আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

ঈদ অফারে মার্সেল পণ্যে ক্যাশব্যাকসহ লাখ লাখ টাকার ফ্রি পণ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১০ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শুরু হলো দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড মার্সেলের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৪। এর আওতায় ঈদ অফারে দেশের যেকোনো মার্সেল শোরুম থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান কিনে ক্রেতারা পেতে পারেন ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। রয়েছে লাখ লাখ টাকার পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ। ১০ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এসব সুবিধা পাবেন।

উল্লেখ্য, অনলাইন অটোমেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের আরো দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। ইতোমধ্যে সফলভাবে ক্যাম্পেইনের ১৩টি সিজন সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের কাছ থেকে অভতপূর্ব সাড়া মিলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের সিজন-১৪ শুরু করলো মার্সেল। এর আওতায় মার্সেল ঈদ অফারে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিশ্চিত ক্যাশব্যাক ও লাখ লাখ টাকার ফ্রি পণ্য পাওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন ক্রেতাসুবিধার ঘোষণা এলো।

বুধবার (৯ মার্চ, ২০২২) রাজধানীতে মার্সেল করপোরেট অফিসে এক ডিক্লারেশন প্রোগ্রামে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৪ চালুর ঘোষণা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, এমদাদুল হক সরকার, ইভা রিজওয়ানা নিলু ও হুমায়ূন কবীর, হেড অব মার্সেল ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্ক ড. মোঃ সাখাওয়াত হোসেন, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) সোহেল রানা, কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সের সিবিও মাহফুজুর রহমান, মার্সেলের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর আমিন খান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আরিফুল আম্বিয়া, ব্র্যান্ড রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ইনচার্জ দিদারুল আলম খান, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের প্রধান সমন্বয়ক নাজমুল হোসাইন ইভান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-১৪ চলাকালে দেশের যেকোনো মার্সেল শোরুম থেকে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, ব্লেন্ডার, গ্যাস স্টোভ, রাইস কুকার ও ফ্যান কেনার সময় পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হবে। ক্যাশব্যাক কিংবা ফ্রি পণ্য পেলে ক্রেতাদের দেয়া মোবাইল নাম্বারে এসএমএস-এর মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট মার্সেল শোরুম ক্রেতাদের প্রাপ্ত ক্যাশব্যাক কিংবা ফ্রি পণ্য বুঝিয়ে দেবে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং বিক্রি করা পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য অনলাইন সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে ক্যাম্পেইনের আওতায় নানা সুবিধা দেয়া হচ্ছে।  


আরও খবর



ঈদ সার্ভিসে যুক্ত হবে ঢাকায় চলাচল করা বিআরটিসির ৫৫০ বাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশনের (বিআরটিসি) ৫৫০টি বাস। দূরপাল্লার বাসগুলোর পাশাপাশি এই বাসগুলো সার্ভিস দিবে বলে জানিয়েছেন বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম।

সোমবার সকালে মতিঝিল বিআরটিসি ভবনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, ঢাকা শহরে আমাদের ৬০০টি বাস আছে। ৫০টি বাস রেখে বাকি ৫৫০টি বাস ঈদ সার্ভিসে যুক্ত করা হবে। পত্রিকায় গণ বিজ্ঞপ্তি আকারে কয়েকদিনের মধ্যেই দেয়া হবে। মাত্র ৩৪টি লিজে আছে। গাড়ি লিজে চালাবো না। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

তিনি আরও  বলেন, ২০২০ সালে ১ হাজার ৮২৫টি বাসের মধ্যে ৮৮৫টি বাস অনরুট ছিলো; ২০২১ সালে ১ হাজার ৭৬২টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ১০৬টি বাস অনরুট ছিলো, ২০২২ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৩৩টি বাস অনরুটে ছিলো এবং ২০২৩ সালে ১ হাজার ৩৫০টি বাসের মধ্যে ১ হাজার ২৫৩টি বাস অনরুটে ছিলো।


আরও খবর



ভুল চিকিৎসায় স্থপতির মৃত্যুর অভিযোগ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চর্মরোগের চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভুল চিকিৎসায় স্থপতি রাজীব আহমেদের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরেন রাজীব আহমেদের স্ত্রীর বড় ভাই রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আরেফ উদ্দিন আহমেদ। কোথায় কোথায় ভুল হয়েছে এবং সংশ্লিষ্টদের অবহেলার সবিস্তারে ব্যাখ্যা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, স্থপতি রাজীব আহমেদ, বুয়েট ২০০৩ ব্যাচের সদস্য ও রুফলাইনারস স্টুডিও অব আর্কিটেকচারের অন্যতম প্রধান স্থপতি। তিনি গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর। আকস্মিক মৃত্যুতে তার পরিবার হতবিহ্বল হয়ে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে তার প্রেসক্রিপশন ও হাসপাতালের রেকর্ড নিয়ে কয়েক দফা আলোচনায় বসে। এতে ভুল চিকিৎসায় তার মৃত্যুর বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ডা. আরেফের অভিযোগ, দেড় বছর ধরে রাজীব চর্মরোগের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত ২৮ জানুয়ারি তিনি চিকিৎসকের কাছে গেলে নতুন ওষুধ দেওয়া হয়। সেই ওষুধ খেয়ে প্রচণ্ড পেটব্যথা নিয়ে রাজীব ৭ ফেব্রুয়ারি বেসরকারি হাসপাতাল শমরিতায় ভর্তি হন। সেখানে তাকে দুটি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজীবের অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন তাকে বেসরকারি অপর হাসপাতাল স্কয়ারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে আরও অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রাজীবের কিডনি অকার্যকর হয়ে যায়। এতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাকে যে ভুল চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, একজন চিকিৎসক হিসেবে তার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন ডা. আরেফ উদ্দিন।

তিনি বলেন, দুই হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালে অব্যবস্থাপনা ছিল। চিকিৎসকরা অনেক তথ্য পরিবারের সদস্যদের কাছে আড়াল করেছেন। চিকিৎসকদের কাছে রাজীবের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সব সময় ধৈর্য ধরতে বলেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চেয়ে আমরা বিএমডিসিতে (চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রতিকারের জন্য তদারকি সংস্থা বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল) অভিযোগ করেছি। আশা করছি নায্য বিচার পাব।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থপতি রাজীব আহমেদের স্ত্রী স্থপতি সারাওয়াত ইকবাল, রাজীবের ছোট বোন তানিয়া শবনম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি মাহফুজুল হক জগলুল ও রাজীবের সহপাঠীরা।

তানিয়া শবনম বলেন, চিকিৎসকদের ভুল চিকিৎসায় আমার ভাই মারা গেছেন। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচার হোক। যাতে আর কোনো সন্তান এভাবে তার বাবাকে না হারায়, কোনো বোন তার ভাইকে না হারায়।’

বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সহসভাপতি মাহফুজুল হক বলেন, এ ঘটনার সুবিচার না পেলে তারা কঠোর আন্দোলন করবেন।


আরও খবর



বরই, খেজুর বিতর্ক সাংবাদিকদের তৈরি: শিল্পমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বরই, খেজুর বিতর্ক সাংবাদিকদের তৈরি। কোনো মহল নিজেদের স্বার্থে এসব করছে। আমি বলেছি, ইফতারের থালায় দেশি ফল রাখুন। খেজুর নিয়ে কিছু বলিনি।

রোববার (১০ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) সম্মেলন কক্ষে রমজানে পণ্যের মান ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআইয়ের বিশেষ অভিযান ও গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, দাম বাড়িয়ে যে সব ব্যবসায়ী রোজায় বিদেশে ছুটি কাটায়, আমরা তাদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি। সাংবাদিকরা তাদের নাম-ঠিকানা দিন, আমরা ব্যবস্থা নেব।

এর আগে গত ৪ মার্চ জেলা প্রশাসক সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, আমাদের অভাব অভিযোগ আছে। বরই দিয়ে ইফতার করেন। আঙুর, খেজুর লাগবে কেন? পেয়ারা দেন না কেন?

নূরুল মজিদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ইফতার পার্টি হবে না। দেশি ফল দিয়ে ইফতারের প্লেট সাজান।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন কথায় কথায় বরই খাওয়ার কথা বলে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আজ রোববার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।


আরও খবর



ভারত মহাসাগরে জিম্মি জাহাজে ২৫ দিনের খাবার আছে

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়া বাংলাদেশি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ২৫ দিনের মতো খাবার রয়েছে। এ ছাড়া জাহাজটিতে বিশুদ্ধ পানি রয়েছে ২০০ টন।

জাহাজের প্রধান কর্মকর্তা মো. আতিকউল্লাহ খান এক অডিও বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। জাহাজটি জলদস্যু নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার এক বার্তায় জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের কর্মকর্তাদের কাছে তিনি এ গোপন অডিও পাঠান।

আতিকউল্লাহ খান অডিও বার্তায় বলেন, আমাদের জাহাজে ২০২৫ দিনের রসদ (খাবার) আছে। ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি আছে। আর জাহাজে রয়েছে ৫৫ হাজার টন কয়লা। রসদ যাতে দ্রুত ফুরিয়ে না যায়, সে জন্য অপ্রয়োজনে ব্যবহার না করার জন্য সবাইকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রথমে নাবিকদের সুরক্ষার বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলদস্যুরা নাবিকদের কোনো ক্ষতি করেনি। তারা সুস্থ আছে। জাহাজে নাবিকদের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

জাহাজে নাবিকদের খাবার ফুরিয়ে গেলে কীভাবে সামাল দেওয়া হয়, জানতে চাইলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, জাহাজটি জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর এখন রেশনিং করে চলতে হবে। ২০০ টন পানি দিয়ে সাধারণত এক মাস চলা যায়। রেশনিং করলে আরও বেশি দিন যাবে। একইভাবে ২৫ দিনের খাবার রেশনিং করে আরও কিছুদিন চালিয়ে নেওয়া যাবে। তবে জ্বালানি নিয়ে খুব সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, যত দ্রুত জাহাজ ও নাবিকদের ছাড়িয়ে আনা যাবে, তাহলে খাবারজ্বালানি নিয়ে সমস্যা হবে না। আবার জলদস্যুরা উপকূলের কাছাকাছি নেওয়ার পর প্রয়োজনে খাবারপানির ব্যবস্থা করে।

এর আগে ২০১০ সালে একই গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি জাহান মণি ছিনতাই হওয়ার তিন মাস পর মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল গ্রুপটি। আবার কোনো জাহাজ ছয় থেকে আট মাস পর মুক্ত হওয়ার নজির রয়েছে।


আরও খবর



আতঙ্কে নৌকার সমর্থকরা

একের পর এক হামলা, অশান্ত হয়ে ওঠছে পিরোজপুর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image

পিরোজপুর-১ (সদর-নাজিরপুর-ইন্দুরকানী) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তীকালে একের পর এক স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের সন্ত্রাসী বাহিনীর সশস্ত্র হামলার শিকার হচ্ছেন সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিমের কর্মীরা। প্রায় প্রতিদিনই কাউকে না কাউকে কুপিয়ে অথবা পিটিয়ে আহত করছে আউয়ালের সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। নৌকা কর্মী-সমর্থকদের ওপর একের পর এক হামলায় চরম আতঙ্কে রয়েছে নৌকার সমর্থকরা। যে কোনো সময় বড় ধরনের ঘটনার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১১টায় পৌরসভার সামনে হামলার শিকার হয় নৌকা সমর্থক সাব্বির আহম্মেদ। প্রকাশ্য দিবালোকে আউয়ালের ক্যাডাররা সাব্বির আহম্মেদকে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। তাকে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার পাড়ের হাট বন্দরে হামলার শিকার হন নৌকার এজেন্ট ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হালিম হাওলাদার। লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তার পায়ের হাড় ভেঙে দেয়া হয়। হামলার পূর্বে তাকে ঈগল প্রতীকের পক্ষে না থেকে নৌকার পক্ষে কাজ করায় কয়েকবার হুমকি দেয়া হয়েছিল বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, নৌকা বিজয়ী হওয়ার পর ঈগল প্রতীকের প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের সমর্থকরা পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই হামলা চালায়। তিনি বর্তমানে পিরোজপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টায় নৌকা প্রতীকের এজেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের সভাপতি ফয়সাল আকনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম আউয়ালের ঈগল প্রতীকের সমর্থক (ক্যাডার) সাইদুল ফরাজি, মিজান, সাইদুল ফকির ও ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী জামালসহ আরো ১০-১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়।

তারা ফয়সালকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে। তার শরীর অগণিত কোপে ক্ষতবিক্ষত হয়। পেটের নাড়ি-ভুঁড়ি বেরিয়ে যায়। হাতের আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, মাথার হাড় কেটে বিভক্ত হয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পৌনে ৩ ঘণ্টা ব্যাপী অপারেশন হয়। তিনি আইসিউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার পরিবার থেকে জানানো হয়, ফয়সাল মৃত্যুর সাথে লড়ছেন।

এ ঘটনায় র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ৩ জন আসামি গ্রেফতার করে। পরে অন্য তিন আসামি আদালতে জামিন নিতে এলে আদালত তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামিরা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ক্যাডার।

এর আগে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনজীবী সমিতির তলবি সভা এবং এডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে হামলার শিকার হয়ে ৫ জন আইনজীবী গুরুতর আহত হন। এঘটনায় একেএমএ আউয়ালের সমর্থিত জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আলাউদ্দিন খান ও সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক খানের নির্দেশে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে ৫ জন জনকে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহত আইনজীবীরা। আহত ৫ জনই শ ম রেজাউল করিমের সমর্থক। এ ঘটনায় থানায় নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

গত ১৬ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নৌকার সমর্থক মো. সজিব হাওলাদার তার বাড়ি পশ্চিম ডুমুরিতলায় আক্রান্ত হন। তার শরীরে দা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে অসংখ্যবার কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় ১৭ জানুয়ারি মামলা হলেও অদ্যাবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমনকি নৌকা প্রতীকের এজেন্ট শাকিলকে বেধড়ক মারধর করা হয় শংকর পাশা ইউনিয়নে।

এছাড়া, বিক্ষিপ্তভাবে হামলা হয়েছে একাধিক নৌকার সমর্থকের ওপর। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নৌকা সমর্থক ও কর্মীরা আতঙ্কে আছেন বলে একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপরে জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান পিরু বলেন, সংসদ নির্বাচনোত্তর একের পর এক আমাদের এমপি মহোদয়ের কর্মীরা পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্যাডাদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু এর কোনো সুরাহা হচ্ছে না। আর এ ঘটনাগুলোয় পুলিশের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। আমি চাই এই সন্ত্রাসী হামলাগুলোয় যারা জড়িত ও তাদের গডফাদারদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হোক।

শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল প্রকার সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করেও বিজয়ী হতে না পেরে নৌকার সমর্থক ও কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর পরিবারের ভাড়াটিয়া খুনি ও সন্ত্রাসীরা। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান। আহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ না করে ঈগল প্রতীকের বিদ্রোহী প্রাথী একেএমএম আউয়ালের পক্ষে কাজ করার জন্য নানা প্রকার হুমকি ও প্রলোভন উপেক্ষা করেছিল তারা। নির্বাচনে তারা হেরে যাওয়ায় প্রতিশোধ নিতেই একের পর এক নৃশংস হামলা করা হচ্ছে।

শ ম রেজাউল করিম জানান, তিনি সকল ঘটনা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহা-পুলিশ পদিরর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করে প্রতিকারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, পিরোজপুরের অধিকাংশ হত্যা ও সহিংস ঘটনার পিছনে গডফাদার রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা না হলে পিরোজপুরে অনেকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারে। তিনি পিরোজপুরের জনসাধারণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছেন।

উল্লেখ্য, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে শহরে প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া হয়। জেলা যুবলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান ফুলু, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক শিকদার চান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার মাহমুদ সজল এবং উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসএম বায়েজিদ হোসেনের বাড়িতে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থী একেএমএম আউয়ালের সমর্থকরা।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ফয়সাল আকনের ঘটনায় ৮ জন আসামির মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আর সব মামলার আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। বাসা বড়িতে হামলার এ তথ্য আমার কাছে নেই। সাব্বিরকে আহতের ঘটনায় প্রধান আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে দুই-চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

 

 


আরও খবর