আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

এবারের এশিয়া কাপে সংখ্যায় যা সর্বোচ্চ

প্রকাশিত:সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল দুই দলই। সেই পাকিস্তান ও শ্রীলংকাই মুখোমুখি হয় ফাইনালে। আর সেই মহারণে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল শ্রীলংকা। ষষ্ঠবারের মতো এশিয়া কাপ জিতল শ্রীলংকা।

অথচ ফেবারিট তকমা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেনি দাসুন শানাকার দল। এ অর্জনে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সফলতম দল এখন শ্রীলংকা। রেকর্ড সাতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এ দুদলের বাইরে শুধু পাকিস্তান দুবার জিতেছে এশিয়া কাপ।

রোববার রাতে ফাইনাল জেতার সঙ্গে পুরনো এক রেকর্ড সমৃদ্ধ করল লঙ্কানরা। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম টানা পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল শ্রীলংকা।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া জমজমাট এবারের এশিয়া কাপে সংখ্যায় যা সর্বোচ্চ -

এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১২টি ছক্কা মেরেছেন আফগানিস্তানের রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা ভারতের বিরাট কোহলির।

এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ২৮১ রান করেছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৬ রান ভারতের বিরাট কোহলির।

৬ ম্যাচে ৫৬.২০ গড়ে ১১৭.৫৭ স্ট্রাইকরেটে ২৮১ রান করেছেন রিজওয়ান।  এতে তার অর্ধশতক তিনটি।  আর ৫ ম্যাচে ৯২ গড়ে ১৪৭.৫৯ স্ট্রাইকরেটে ২৭৬ রান করেছেন কোহলি।  এতে তার একটি শতক ও দুটি অর্ধশতক রয়েছে।

টুর্নামেন্টে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান এসেছে আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরানের ব্যাট থেকে।   ৫ ম্যাচে তার সংগ্রহ ১৯৬।  গড় ৬৫.৩৩ ও স্ট্রাইকরেট ১০৪.২৫।  একটি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি।

শ্রীলংকার ভানুকা রাজাপাকসে ৬ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯১ রান করে চতুর্থ অবস্থানে। পঞ্চম স্থানে আছেন আরেক লঙ্কান ব্যাটার পাথুম নিশাঙ্কা। ৬ ম্যাচে ২ ফিফটির সাহায্যে ১৭৩ রান করেছেন তিনি। এবারের আসরে সবচেয়ে বেশি ১১ উইকেট নিয়েছেন ভারতের ভুবনেশ্বর কুমার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ উইকেট শ্রীলংকার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার।

৫ ম্যাচে ৬.০৬ ইকোনমিতে ১১ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৬ ম্যাচে ৭.৩৯ ইকোনমিতে ৯ উইকেট নিয়ে দুই নম্বরে শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। টুর্নামেন্টে ৮ উইকেট নিয়ে ৩য় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েছেন পাকিস্তানের মোহাম্মদ নওয়াজ।

সর্বোচ্চ ১১৯ রানের জুটি ভারতের লোকেশ রাহুল ও কোহলির। একশ ছাড়ানো জুটি আছে আর একটিই। হংকংয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের রিজওয়ান ও ফখরের ১১৬ রানের জুটি।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে বিরাট কোহলির ১২২ (নটআউট) রানের ইনিংসটিই আসরের একমাত্র সেঞ্চুরি। পাঁচ উইকেটের একমাত্র কীর্তিও এক ভারতীয়র। আফগানদের বিপক্ষে চার রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন ভুবনেশ্বর কুমার।

 ব্যাটিংয়ে সেরা ৫

১. মোহাম্মদ রিজওয়ান (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৩ ফিফটিতে ২৮১, সর্বোচ্চ ৭৮*

২. বিরাট কোহলি (ভারত): ৫ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি, ২ ফিফটিতে ২৭৬, সর্বোচ্চ ১২২*

৩. ইব্রাহিম জাদরান (আফগানিস্তান): ৫ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯৬, সর্বোচ্চ ৬৪*

৪. ভানুকা রাজাপাকসে (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে এক ফিফটিতে ১৯১, সর্বোচ্চ ৭১*

৫. পাথুম নিশাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে ২ ফিফটিতে ১৭৩, সর্বোচ্চ ৫৫*

বোলিংয়ে সেরা ৫

১. ভুবনেশ্বর কুমার (ভারত): ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট, ৬.০৬ ইকোনমি, সেরা ৫/৪

২. ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা): ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট, ৭.৩৯ ইকোনমি, সেরা ৩/২১

৩. মোহাম্মদ নওয়াজ (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৫.৮৯ ইকোনমি, সেরা ৩/৫

৪. শাদাব খান (পাকিস্তান): ৫ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৬.০৫ ইকোনমি, সেরা ৪/৮

৫. হারিস রউফ (পাকিস্তান): ৬ ম্যাচে ৮ উইকেট, ৭.৬৫ ইকোনমি, সেরা ৩/২৯।


আরও খবর



জবি শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যা, এক মাসেও শেষ হয়নি তদন্ত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনার এক মাস পার হলেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত কমিটি।

তবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে না পারার কারণ হিসেবে পুলিশের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাওয়া যায়নি বলে জানান কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জাকির হোসেন।

গত ১৫ মার্চ রাত ১০টার দিকে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে ফেসবুকে পোস্ট দেন জবি ছাত্রী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। এরপরই কুমিল্লার বাগিচাগাঁও নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী বর্তমানে কুমিল্লা কারাগারে আটক আছেন।

আত্মহত্যার পরদিনই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি জাকির হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন আবুল হোসেন, আইন অনুষদের ডিন মাসুম বিল্লাহ, সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ঝুমুর আহমেদ এবং সদস্যসচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার (আইন) রঞ্জন কুমার।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, কমিটির সদস্যরা কুমিল্লায় গিয়ে অবন্তিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে তাদের মতামত জানার চেষ্টা করেছেন। পরে কারাগারে আটক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা বলেন তারা।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আমরা গুছিয়ে আনছি। কিছু তথ্য আমরা কুমিল্লার স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে চেয়েছি। সেগুলো দেওয়ার কথা থাকলেও এখনো পাইনি। তদন্তের স্বার্থে আমাদের কিছু ডিজিটাল এভিডেন্স যেমন- অবন্তিকার মোবাইলের কল লিস্ট, সর্বশেষ কল রেকর্ড, ফেসবুক- ম্যাসেঞ্জারের চ্যাটিং স্ক্রিনশট প্রয়োজন। এছাড়াও মোবাইলে আরও গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য থাকলে সেটা এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছি। এগুলো পেলে কাজের সুবিধা হবে।

কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির পাঠানো চিঠি আমরা পেয়েছি। আইনানুযায়ী যতটুকু তথ্য আমরা দিতে পারি, তা অবশ্যই দিব। তাছাড়া আমাদের গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম এখনো চলমান আছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্তে যদি অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, তবে তাকে আমরা গ্রেফতার করব। মোবাইল ফরেনসিক ও পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন পেলে আমরা পরবর্তী কাজ করতে পারব। আমাদের তদন্ত কার্যক্রম কবে শেষ করতে পারব- তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ফরেনসিক প্রতিবেদন এবং পোস্টমর্টেম প্রতিবেদন পাওয়ার ওপর।

উল্লেখ্য, আত্মহত্যার আগে দেওয়া ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অনলাইন ও অফলাইনে হুমকি-ধামকি দেওয়ার অভিযোগ করেন ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা। প্রতিকার চেয়ে সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের কাছে বারবার অভিযোগ দিলেও প্রতিকার পাননি। উল্টো সহকারী প্রক্টর তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলেও উল্লেখ করেন সেই ফেসবুক পোস্টে।


আরও খবর



গরমে যে কারণে দই খাওয়া জরুরি

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

অসহ্য গরমে সুস্থ থাকতে খাবার ও পোশাকের প্রতি সবারই বিশেষ নজর থাকে। এ সময় শরীর আর্দ্র ও ঠাণ্ডা রাখা প্রয়োজন। গরমে পানিশূন্যতা একটি বড় সমস্যা। পানিশূন্যতা থেকে ক্লান্তি ও অবসন্ন ভাব হয়। খাদ্য তালিকায় দই রাখলে নিজেকে কিছুটা শিথিল লাগবে। এটি মুড ভালো রাখতেও সাহায্য করে। এ সময় খুব ক্লান্ত লাগলে একটু দই খেয়ে নিন।

এই গরমে দই খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। দইয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২, জিংক ও ফসফরাস।

শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি দইয়ের রয়েছে আরও উপকারী গুণ। দইয়ের কিছু উপকারী গুণ এবং গরমে দই খাওয়া কেন ভালো- এ বিষয়ে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশ হয়েছে একটি প্রতিবেদন।

দইয়ের মধ্যে রয়েছে একধরনের ব্যাকটেরিয়া, যা হজমে সাহায্য করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। দই শরীরে বাজে কোলেস্টেরল হওয়া প্রতিরোধ করে হৃৎপিণ্ডকে ভালো রাখে। এটি রক্তচাপকেও ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে।

দুধ খেতে ভালো না লাগলে দই খেতে পারেন। এতে দুধের মতোই পুষ্টি থাকে। হাড় ও দাঁতকে ভালো রাখে দই। এটি হাড়ে অসুখ অস্টিওআর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে কাজ করে। গরমের সময় ডিসেনটির সমস্যা অনেকের হয়। এক কাপ দই খাওয়া ডিসেনটির সমস্যা উপশমে অনেকটাই কাজ করবে।


আরও খবর
হিট স্ট্রোক হলে কী করবেন?

মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪




শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার (১ মে) বেলা ১১টায় রাজশাহী বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাজশাহী বাস টার্মিনালের সামনের প্রধান সড়ক বাস ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যানবাহন চলাচলেও দেওয়া হয় বাঁধা।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশা দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল আলম সাজু জানান, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তার কাছে শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে ৪ কোটি টাকারও বেশি। তাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকদের অর্থ ফেরত না দেওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমে বাড়ছে শিশু রোগীর চাপ ওষুধের তীব্র সংকট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জুয়েল রানা, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তীব্র গরমের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাপ বাড়ছে শিশু রোগীর। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিনেই চার থেকে পাঁচজন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসক ও নার্সরা চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। ভর্তি থাকা রোগীর পাশাপাশি বহির বিভাগে গরমজনিত কারণে নতুন নতুন রোগীর চাপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন তিন থেকে চারজন ডাক্তার বহির বিভাগে তিন থেকে চার'শ রোগীকে সেবা প্রদান করছেন। তারপরেও চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রচন্ড গরমে স্বাভাবিক জনজীবনে ভোগান্তি নেমেছে। গত ১৪/১৫ দিন ধরে তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪২ সেলসিয়াসে ডিগ্রি ওঠানামা করছে। ফলে বিভিন্ন বয়সি রোগীর পাশাপাশি শিশুরা জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায়সহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে কেউ ভর্তি হচ্ছে কেউ আবার চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছে। ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একসঙ্গে এত শিশু রোগীকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের।

শিশু রোগীর বাবা আল-আমিন বলেন, প্রচন্ড গরমে গতকাল আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করি। এখানে এসে দেখি শিশু রোগীর সংখ্যায় বেশি। ডাক্তার নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে কিন্তু সব ওষুধ বাহীর থেকে আনতে হচ্ছে নার্সদের কাছে ওষুধ চাইলে ওষুধ নেই ওষুধ সংকট বলে ওষুধের টোকেন দিয়ে কিনে আনতে বলছে বাধ্য হয়ে কিনে আনতেছি।

তিনি বলেন, তবে এত বড় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর বা বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় গরমে রোগী ও রোগীর স্বজনদের হাসফাঁস অবস্থা। রাতে বিদ্যুৎ না থাকালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভূতুড়ে পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

নবজাতক শিশুর টিকা নিতে আসা এক মা শারমিন আক্তার বলেন, শিশুর টিকা দিতে আসতেছি কয়েকদিন থেকে শুধু ঘুরে যাচ্ছি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকা শেষ হয়েছে কখন আসবে তাও জানেন না।

টিকাপ্রদানকারি নার্স জানান, প্রায় ১ মাস থেকে ডিপিটি, পিসিভি ও বিওপিভি টিকার সংকট দেখা দিয়েছে টিকা না থাকলে আমাদের কিছু করার নাই।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তারিকুল ইসলাম জানান, সারা দেশের মতো সুন্দরগঞ্জে দাবদাহ বেশি হচ্ছে। ফলে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। তবে এখনো হিট স্ট্রোকে কেউ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়নি। তবে গরমের কারণে শিশু ও বৃদ্ধরাই বেশি অসুস্থ ভর্তি হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রেজয়ানুর রহমান জানান, প্রচন্ড গরমের কারণে শিশু ও বয়স্করা বেশি অসুস্থ হচ্ছে ফলে রোগীর চাপ একটু বেশি।

ওষুধের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, বছর শেষে কিছু ওষুধ ও শিশুদের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে আমরা চাহিদা পাঠানো হয়েছে আশাকরি দ্রুত ওধুষ ও টিকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসবে।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়্যিদ মুহাম্মদ আমরুল্লাহ সাথে মোবাইলে অনেক বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর