এ বছর কোরবানি
ঈদের ৩ দিনে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ পিস কাঁচা চামড়া সরাসরি সংগ্রহ করেছেন ট্যানারিমালিকেরা।
যা গত বছরের চেয়ে প্রায় দেড় লাখ বেশি। গত বছর ট্যানারিমালিকেরা প্রায় তিন লাখ কাঁচা
চামড়া কিনেছিলেন। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ
এ তথ্য জানান।
সাধারণত কোরবানির
চামড়ার বড় অংশই লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করেন মৌসুমি ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা। পাশাপাশি ট্যানারিমালিকেরাও
সরাসরি কিছুসংখ্যক কাঁচা চামড়া কেনেন। তবে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ২০১৭ সালে সাভারের
হেমায়েতপুরে ট্যানারি স্থানান্তরের পর থেকে সরাসরি কাঁচা চামড়া কেনা বাড়িয়েছেন ট্যানারিমালিকেরা।
বিটিএ’র চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন,
ছাগলের চামড়ার বিশ্বব্যাপী ডিমান্ড কমেছে। আমরা হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিফট করেছি
২০১৭ সালে সেখানে মূলত খাসি ও ছাগলের চামড়ার ইউনিট ছিল, সেই ইউনিট গুলোকে আমরা নিতে
পারিনি। সাভারে আমাদের ৫ থেকে ৬টি ইন্ডাস্ট্রি আছে যারা ছাগল ও খাসির চামড়া প্রসেস
করে। এটার একটা বিরূপ প্রভাব কয়েক বছর যাবৎ পড়েছে।
আমরা মনে করি,
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এ বছর ঈদের আগেই সরকার যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছিল সেটা যুগোপযোগী
হয়েছে এবং জেলা প্রশাসকদের সমন্বয়ে উপজেলা পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছিল সেটার
প্রভাব আমরা মাঠ পর্যায়ে দেখছি। বিভিন্ন উপজেলায় চামড়া সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। আরেকটি
ভালো সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঢাকার ভেতরে ৭ দিন চামড়া ঢুকতে না দেওয়া। ট্যানারি মালিকদেরও
সে রকম সক্ষমতা নেই যে ১-২ দিনের ভেতরে লাখ লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। যারা
হাইডেন মার্চেন্ড আছে তাদেরও সক্ষমতা নেই। সেই কারণে বিভিন্ন জেলায় চামড়া লবণ দিয়ে
সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে, বলেন তিনি।
শাহীন আরও বলেন,
জেলা পর্যায়ে এতিমখানা-মাদ্রাসায় দেখা যায় লবণ দেওয়ার প্রবণতা কম। তারা রক্তযুক্ত চামড়া
বিক্রি করেছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে রাতে টেন্ডার করে তারা এগুলো বিক্রি করেছে। সরকারের
বেঁধে দেওয়া দামে ট্যানারি মালিকরা চামড়া কিনবে।