আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঈদের পর ঈশ্বরদীর রেল মার্কেট উচ্ছেদ, চিন্তায় ব্যবসায়ীগণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

Image

ঈশ্বরদী রেলওয়ে সুপার মার্কেট উচ্ছেদের মাইকিংয়ের পর এবার অর্ধশতাধিক দোকানে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে দোকান সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পাকশী রেলওয়ে ভূমি সম্পদ কার্যালয়। দোকানে লাল ক্রস চিহ্ন দেওয়ার পর ব্যবসায়ীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।

রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ এবং ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে বিভাগীয় কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ৩০ সদস্যের একটি দল রেলওয়ে মার্কেটে গিয়ে ঈদের পর দোকান সরিয়ে নিতে দোকানিদের নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে এসব দোকানে লাল রঙের ক্রস চিহ্ন দিয়ে উচ্ছেদের জন্য চিহ্নিত করেন।

ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ জানান, রেলের কাছে থেকে লিজ নিয়ে ৫০ বছর ধরে এখানে প্রায় দেড় শতাধিক মানুষ ব্যবসা করে আসছেন। এ মার্কেটের সবাই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এটি গরিবের মার্কেটে হিসেবে পরিচিত। এখানকার দেড় শতাধিক দোকানে কম দামে পোশাক বিক্রি হয়। এ মার্কেটের দোকানপাট ঈদের আগে উচ্ছেদের জন্য কয়েকদিন আগে হঠাৎ করে মাইকিং করা হয়েছিল। রেল কর্তৃপক্ষ ঈদের পর এখানকার ৫০টি দোকান উচ্ছেদ করবে বলে আজ এসে জানিয়ে গেলো এবং দোকানে লাল ক্রস চিহ্ন দিয়ে গেছে।

মার্কেটের ব্যবসায়রা বলেন, আমরা এতগুলো ব্যবসায়ী এখন কোথায় যাবো? এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হলে আমাদের পথে বসতে হবে। রেলের কাছে আমরা পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।

ব্যবসায়ী আকরাম রায়হান বাবু বলেন, এখানকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এ শহরে রেলের বহু জায়গা পতিত পড়ে আছে। রেল কর্তৃপক্ষ মানবিক দিক বিবেচনা করে এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন করতে পারে।

রেলওয়ের ভূ-সম্পদ কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান বলেন, এতদিন রেলের এ জায়গার প্রয়োজন ছিল না। এখন ভারত থেকে আসা ওয়াগন দ্রুত আনলোড করার জন্য এ জায়গাটি প্রয়োজন। তাই নিয়মানুযায়ী দোকানদারদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের পর দোকান সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

পাকশী বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ বলেন, ভারতীয় মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন ঈশ্বরদী মালগুদাম শেডে লোড-আনলোড হয়। এখানে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় আরও বেশি জায়গা প্রয়োজন। এজন্য এ মার্কেট উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দিয়েছি। সামনে ঈদ হওয়ায় মানবিক কারণে এ মার্কেট এখন উচ্ছেদ করা হলো না। ঈদের পর দোকান সরিয়ে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও খবর



ইসলামি বক্তা লুৎফর রহমান মারা গেছেন

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মুফাসসিরে কোরআন আল্লামা লুৎফর রহমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

রোববার (৩ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে তিনি মারা যান। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট ছেলে আবু সালমান মোহাম্মদ আম্মার।

এর আগে, বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত ব্যথা অনুভব করেন মাওলানা লুৎফর রহমান। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে তাকে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. আব্দুল হাইয়ের তত্ত্বাবধানে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কক্ষে (আইসিইউ) রাখা হয়। তিনি ব্রেন স্ট্রোক করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ব্যক্তিজীবনে মাওলানা লুৎফর রহমান ৫ কন্যা ও ২ ছেলের জনক। কর্মজীবনে তিনি টেকনাফের রঙ্গীখালী দারুল উলুম কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হিসেবে অত্যন্ত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ নির্বাচনি এলাকার প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন।


