত সাপেক্ষে ঘুরে দেখা যায়। চাইলে বুকিং দিয়ে কয়েকদিন থাকাও যেতে পারে। 

নিউজ ট্যাগ: মৌলভীবাজার

আরও খবর
সময় এখন ক্যাম্পিংয়ের

বুধবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩




শিশুকে শাসনের ব্যাপারে জেনে রাখুন কিছু কৌশল

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

সন্তান লালনপালন সহজ কোনো কাজ নয়। শিশুদের নতুন নতুন জিনিস শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে মা বাবাকেও শিখতে হয় একাধিক জিনিস। যেমন চূড়ান্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতেও কী করে মাথা ঠান্ডা রাখতে হয় তা জানতে হয় বাবা-মাকে। সন্তান জেদ করলে, দুষ্টামি করলে বেশিরভাগ বাবা-মাই মেজাজ হারিয়ে তাদের মারধর বা চিৎকার করেন। তাদের ধারণা, চিৎকার করে বললেই শিশু ভয় পাবে, দুষ্টামি করবে না। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর বিপরীত ঘটনা ঘটে। বাচ্চা ওই সময়ের জন্য চুপ করলেও  এমন আচরণ তাকে আরও জেদি করে তুলতে পারে। এ কারণে সন্তানকে শাসন করার ব্যাপারে কৌশলী হতে হবে।

মাথা হোক ঠান্ডা: মনে রাখবেন, চিৎকার করে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। উত্তেজনা চরমে থাকলে সবক্ষেত্রেই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সন্তানের আচরণে মাথা গরম হলে তাকে বোঝানো বা শাসনের আগে নিজের মাথা ঠান্ডা করুন।

মনে রাখবেন, আপনার সন্তান একজন শিশু। তাই তাঁকে বোঝানোর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে এলে তারপর শিশুর সঙ্গে কথা শুরু করুন।

ধীরে ধীরে কথা বলুন: শিশুরা জানে কতটা দুষ্টামি করলে বাবা-মা চিৎকার করবে। কিন্তু আপনি যদি এর বিপরীতটা করেন, তাহলে সেও একেবারে চমকে যাবে। তখন তারও মনও নিমেষে ঠান্ডা হয়ে যাবে।

ফিসফিস করে কথা বলুন: উচ্চ স্বরে কথা বললে শিশুর মনে বিরক্তি জাগতে পারে। এ কারণে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে মাথা ঠান্ডা রেখে শিশুর সঙ্গে গলা নামিয়ে কথা বলুন। এতে ভালো কাজ হবে। কারণ বাবা-মায়ের এমন আচরণে শিশু দ্বিধাগ্রস্ত হবে। তার মেজাজও ঠান্ডা হবে।

ভালোবাসা দিন : বড় হোক বা ছোট, সুন্দরভাবে কথা বললে সবাই মুগ্ধ হোন। এজন্য শিশুকে বোঝাতে মিষ্টি স্বর আর আদরের ভাষার বিকল্প নেই। উত্তেজক পরিস্থিতি শেষ করতে শিশুকে কাছে ডেকে আদর করুন। ভালো ভাবে বুঝিয়ে বলুন। শিশুর কথাও শুনুন। তাহলে তার মন শান্ত হবে।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ঘটনাবহুল ম্যাচ: সংঘর্ষ, কনকাশন, বদলি, হাসপাতালে যারা

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চট্টগ্রামে লঙ্কানদের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ঘটনাবহুল পরিস্থিতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। চোট ও কনকাশনের ঘটনা ঘটেছে, দুই খেলোয়াড়ের সংঘর্ষে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে একজনকে, হাসপাতালে নেয়ার ঘটনা ঘটেছে, সঙ্গে দ্বিতীয় ইনিংসে এসে বদলে গেছে মাঠ আম্পায়ারও।

ডাচ বাংলা ব্যাংক বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে সিরিজে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রান তুলেছে বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিম ৭ বলে ৮ রানে এবং মেহেদী হাসান মিরাজ ৭ বলে ৭ রানে অপরাজিত আছেন।

সৌম্যের কনকাশন বদলি তামিম

ম্যাচের ৪৯তম ওভারের শেষ বল। শরিফুল ইসলামের বলে জানিথ লিয়ানেগের শটে বল ডিপ মিডউইকেট দিয়ে যাচ্ছিল বাউন্ডারির দিকে। ফিল্ডিংয়ে সেই দিকে ছিলেন সৌম্য সরকার। অনেকটা দৌড়ে এসে চার ঠেকানোর চেষ্টায় বাউন্ডারির বাইরে বাজেভাবে পড়ে যান টাইগার ওপেনার।

প্রথমে বাঁ-হাঁটুতে ব্যথা পান এবং বিজ্ঞাপন বিলবোর্ডে ধাক্কা লেগে আঘাত পান ঘাড়ে। তার পরিবর্তে কনকাশন সাব হিসেবে ওপেন করতে নামেন বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। নেমেই ফিফটি তুলে নেন তামিম। বদলি তামিমকে দেখে বিস্মিত হয় লঙ্কান দল।

বিসিবির পাঠানো বিবৃতিতে ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম বলেছেন, সৌম্য একটি বাউন্ডারি বাঁচানোর চেষ্টা করেন। সেসময় বিজ্ঞাপন বিলবোর্ডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আঘাত পান। মাথায় চোট পাওয়ার কারণে ব্যথা এবং ঘাড়ে অস্বস্তি অনুভব করছেন।

হঠাৎ মাঠ আম্পায়ার পরিবর্তন

আরেকটি ঘটনা বিস্ময়ের উদ্রেক করেছে লঙ্কানদের মধ্যে। প্রথম ইনিংসে অনফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলবরো। কুশল মেন্ডিসদের ব্যাটিং শেষ হওয়ার পর হঠাৎ আম্পায়ার বদলে যায়। কেটেলবরোর পরিবর্তে মাঠে আসেন বাংলাদেশের তানভীর আহমেদ।

যখন এনামুল হক বিজয়ের সাথে তানজিদকে নামতে দেখে অবাক হন শ্রীলঙ্কার ফিল্ডাররা, ফিল্ড আম্পায়ারদের কাছে বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে গিয়ে আরও অবাক হন। দেখেন কেটলবরোর পরিবর্তে শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকতের সঙ্গে মাঠে দায়িত্ব পালনের জন্য আসছেন তানভীর।

মাঠে তানভীরকে দেখে বিস্মিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে লঙ্কানদের। ম্যাচে তানভীর ছিলেন চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে। কিন্তু তীব্র গরম ও তাপে প্রথম ইনিংস শেষ করার পর মাঠ ছাড়ার ইচ্ছাপোষণ করেন কেটেলবরো এবং দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠের দায়িত্ব পালন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।

বিজয়-অনিক সংঘর্ষ

সৌম্য সরকারের চোটের কয়েক মিনিট পর আরেকটি ঘটনা ঘটে। এবার সংঘর্ষে জড়িয়ে যান এনামুল হক বিজয় ও মাত্র ওয়ানডেতে ডাক পাওয়া বদলি খেলোয়াড় জাকের আলী অনিক।

৪৯.৫তম ওভারে তাসকিন আহমেদের করা পঞ্চম বলে প্রমোদ মাদুশানের ক্যাচ নিতে যান অনিক ও বিজয়। কেউ কারও সংকেত পাত্তা না দেয়ায় বিজয়ের কাঁধের সাথে আঘাত লাগে অনিকের মাথায়। দীর্ঘসময় মাঠে শুয়ে থাকার পর স্ট্রেচারে বাইরে নিতে হয় তাকে। পরে তাকে হাসপাতালেও নিতে হয়।

স্ট্রেচারে মোস্তাফিজও

স্ট্রেচারে মাঠ ছাড়ার ঘটনা দেখতে হয় আরও একটি। ৪৭.১ ওভারে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। বোলিংয়ের সময় মাসল-ক্রাম্প হওয়ার কারণে নিজের শেষ ওভারে একটি ওয়াইড বল করে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরে ওভারটি শেষ করেন সৌম্য সরকার।

আঙুলে চোট মুশফিকের

এসবেরও আগে আরেকটি চোটের ঘটনা দেখে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আঙুলে চোট পান উইকেটকিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এনামুল হক বিজয়ও তার আগে পায়ে আঘাত পান। যদিও দুজনে খেলা চালিয়ে গেছেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাংলাদেশি নিহত

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

মালয়েশিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় ৩ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার (০৩ মার্চ) দিনগত রাতে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরের অদূরে কাজাং কেটিএম পুনকাক উতামা জেড হিল ট্র্যাকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সেলাঙ্গর ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের (জেপিবিএম) পরিচালক ওয়ান মো. রাজালি ওয়ান ইসমাইল জানিয়েছেন যে তারা রাত ১০টা ৫৩ মিনিটে দুর্ঘটনার খবর পান। পরে দ্রুত কাজাং স্টেশন থেকে পাঁচজন কর্মীর একটি বাহিনী ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয় মেইলের প্রতিবেদনে নিহতদের বাংলাদেশি বলা হয়েছে। তবে তাদের বিস্তারিত পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি মেডিকেল টিম তাদের মৃত ঘোষণা করেছে। নিহতদের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে।

রাজালি ওয়ান ইসমাইল জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



ইফতারের পর রাজধানীতে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টি ঝরছে। কিছু এলাকায় ব্যাপক শিলাবৃষ্টিও হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে বয়ে যাচ্ছে শীতল বাতাসও। এতে শীত অনুভব হচ্ছে। তবে ঘরমুখো যাত্রী ও পথচারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) সকাল থেকে আকাশ মেঘলা ছিল। মেঘের আড়ালে মাঝে মাঝে সূর্য উঁকি দিলেও গরমের প্রভাব ছিল না। ইফতারের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে শীলাও পড়তে দেখা যায়।

বৃষ্টিতে বিপাকে পড়েন ঘরমুখো মানুষ ও পথচারীরা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে জানা গেছে, বৃষ্টি শুরু হলে অনেকে রাস্তার আশপাশের দোকানপাট, ভবন এবং বিভিন্ন স্থাপনার নিচে আশ্রয় নেন।

রমজানের শুরু থেকেই রাজধানীতে বেশ গরম অনুভূত হচ্ছিল। রোজাদারদের জন্য কখনও কখনও তা বেশ কষ্টকরও হয়ে ওঠে। এর মধ্যে মঙ্গলবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিরতি দিয়ে বৃষ্টি পড়ছে।

সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুরে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৫৬ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে। এসময় রংপুরে ৩৪, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৩৫, নীলফামারির ডিমলায় ৩০ এবং রাজধানী ঢাকায় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং অন্যদিকে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। তবে শুক্রবার থেকে বৃষ্টি একটু কমতে পারে।


আরও খবর



মুক্তিপণে সন্তুষ্ট জলদস্যুরা, কততে নির্ধারিত হল জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদের আগেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। মুক্তির পর বিমানযোগে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। একই সঙ্গে কয়লাবাহী এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিকেও দুবাইয়ে পৌঁছাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে নাবিকদের আরেকটি দলকে। জলদস্যুদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনার পর তাদের মুক্তিপণ দিয়েই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে ২৩ নাবিকসহ জাহাজটিকে।

জলদস্যুদের হাতে আটক জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তিপণের বিষয়ে কথা বলতে এরই মধ্যে জাহাজে আনা হয়েছে ইংরেজি জানা দোভাষিকে। তার মাধ্যমেই জাহাজের মালিকপক্ষ কবীর গ্রুপের সাথে দর কষাকষি করে চূড়ান্ত হয়েছে মুক্তিপণ। ফলে যে কোনো মুহূর্তে মুক্তি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক। তবে কততে নির্ধারিত হয়েছে জিম্মি জাহাজ ও ২৩ নাবিকের জীবন তা এখনো জানা যায়নি।

জানা গেছে, মুক্তিপণ আলোচনায় সন্তুষ্ট হয়েই জলদস্যুরা বুধবার থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি জাহাজে কাজ করার সুযোগও দিচ্ছে। ঈদের আগেই নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে চায় বলে জানিয়েছেন কবীর গ্রুপের মুখপাত্র মিজানুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পেলেই ২৩ নাবিককেই বিমানযোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে। আর জাহাজটিতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা দুবাইয়ের গন্তব্যে পৌঁছে দিতে জাহাজের মালিক পক্ষ কবির স্টিল এরই মধ্যে ২৩ নাবিকের আরেকটি দলকে প্রস্তুত রেখেছে। তারাই নতুন করে এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নেবে।’

 সোমালি জলদস্যুদের ওপর যেমন নানামুখী চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিলো, তেমনি নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে মুক্তিপণ দেয়ারও কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছেন মেরিন বিশেষজ্ঞরা।

মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ১২ মার্চ বাংলাদেশ সময় বেলা দেড়টায় জাহাজটিতে উঠে নিয়ন্ত্রণ নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি চট্টগ্রামের কবির গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এস আর শিপিং লিমিটেডের মালিকানাধীন। পণ্যবাহী জাহাজটি কয়লা নিয়ে ভারত মহাসাগর হয়ে মোজাম্বিক থেকে আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের দিকে যাচ্ছিল। গন্তব্য ছিল দুবাই।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে। এদিক থেকে এবার বেশ দ্রুতই মুক্তিপণের আলোচনা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের আগেই সবাই মুক্তি পাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


আরও খবর