আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঈশ্বরদীতে ১৮ হাজার লিটার ভোজ্যতেল উদ্ধারে ২০ হাজার টাকা জরিমানায় ক্ষোভ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১০ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:

পাবনা ঈশ্বরদীর বাজারে শ্যামল স্টোরের গুদামে অভিযান চালিয়ে মজুত করা ১০ হাজার লিটার খোলা সয়াবিন তেল, এক হাজার ২৪৪ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল এবং ৭ হাজার লিটার সরিষার তেল উদ্ধার করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এত কম জরিমানা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উপস্থিত সাধারণ মানুষ।

মঙ্গলবার (১০ মে) সকাল ১১টায় শহরের নূরমহল্লা মাতৃমন্দিরের সামনে শ্যামল পালের গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন পাবনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক জহিরুল ইসলাম।

এ সময় তিনি ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও ভোজ্যতেল জনসম্মুখে ঈদের পূর্বের দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রির নির্দেশ দেন। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঈশ্বরদীর নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক সানোয়ার রহমান।

ঈদের আগে এসব ভোজ্যতেল সংগ্রহ করে গুদামে অবৈধভাবে মজুত করেন শ্যামল স্টোরের মালিক শ্যামল দত্ত পাল।

এদিকে বিপুল পরিমাণ ভোজ্যতেল উদ্ধারের পরও মাত্র ২০ হাজার টাকা জরিমানা করায় উপস্থিত ক্রেতা ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্বপন হোসেন নামে একজন ক্রেতা জানান, শ্যামল পালের গোডাউনের মালামাল জব্দ ও সিলগালা করা উচিত ছিল।

শ্যামল পালের মতো আরও বেশ কয়েকজন তেল মজুতদার ব্যবসায়ী রয়েছে তাদের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনার দাবিও জানান তিনি।


আরও খবর



আদালত অবমাননা: দুই আইনজীবীর বিষয়ে আদেশ ২১ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিচার বিভাগের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে, এমন বক্তব্য দেওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদলের আদেশের জন্যে আগামী ২১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এ দিন ধার্য করেন।

বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের পৃষ্ঠপোষকতায় গঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক হলেন অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব হলেন অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল। আদালতে তাদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

গত ১ ডিসেম্বর অ্যাডহক কমিটির প্যাডে প্রধান বিচারপতি বরাবর চিঠি দেন তারা। চিঠিতে বলা হয়, দেশে একটি অনির্বাচিত, জবাবদিহিহীন এবং অস্বচ্ছ ফ্যাসিবাদী শাসনের মাধ্যমে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা ও কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে। এর ফলে জনগণ প্রজাতন্ত্রের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। জনগণ নজিরবিহীন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ তামাশার সংসদে সদস্য নির্বাচন করতে যাচ্ছে।

এর প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসেবে আইনজীবীরা ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এমন একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিতে আইনজীবী, জনগণ স্বাধীন, বিচার বিভাগের প্রতি আস্থা রাখছে। আশা করছি মানবাধিকার রক্ষাকারী হিসাবে বিচার বিভাগ কার্যকরভাবে ভূমিকা পালন করবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ এবং বিচার বিভাগকে উভয়ই সরকারের ফ্যাসিবাদী নিপীড়নের সহায়ক হয়ে উঠেছে। সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্য জামিন আবেদন নামঞ্জুর এবং দ্রুতগতিতে বিচার পরিচালনা করা ন্যায়বিচারকে কবর দেয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারবেন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেয়া উচিত হবে না।

এই চিঠিতে আদালত অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করায় এর ব্যাখ্যা দিতে তাদের তলব করা হয়। আদেশ অনুযায়ী দুই আইনজীবী ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগে হাজির হন। সেদিন তাদের পক্ষে সময় আবেদন করলে আদালত ব্যাখ্যা দিতে দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দেন। এ সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টে কোনো মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না বলে আদেশ দেন।

তার ধারাবাহিকতায় মামলাটি আবার শুনানির জন্য ওঠে। আজ দুই আইনজীবী নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

নিউজ ট্যাগ: আদালত অবমাননা

আরও খবর



বিমানের জাল টিকিট বিক্রি করে মাসে আয় ৩ লাখ টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুয়েত প্রবাসী লিটন মিয়া দেশে ফিরে ভিসা প্রসেসিং সংক্রান্ত কাজ শুরু করেন। তারই ব্যবস্থাপনায় একজন বিদেশে গিয়ে আর ফিরে আসেনি এবং লিটনের পাওনা টাকাও পরিশোধ করেননি। এ ঘটনায় প্রতিশোধপরায়ণ হয়ে নিজেই নামেন প্রতারণায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিসকাউন্টে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের টিকিট বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে অন্তত চার লাখ মানুষকে প্রতারণার টোপে ফেলেন তিনি।

সাশ্রয়ী দামের টিকিট বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা নিতেন, তার সরবরাহ করতেন জাল টিকিট। অভিনব এ প্রতারণায় বিশেষ করে প্রবাসীদের ফাঁদে ফেলে লিটনের মাসিক আয় প্রায় তিন লাখ টাকা।

ডিসকাউন্টে এয়ার টিকেট বিক্রয়ে অভিনব এ প্রতারণার দায়ে লিটনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তার বাকিরা হলেন মো. বেল্লাল হোসেন ও মো. রিয়াজ শেখ। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন, একটি কম্পিউটার ও চেকবইসহ ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়েছে।

ঘটনার বিবরণে ডিবি জানায়, কুয়েত প্রবাসী মজনু মিয়া গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তার স্বজন হুমায়ুন কবিরকে জানান, তিনি মে মাসে বাংলাদেশে ছুটিতে আসবেন। কুয়েত থেকে বাংলাদেশে আসা যাওয়ার টিকিটের মূল্য বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে টিকেট কিনতে বলেন।

বাংলাদেশে হুমায়ুন কবিরের কোনো পরিচিত ট্রাভেলস না থাকায় অনলাইনে সান ফ্লাওয়ার ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনালের খোঁজ পান। যেখানে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে (কুয়েত-ঢাকা-কুয়েত) টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। ফেসবুকে দেওয়া ফোন নাম্বারে যোগাযোগ করলে টিকিট পাওয়া যাবে বলে জানতে পারেন। পরে ফোনে যোগাযোগ করে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি হুয়ায়ুন কবির যাত্রাবাড়ী ধলপুর এলাকায় লিটন মিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। দেখা করার পর হুমায়ুন কবির মজনু মিয়ার সঙ্গে কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা ও পাসপোর্টের ফটোকপি দেয়। বাকি ৪৭ হাজার টাকা লিটনের দেওয়া ব্যাংক একাউন্ট নম্বরে পরিশোধ করেন। টাকা পাওয়ার পর চক্রটি মজনু মিয়ার হোয়াটসঅ্যাপে আল জাজিরা বিমানের টিকেটের কপি পাঠায়। পরবর্তীতে যাচাই করে দেখা যায় টিকেটটি জাল। এরপর লিটনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে লিটন হোয়াটসঅ্যাপে মজনু মিয়াকে ব্লক করে দেন।

গ্রেপ্তার লিটনের বিষয়ে ডিবি জানায়, চতুর্থ শ্রেণি পাস সাবেক পোশাক শ্রমিক লিটন মিয়া ২০১২ সালে কুয়েতে ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দেশে ফিরে লিটন ভিসার কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে একজন লিটনের টাকা আত্মসাৎ করে বিদেশ চলে গেলে সে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। লিটন প্রাথমিকভাবে ফেসবুকে সানফ্লাওয়ার ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি পেজ খুলে ১৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে টিকেট বিক্রির কথা বলে পোস্ট দেন। চটকদার বিজ্ঞাপনে বিদেশে কর্মরত শ্রমজীবী লোকজন আকৃষ্ট হয়ে ফেসবুকে দেওয়া ফোন নাম্বারের মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। তাদের মধ্য থেকে লিটন টার্গেট বাছাই করে ডিসকাউন্ট প্রাইজে টিকেট বিক্রির টোপ ফেলতেন। লিটন কাস্টমারদেরকে তার অফিস সিটি সেন্টারের লিফটের ১১তে বলে জানায় এবং কাস্টমারের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য ব্যাংক একাউন্টে টাকা দিতে বলেন। লিটনের অবর্তমানে কাস্টমারদের সঙ্গে রিয়াজ কথা বলেন। এয়ার টিকেট ক্রেতাদের টাকা পাওয়ার পর তাদেরকে হোয়াটসঅ্যাপে ব্লক করে দেন। গত কয়েক মাসে লিটন আনুমানিক চার লাখ মানুষের সঙ্গে কথা বলে প্রতারণার টোপ ফেলেছে। প্রতিমাসে তার আনুমানিক আয় তিন লাখ টাকা বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বিভিন্ন দেশে অবস্থান করা প্রবাসীরা সাধারণত দেশে আসার সময় কম দামে টিকিট খুঁজেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১০-১৫ পার্সেন্ট ছাড়ে টিকিট বিক্রির ফাঁদ পাতেন লিটন। এভাবে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া লিটনের মাসিক আয় ৩-৪ লাখ টাকা।

