দরজায় কড়া নাড়ছে
ঈদ। নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। সব পেশার, সব বয়সিদের দেখা মিলছে ফেরিঘাটে। কেউ ফিরছেন
পরিবহণে, কেউ বা ব্যক্তিগত গাড়ি, মাইক্রোবাস, মোটরবাইকে। অনেকে ভাড়া করে নিয়ে এসব যানবাহনে
ফিরছেন বাড়ি।
তবে, নদী পাড়ে
ফেরি পেতে যানবাহনের দীর্ঘ অপেক্ষার কথা ভেবে যানবাহনে সরাসরি বাড়ির পথ না ধরে ভেঙে
ভেঙে বিভিন্ন গাড়িতে করে রওনা হয়েছেন অনেকে। ফলে ফেরিঘাটে আজ যানবাহনের পাশাপাশি শত
শত মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, কিছু
এলাকার ব্যাংক বাদে গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে ঈদের আগের শেষ
কর্মদিবস, পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেরও। ফলে বিকেলের পর থেকে মুন্সীগঞ্জের
শিমুলিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের চাপ ছিল। এদিন ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরবাইকের চাপ ছিল অন্য
যেকোনো দিনের তুলনায় বেশি। আর, আজ যানবাহনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ ফেরি পারের অপেক্ষায়
দাঁড়িয়ে আছেন।
আজও শুক্রবার ভোর থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে আগের দিনের তুলনায় একটি ফেরি বেড়েছে। ১০টি ফেরি যোগে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তারপরও যাত্রী ও যানবাহনের তুলনায় ফেরির রয়েছে সংকট। সময়মতো ফেরি না ছাড়ায় আজও ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ও স্পিডবোট যাতায়াত করছেন যাত্রীরা।
আজ সকাল থেকে দেখা যাচ্ছে, বাস-লেগুনা, ব্যটারিচালিত অটোরিকশা বা ভাড়ায় মোটরসাইকেলে করে ঘাটে এসে লঞ্চে ও স্পিডবোটে পাড়ি দিচ্ছেন মানুষ। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যশোর যাবেন আতাহার মোল্লা। তিনি বলেন, ‘ভোরের একটু আগেভাগে রওনা হয়েছি। দুই ঘণ্টা হয়ে গেছে, ফেরি পাইনি। কখন পার হতে পারব, জানি না।’
বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন
স্কুল শিক্ষক শবনম বলেন, ‘ফেরিঘাটে যানবানের অপেক্ষার কথা ভেবে ঢাকা থেকে মাওয়ার গাড়িতে ঘাটে পৌঁছেছি।
এভাবে আগেভাগে নদী পার হতে পারব বলে আশা করছি।’
কলেজছাত্র আরিফিন
মোল্লা বলেন, ‘বাসে করে এসেছি, কোনো কষ্ট হয়নি। স্পিড বোটে নদী পাড়ি দেব। এতে তাড়াতাড়ি
নদী পার হওয়া যাবে। তারপর ভাড়ায় মোটরসাইকেল নিয়ে শিবচরে যাব।’
বিআইডব্লিউটিসির
শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল
জানান, বর্তমানে মোট ১০টি ফেরি পারাপারে কাজ করছে। বাংলাবাজার নৌরুটে সাতটি
ও মাঝিরকান্দা নৌরুটে তিনটি ফেরি চলাচল করছে। গতকাল ছিল নয়টি ফেরি। বাংলাবাজার নৌরুটে
একটি ফেরি বাড়ানো হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ
শিমুলিয়া ঘাটের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহাদাত
হোসেন জানান, ফেরিঘাটে যানবাহনের পাশাপাশি মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে। তাঁরা ফেরির জন্য
অপেক্ষা না করে লঞ্চ ও স্পিডবোটে নদী পার হচ্ছেন। ভোর থেকে ১৫৫টি স্পিডবোট ও ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে।