ঈদের দুদিন পরেই
বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজে ঝাঁজ আর কাঁচামরিচ সেঞ্চুরি পার করেছে। ঈদের আগে থেকে বেড়ে
যাওয়া সবজি, মাছ-মাংসের দাম এখনও কমেনি। যদিও ঈদের পরদিন শনিবার কাঁচাবাজারে অধিকাংশ
দোকান ছিল বন্ধ। ছিল না ক্রেতার আনাগোনাও। তারপরও দাম কমছে না সবজি কিংবা মাছ-মাংসের।
রবিবার (১৬ মে)
সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, পেঁপে,
গাজর, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দল, কাকরোলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা
গেছে, ভারতের পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের
বাজারেও। এতে খুচরা বাজারে ভারতের পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের সমান। বাজারে এখন ভারতীয়
কিংবা দেশি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। যা ঈদের আগেও মানভেদে প্রায়
৫-১০ টাকা কম ছিল।
পেঁয়াজের আমদানিকারক
আবদুল মাজেদ জানান, ‘করোনার বিধিনিষেধে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি
করা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে ভারতের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমদানিও প্রায় বন্ধ।
তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। কিন্তু ভারতের পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়ে
দেশি পেঁয়াজও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
সবজির দাম বাড়ার ব্যাপারে বিক্রেতারা বলেন, ঈদেরদিন অনেকেই মোকাম করেননি। গ্রাম থেকে সবজি আসছে না। এ কারণে দাম বেড়ে গেছে। ঈদের আগে যে কাঁচামরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, তা বেড়ে এখন ১২০ টাকা কেজি। একইভাবে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাঁচাকলার হালি ৪০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। শুধু পটল আর ঢেঁড়শ ছাড়া অন্যান্য প্রায় সব সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শুধু পটল আর ভেন্ডির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। মাছ-মাংসের দামও ঈদের আগের তুলনায় কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে।