আজঃ বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

এডিস মশার আবাসস্থল নির্মূলে গুরুত্ব দিতে হবে: উপাচার্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৩ জুন ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গুর পরিবর্তনশীল প্যাটার্ন, উপসর্গ নিয়ে (চ্যাঞ্জিং প্যাটার্ন অফ ডেঙ্গু সিনড্র) নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) বিশেষ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় (৩ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে এর আয়োজন করে ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগ।

সেমিনারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ রোগ প্রতিরোধে এডিস মশার নিধন, ডেঙ্গুজ্বরের চিকিৎসার ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণের পাশাপাশি রোগ ও রোগীর অবস্থাভেদে চিকিৎসার উপর গুরুত্বারোপ করেন। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের ডেঙ্গু চিকিৎসার জাতীয় নীতিমালার প্রধান সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম। সেমিনার শেষে কেবিন ব্লকের সাধারণ জরুরি বিভাগে ডেঙ্গু কর্নারের শুভ উদ্বোধন করা হয়।

সেমিনারে বলা হয়, বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রথম প্রাদুর্ভাব শুরু হয় ২০০০ সালে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ ছিল জ্বর, কাশি, র‌্যাশ হওয়া, মাথা ব্যাথা হওয়া। কিন্তু ২০২১ সালের পর ডেঙ্গুর উপসর্গ পরিবর্তন হয়। তখন ডেঙ্গুতে নতুন উপসর্গ পেটে ব্যাথা পাতলা পায়খানায় পরিবর্তন হয়। এটি এখনো চলমান রয়েছে। ২০২২ সালে সর্বমোট আক্রান্ত  হন ৬১৭৬৩ জন এবং ২৮১ জন মারা যান যা অতীতের তুলনায় সর্বাধিক। ২০২৩ সালে ২ জুন পর্যন্ত আক্রান্ত ১৭৯৩ জন এবং মারা যান ১৩ জন। ২০২৩ সালে জানুয়ারিতে ৫৫৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন ও মে-তে ৭৮৫ জন মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। সাধারণত দেশে জুন মাস থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। কিন্তু এবার মে মাসেই সর্বাধিক ডেঙ্গু রোগী সারাদেশ শনাক্ত হয়। এজন্য এ বছর বাড়তি সতর্কতা জরুরি।  জ্বর  হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বর হলেই প্রথম দিনেই ডেঙ্গু পরীক্ষা এনএস ওয়ান পরীক্ষা করাতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর ধরা পড়লে পর্যাপ্ত পানি জাতীয় খাবার এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। অযাচিত এন্টিবায়োটিক সেবন থেকে বিরত থাকবেন। এসময়ে অ্যাসপিরিন জাতীয় ও ব্যাথার ওষুধ বন্ধ রাখতে হবে। বমি, পাতলা পায়খানা, পেট ব্যাথা, শাসকষ্ট, শরীরে কোথাও রক্তপাত হলে দ্রুত হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্লাটিলেট অথবা রক্ত দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে চিকিৎসক এর সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রক্ত দেয়ার প্রয়োজন নাই। ডেঙ্গু জ্বরের ক্ষেত্রে প্রতিরোধই উত্তম। সেজন্যে মশারী ব্যবহার, বাচ্চাদের ফুল হাতা জামা পড়ানো, বাড়ির আশেপাশে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য সাধারণ জনগণের সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন>> ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশ

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশররফ হোসেন। সেমিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোঃ টিটু মিয়া, অধ্যাপক ডা. এমএ জলিল চৌধুরী, বিএসএমএমইউর ইন্টারন্যাশনাল মেডিসিন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ আরাফাত, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেছা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও ডেঙ্গু গবেষক অধ্যাপক ড. কবিরুল বাসার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনাল মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফজলে রাব্বী চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গত বছর ২০২২ সালে প্রায় ৬২ হাজার আক্রান্ত হয়েছিল মারা গেছেন ২৮১ জন। এ বছর জুন জুলাই আসার পূর্বেই আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ২ হাজার কিন্তু এরইমধ্যে ১৩ জন মারা গেছেন যা উদ্বেগের বিষয়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে। একটি গান আছে, ডোরাকাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়, সাদা সাদা ফোটা দেখে এডিস মশা চেনা যায়। এই মশা চিনতে হবে। এই মশাই ডেঙ্গুর জন্য দায়ী। নতুন বিল্ডিং তৈরি করার সময়, উন্নয়নমূলক কাজ করার সময় এবং বৃষ্টির পরে ছাদে পানি জমে থাকে কিনা  সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এক্ষেত্রে দায়ীদের জরিমানা করা যেতে পারে। বাড়ির পেছেন পরিস্কার রাখতে হবে। খালি পাত্র থাকলে তা উল্টো করে রাখতে হবে যাতে করে পাত্রের ভেতরে পানি জমে না যায়। শরীরে ফুল হাতার শার্ট ও পায়ে মোজার ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে। ডেঙ্গু হয়েছে কিনা তা জানতে জ্বর হলে শুরুতেই এনএস ওয়ান টেস্টটি করে নিতে হবে এবং জ্বর হলেই এ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। ফলমূলসহ পানি জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। ডেঙ্গু প্রথমবার হলে মৃত্যু হার কম কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয়বার হলে মৃত্যুহার বেশি। যারা ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন ধরণের রোগে ভুগছেন তাদেরকে আরো বেশি সতর্ক হতে হবে।  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, জ্বর হলে প্রয়োজন ছাড়া অযথা বাড়তি টেস্ট এবং বার বার টেস্ট না দেওয়া হয়। ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্লাটিলেট কমে গেলেই রক্ত দিতে এ হবে এই ধারণা ভুল। আবার রক্ত দেয়া যাবেই না এটাও ঠিক না। রোগীর অবস্থা বুঝে চিকিৎসক সিদ্ধান্ত রোগীকে কি কি চিকিৎসা দিতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. আবুল কালাজ আজাদ বলেন, ডেঙ্গু ও কোভিডে একই ধরণের উপসর্গ দেখা দেয়। উভয় রোগেই জ্বর, সর্দি, কাশির লক্ষণ দেখা যায়। এজন্য জ্বর হলেই ডেঙ্গু ও কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে। বর্তমানে পানিবাহিত রোগ টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীও অনেক পাওয়া যাচ্ছে। এজন্য জ্বর হলেই প্রথম দিনেই এনএস ওয়ান টেস্টটি করাতে হবে। শুরুতে রোগ চিহ্নিত না হলে রোগীর অবস্থার অবনিত হলে রোগীকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে আরও ৫ জনের মৃত্যু

বুধবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

একদিনে আরও ৪৮৬ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত

রবিবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪




বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকা দেবে জার্মানি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ১০০ কোটি ইউরো (প্রতি ইউরো ১৩৩ টাকা করে হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় ১৩ হাজার ৩০৩ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ৮০০ টাকা) সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামী ১০ বছরে এই সহায়তা দেবে জার্মানি। এর মধ্যে চলতি বছরই বাংলাদেশ পাবে দেড় কোটি ইউরো। বেসরকারি খাত, গবেষণা ইনস্টিটিউট, একাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের মতো সশ্লিষ্টদের সাথে এ নিয়ে আলোচনা ও প্রচারে একমত হয়েছে দুই দেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান অ্যাম্বাসেডর আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক করেন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এরপরই তিনি এসব তথ্য জানান। এ সহায়তার জন্য তিনি জার্মানিকে ধন্যবাদ দেন।

তিনি আরও বলেন, এই সহযোগিতায় ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী ও যুবকদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। এভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জার্মানির দক্ষতা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

এছাড়াও বৈঠকে নদী পরিষ্কার, পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ, পরিবেশ ও জলবায়ু-সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও কথা হয়।

প্রযুক্তি স্থানান্তর ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আরও উপায় খোঁজার জন্য একটি পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হয়।


আরও খবর



আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসিত করা হবে: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের পুনর্বাসিত করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, হাসপাতালের রেজিস্ট্রার থেকে এ আন্দোলনে আহত-নিহতদের তথ্য নিয়ে সবার ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। আহতের পুনর্বাসনের জন্য যা যা করা দরকার, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় তার নৈতিকতার জায়গা থেকে করবে।

আজ সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন। এর আগে হাসপাতালে তিনি আহতদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন।

বাচ্চাদের সুচিকিৎসা সরকারের প্রধান ম্যান্ডেট উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাচ্চাদের যদি নিরাপদ জীবন দিতে না পারি, তাহলে আমরা অকৃতজ্ঞ জাতি হব।

আহতদের প্রতি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের যত্ন, ভালোবাসা, সুচিকিৎসা, সেবার মান ও আন্তরিকতার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নতুন করে ডাক্তারদের সেবা পেলাম। নতুন করে চিকিৎসা সেবা দেখলাম। নতুন বাংলাদেশ এমন ডাক্তার ও সেবাই চায়।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ তরুণদের নিয়ে এখনই ভাবতে হবে। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে যেমন ভোলা যায় না, তেমনি ২০২৪ এর নতুন বাংলাদেশের স্মৃতিও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা যাবে না। আমরা নিহতদের ভুলতে  দেব না। যে বাচ্চারা নতুন এক বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন, তাদের নিরাপদ জীবন দিতে হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, এই বাচ্চারা সুস্থ না হলে, পুনর্বাসিত না হলে- আমরা ভালো থাকবো না। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যত প্রকল্প রয়েছে, যত প্রোগ্রাম রয়েছে এখন থেকে এই বীর বাচ্চাদের ফোকাস করে নেওয়া হবে।

এ সময় ছিলেন ঢামেকের অধ্যক্ষ ডা. সফিকুর রহমান, উপ-পরিচালক ডা. মো. খালেকুজ্জামান, সহকারী পরিচালক ডা. আশরাফুল আলম, ডা. আব্দুর রহমান ও ডা. আবদুস সামাদ প্রমুখ।


আরও খবর



আন্দোলনে আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ব্যক্তিদের খোঁজখবর নিতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের অবস্থার খোঁজখবর নেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের আট শিক্ষার্থীসহ অন্তত ১১ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের পরিচালক কাজী দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন চার শিক্ষার্থীর অবস্থা দেখেছেন। চারজনই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।


