আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

এবারের শীতে কীভাবে টিকবে ইউক্রেন?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৩ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

কিয়েভের পশ্চিমে ছোট্ট একটা শহর মাকারিভ। স্থানীয় মেয়রের দাবি, যুদ্ধের শুরুর দিকে সেখানে অন্তত ১৩২ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল রুশ সেনারা। পুরোনো সেই ক্ষত মিটতে না মিটতেই শহরটিতে দেখা দিয়েছে নতুন সমস্যা। গত অক্টোবরের শুরুতে মাকারিভের কাছাকাছি বিভিন্ন স্থাপনায় দফায় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ও কামিকাজে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনও রয়েছে। ফলে ব্ল্যাকআউট শুরু হয়েছে শহরটিতে। গত ৩১ অক্টোবর ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করেছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের অন্য অঞ্চলগুলোর মতো মাকারিভও এখন ভয়ংকর শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রাশিয়ার আক্রমণ অনেকটা কম কার্যকর হয়ে পড়েছে। ন্যাটোর বিভিন্ন সদস্য দেশ থেকে নতুন আকাশপ্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেয়েছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। তারা সম্প্রতি রাশিয়ার ব্যবহৃত হাতেগোনা কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছাড়া বাকিগুলো ভূপাতিত করার দাবি করেছে। তারপরও হামলায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।

ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ৪০ শতাংশই অকেজো হয়ে গেছে। জাতীয় বৈদ্যুতিক গ্রিড পরিচালক ইউক্রেনার্গো দেশজুড়ে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হয়েছে। গৃহস্থালী ও বাণিজ্যিক উভয় খাতে ইউক্রেনীয়দের বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। গত ৩১ অক্টোবর রাশিয়ার হামলার পর কিয়েভে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ঘরবাড়িতে বিদ্যুৎ ও ৮০ শতাংশ বাসিন্দার কাছে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। যদিও এর বেশিরভাগ ফের সচল হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ। তবে রাত হলে এখনো দেশটির রাজধানীর বিশাল এলাকা অন্ধকারই থাকছে। রয়েছে আরও আক্রমণের ভয়। এ কারণে যেসব ইউক্রেনীয় নাগরিক যুদ্ধের কারণে দেশত্যাগ করেছিল, তাদের ফিরতে নিষেধ করছে কিয়েভ। গত কয়েক মাসে কয়েক লাখ ইউক্রেনীয় দেশে ফিরেছে।

ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা নাফটোগাজের প্রধান দেশবাসীকে তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর শীতের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। ইউক্রেনের বিভিন্ন অংশে এরই মধ্যে শীত পড়তে শুরু করেছে। রাতের বেলা কিয়েভের তাপমাত্রাও হয়ে উঠছে হিমশীতল। ফলে সারা দেশে উষ্ণায়ন ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ইউক্রেনে এক-তৃতীয়াংশ বা সংখ্যার দিক থেকে ৫০ লক্ষাধিক ঘরবাড়ি শীতে উষ্ণতার জন্য ডিস্ট্রিক্ট হিটিং সিস্টেম-এর ওপর নির্ভরশীল। এতে প্রাকৃতিক গ্যাস, কয়লা বা কাঠ দিয়ে একটি কারখানায় পানি গরম করা হয়। এরপর কয়েক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন বেয়ে সেই পানি পৌঁছে যায় বাড়ি বাড়ি। কয়েক দশক আগে সোভিয়েত প্রকৌশলীরা তৈরি করেছিলেন এই ব্যবস্থা।

এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের এই উষ্ণায়ন ব্যবস্থার পরিস্থিতি ভালোই রয়েছে। ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা ২২টি প্রদেশের মধ্যে ১৮টিই উষ্ণায়ন মৌসুমের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দেশটির উন্নয়নমন্ত্রী ওলেক্সি চেরনিশভ। তবে যুদ্ধের সম্মুখভাগে থাকা অঞ্চলগুলোর অবস্থা খারাপ। কিয়েভে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে উষ্ণায়ন মৌসুম। এক্ষেত্রে প্রথমে উষ্ণতা পাবে স্কুল, কিন্ডারগার্টেন ও হাসপাতালগুলো। কিন্তু এই ব্যবস্থাটি রুশ আক্রমণের মুখে অনেকটাই অরক্ষিত। বিশেষ করে, যেসব শহর কয়েকটি বৃহৎ সম্মিলিত তাপ ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল, সেগুলোই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্সিয়াল প্রশাসনের উপপ্রধান কিরিলো টাইমোশেঙ্কো বলেছেন, রাশিয়া কিয়েভের প্রতিটি উৎপাদনকেন্দ্র ধ্বংসের চেষ্টা করেছে। তারা সফল হলে রাজধানীর ২০ লাখ বাসিন্দার বেশিরভাগই শীতে জমে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়তো।

