ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ডাক দিয়েছেন বাংলাদেশ
প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের
নেতাকর্মীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা। শনিবার থেকে
শুরু হবে এ কর্মসূচি।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত ৮টার পর বুয়েটের
প্রশাসনিক ভবনের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আগামীকাল বুয়েটের সব ক্লাস-পরীক্ষা
বর্জন করা হবে। আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। একই সঙ্গে ক্যাম্পাসের
সব প্রবেশদ্বারে অবস্থান নেবেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশেও
জড়ো হবে তারা। দাবি না মেনে নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বুয়েট ছাত্র
কল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক (ডিএসডব্লিউ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করেন।
এর আগে ২৮ মার্চ মধ্যরাতে একটি রাজনৈতিক
ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ ঘটনায় আন্দোলনে নামেন সাধারণ
শিক্ষার্থীরা। এরপর
শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো:-
১. বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্পষ্ট বিধিমালা
লঙ্ঘনের দায়ে ২৮ মার্চের মধ্যরাতে রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজ রাব্বিকে বুয়েট
থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।
২. ইমতিয়াজ রাব্বির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বুয়েটের
বাকি শিক্ষার্থীরা, যারা ওই সমাগমে জড়িত ছিল তাদের বিভিন্ন মেয়াদে হল এবং টার্ম বহিষ্কার
চাই।
৩. মধ্যরাতে ক্যাম্পাসে যেসব রাজনৈতিক
ব্যক্তি প্রবেশ করলো তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, তারা কীভাবে
প্রবেশের অনুমতি পেল এই ব্যাপারে বুয়েট প্রশাসনের সুস্পষ্ট সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা
নিশ্চিত করা।
৪. ১ ও ২ নম্বর দাবি আগামীকাল সকাল ৯টার
মধ্যে বাস্তবায়ন করা, না হলে ডিএসডাব্লিউ’র পদত্যাগ।
৫. ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে বহিরাগতদের প্রবেশের
প্রতিবাদে আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চের টার্ম ফাইনালসহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন।
৬. আন্দোলনরত বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের
বিরুদ্ধে কোনো রকম হয়রানিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- এই মর্মে লিখিত প্রতিশ্রুতি।