আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

‘এই আনন্দের দিনে কারও প্রতি ঘৃণা নয়, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ জুন ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দের দিনে কারও প্রতি ঘৃণা নয়, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়। শুধু দেশবাসীর প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আজ শনিবার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতু এবং পদ্মা সেতু নির্মাণের পেছনের কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুই যমুনা সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেন জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বঙ্গবন্ধু অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত যোগাযোগব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন। তিনি যমুনা নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে জাপান সফরকালে যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের জন্য তিনি জাপান সরকারের সহায়তা চান। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধু যমুনা বহুমুখী সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩-এ জুন আমি ওই সেতুর উদ্বোধন করি।

পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের শুরুর দিককার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে জাপান সফরকালে আমি পদ্মা ও রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সহযোগিতা চাই। জাপান সরকার দুটি নদীর ওপরই সেতু নির্মাণে রাজি হয়। আমার অনুরোধে ওই মেয়াদেই রূপসা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যেহেতু পদ্মা অনেক খরস্রোতা, বিশাল নদী, তাই পদ্মা নদীর সমীক্ষার প্রয়োজন হয়। ২০০১ সালের মাঝামাঝি পদ্মা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের সমীক্ষার কাজ শেষ করে জাপান। স্থান নির্বাচন করে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে। এই সমীক্ষার ভিত্তিতে ২০০১ সালের ৪ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে আমি মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করি। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে আমরা সরকারে আসতে পারিনি। ক্ষমতায় এসে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার মাওয়া প্রান্তে সেতু নির্মাণে অনীহা দেখায়। তাঁরা জাপান সরকারকে পুনরায় মানিকগঞ্জের আরিচায় পদ্মা সেতুর জন্য সমীক্ষা করতে বলে। দ্বিতীয়বার সমীক্ষার পর জাপান বর্তমান মাওয়া-জাজিরা প্রান্তকেই বাছাই করে পদ্মা সেতু নির্মাণের রিপোর্ট পেশ করে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ২০০১-২০০৬ মেয়াদে এই সেতু নির্মাণের বিষয়ে আর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। ২০০৯ সালে আবার সরকার পরিচালনার দায়িত্বে এসে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তালিকায় নিয়ে আসি। সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার ২২ দিনের মাথায় সেতুর নকশা তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক আলাপ-আলোচনার পর বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা এই সেতু নির্মাণে অর্থায়ন করতে সম্মত হয়। কিন্তু কতিপয় ষড়যন্ত্রকারীর প্ররোচনায় ভিত্তিহীন দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থায়ন থেকে সরে যায়। পরবর্তীকালে অন্য অংশীদারগণও বিশ্বব্যাংকের পদাঙ্ক অনুসরণ করে। তারপর পানি অনেক ঘোলা করা হয়েছে। তথাকথিত নাগরিক সমাজের একশ্রেণির প্রতিনিধি, কতিপয় মিডিয়া, স্বঘোষিত অর্থনীতিবিদগণ সরকারের তীব্র সমালোচনায় মেতে ওঠেন। অনেকটা চিলে কান নিয়ে গেছে—প্রবাদ বাক্যের মতো অবস্থা। কেউ ন্যূনতম অনুসন্ধান পর্যন্ত করলেন না যে, যে প্রকল্প একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে, তাতে কীভাবে দুর্নীতি হতে পারে? দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করে জানাল যে, কোনো দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করলেন না। কিন্তু কানাডার আদালতে যখন পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে রায় দিল, তখন সবাই চুপ হয়ে গেলেন। কারও মুখে কোনো কথা নেই। তাঁদের কারণে আমাদের কয়েকজন সহকর্মী যে মানসিক নির্যাতনের শিকার হলেন, তা নিয়ে সামান্য দুঃখ পর্যন্ত প্রকাশ করলেন না। কিন্তু আমি জানতাম, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো ষড়যন্ত্র হয়নি। আর এ কারণেই এই সেতু নির্মাণে আমার জেদ চাপে।’

