আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঈদের দুদিন পরেই বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৬ মে ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ১৬ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদের দুদিন পরেই বাজারে বেড়েছে পেঁয়াজে ঝাঁজ আর কাঁচামরিচ সেঞ্চুরি পার করেছে। ঈদের আগে থেকে বেড়ে যাওয়া সবজি, মাছ-মাংসের দাম এখনও কমেনি। যদিও ঈদের পরদিন শনিবার কাঁচাবাজারে অধিকাংশ দোকান ছিল বন্ধ। ছিল না ক্রেতার আনাগোনাও। তারপরও দাম কমছে না সবজি কিংবা মাছ-মাংসের।

রবিবার (১৬ মে) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারিতে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, পেঁপে, গাজর, করলা, চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ধুন্দল, কাকরোলসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতের পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের বাজারেও। এতে খুচরা বাজারে ভারতের পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের সমান। বাজারে এখন ভারতীয় কিংবা দেশি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। যা ঈদের আগেও মানভেদে প্রায় ৫-১০ টাকা কম ছিল।

পেঁয়াজের আমদানিকারক আবদুল মাজেদ জানান, করোনার বিধিনিষেধে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে ভারতের পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমদানিও প্রায় বন্ধ। তবে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়েনি। কিন্তু ভারতের পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম বাড়ার ব্যাপারে বিক্রেতারা বলেন, ঈদেরদিন অনেকেই মোকাম করেননি। গ্রাম থেকে সবজি আসছে না। এ কারণে দাম বেড়ে গেছে। ঈদের আগে যে কাঁচামরিচ ৮০ টাকায় বিক্রি হতো, তা বেড়ে এখন ১২০ টাকা কেজি। একইভাবে গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাঁচাকলার হালি ৪০ থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। শুধু পটল আর ঢেঁড়শ ছাড়া অন্যান্য প্রায় সব সবজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। শুধু পটল আর ভেন্ডির দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। মাছ-মাংসের দামও ঈদের আগের তুলনায় কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: পেঁয়াজে ঝাঁজ

আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




গরুর মাংসসহ ২৯ নিত্যপণ্যের দাম বেঁধে দিলো সরকার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে ২৯টি কৃষি পণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এই মূল্য অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে এতে জানানো হয়েছে।

নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, খুচরা পর্যায়ে কেজিতে মুগ ডালের নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬৫ টাকা ৪১ পয়সা, মাসকালাই ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা, ছোলা (আমদানিকৃত) ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা, মসুর ডাল (উন্নত) ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা, মসুর ডাল (মোটা) ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা, খেসারি ডাল ৯২ টাকা ৬১ পয়সা, পাঙাস (চাষের মাছ) ১৮০ টাকা ৮৭ পয়সা, কাতল (চাষ) ৩৫৩ টাকা ৫৯ পয়সা, গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা, খাসির মাংস এক হাজার ৩ টাকা ৫৬ পয়সা।

এছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা, সোনালি মুরগি ২৬২ টাকা, ডিম প্রতি পিস ১০ টাকা ৪৯ পয়সা, দেশি পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা, দেশি রসুন প্রতি কেজি ১২০ টাকা ৮১ পয়সা, আমদানি করা আদা প্রতি কেজি ১৮০ টাকা ২০ পয়সা, শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৩২৭ টাকা ৩৪ পয়সা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০ টাকা ২০ পয়সা, বাঁধাকপি কেজিপ্রতি ২৮ টাকা ৩০ পয়সা, ফুলকপি কেজিপ্রতি ২৯ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া কেজিপ্রতি বেগুন ৪৯ টাকা ৭৫ পয়সা, শিম ৪৮ টাকা, আলু ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা, টমেটো ৪০ টাকা ২০ পয়সা, মিষ্টি কুমড়া ২৩ টাকা ৩৮ পয়সা, জাহিদি খেজুর ১৮৫ টাকা ৭ পয়সা, চিড়া (মোটা) ৬০ টাকা, প্রতি হালি সাগর কলা ২৯ টাকা ৭৮ পয়সা ও বেসন ১২১ টাকা ৩০ পয়সা।

পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এ মূল্যে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদফতর।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