আরও খবর



ইরানে প্রথম নারী সরকারি মুখপাত্র হলেন মোহাজেরানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

প্রথমবারের মতো একজন নারীকে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করেছে ইরান। ইরান সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত হওয়া ওই নারীর নাম ফাতেমেহ মোহাজেরানি।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের সময় তাকে এই পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম তেহরান টাইমস ও এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান সরকারের নতুন মুখপাত্র হিসেবে ফাতেমেহ মোহাজেরানিকে নিযুক্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান এই নিয়োগ দেন বলে ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে।

তেহরান টাইমস বলছে, ফাতেমেহ মোহাজেরানি ১৯৭০ সালে আরাকে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হেরিওট-ওয়াট ইউনিভার্সিটি এডিনবার্গ ক্যাম্পাস থেকে ব্যবসায় প্রশাসনে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি হাসান রুহানির সরকারে টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভকেশনাল ট্রেনিং ইউনিভার্সিটি অব শরীয়তির (নারীদের জন্য) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া ২০১৭ সালে সেন্টার ফর ব্রিলিয়ান্ট ট্যালেন্টের প্রধান হিসেবেও নির্বাচিত হন মোহাজেরানি।

ফাতেমেহ মোহাজেরানিকে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে নিযুক্ত করার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কোনও নারীকে এই পদে দায়িত্ব দিলো ইরান। আর এই কারণে মোহাজেরানির নিয়োগটি ঐতিহাসিক বলে মনে করা হচ্ছে।

এই নিয়োগের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার বৈঠকে ইরানের সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস হজরতিকে সরকারের তথ্য কাউন্সিলের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অবশ্য বর্তমান সরকারের সময়ে ইরানে সরকারের শীর্ষস্থানীয় পদে কোনও নারীকে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি এবারই প্রথম নয়। এর আগে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান গত সপ্তাহে শিনা আনসারিকে ইরানের উপ-রাষ্ট্রপতি এবং পরিবেশ বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেন।


আরও খবর
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪




রাতের রাস্তায় যে অভিজ্ঞতা হলো অভিনেত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতার সিরিয়াল বোঝে না সে বোঝে নাতে অভিনয় করে দুই বাংলায় জনপ্রিয়তা পান মধুমিতা সরকার। সিরিয়ালে তার চঞ্চল অভিনয় দারুণ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। পাখি চরিত্রে মধুমিতার সাবলীল অভিনয়ে মুগ্ধ হননি এমন মানুষ পাওয়া কঠিন।

সেই মধুমিতা রাত ২টায় কলকাতার রাস্তায় একা ঘুরে বেড়ালেন। আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে রাতের শহর কতটা নারীদের জন্য নিরাপদ?

শহরের নিরাপত্তা কেমন তার খোঁজ করতেই রাতের আঁধারে রাস্তায় বের হলেন মধুমিতা। এ সময় তার পরনে ছিল সাদা কুর্তি। কপালে হলুদ তিলক। মধুমিতার বেশ দেখেই বোঝা যায়, কোনো মন্দিরে গিয়েছিলেন তিনি। সেই ভিডিওতে অভিনেত্রী দাবি করেন, মধ্যরাতের রাস্তায় তিনি নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ তার দিকে তাকাচ্ছেন না। কেউ কোনোভাবে বিরক্ত করছেন না।

মন্দিরে প্রণাম করে মধুমিতা বলেন, এখন রাত ২টা। এই সময় এমন নির্জন জায়গায় একা রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছি। কেউ কিন্তু আমার দিকে ঘুরে তাকাচ্ছে না। লোকজন আছে। পেছন থেকে গাড়ি আসছে দেখেছেন? কেউ আমার দিকে ফিরে তাকাচ্ছে না। এটাই তো চাই আমরা মেয়েরা। তাই তো?

নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নারীদের সুরক্ষা বাড়াতে কয়েকটি ব্যবস্থা নেয় রাজ্য। তার মধ্যে বলা হয়, মেয়েদের রাতের শিফট সুযোগ থাকলে বাদ রাখতে হবে। মধুমিতা বলেন, কত মেয়েরা রাতে কাজ করে ফেরে। কেউ কল সেন্টার থেকে কাজ সেরে আসেন। আমরা অভিনেতারাও যেমন অনেক সময় রাত করে ফিরি। এই শারদীয়ায় এইটুকুই আমি চাই, ভারতের প্রতিটা মেয়েই যেন এমন নিরাপদ বোধ করতে পারে।

সিরিয়ালের জনপ্রিয় মুখ মধুমিতা সরকার সূর্য্য, চিনি, দিলখুশ, কুলের আচার, ট্যাংরা ব্লুজ, লাভ আজকাল পরশু নামে সিনেমাগুলোতে অভিনয় করেছেন।

নিউজ ট্যাগ: মধুমিতা সরকার

আরও খবর
জনগণের কাছে দেশটা কারাগার : আফজাল হোসেন

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যৌনকর্মী থেকে নেত্রী হওয়ার গল্প

মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