আজঃ বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়েছিল যেসব জেলা

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২০ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
Image

১৯৭১ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ, মাগুরা ও নোয়াখালী জেলা পাকিস্তানি হানাদারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিদেনটি করা হলো।

 

গোপালগঞ্জ

আজ সোমবার, ৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জ শহর হানাদার মুক্ত হয়। গোপালগঞ্জ মুক্ত হওয়ার আগে এই অঞ্চলে হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মুখ যুদ্ধ হয়।

 

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদাররা গোপালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মিনি ক্যান্টনমেন্টে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে হত্যা করে গণ-কবর দেয়। ৬ ডিসেম্বর সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে বিভক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের দিকে আসে। পাকিস্তানি সেনাদের আস্তানায় চারিদিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ বলয় রচিত হয়।  গভীর রাতে গোপালগঞ্জ সদর থানা, উপজেলা পরিষদ (বর্তমানে) সংলগ্ন জয় বাংলা পুকুর পাড়ের মিনি ক্যান্টমেন্ট ছেড়ে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর ভোরে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করে মুক্তিযোদ্ধারা। সেই সঙ্গে মুক্ত হয় গোপালগঞ্জ শহর ও এর আশপাশ এলাকা।

 

প্রতিবছর দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হলেও এবছর করোনার কারণে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে সীমিত আকারে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

 

আজ ভোর ৭টায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন বদ্ধভূমিতে শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে। বেলা ১১টায় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সভাকক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর।

 

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, করোনায় সব সরকারি-বেসরকারি কর্মসূচি সীমিত করা হয়েছে। তাই ৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবসের কর্মসূচিও সীমিত করে শুধু শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। 

 

মাগুরা

৭ ডিসেম্বর মাগুরা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিন মাগুরা পাকিস্তানি বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়।

 

মাগুরার মুক্তিযোদ্ধারা তৎকালীন মাগুরা ও ঝিনাইদহ মহকুমার বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও ফরিদপুর জেলার একটি অংশকে শত্রুমুক্ত করার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে।

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে যশোর থেকে পাকিস্তানি সেনাদের একটি অংশ তাড়া খেয়ে মাগুরায় পালিয়ে আসে। এক পর্যায়ে মাগুরায়ও তারা তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে। মিত্রবাহিনীর সঙ্গে মাগুরার মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা প্রবল আক্রমণে শত্রুবাহিনীকে মাগুরা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে। ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা মাগুরা ত্যাগ করে ফরিদপুরের কামারখালী অভিমুখে চলে যেতে বাধ্য হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় আকবর হোসেন মিয়া এবং মোল্লা নবুয়ত আলীর নেতৃত্বে শ্রীপুর বাহিনী মাগুরায় প্রবেশ করে প্রশাসনিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে।

 

বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম আবুল ফাত্তাহ বলেন, পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরদের মাগুরা ত্যাগ করলে স্বাধীনতাকামী জনতার মাঝে স্বস্তি আর শান্তি ফিরে আসে। এ সময় মুক্তিপাগল জনতা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। এভাবেই ৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ মাগুরা হানাদার মুক্ত হয়।

 

মাগুরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। মাগুরা জেলা প্রশাসন, জেলা মুক্তযোদ্ধা সংসদ, মাগুরা পৌরসভাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান দিনভর কর্মসূচির পালন করবে। যার মধ্যে রয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা, লাঠি খেলা, সন্ধ্যায় ব্ল্যাক আউটের মাধ্যমে রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে মোমবাতি প্রজ্বলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মাগুরার জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল  আলম বলেন,  এবার মাগুরা মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে সবই এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হবে।

 

নোয়াখালী

৭১ সালের এই দিনে নোয়াখালী মুক্ত হয়। এদিন জেলা শহর মাইজদী প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (পিটিআই) এ রাজাকারদের প্রধান ঘাঁটি দখলের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীর মাটিকে মুক্ত করে লাল সবুজের বিজয় নিশান উড়িয়েছিল মুক্তিসেনারা।

 

৬ ডিসেম্বর গভীর রাতে মাইজদী পিটিআই ও বেগমগঞ্জ টেকনিক্যাল হাইস্কুল ক্যাম্প ছেড়ে কুমিল্লা সেনানিবাসে পালিয়ে যেতে থাকে পাকিস্তানিরা। এসময় বেগমগঞ্জ-লাকসাম সড়কের বগাদিয়া ব্রিজ অতিক্রম করতেই সুবেদার লুৎফুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বাধীন মুক্তি বাহিনীর হামলায় অসংখ্য পাকিস্তানি সেনা ও মিলিশিয়া মারা যায়।

 

মুক্ত দিবসের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুক্তযুদ্ধকালীন সি-জোন কমান্ডার এবং বর্তমান সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের জেলা সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন বলেন, ৭ ডিসেম্বর ভোররাত থেকে মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীকে শত্রুমুক্ত করার চূড়ান্ত অপারেশন শুরু করেন। সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে সব মুক্তিযোদ্ধারা একযোগে চারদিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা সংলগ্ন টেকনিক্যাল হাইস্কুলে অবস্থিত রাজাকার ক্যাম্প মুক্ত করে এবং একই দিন জেলা শহর মাইজদি বাজার ভোকেশনাল ইনস্টিটিউট, নাহার মঞ্জিল, রৌশনবাণী সিনেমা হল, দত্তেরহাট ও সোনাপুর কোল্ড স্টোরেজের রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করে। এভাবে শত্রুমুক্ত হয় নোয়াখালী। বিজয়ের আনন্দে মেতে উঠে মুক্তিকামী জনতা। শহরের কোর্ট বিল্ডিং এ উড়ানো হয় জাতীয় পতাকা।

 

নোয়াখালী মুক্ত দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সাবেক জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিরন বলেন, দিবসটি উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর মাইজদি পিটিআই সংলগ্ন মুক্ত স্কয়ারে বিকাল ৩ টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

 

সাতক্ষীরা

আজ ৭ ডিসেম্বর, সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস। ১৬টি যুদ্ধ জয়ের পর এদিন সাতক্ষীরার মাটিতে মুক্তিযোদ্ধারা ফিরে আসতেই পিছু হটে যায় পাকিস্তানি বাহিনী। মুক্তিযোদ্ধারা ঘিরে ফেলে সাতক্ষীরার ডাকবাংলোয় ঘাঁটি করা জঙ্গি পাকিস্তানি সেনাদের।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহিত খান দুলুর নেতৃত্বে ধুলিহর বেজেরডাঙ্গা থেকে একটি দল এবং ক্যাপ্টেন হুদা ও আবদুল্লাহর নেতৃত্বে আরও দুটি মুক্তিযোদ্ধা দলের ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে শত্রু বাহিনী বেনেরপোতা ও বেত্রাবতী ব্রিজ ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে পিছু হটে যায়। বীর যোদ্ধারা সাতক্ষীরা থানা ভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে ঘোষণা দেন সাতক্ষীরা মুক্ত দিবসের। নানা আয়োজন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে পালিত হবে সাতক্ষীরামুক্ত দিবস।

 

৩০ নভেম্বর টাইম বোমা দিয়ে শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত পাওয়ার হাউস উড়িয়ে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ভীত সন্ত্রস্ত করে ফেলে পাতিস্তানি সেনাদের। রাতের আঁধারে বেড়ে যায় গুপ্ত হামলা। পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানে সেনারা। ৬ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের হামলায় টিকতে না পেরে বাঁকাল, কদমতলা ও বেনেরপোতা ব্রিজ উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তানি বাহিনী সাতক্ষীরা থেকে পালিয়ে যায়। ৭ ডিসেম্বর জয়ের উন্মাদনায় জ্বলে ওঠে সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা।

 

শেরপুর

৭ ডিসেম্বর শেরপুর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মিত্র বাহিনীর সহায়তায়  মুক্তিযোদ্ধারা শেরপুর অঞ্চলকে শত্রু মুক্ত করেন। এইদিন মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় সর্বাধিনায়ক জগজিৎ সিং অরোরা শেরপুর শহীদ দারোগ আলী পৌর পার্ক মাঠে হাজারো জনতার এক স্বতঃস্ফুর্ত সমাবেশে  শেরপুরকে মুক্ত বলে ঘোষণা দেন। সেইসঙ্গে  তিনি মুক্ত শেরপুরে প্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পাতাকা উত্তোলন করেন।

 

শেরপুর সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামান তালাফতুপ হোসেন মঞ্জুর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাসে বর্তমান শেরপুর জেলার পাঁচটি উপজেলায় ৩০-৪০টি খণ্ডযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। এসব যুদ্ধে বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে ৫৯ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার আহম্মদনগর উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্নস্থানে গড়ে তোলা ঘাটিতে  চলে তাদের  নারকীয় হত্যাযজ্ঞ। এসব ঘাটিতে রাজাকার, আলবদর আর দালালদের যোগসাজসে হানাদাররা চালাতে থাকে নরহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটের নৃশংস ঘটনা। ১১ নং সেক্টর কমান্ডার কর্নেল তাহের বেশ কবার কামালপুর দুর্গে আক্রমণ চালান। ১১ দিন অবরোধ থাকার পর ৪ ডিসেম্বর এ ঘাটির পতন হয়। জাতীয়ভাবে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়  দিবস উদযাপিত হলেও এই দিনটি শেরপুর জেলা বাসীর জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

 

শেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে  জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হবে পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ।

 

বাগেরহাট

৭ ডিসেম্বর মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে এ এলাকা শক্রু মুক্ত করেন।

 

মোংলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শেখ আব্দুর রহমান জানান, ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এমএ জলিল ও সাব সেক্টর কমান্ডার মেজর জিয়া উদ্দিন আহমদ এবং কবির আহমেদ মধুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধার মোংলা ও সুন্দরবন এলাকা সম্পূর্ণভাবে শক্রু মুক্ত করেছিলেন। বিশেষ করে সুন্দরবনে স্থাপিত ৫টি ক্যাম্পে সেনা কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধায়নে যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। আর সুবিধা মতো সেখান থেকে আক্রমণ করা হতো মোংলা, রামপাল, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও পিরোজপুরসহ বিভিন্ন এলাকার পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্পগুলোয়। দীর্ঘকাল পরে হলেও মোংলা পোর্ট পৌরসভার পক্ষ থেকে পৌর পার্ক এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি যুদ্ধ জাহাজ সম্বলিত মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য।



আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




রোজাদারের জন্য সবচেয়ে ভালো খাবার কী?

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসজুড়েই ইফতারে সবাই বাহারি খাবার রাখেন। তার মধ্যে সব খাবারই কিন্তু স্বাস্থ্যকর নয়। অনেক সময় দেখা যায়, খারাপ খাবারের মাধ্যমে ভালো খাবারের পুষ্টিগুণ আপনার শরীর পায় না। সারাদিন রোজা রাখার পর অনেকেই মনে করেন, পেট ভরে যা ইচ্ছে তা-ই খাবেন।

যদিও সারাদিন না খেয়ে ফাস্টিং করার মাধ্যমে শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে আপনি যখন রোজা ভেঙে ভুল খাবার খেয়ে ফেলবেন, তখন কিন্তু তা শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকর হয়ে উঠবে।

রমজানে ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণেই বেশিরভাগ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাহলে রমজানে কোন কোন খাবার পাতে রাখবেন? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক রমজানের সবচেয়ে ভালো ৫ খাবার সম্পর্কে-

কলা : কলা পটাসিয়াম সমৃদ্ধ। যা তৃষ্ণা নিবারণ করে ও দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে। কলা ফাইবার ও প্রতিরোধী স্টার্চের একটি দুর্দান্ত উত্স। রোজা ভাঙার পর কলা খেলে এর প্রতিরোধী স্টার্চ আপনাকে পূর্ণতা অনুভব করতে সহায়তা করে। ফলে কম খাবার খেয়েও পেট ভরাতে পারবেন আপনি। এটি শরীরও পুষ্টি পাবে।

খেজুর : সারাদিন রোজা রাখার কারণে কার্বোহাইড্রেট ও মিষ্টির জন্য সবারই লোভ বেড়ে যায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন খেজুর। এটি একটি আদর্শ ডেজার্ট হতে পারে। খেজুরে প্রচুর অ্যানার্জি, ফাইবার ও আয়রন আছে।

খেজুরের প্রাকৃতিক শর্করা থাকায় তা অল্প পরিমাণে খেলেও আপনি দ্রুত অ্যানার্জি পাবেন। ইফতারে দুটি খেজুর প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে ও আপনার মিষ্টি তৃষ্ণাকে মেটাতে যথেষ্ট হওয়া উচিত।

গোটা শস্য : জোয়ার, বাজরা, ওটস ও রাগির মতো গোটা শস্য প্রোটিন সমৃদ্ধ। যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেট রাখে, ক্ষুধা নিবারণ করে ও শক্তি জোগায়। এগুলোতে প্রচুর জটিল কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবার থাকে। ফলে এগুলো ধীরে ধীরে হজম হয় ও শরীরও বেশি শক্তি পায়।

বাদাম : বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি যেমন- ওমেগা ৩ ও ৬ এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। যা আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণতা বোধ করায়। এজন্য ইফতারে রাখতে পারেন শুকনো ফল বা ড্রাই ফ্রুট। এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে।

টকদই : রোজা রাখার ফলে খালি পেটে অ্যাসিড তৈরি হওয়ার কারণে শরীর প্রচুর তাপ উৎপন্ন করে। সেই প্রভাব নিয়ন্ত্রণে ইফতারে টকদই বেছে নিন। এতে থাকে প্রোবায়োটিক। যা হজমে সহায়ক। ইফতারে আপনি টকদই ও বিভিন্ন ফল দিয়ে একটি সুস্বাদু ডেজার্ট তৈরি করতে পারেন। দীর্ঘ বিরতির পরে ইফতারে অতিরিক্ত খাওয়া ও অস্বাস্থ্যকর খাবারের লোভ বাড়তে পারে। এজন্য ভালো ও স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছা কমে।


আরও খবর



দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গ্রেফতার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টটরেট (ইডি)। মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলায় বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

এনডিটিভি জানায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইডির ১২ সদস্যের একটি দল তল্লাশির ওয়ারেন্ট নিয়ে আম আদমি পার্টি প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাসায় যায়। গ্রেফতারের আগে সেখানেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মদনীতি কেলেঙ্কারির মামলাটি তারা মানিলন্ডারিংয়ের দিক থেকে তদন্ত করছিল।

ইডির দল বাসায় ঢুকে কেজরিওয়াল ও তার স্ত্রীর ফোন নিয়ে নেয়। এছাড়া দুটি ট্যাবলেট ও একটি ল্যাপটপ থেকে তথ্য স্থানান্তর করে।

ইডির দল যখন তাকে বাসায় জিজ্ঞাসাবাদ করছিল তখন বাইরে পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ফোর্স মোতায়েন ছিল। এসময় সেখানে দলের অনেক নেতাকর্মী জড়ো হয়ে গ্রেফতারের প্রতিবাদ করতে থাকেন।

এ সময় দিল্লির মন্ত্রী অতিশি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ইডি আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ষড়যন্ত্রের শিকার তিনি। দুই বছর আগে থেকে তদন্ত শুরু হলেও ১০ হাজার বার তল্লাশি চালিয়েও দলের নেতা এবং মন্ত্রীদের কাছ থেকে ইডি বা সিবিআই এক রুপিও উদ্ধার করতে পারেনি।

কেজরিওয়ালকে নির্দোষ দাবি করে অতিশি বলেন, তাদের লড়াই চলবে এবং মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারের প্রতিবাদে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। আজ রাতেই এই মামলার শুনানির জন্য আমাদের আইনজীবী কোর্টে যাবেন।

স্বাধীন ভারতে কেজরিওয়ালই প্রথম যিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকা অবস্থায় গ্রেফতার হলেন। তবে গ্রেফতার হলেও কেজরিওয়ালই মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর
তানজানিয়ায় বন্যা: নিহত ৫৮

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে বিএনপি আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়’

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি। রোববার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এমন কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা আসলে এখন ব্যর্থতার জন্য নিজেরাই ক্লান্ত। তাদের কর্মীরা হতাশ। নেতাদের কারও সঙ্গে কারও কথার মিল দেখি না। মঈন খান বললেন, গণতন্ত্র উদ্ধারে ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য। আবার রিজভী তার চাদর ফেলে দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ভারত বিরোধীতা করছে। তারা আসলে বর্জনের নামে আমাদের অর্জনকে ধ্বংস করতে চায়। আর এটা কী সম্ভব?

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের যে অবস্থা, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে লেনদেন, যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, তার মধ্যে এমন বর্জনের প্রস্তাব বাস্তব সম্মত কি না!

একেক জন একেক কথা বললে কোনো জায়গা থেকে নির্দেশিত হয়ে বলছেন, এমন কথা বলার নির্দেশ থাকে না। লন্ডন থেকে নাকি অন্য কোনো জায়গা থেকে আদিষ্ট হয়ে বলছেন কি না; তা বলবো কী করে, যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এখন আমীর খসরু বলেন একটা, রিজভী বলেন আরেকটা, আবার মঈন খান বলেন ভিন্ন কথা।

মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো চিন্তা আছে কি না; জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, সরকার এ ধরনের চিন্তাভাবনা কেন করবে? এর কোনো যুক্তি নেই, বাস্তবতা নেই। নির্বাচন যখন হওয়ার তখন হবে সংবিধান অনুসারে। আমাদের সংবিধানে মধ্যবর্তী নির্বাচন বলতে কিছু নেই।

ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাইকে যার যার কাজ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সবাই যার যার কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন প্রত্যাশা করছি।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



বিদ্যুতের মিটার চুরি করে রেখে যায় ফোন নম্বর, টাকা দিলে ফেরত

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাটোর প্রতিনিধি

Image

প্রথমে রাতের অন্ধকারে বিদ্যুতের মিটার চুরি। পরে ওই স্থানে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় একটি কাগজ। কাগজে লেখা থাকে মুঠোফোন নম্বর। পরে ওই নম্বরে বিকাশের মাধ্যমে চাহিদামতো টাকা পাঠানো হলে চুরি হওয়া মিটারটি আবার মালিকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

নাটোরে লালপুরে অভিনব কায়দায় রাতের আঁধারে দশটি বৈদ্যুতিক মিটার চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা যোগাযোগের জন্য চিরকুটে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে গেছে। ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে ভুক্তভোগীদের কাছে টাকা দাবি করেছে তারা।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরের দিকে লালপুর উপজেলার কলসনগর, সাতপুকুরিয়া, চাঁদপুর, ভবানীপুর, কালুপাড়া ও বিভাগ গ্রামে এঘটনা ঘটে।এভাবে চুরির ঘটনায় জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ভুক্তভোগী আমিরুল ও বাচ্চু বিশ্বাস জানান, ভুক্তভোগীদের রাইস মিল ও কাঠ মিল থেকে রিডিং মিটার রাতের অন্ধকারে চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বত্তরা। এবং প্রত্যেকের চুরি হওয়া মিটারের ফাঁকা জায়গায় একটি চিটকুটে লিখে যায়। সেখানে লেখা ছিল- এই মিটার নিতে হলে এই নম্বরে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করতে। সকালে মিটার চুরি হয়ে যাওয়ার স্থান থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে ওই মিটারের জন্য ৮ হাজার টাকা বিকাশ করলে মিটার ফেরত দেয়ার কথা জানায় দুর্বৃত্তরা।

এবিষয়ে কথা বলতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ লালপুর জোনাল অফিসের উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল করিম খানকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে লালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, মিটার চুরির অভিযোগ আসেনি আমার কাছে। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


আরও খবর
অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




সুদহার সাড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়ালো

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

ব্যাংক ঋণের সুদহার বেড়ে সাড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এই সুদহার ১ এপ্রিল রবিবার থেকে প্রযোজ্য হবে এবং পুরো এপ্রিল মাসের জন্য তা বহাল থাকবে। গত জুলাই মাসের পর এটাই হবে ঋণের ওপর সর্বোচ্চ সুদহার।

এতে বিপাকে পড়ছেন ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তাসহ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারা। কারণ নতুন করে ব্যাংকঋণ নিতে গেলেই গুনতে হচ্ছে বেশি সুদ। এর ফলে ব্যবসার খরচও বেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে ঋণের সুদহার বাড়ার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এখন আমানতের ওপর সুদের হারও বেড়েছে।

সুদহার নির্ধারণে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন একটি নতুন পদ্ধতি অনুসরণ করছে। এর ফলে ঋণের সুদ এখন প্রতি মাসেই বাড়ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যাংকে ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ছিল ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ। মার্চে তা বেড়ে হয় ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। এর আগে ঋণের ওপর সর্বোচ্চ সুদের হার নির্ধারিত ছিল ৯ শতাংশে।

অবশ্য গত জুলাই মাসে সুদের হার বেঁধে দেওয়ার ওই পদ্ধতি থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট পদ্ধতিতে ঋণের সুদের ভিত্তি হার নির্ধারিত হয়। এই ভিত্তি হারের সঙ্গে এর আগে বাড়তি ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ যুক্ত হলেও এবারে বাংলাদেশ ব্যাংক ৩ শতাংশ সুদ যোগ করার জন্য বলেছে। ভিত্তি হার ও বাড়তি সুদ এই দুইয়ে মিলে ঋণের চূড়ান্ত সুদহার নির্ধারণ করে ব্যাংকগুলো।

প্রসঙ্গত, চলতি মার্চ মাস শেষে স্মার্ট হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশে। এর সঙ্গে ৩ শতাংশ সুদ যুক্ত করলে ঋণের সুদ দাঁড়ায় ১৩ দশমিক শূন্য ৫৫ শতাংশ।

এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদ ৯ শতাংশে নির্ধারণ করে দিয়েছিল। তবে অর্থনীতিতে সংকট শুরু হলে গত বছরের জুন থেকে ব্যাংকঋণের সুদহার নির্ধারণে নতুন পদ্ধতি স্মার্ট চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সরকারের ট্রেজারি বিলের ছয় মাসের গড় সুদহারের ভিত্তিতে ব্যাংকের এ সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে। প্রতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাংক স্মার্ট সুদহার প্রকাশ করে।

গত জানুয়ারির শেষে স্মার্ট রেট বেড়ে হয়েছিল ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এই হার আরও বেড়ে হয় ৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, মার্চে যা আরও বাড়ে।


আরও খবর