সবাই যখন হতাশ, তখন আমি নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেই—বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, এই সেতু নির্মাণে বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেই। এই ঘোষণার পর আপনারা দেখেছেন, কিছু কিছু মানুষ কীভাবে নানা নৈরাশ্যবাদী ও হতাশাব্যঞ্জক কথাবার্তা বলেছেন। নিজেদের টাকায় এই সেতু তৈরি করলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, অগ্রগতি স্থবির হয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তাঁরা। আজকে পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি ধসে পড়েনি। বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে আমরা প্রমাণ করেছি, আমরাও পারি।’ পদ্মা সেতু তাই আত্মমর্যাদা ও বাঙালির সক্ষমতা প্রমাণের সেতু শুধু নয়, পুরো জাতিকে অপমান করার প্রতিশোধও। বাংলাদেশের জনগণই আমার সাহসের ঠিকানা। আমি তাদের স্যালুট জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই আনন্দের দিনে কারও প্রতি ঘৃণা নয়, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়। শুধু দেশবাসীর প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আপনারা পাশে ছিলেন বলেই আমি সাহস পেয়েছি এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে। আর পরপার থেকে আমাকে সাহস জুগিয়েছেন এবং আশীর্বাদ করেছেন আমার বাবা, বাঙালি জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমার মা বেগম ফজিলাতুন নেছা রেণু। আজ আমি শুধু প্রার্থনা করব, ষড়যন্ত্রকারীদের যেন শুভবুদ্ধির উদয় হয়।

নিউজ ট্যাগ: পদ্মা সেতু

আরও খবর



লক্ষ্মীপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ও জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে টহল দেয়। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমতিয়াজ ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর শাহ আলমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যাবার পথে পুলিশের গতিরোধ করে। পরে ইমতিয়াজকে আটক করে পুলিশ। সে বহিরাগত হিসেবে নন্দনপুন এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের পক্ষে জবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। এসময় তারা সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক দেয়।

ইসরাইল এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ৩৫ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। সম্প্রতি ইসরায়েল গাজার দক্ষিণ সীমান্তে অবস্থিত রাফা শহরে স্থল আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। এ হামলা হলে ভয়াবহ হতাহতের আশঙ্কা করছে বিশ্ববাসী। এমন অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ইসরাইলের এই হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল ও মানবন্ধনের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ইসরাইলের বিরুদ্ধে তারা বক্তব্য দেয়।

মানববন্ধনে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী জুনায়েদ মাসুদ বলেন, ফিলিস্তিনের সমর্থন করতে হলে কাউকে মুসলিম হতে হবে না। আমরা বাঙালি, ১৯৭১ এ যেভাবে আমাদের রক্ত ঝরেছে একই ভাবে আজ ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরছে। এই রক্ত কখনই বৃথা যাবে না। আমরা এই গণহত্যা শেষ হওয়া পর্যন্ত এর প্রতিবাদ করবো। বিশ্বের অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হচ্ছে। বিবেক থাকলে কেউ ইসরায়েলি গণহত্যার সমর্থন করতে পারে না। এসময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সমালোচনা করে বলেন, ইউক্রেনে হামলা হলে বিশ্ববাসী শান্তির কথা বলে, কিন্তু ফিলিস্তিনে হামলা হলে তারা ইসরাইলকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাত বিল্লাহ বলেন, যেই সময়ে আমরা এখানে প্রতিবাদ করছি ঠিক সেই সময় ফিলিস্তিনি ভাইদের বুক রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে, সেই সময়ে মায়ের বুক থেকে সন্তানহানি হচ্ছে, আমার মা বোনদের ধর্ষণ করা হচ্ছে, ৩৫ হাজার মানুষকে তারা হত্যা করেছে। আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি আমাদের মুসলিম ভাইদের রক্তের বিচার চাইতে। মুসলিম দেশের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের ভাইদের যখন হত্যা করা হচ্ছে তখন আপনারা চুপ করে আছেন। আমরা জাতিসংঘ আর পশ্চিমা বিশ্বের কাছে বিচার চাচ্ছি। কিন্তু আমরা কি জানি না এই হামলার পিছে পরোক্ষভাবে কাদের হাত আছে? এমন অবস্থায় তাদের কাছে বিচার চাওয়া বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। তিনি মুসলিম বিশ্বের কাছে অনুরোধ করেন এই হামলার প্রতিশোধ নিতে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে প্রাণে বাঁচলেন সায়নী ঘোষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

টালিউড অভিনেত্রী ও তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় বের হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যেই তার গাড়ির সামনে ভেঙে পড়ে গাছের ডাল। অল্পের জন্য বেঁচে যান অভিনেত্রী। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

সোমবার ঝড়ের মধ্যেই গাড়ি নিয়ে নির্বাচনের প্রচারে বের হন সায়নী। এরপর তৃণমূলের র‍্যালির সামনেই ভেঙে পড়ে গাছের ডাল। নেতাকর্মীরা সতর্কতার সঙ্গে অভিনেত্রীকে সরিয়ে নেন। এরপর গাছের দাল সরিয়ে আবারও নির্বাচনের প্রচারে বের হতে দেখা যায় তাকে। যার ভিডিও ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভারতে এবার লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে সাত দফায়। সে অনুযায়ী গত ১৯ এপ্রিল প্রথম দফায় দেশটির ১৭টি রাজ্য ও ৪টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় দফায় ভোট শুরু হয় ২৬ এপ্রিল। ৭ মে মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটগ্রহণ চলছে। এ দফায় ভোট নেওয়া হচ্ছে ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের মোট ৯৩টি কেন্দ্রে।

নিউজ ট্যাগ: সায়নী ঘোষ

আরও খবর



মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প পরিদর্শনে চউক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক অর্থাৎ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

রবিবার (১২ মে) পরিদর্শনের সময় তিনি চাক্তাই খালের ওপর নির্মাণাধীন স্লুইস গেটের কাজ গুণগতমান ঠিক রেখে দ্রুত সমাপ্তির নির্দেশনা দেন।

এ ছাড়া নির্মাণাধীন বাঁধের স্লোপ অংশে বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরিদর্শনকালে চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এ এম হাবিবুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক রাজিব দাশ, ডিসিটিপি আবু ঈসা আনসারী, নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মোহাম্মদ শামিম এবং প্রকল্প পরিচালক এফ এম মমতাজ উদ্দিন এবং ডিপিএম কনসালটেন্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল মঙ্গলবার শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গেল ১০ বছর ধরে বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ) সদস্যদের জন্য আয়োজন করছে স্পোর্টস কার্নিভাল। আর গেল ৭ বছর ধরে এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে দেশের স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসি। আগামী মঙ্গলবার (১৪ মে) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল-২০২৪।

এবার ৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১০টি ইভেন্টে অংশ নেবেন বিএসপিএর শতাধিক সদস্য। ইভেন্টগুলো হলো- ক্যারম একক ও দ্বৈত, টেবিল টেনিস একক ও দ্বৈত, দাবা, শুটিং, আরচারি, সাঁতার, কল ব্রিজ ও টোয়েন্টি নাইন। সবকটি খেলাই অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর সংলগ্ন বিভিন্ন ভেন্যুতে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএসপিএ কার্যালয়ে ক্যারম ডিসিপ্লিনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই আসর। প্রধান অতিথি হিসেবে স্পোর্টস কার্নিভালের উদ্বোধন করবেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) ও সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন।

প্রতিবারের মতো এবারও স্পোর্টস কার্নিভালের সেরা ক্রীড়াবিদের হাতে তুলে দেয়া হবে আব্দুল মান্নান লাডু ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার। ট্রফি ও অর্থ পুরস্কার থাকছে সেরা দুই রানার্সআপের জন্যও। এছাড়া প্রতিটি ইভেন্টের সেরাদের জন্য ক্রেস্ট ও অর্থ পুরস্কার।

ওয়ালটন-বিএসপিএ স্পোর্টস কার্নিভাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য আজ রোববার (১২ মে) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএসপিএর সভাপতি রেজওয়ান উজ জামান রাজিব, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, পিএলসির জ্যেষ্ঠ নির্বাহী পরিচালক এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) ও সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিল্টন, বিএসপিএ সাধারণ সম্পাদক মো. সামন হোসেন ও ক্রীড়া উপ-কমিটির চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল আলম।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএসপিএর সভাপতি বলেন, বরাবরের মতো এবারও আমাদের আয়োজনে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ। কেবল বিএসপিএ নয়, এই সময়কালে একমাত্র ওয়ালটন গ্রুপকেই ক্রীড়াঙ্গনে বিভিন্ন আয়োজনে সহায়তা করতে দেখা যাচ্ছে। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই ওয়ালটন গ্রুপকে। আমরা আশা করবো, ওয়ালটন আর বিএসপিএর বন্ধুত্ব ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে।


আরও খবর