আরও খবর



ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু কাল

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদ উপলক্ষ্যে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে রবিবার (২৪ মার্চ) থেকে। মূলত আগামী ১০ এপ্রিলকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ধরেই ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ রেলওয়ের ঈদুল ফিতর উপলেক্ষ্য নেয়া কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, কাল সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে। এবার ঢাকা থেকে বর্হিগামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি।

আরও জানা যায়, আগের ঈদগুলোতে ৫ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম ৭ দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।

ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।


আরও খবর



রোজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসে গাজা ও সুদানে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদ চেম্বারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

গতকাল সোমবার তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এই মাসে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা শান্তি, পুনর্মিলন ও সংহতির মূল্যবোধ উদযাপন করেন এবং এই বার্তা ছড়িয়ে দেন। তারপরও গাজায় হত্যা, বোমা হামলা ও রক্তপাত অব্যাহত রয়েছে।

অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, আজ আমার জোরালো আহ্বান হলো রমজানের চেতনাকে সম্মান জানান এবং জীবন রক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহে সব ধরনের বাধা প্রত্যাহার করুন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে তার দায়িত্বে থাকার বছরগুলোতে নজিরবিহীন। তবে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ আসছে, তা যদি আদৌ কাজে আসে!

অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার হুমকি গাজার জনগণকে নরকের আরও গভীর বৃত্তে ফেলে দিতে পারে।

এদিন রমজানে সুদানেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষুধা, বিভীষিকা ও অবর্ণনীয় কষ্টের মুখোমুখি সুদানের জনগণের স্বার্থে সেখানে লড়াই অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গাজায়, সুদানে এবং অন্যনায় জায়গায় এখন শান্তির সময়। আমি সর্বত্র রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সম্প্রদায়ের নেতাদের এই পবিত্র সময়কে সহানুভূতি, কর্ম ও শান্তির সময় হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করার আহ্বান জানাই।


আরও খবর



ইফতার পার্টি না করে নিম্ন আয়ের মানুষকে সহযোগিতা করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে অর্থনীতিতে আসে চরম ধাক্কা। যার কারণে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। আমরা এই সময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বলেছি। আমাদের সরকারি কর্মকর্তা এবং দলীয় নেতাদের বলেছি, ইফতার পার্টি না করে নিম্নআয়ের মানুষকে সহযোগিতা করতে। ইফতার পার্টি করে খাওয়া বড় কথা না, মানুষকে দেওয়াই বড় কথা। আমরা সেটাই করছি।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, যারা স্বউদ্যোগে মানুষের কল্যাণ করে যাচ্ছেন, তাদের পুরস্কৃত করাই সব থেকে বড় কথা। এই পুরস্কার শুধু পুরস্কার নয়, আরও অনেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে আগ্রহী হবে, সেটাই বড় কথা। যারা পুরস্কার পেয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা দেশের বিভিন্ন স্তরে মানুষের কল্যাণে কাজ করা এমন আরও লোকদের বের করে পুরস্কৃত করতে চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের এসডিজি বাস্তবায়নের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য স্থির করে আমরা আগাচ্ছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। স্বাধীণতার মাসে এটাই আমাদের প্রত্যয়। স্বাধীনতার মাসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই, গণহত্যায় জড়িতদের প্রতি ঘৃণা জানাই। আর যেনো এরকম না হয়। এখনও ফিলিস্তিতে গণহত্যা চলছে, আমরা এটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি। আমরা চাই এই গণহত্যা বন্ধ হোক। আমরা ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে আছি। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। কারণ যুদ্ধের ভয়াবহতা কেমন আমরা জানি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি করায় অনেক কষ্ট করে দেশে ফিরে এসেছিলাম। একটাই লক্ষ্য ছিল, বাবার কাছ থেকে তার স্বপ্ন জনতাম বলে সে আলোকে বাংলাদেশকে গড়ে তোলা। আমরা বাংলাদেশের সে হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি, বাংলাদেশে ভাগ্য পরিবর্তনে। এখানে কেউ ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না। সবাই খাদ্য, চিকিৎসা পাবে, সেই ব্যবস্থা করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা দেশে এমন এক পরিবেশ তৈরি করেছে, আমরা বিজয়ের কথা বলতে পারিনি। মু্ক্তিযোদ্ধা নিজের পরিচয় দিতে পারেনি। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। একদিকে খুনি, আরেকদিকে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজত্ব ছিল। জাতির পিতা চেয়েছিলেন, একটি স্বাধীন জাতি। যে জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ ভুখণ্ড পাবে। তিনি এজন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। স্বাধীনতার পর তিনি অল্প সময় পেয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলেছিলেন। এটা এত সহজ ছিল না। কিন্তু জাতির পিতা শেখ মুজিবের মতো নেতৃত্ব ছিল বলে সম্ভব হয়েছে। তিনি মাত্র তিন বছরের মধ্যেই দেশকে স্বল্পোন্নোত দেশের স্বীকৃতি এনে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই ঘুনে ধরা সমাজ তিনি ঢেলে সাজাবেন। তাই করেছেন। কিন্তু সেই সময়ই আসল আঘাত। স্বপরিবারে তাকে জীবন দিতে হলো। দুর্ভাগ্য আমাদের।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় এতে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিচারপতি, জাতীয় সংসদ সদস্য, বিদেশি কূটনীতিক, সরকারের পদস্থ সামরিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিবিদ, কবি-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিতে পুরস্কার পাওয়া মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান প্রতিক্রিয়া জানান।

এবার স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে তিনজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একজন, চিকিৎসাবিদ্যায় একজন, সংস্কৃতিতে একজন, ক্রীড়ায় একজন এবং সমাজসেবায় তিনজনকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ এ পদক দেওয়া হয়েছে।

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর)।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্যাটাগরিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান এবং ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজসেবা/জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী এবং এস এম আব্রাহাম লিংকন পুরস্কার পেয়েছেন।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।


আরও খবর



পেছালো চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আগামী ১৯ এপ্রিল এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই তারিখে নির্বাচন হচ্ছে না। সোমবার (০৪ মার্চ) নির্বাচন কমিশনারের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খসরু, সদস্য এ জে রানা ও বি এইচ নিশান সই করা তফসিলে এ তথ্য জানানো হয়।

তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৭ এপ্রিল ভোটগ্রহণ ও প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ ঘোষণা করা হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

জানা গেছে, প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৪ মার্চ। এর আগে ২০ মার্চের মধ্যে সদস্যদের চাঁদা পরিশোধ করতে হবে। তবে চেক বা অনলাইনে চাঁদা পরিশোধের ক্ষেত্রে ১৮ মার্চ বিকেল ৩টার মধ্যে নগদায়ন করতে হবে। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে ২৮ মার্চ বিকেল ৫টায়।

আরও জানা গেছে, মনোনয়ন বিক্রি শুরু হবে ৩০ মার্চ। চলবে ৩১ মার্চ বিকেল ৪টা পর্যন্ত। মনোনয়ন দাখিল করা যাবে ২ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

নির্বাচনে প্রাথমিক প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে ৩ এপ্রিল (প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিনিধির উপস্থিতিতে)। আপত্তি ও নিষ্পত্তি করা হবে ৬ এপ্রিল বিকেল ৪টা পর্যন্ত। চূড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ হবে ৭ এপ্রিল। এর আগে ৭ এপ্রিল দুপুর ২টার মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে।

নির্বাচনের পর প্রাথমিক ফলাফলের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা যাবে ২৯ এপ্রিল দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ৩০ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি করতে হবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এবারের নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ হবে ১ মে বিকেল ৫টায়।

মনোনয়নপত্র ক্রয়, দাখিল ও আপিল ফি অফেরতযোগ্য। প্রতিটি মনোনয়নপত্রের মূল্য এক হাজার টাকা। জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ হাজার, সহ-সভাপতি পদে ২০ হাজার, সম্পাদকীয় পদের জন্য ১৫ হাজার, কার্যনির্বাহী পদের জন্য সাত হাজার এবং সমপরিমাণ টাকা আপিল ফি প্রতিটির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


আরও খবর