অনেক প্রবাসীরা বিমানবন্দরে গিয়ে বর্ডিংয়ের সময় জানতে পারেন টিকিটটি ভুয়া। অনেকে বিদেশ থেকে দেশে এসে এ বিষয়ে অভিযোগ করেননা। দেখা যায়, ৯৯ ভাগই ঝামেলা মনে করে অভিযোগ করেননা। তাই ডিসাউন্ট দিলেই যাচাই না করে টিকিট কেনা যাবে না। আর প্রতারিত হলে পুলিশকে অভিযোগ করতে বলেন তিনি।

ডিবি প্রধান বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন প্যাকেজের অফার দেওয়া হচ্ছে। কম দামে ৩-৪ দেশ ঘুরানোর কথা বলা হচ্ছে। দেখা গেল টিকিট ভুয়া, হোটেল বুকিংয়ের কাগজও ভুয়া দিয়ে দেবে। তাই এমন প্যাকেজ দেখলে যাচাই-বাছাই করে যেন টাকা দেন সবাই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রমজানে লেনদেন একটু বেশি হয়। তাই যারা বড় লেনদেন করবেন তারা যেন পুলিশকে অবহিত করেন। বড় অঙ্কের টাকা রিকশা দিয়ে না নিয়ে গাড়িতে নেওয়াই ভালো।

ডিবির প্রত্যেকটা টিম সেহরি-ইফতার ও তারাবির পর যখন পথঘাটে জনসাধারণের চলাচল কমে যায় তখন বিভিন্ন মোড়ে ওঁৎ পেতে থাকবে। ছিনতাইকারী ও ডাকাতদের ধরার জন্য ডিবির টহল ব্যবস্থা জোরদার আছে বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



ইফতারে আঙুর-খেজুরের বদলে বরই-পেয়ারা খেতে বললেন শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আঙুর, খেজুরের পরিবর্তে বরই, পেয়ারা দিয়ে ইফতার করার পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। আজ সোমবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই পরামর্শ দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, আপেল লাগে কেন? আঙুর লাগে কেন? আর কিছু নেই আমাদের। ইফতারে বরই খান, পেয়ারা খান, আমাদের যা আছে সেগুলো ব্যবহার করুন। ইফতারের প্লেট সেভাবে সাজান।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অভাব-অভিযোগ আছে। অনেক পণ্য আমাদের আমদানি করতে হয়। দাম বেশি পরে। প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ইফতার পার্টি হবে না। আপনারা যেমন পরিবারের সমস্যাগুলো দেখেন, সেভাবে দেশের সমস্যাগুলো নিজেদের মনে করে দেখতে হবে। আমাদের পণ্যগুলো বিশ্বমানের করতে হবে। মন্ত্রণালয় কাজ করছে। জেলা প্রশাসকেরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেছেন। প্রতিটি এলাকার জেলা প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো জিআই করার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। তারা আন্তরিকভাবে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, এটা আমাদের স্বাধীনতার মাস। এ মাসটি আমাদের কাছে অনেক আবেগের। আজকে জেলা প্রশাসক যারা এখানে এসেছেন তারা সবাই এ প্রজন্মের সন্তান। তারা বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে এসেছে, তারা সমস্যাগুলো জানেন। বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় জিআই হচ্ছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুই এই জিআইপরিচয় করে দিয়েছেন। লাল পতাকার চেয়ে বড় জিআই আর হয় না। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের পণ্যগুলোকে বাজারজাত করতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ডিসি সম্মেলনে প্রত্যেক মন্ত্রী তাদের নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের অবস্থান জানিয়েছেন। আপনারা ইতোমধ্যে সেগুলো শুনেছেন এবং জানেন। জেলা প্রশাসকরা প্রত্যেকটি কাজ যেভাবে করেছেন তাতে আমরা আনন্দিত। তারা আইনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে মাঠে যেভাবে কাজ করছেন, আশা করি রমজানেও মানুষের পাশে থাকবেন।


আরও খবর



ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করলেন কমলা হ্যারিস

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। এ ছাড়া গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করেছেন তিনি। খবর আলজাজিরার।

রোববার (৩ মার্চ) কমলা হ্যারিস বলেছেন, গাজায় চরম দুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ছয় সপ্তাহের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হবে। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়টি বর্তমানে আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এই চুক্তি হলে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি মিলবে এবং গাজায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ত্রাণসহায়তা প্রবেশ করবে।

এ সময় ইসরায়েলকে কড়া ভাষায় তিরস্কার করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজায় আরও বেশি পরিমাণে ত্রাণসহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিতে ইসরায়েলকে আরও কিছু করতে হবে। এসবের মধ্যে নতুন সীমান্ত ক্রসিং খোলা এবং অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ না করার প্রতিশ্রুতির বিষয় রয়েছে।

তিনি বলেন, গাজার মানুষ না খেয়ে থাকছেন। সেখানকার পরিস্থিতি অমানবিক। আমাদের সাধারণ মানবতাবোধ তাদের জন্য কাজ করতে বাধ্য করছে। ত্রাণসহায়তার প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে ইসরায়েলি সরকারকে অবশ্যই আরও কিছু করতে হবে। এখানে কোনো অজুহাত চলবে না।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।

অন্যদিকে ইসরায়েলের হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় কমপক্ষে ৩০ হাজার ৫৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭১ হাজার ৯২০ জন আহত হয়েছে।


আরও খবর



চীনের সঙ্গে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। এই চুক্তিকে মালদ্বীপের ভারতীয় বলয় থেকে বেরিয়ে আসার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ভারতীয় সেনাদের দ্বীপপুঞ্জটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে নয়াদিল্লির সঙ্গে মালের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

মালদ্বীপের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ভারতীয় সেনাদের দ্বীপরাষ্ট্রটি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চীনের সঙ্গে একটি সামরিক সহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টিও নিশ্চিত করেছেন তারা।

মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স প্ল্যাটফর্মে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে তোলা ও সামরিক সহায়তা পেতে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর ‍করেছে মালদ্বীপ।

জানা গেছে, ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও চীনের একজন ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সুসম্পর্ক ছিল মালদ্বীপের।

কিন্তু গত বছরের নির্বাচনে ইন্ডিয়া আউট স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসেন চীনপন্থী রাজনীতিক মোহাম্মদ মুইজ্জু। তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়তে থাকে।

ভারত মহাসাগরের পূর্ব-পশ্চিম শিপিং রুটের গুরুত্বপূর্ণ একটি অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই নিজেদের প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে ভারত।ভারতীয় সামরিক বাহিনী তাদের সেনাদলকে পুরোপুরি প্রত্যাহার করবে। কারণ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মালদ্বীপকে তার সামুদ্রিক সীমা পর্যবেক্ষণে ভারত তিনটি অনুসন্ধান বিমান দিয়েছিল। সেগুলো পরিচালনায় সাহায্য করতে দেশটিতে সেনা মোতায়েন করে ভারত। আর সেসব সেনাকে আগামী ১০ মের মধ্যে মালদ্বীপ ছাড়তে হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিমানগুলো পরিচালনায় সামরিক কর্মীদের পরিবর্তে বেসামরিক কর্মীদের কাজে লাগানো হতে পারে বলে আশা করছে ভারত। গত সপ্তাহে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, মালদ্বীপ থেকে ১৩০ কিলোমিটার উত্তরের ভারতীয় লাক্ষাদ্বীপপুঞ্জের মিনিকয় থেকে অপারেশনাল নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।

গত মাসে চীনের সামুদ্রিক গবেষণা জাহাজ জিয়াং ইয়াং হং ৩-কে মালদ্বীপে নোঙরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। জানুয়ারিতে বেইজিং সফরের গিয়ে চীনের সঙ্গে অবকাঠামো, জ্বালানি ও কৃষি সম্পর্কিত কয়েকটি চুক্তিতেও স্বাক্ষর করেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট। মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কাসহ ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবে বেশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ভারত।


আরও খবর