৯ বছরে সরকারি চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন ৩৮৫৫৮ নারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ এখন সর্বত্র। সচিবালয় থেকে শুরু করে সরকারি চাকরির বিভিন্ন স্তরে নারী চাকরিজীবীর সংখ্যা বাড়ছে দিনে দিনে। ২০১৪ সালে সরকারি চাকরীতে নারী ছিলেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৫৮১। ৯ বছর পর ২০২৩ সালে সরকারি চাকরিতে নারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯। এই ৯ বছরে সরকারি চাকরীতে নারীর সংখ্যা বৃদ্দি পেয়েছে ৩৮ হাজার ৫৫৮।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সবশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে সারা দেশে সরকারি চাকরিজীবী আছেন ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ জন পুরুষ। নারী চাকরিজীবী রয়েছেন ৪ লাখ ৯ হাজার ১৩৯ জন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দিনে দিনে সরকারি চাকরিতে নারীদের সংখ্যা বাড়ছে, অবস্থান মজবুত হচ্ছে। সরকারের নানামুখী উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে শিক্ষার হার বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের নিরাপত্তা বেড়েছে ফলে অধিকসংখ্যক নারী চাকরিতে প্রবেশ করছেন। কিন্তু এখনো নারীদের শতকরা হিসেবে অংশগ্রহণ সন্তোষজনক নয়। নারীর জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা, পুরুষদের প্রথাগত মানসিকতা পরিবর্তনে সচেতনতা, চাকরি ক্ষেত্রে হয়রানি বন্ধসহ নানা ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের জনসংখ্যার হিসেবে নারী ও পুরুষের চেয়ে বেশি হলেও চাকরি ক্ষেত্রে নারীদের সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক কম। বিষয়টি ফুটে উঠেছে সরকারি প্রতিবেদনেও।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান (৩০ মে ২০২৩ সালে প্রকাশিত) প্রথম শ্রেণির চাকরিতে মোট কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৫১৪ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৯৬ জন পুরুষ আর নারীর সংখ্যা ৪০ হাজার ১৮। দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৪ জন, যেখানে ১ লাখ ২৭ হাজার ৬০৬ জন পুরুষ, ৬৬ হাজার ৫৮ জন নারী। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৬ লাখ ৩ হাজার ৪৩৩ জন, যেখানে পুরুষ ৩ লাখ ৫৬ হাজার ২৭১ এবং নারী ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২ জন। চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন ৪ লাখ ১৫ হাজার ১০৪ জন, যেখানে পুরুষের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ১৭ এবং নারী ৫৫ হাজার ৮৭ জন।

সরকারি চাকরিতে নারীদের অংশগ্রহণ কতটা বেড়েছে তা বোঝা যায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ২০১৪ সালের সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে।

২০১৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ হাজার ৬৩৭, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ১৮। অর্থাৎ এ ৯ বছরে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৬ হাজার ৩৮১। একইভাবে দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ২০১৪ সালে ছিলেন ৫৩ হাজার ৪১ জন নারী, যা ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৫৮ জনে। এ সময়ে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ১৭। তৃতীয় শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২, বর্তমানে তা ২ লাখ ৪৭ হাজার ১৬২। অর্থাৎ ৯ বছরে এই শ্রেণির চাকরিতে নারীর সংখ্যা বেড়েছে ৩৫০। একই সময়ে চতুর্থ শ্রেণির চাকরিতে নারী সংখ্যা ৭ হাজার ৯৯৬ বেড়ে গত বছর হয়েছে ৫৫ হাজার ৮৭।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, সরকারি চাকরিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। এটা বেশ ইতিবাচক হলেও সন্তুষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি চাকরিতে নারীরা সংখ্যায় বাড়লেও শতকরা হিসাবে এখনো পুরুষ থেকে অনেক পিছিয়ে আছেন। নারীদের সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে, তাদের প্রাপ্য সম্মান ও অধিকার দিতে হবে।


আরও খবর



কক্সবাজারের গোল দিঘির পাড়ে প্রকাশ্যে রশীদের চোলাই মদের ব্যবসা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

কক্সবাজার শহরের গোল দিঘির পাড়স্থ রাখাইন পাড়ায় চোলাই মদের পাইকারি কারবার করে যাচ্ছে রশীদ ওরফে বার্মাইয়া রশীদ। প্রকাশ্যে এই মদের ব্যবসা চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন রয়েছে চুপ। কোন প্রকার আইনি বাধা না থাকায় জমজমাট হয়ে উঠেছে রশীদের মাদক কারবার।

প্রতিদিন ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রামু থেকে সিএনজি টেক্সি যোগে প্রকাশ্যে চোলাই মদ এসে খালাস হচ্ছে গোল দিঘির পাড়স্থ রাখাইন পাড়াগুলোতে। পাইকারি এই মদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের তালিকাভুক্ত বহু মামলার আসামী শহরের বৈদ্য ঘোনা এলাকার রশীদ ওরফে বার্মাইয়া রশীদ। তিনি একই এলাকার মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। এই মদ কারবারে তার একাধিক সহযোগী রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈদ্য ঘোনা এলাকায় রশীদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, হত্যা মামলা ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। এসব মামলা মাথায় নিয়ে গোলদিঘির পাড় এলাকায় প্রকাশ্যে চোলাই মদের পাইকারি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ অনেক বছর ধরে প্রকাশ্যে এই কারবার চালিয়ে গেলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রশীদ।

রামু ক্যান্টেনমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের পাশে টাইম বাজার এলাকার এক রাখাইন থেকে এসব চোলাই মদ সংগ্রহ করেন রশীদ। নাম প্রকাশে অনিছুক গোল দিঘির পাড় এলাকার এক মদক কারবারি বলেন, আমি তো ছোট ব্যবসা করি। দিনে হয় তো দেড় হাজার টাকা মত লাভ হয় আমার। ওই লাভ থেকেও বিভিন্নজনকে কমিশন দিতে হয়। দিন শেষে আমার কিছুই থাকে না। এখানের বড় মদ ব্যবসায়ী হল বৈদ্য ঘোনার রশীদ। পুলিশ সদস্য যারা গোল দিঘির পাড় কেন্দ্রীক রাতে ডিউটি করেন সবাই জানে রশীদের চোলাই মদের কারবার সম্পর্কে। কিন্তু কৌশলে তারাও চুপ থাকে।

এ বিষয়ে রশীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মদের ব্যাবসা করলে আপনার কি! আপনি আমাকে চেনেন না, আমি অনেক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করিয়েছি। আমি সব মামলায় জামিনে আছি, এক পর্যায়ে অভিযোগের বিষয় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র দাবী করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

কক্সবাজার শহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যে হোক না কেন খোঁজখবর নিয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এবিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) কায়সার হামিদ বলেন, মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি। যারা এসব চোলাই মদ পাইকারি এনে সরবরাহ দিচ্ছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।


আরও খবর



‘বৃষ্টি খাতুন’ পরিচয়ে সাংবাদিকের মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঢামেক প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি নামে পরিচিত নারী সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দায়িত্বরত পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি নিহত নারী সাংবাদিকের পরিচয় নিশ্চিতকরণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত আছেন।

এস আই আব্দুল জব্বার জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে অভিশ্রুতির প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জন নিহত হন। এর মধ্যে এক নারী সাংবাদিক রয়েছেন। ওই সাংবাদিক কর্মক্ষেত্রে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে পরিচিত। তার একটি বায়োডাটায় লেখা আছে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বী।

তবে তার মৃত্যুর খবর দেখে মরদেহ নিতে আসেন কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম সবুজ নামে একজন। তিনি নিজেকে অভিশ্রুতির বাবা বলে পরিচয় দেন এবং দাবি করেন অভিশ্রুতি মুসলিম। ফলে ওই সাংবাদিকের প্রকৃত পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তেরি হয়। জটিলতা তৈরি হয় মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে। তবে, কুষ্টিয়ার শাবলুল আলম ছাড়া ওই নারীর মরদেহ নিতে অন্য কেউ আসেননি।

পরিচয় নিশ্চিত হতে আজ ওই সাংবাদিকের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। তাতে দেখা গেছে এনআইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্রে তার নাম বৃষ্টি খাতুন লেখা আছে। বাবার নাম সবুজ শেখ আর মায়ের নাম বিউটি বেগম লেখা আছে।

এনআইডি অনুযায়ী তার গ্রাম বনগ্রাম, ডাকঘর বনগ্রাম, উপজেলা খোকসা এবং জেলা কুষ্টিয়া। এনআইডির তথ্যানুযায়ী পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এখন সাংবাদিক অভিশ্রুতির মরদেহ তার বাবা শাবলুল আলম সবুজের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে বৃষ্টি খাতুনের মা বিউটি বেগম জানান, অভিশ্রুতি নামটি ওর নিজের দেওয়া। ওর আসল নাম বৃষ্টি খাতুন।

তার বাবা সবুজ শেখ বলেন, অভিশ্রুতি আমার মেয়ে। অভিশ্রুতি আমার তিন মেয়ের মধ্যে বড়। আমার আরও দুটি মেয়ে রয়েছে। নিজের মেয়েকে নিয়ে কেন মিথ্যা বলব?


আরও খবর



ধানমন্ডির সপ্তক স্কয়ারে আগুন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেল ৪টা ৪৪ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের সপ্তক স্কয়ারে আগুন লাগার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্রপাত এবং হতাহতের কোনো খবর জানাতে পারেননি ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর