আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঈদযাত্রা
ও কোরবানির পশুর হাট নিয়ে ২৪টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গতকাল রোববার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনার কথা
জানানো হয়েছে।
ডিএমপি জানায়, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ
ভাগাভাগি করতে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। কেউ আবার ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন অথবা পরিকল্পনা
করছেন। পবিত্র ঈদ উল আযহায় মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও আনন্দময় করতে তাই নিচের নির্দেশনাগুলো
দেওয়া হলো।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
১। হাটে ট্রাক হতে গরু নামানোর এবং বিক্রির
সময়ে সংশ্লিষ্ট সড়ক মহাসড়কের ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট যেন ব্যহত না হয়।
২। নৌপথে ট্রলারের মাধ্যমে রাজধানীতে আসা
কোরবানির পশু যেন সুশৃঙ্খলভাবে নির্ধারিত হাটে যেতে পারে সে বিষয়ে যথাযথ নজরদারি রাখা।
৩। গরুর হাটকেন্দ্রিক স্বাচ্ছন্দ্য যাতায়াতের
জন্য পার্কিং এর সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৪। যত্রতত্র যেন কোরবানির পশুর হাট না
বসে এবং ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সঠিক থাকে তা নিশ্চিত করা।
৫। পশুবাহী গাড়িসমূহ অবশ্যই সিটি কর্পোরেশন
কর্তৃক অনুমোদিত হাটের ভিতর লোড-আনলোড করা।
৬। গরুর হাট কেন্দ্রিক সুষ্ঠু ট্রাফিক
নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশন, হাট ইজারাদার, পরিবহন মালিক, শ্রমিকনেতৃবৃন্দের সাথে প্রয়োজনীয়
সমন্বয় করা।
৭। টার্মিনাল ও পশুরহাট কেন্দ্রিক সঠিক
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা।
৮। টার্মিনাল কেন্দ্রিক যাত্রী উঠানামা
টার্মিনালের ভেতর হতেই করা।
৯। যাত্রী পরিবহন ও পশুবহনকারী গাড়ির
চলাচল সুশৃঙ্খল করার জন্য ঢাকা মহানগরীর এন্ট্রি/এক্সিট পয়েন্ট এ ইনকামিং/ আউটগোয়িং
রোডে এ সমন্বয়ের মাধ্যমে পরিবহন চালনা করা।
১০। ঢাকা মহানগরী হতে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার
যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকা।
১১। আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রীগণ বা গমন
প্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভিতরে অবস্থান
করার জন্য আহবান করা হয়েছে।
১২। সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে
টিকিট বহন করবেন।
১৩। কোন যানবাহনেই ছাদের উপর অতিরিক্ত
যাত্রী বহন করবে না।
১৪। যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা
এমন কোন অসম প্রতিযোগীতায় অংশ নিবেন না যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানীর
সম্ভবনা থাকে।
১৫। টার্মিনাল ভিত্তিক কাউন্টারগুলোতে
ভাড়ার চার্ট প্রদর্শন করতে হবে।
১৬। ঈদের পূর্বের ০৩ দিন কোন ভারী যানবাহন
যেন ঢাকা মহানগরীতে না ঢুকে সে বিষয়ে দৃষ্টি আরোপ করা।
১৭। ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন
এবং বিমানবন্দর কেন্দ্রিক রুটগুলো চলাচল উপোযোগী রাখতে স্বচেষ্ট থাকা।
১৮। জনগণ যেন যাত্রা পথে অপরিচিত ব্যক্তির
কাছ থেকে কোন খাদ্য বা পানিয় গ্রহণ না করে সে বিষয়ে সচেতনতামূলক কর্মকান্ড পরিচালনা
করা।
১৯। যাত্রাপথে জনগণের ব্যক্তিগত মালামাল
ও অর্থ যেন সাবধানে রাখা হয় সে বিষয়ে তাদের সচেতন করা।
২০। মোটর সাইকেলের চালক ও আরোহীদের ঢাকার
বাইরে দূরপাল্লার যাতায়াতের সময় অবশ্যই হেলমেট পরিধান করতে হবে।
২১। ঈদের আগে-পরে ফাঁকা রাস্তায় ওভারস্পীড
প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
২২। ঈদকে ঘিরে বিনোদন কেন্দ্রিক রুটগুলোর
ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সঠিক রাখতে সচেষ্ট থাকা।
২৩। আনফিট/ রুট পারমিট বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে
অভিযান চলমান আছে, থাকবে।
২৪। প্রধান প্রধান ঈদ জামাত কেন্দ্রিক
ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
প্রয়োজনে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম: ০১৭১১-০০০৯৯০
অথবা জাতীয় জরুরী সেবা: ৯৯৯ এ ফোন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া আসন্ন ঈদ উল আযহা উপলক্ষ্যে ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।