ইউএসএআইডির জ্বালানি সুরক্ষা প্রকল্পের ডায়ানা কর্সাকাইট বলেন, পাইপলাইনগুলোতে আক্রমণ হলে অনেক সমস্যা হবে, বিশেষ করে কিয়েভের মতো সমন্বিত নেটওয়ার্কগুলোর জন্য। একটি পাইপের ক্ষতি হলে হাজার হাজার মানুষের উষ্ণায়ন ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে। তাছাড়া প্রবল ঠান্ডায় বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রন্ত পাইপে ফাটল তৈরি হতে পারে। ইউক্রেনের প্রায় সব তাপ উৎপাদন কেন্দ্রই প্রাকৃতিক গ্যাসে চলে। তবে ডিস্ট্রিক্ট হিটিং সিস্টেমের সংযুক্ত নয় এমন অন্তত ৮০ লাখ পরিবার উষ্ণতার জন্য বয়লারের ওপর নির্ভরশীল। দেশটিতে শীতকালে গ্যাস সরবরাহে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। ইউক্রেনে ১৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ঘনমিটার গ্যাস মজুত রয়েছে, যা শীতকাল পার করার জন্য যথেষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু বিদ্যুৎ ও পানির সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে। ডিস্ট্রিক্ট হিটিং সিস্টেমের মাধ্যমে পানি সরবরাহের পাশাপাশি কেন্দ্রগুলো নিজে চলার জন্যে বিদ্যুতের প্রয়োজন। বেশিরভাগ বয়লারেও বৈদ্যুতিক সরবরাহ প্রয়োজন হয়।

যেসব ইউক্রেনীয় নিজের বাড়িতে বসবাস করে, তারা এরই মধ্যে কাঠ, বৈদ্যুতিক জেনারেটর ও হিটার মজুত করছে। সোভিয়েত আমলের বুরঝুইকা নামে পরিচিত পোটবেলি স্টোভ বিভিন্ন শহরতলিতে ফিরতে শুরু করেছে। গত বছর এক-দশমাংশ ইউক্রেনীয় ঘর গরম করতে এই স্টোভ ব্যবহার করেছিল। সেই সংখ্যা এবার বাড়বে নিশ্চিত। চেরনিশভ বলেছেন, তিনি পশ্চিমা দাতাদের শীতের আগে দেড় হাজার মোবাইল থার্মাল স্টেশন এবং ২৫ হাজার জেনারেটর সরবরাহ করতে বলেছেন। কিন্তু সেগুলো এখনো আসেনি এবং সবাইকে উষ্ণ মেটানোর জন্য যথেষ্ট না-ও হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন

আরও খবর



দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে ৪৩.৮ ডিগ্রি

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে টানা দ্বিতীয় দিনের মত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

আবহাওয়াবিদ কাজী জেবুন্নেসা গণমাধ্যমকে বলেন, বুধবার যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছে। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

যশোরে মঙ্গলবারও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। আর চুয়াডাঙ্গায় ছিল ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যা এতদিন দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। মঙ্গলবার তা ভেঙে যায়।

আর স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ।

চলতি মৌসুমে ৩১ মার্চ থেকে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। টানা ৩২ দিন ধরে চলা এই দাবদাহ আরো কয়েক দিন কিছু এলাকায় স্থায়ী হলেও বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান বুধবার অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে অনেক জায়গার তাপমাত্রা কমে আসার সম্ভাবনা আছে৷ ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, ঢাকা বিভাগ এবং কুমিল্লা অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি শুরু হবে বৃহস্পতিবার৷ তবে দেশের উত্তর-পশ্চিম ও পশ্চিমের জেলাগুলোর তাপমাত্রা শুক্রবার পর্যন্ত আগের মতই থাকবে।

যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী এসব এলাকায় আরও দুয়েকদিন পর বৃষ্টি হবে৷ ৩/৪ তারিখের পর সারাদেশেই বৃষ্টি হবে৷ তবে জলীয়বাষ্পের কারণে অস্বস্তি ভাবটা থেকে যাবে। তারপরও সহনশীলতায় চলে আসবে।

৫/৬ দিনের বৃষ্টিপাতের পর দেশের তাপমাত্রা আবার বাড়তির দিকে যাবে বলে জানান এই আবহাওয়াবিদ। বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে বলা হয় মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির কম তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে উঠলে তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

এর আগে ২০১৪ সালে ৫ থেকে ৩০ এপ্রিল টানা ২৬ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০১৬ সালে ৬-৩০ এপ্রিল টানা ২৫ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। ২০২৩ সালে ১৩ এপ্রিল থেকে ৫ মে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ বয়ে যায়।


আরও খবর



এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে অর্থদণ্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

অনুমোদনহীন ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস বিক্রির কথা স্বীকার করায় এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলামকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত তার জামিন মঞ্জুর আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মামলার বাদী ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিদর্শক কামরুল হাসান।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে অবস্থিত বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে বৃহস্পতিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন এসএমসি প্লাসের কর্ণধার ওয়ালিউল ইসলাম। পরে বিচারক আলাউল আকবর তার জামিন মঞ্জুর করেন।

গত মঙ্গলবার (১৪ মে) বাজারে বিক্রি হওয়া অনুমোদনহীন পাঁচটি কোম্পানির ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকসের মালিকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক আলাউল আকবরের আদালত। সেই সঙ্গে পাঁচটি কোম্পানির মালিকদের আগামী ৫, ৬ এবং ৯ জুন আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। এসএমসি প্লাস, প্রাণের এক্টিভ, ব্রুভানা, আকেজের রিচার্জ এবং টারবো- এগুলো ওষুধ নাকি এনার্জি ড্রিংকস সে বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা দিবেন।

এর আগে ওই দিন সকালে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ক্ষমতাপ্রাপ্ত নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। এ সময় নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক বলেন, এগুলোর একটিরও অনুমোদন নেই।

তিনি আরও বলেন, ওষুধ প্রশাসনও বলতে পারেনা এগুলো ওষুধ না ড্রিংকস। এর মধ্যে এসএমসি প্লাসের মডেল হয়ে পণ্যর প্রসারে প্রচারণা করছেন ক্রিকেটার তামীম ইকবাল। নিরাপদ খাদ্য আইন অনুযায়ী এটি অপরাধ। আমরা বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করতে বলেছি, শোনেনি কোনো কোম্পানি। কাজেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হোক।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে ‘ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল’ নিয়ে এইডসে আক্রান্ত ৩ নারী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বিশেষ কসমেটিক চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল-এর ইঞ্জেকশন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৩ জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশটির দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্য নিউ মেক্সিকোর সবচেয়ে জনবহুল শহর আলবুকার্কে এই ঘটনা ঘটেছে।

মার্কিন সরকারের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, এই প্রথম কসমেটিক ইনঞ্জেকশনের মাধ্যমে এইডস সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেল।

প্রসঙ্গত, বয়স বাড়তে থাকার সঙ্গে আমাদের ত্বকে বলিরেখা পড়ে। এই বলিরেখা দূর করার জন্য প্লাটিলট রিচ প্লাজমা (পিআরপি) নামের একপ্রকার ঔষধি জৈব তরল ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গ্রহণ করেন পশ্চিমা বিশ্বের ধনী-শৌখিন লোকজন। মুখের ত্বকে এই ইঞ্জেকশন গ্রহণ করা হয় বলে সাধারণ লোকজনের কাছে এই চিকিৎসা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়াল নামে পরিচিতি পেয়েছে।

সিডিসির তথ্য অনুসারে, যে তিন জন নারী এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কেউ কখনও অনিরাপদ যৌন সম্পর্কে ছিলেন না। কোনো এইডস রোগীর রক্তও তারা গ্রহণ করেননি কখনও। সিডিসির নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, আলবুকার্কের যেসব স্পা ক্লিনিকে তারা পিআরপি বা ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালের ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন, সেই ইঞ্জেকশনের সূঁচগুলো ঠিকমতো জীবাণুমুক্ত করা হয়নি।

আক্রান্ত ৩ নারীর মধ্যে  মধ্যে দুজনের দেহে এইডস শনাক্ত হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে সময় এ সংক্রান্ত অনুসন্ধান শেষে যে দুই স্পা ক্লিনিকে পিআরপি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন তারা, সেগুলো বন্ধ করে দিয়েছিল সিডিসি। সেই সঙ্গে ইঞ্জেকশন নিতে আগ্রহীদের তা নেওয়ার আগে এইচআইভি পরীক্ষা করানো আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তারা যেন বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করতে পারেন, সে নির্দেশনাও দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ ও গবেষণা সংস্থা।

তারপর দীর্ঘদিন এ বিষয়ক অনুসন্ধান বন্ধ ছিলো; কিন্তু সম্প্রতি ফের আরও একজন এইডসে আক্রান্ত হওয়ায় ফের সেই অনুসন্ধান কার্যক্রম ফের চালু করেছে সিডিসি।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসকে সিডিসির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভ্যাম্পায়ার ফেসিয়ালে অনিরাপদ সূঁচ ব্যবহারের কারণে শুধু নিউ মেক্সিকোতেই বর্তমানে অন্তত ৬০ জন এইডস আক্রান্ত রোগী আছেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।


আরও খবর



বিএনপি দিনে দিনে আরও দুর্বল হচ্ছে: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক দল হিসেবে গণরাজনীতিতে নতুন কোনো মাত্রা যোগ করতে পারছে না। তাই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিয়মিতভাবে গণমাধ্যমে একই গীত গেয়ে চলেছেন, প্রতিনিয়ত অত্যাচার-নির্যাতনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন গল্পের অবতারণা করছেন।

তিনি বলেন, জনগণের জন্য রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচি দেওয়ার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য তারা এই অপকৌশল অবলম্বন করছে। সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে সিমপ্যাথি কার্ড খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতারা সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। এখন অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া বিএনপি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে!

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। বিএনপির নেতারা টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালান। বিএনপির নেতাদের বোঝা উচিত, বিরোধীদল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

অন্যদিকে বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারাদেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল, সেসব কাহিনী যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনো শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। যোগ করেন সেতু মন্ত্রী।


আরও খবর



সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে ঢাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুইমিং পুলে গোসল করতে নেমে দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সোয়াদ (১৯) নামে ওই শিক্ষার্থী ঢাবির দর্শন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

আজ সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা পৌনে ২টার দিকে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ সংলগ্ন সুইমিং পুলে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বেলা ২টায় মৃত ঘোষণা করেন।

তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা সহপাঠী মো. সোহাগ জানান, দুপুরে ঢাবির অনেক শিক্ষার্থী সুইমিং পুলে গোসল করছিল। সেখানে সাঁতার কেটে একপাশ থেকে অন্যপাশে যাচ্ছিল অনেকে। তখন তারা দেখতে পান সোয়াদকে ঘিরে আছে সবাই। এগিয়ে গেলে জানতে পারেন, পুলের পানিতে ডুবে গিয়েছিল সে।

সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে তারা নিজেরাই ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসেন। তবে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোয়াদের মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানা পুলিশ তদন্ত করছে।

সোয়াদের বাড়ি বগুড়া জেলায়। দর্শন বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র সে। থাকতো হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে। তার সাঁতার জানা ছিল বলে জানান সহপাঠীরা। তবে কীভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে তা জানাতে পারেনি।

ঢাবির শিক্ষার্থী মোল্লা তৈমুর রহমান জানান, সোয়াদ তার জুনিয়র। সুইমিং পুলে গোসল করার সময় যখন পাড়ে ভিড় দেখেন। তখন সহপাঠীরাই তার পেট চাপাচাপি করে পানি বের করার চেষ্টা করছিল। ওখানকার কোনো স্টাফ বা কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের সাহায্য করেনি।

তিনি বলেন, সোয়াদের ব্যাচমেটদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, তার শ্বাসকষ্টজনতি সমস্যা ছিল। যে কারণে সাঁতার জানা সত্ত্বেও গোসল করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যেতে পারে সে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