আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

এবার ‘সৃষ্টির স্তম্ভ’র ছবি তুলে নতুন চমক জেমস ওয়েবের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ অক্টোবর ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পৃথিবী থেকে সাড়ে ৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ঈগল নেবুলার মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল সোনা, তামা ও বাদামি রংয়ের কয়েকটি স্তম্ভের ছবি তুলেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ জেমস ওয়েব। গত বুধবার আইকনিক পিলার অব ক্রিয়েশন বা সৃষ্টির স্তম্ভেরএসব ছবি নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। আজ বৃহস্পতিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে নাসার হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ১৯৯৫ সালে প্রথম এসব স্তম্ভের ছবি তুলেছিল। ২০১৪ সালেও ফের তাদের ফ্রেমবন্দি করা হয়। আর তখন থেকেই নক্ষত্রদের এ আঁতুড়ঘরের বিষয়ে আগ্রহ বিশ্বের তাবড় মহাকাশ উৎসাহীদের। কিন্তু সেই সময়ে গ্যাসীয় বাধা, ধুলিকণার কারণে বেশি স্পষ্ট ছবি তোলা যায়নি। জেমস ওয়েবের ইনফ্রারেডের সৌজন্যে যদিও এখন সব বাধা অতিক্রম করতে পেরেছেন গবেষকরা।

আল-জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যেসব ছবি জেমস ওয়েব ধারণ করেছে, তাতে বেশ কয়েকটি স্তম্ভের শেষে উজ্জ্বল লাল লাভার মত চিহ্ন দেখা যাচ্ছে। লাভাগুলো তারা থেকে বিচ্ছুরিত হয়েছে এবং এখনও সৃষ্টি হচ্ছে। যার বয়স মাত্র কয়েক লাখ বছর। নাসা জানিয়েছে, নবীন তারাগুলো সুপারসনিক জেটের মতো। এর পুরু স্তম্ভগুলো থেকে যেসব পদার্থ নির্গমন হয় সেগুলো মেঘের সঙ্গে সংঘর্ষ করে।

স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের (এসটিএসিআই) বিজ্ঞান প্রোগ্রাম ম্যানেজার ক্লাউস পন্টোপিডান মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, মানুষের আগ্রহের কারণে সৃষ্টির স্তম্ভগুলো আমাদের প্রকাশ করতে হয়েছে। স্তম্ভে শুধু অনেক তারা আছে!

প্রায় আট আলোকবর্ষের একটি এলাকা জুড়ে নেওয়া ছবিটি জেমস ওয়েব তুলেছিল তার প্রাথমিক ক্যামেরা এআইআর ক্যাম দিয়ে। যেটি ইনফ্রারেড তরঙ্গদৈর্ঘ্য ক্যাপচার করে, যা মানুষ খালি চোখে দেখতে পায় না। মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, নতুন ছবিগুলোর মাধ্যমে গবেষকরা এ অঞ্চলে গ্যাস ও ক্ষুদ্রকণার পরিমাণসহ নবগঠিত নক্ষত্রের আরও সুনির্দিষ্ট গণনা করতে পারবেন। এটি তাদের নক্ষত্র গঠনের মডেল পুনর্গঠন করতে সহায়তা করবে।

চলতি বছরের জুলাই থেকে একের পর এক চমক দিয়ে চলেছে ১০ বিলিয়ন ডলারের জেমস ওয়েব। এটি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী স্পেস টেলিস্কোপ। ইতোমধ্যেই অভূতপূর্ব ডেটায় নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে জেমস ওয়েব। বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, এই টেলিস্কোপ মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা করবে।


আরও খবর



বড় ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

প্রথম ইনিংসের তুলনায় চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ও বোলিং উভয় বিভাগে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তবে ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। সিলেট টেস্টের মতো চট্টগ্রাম টেস্টেও বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টে হারটা আগেই নিশ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশের। আজ পঞ্চম দিনে বাকি ছিল আনুষ্ঠানিকতা। সেই আনুষ্ঠানিকতা শেষে বাংলাদেশ ১৯২ রানে হেরেছে। শ্রীলঙ্কার ৫৩১ ও ১৫৭/৭ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১৭৮ ও ও ৩১৮ রান করেছে।

মূলত শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসের পরই টেস্টের ফল কি হতে যাচ্ছে তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের পর তা নিয়ে আর কোনো সন্দেহ ছিল না। কেননা প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে পিছিয়ে থাকার পর ম্যাচে ভালো কিছু কল্পনা করাই কঠিন। সেখানে চতুর্থ ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১১ রান, যা দুঃস্বপ্ন বটে।

বিশাল এ রান তাড়া করার পথে একটা অতি মানবীয় ইনিংস দরকার হয়। কিন্তু বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে কেউ সেই কাজটি করতে পারেননি। চতুর্থ দিনে বাংলাদেশ যে ৭ ব্যাটার হারিয়েছিল তাদের মধ্যে কিছুটা উজ্জ্বল ছিলেন মমিনুল হক। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের বিরুদ্ধে তা খুব কার্যকরও ছিল না। কেননা মাত্র ৫০ রানে আউট হয়েছিলেন তিনি। গতকাল পর্যন্ত ইনিংসে এটাই ছিল সর্বোচ্চ রান।

তবে মমিনুল হকের এই রান আজ টপকে গেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ব্যাটারদের লজ্জা দিয়ে তিনি ৮১ রানে অপরাজিত। তাইজুল ইসলাম তাকে আরো কিছু সময় সঙ্গ দিতে পারলে হয়তো ইনিংসে বলার মতো একটা কিছু পাওয়া যেত। কিন্তু তাইজুল ইসলাম আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ যে খুব তাড়াতাড়ি গুটিয়ে যাচেছ তা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ ছিল না। শেষ পর্যন্ত তাই হয়েছে। তাইজুল (১৪) আউট হওয়ার পর হাসান মাহমুদ (৬) ও খালেদ আহমেদ (২) আউট হয়ে যান। শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের লড়াই।

লাহিরু কুমারা ৪ উইকেট শিকার করছেন। এছাড়া কামিন্দু মেন্ডিস পেয়েছেন ৩ উইকেট।


আরও খবর



নয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে সোনাহাট স্থলবন্দরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম ৯ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সময় পবিত্র শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আকমল হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, শবে-ই-কদর, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল- ফিতর ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ সংক্রান্ত যাবতীয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম আগামী ৬ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ১৪ এপ্রিল (রোববার) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এবং ১৫ এপ্রিল (সোমবার) থেকে পূর্বের ন্যায় যথারীতি সমস্ত কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

সোনাহাট স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সরকার রকিব আহমেদ জুয়েল বলেন, সোনাহাট স্থলবন্দর আগামী ৬ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল মোট ৯ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মোফাজ্জল হোসেন বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।


আরও খবর
টানা ছয় দফা কমলো সোনার দাম

সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪




কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত ঘোষণা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনার মধ্য দিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা। 

সম্মেলনে তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেএনএফ ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে আলোচনা এবং তাদের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন।

এ সময় সাংবাদিকদের সামনে তিনি লিখিত একটি বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় কেএনএফ কর্তৃক পবিত্র রমজান মাসে তারাবি নামাজীদের ওপর হামলা, সরকারি কর্মকর্তা ও পথচারীদের জিম্মি, অর্থ লুটের উদ্দেশ্যে সোনালী ব্যাংকে হামলা, ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করে নেওয়া। ৩ এপ্রিল থানচি উপজেলায় স্থানীয়দের জিম্মি করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও দুটি ব্যাংক লুট করার মতো হীন কার্যক্রমের বিরুদ্ধে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য গত বছরের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে জেলার অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে কয়েক দফা ভার্চুয়াল মিটিংয়ের পর উভয় পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে সরাসরি সংলাপে বসার একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়।

তিনি বলেন, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ  দুদফা সরাসরি সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। উভয় সংলাপে কেএনএফ এর সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারক সম্পাদিত হয়। কিন্তু তারা সম্পূর্ণভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে বিভিন্ন সময়ে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। কমিটির তরফ থেকে এ ব্যাপারে বারবার অবগতি করা হলেও তারা কর্ণপাত করেনি। বরং বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন সময়ে স্থানীয়বাসীদের ওপর হামলা, অপহরণ, চাঁদাবাজি চালিয়ে যায়। অতি সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি তীব্রভাবে মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির চলমান সব ধরনের প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এমতাবস্থায় এ কমিটি মনে করে, এসব ঘটনার মধ্য দিয়ে কেএনএফ শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সংলাপ করার সব ধরনের পথ বন্ধ করে দিয়েছে।

বিধায় আগামীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির পক্ষে সংলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা বলেন, সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা জোরদারকরণ, রাষ্ট্রের সম্পত্তির সুরক্ষা প্রদান এবং অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে নিঃশর্তভাবে সুস্থ ও নিরাপদে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

শান্তি আলোচনা চলাকালে কেএনএফ এর এ ধরনের অবস্থানে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম ব্যর্থ হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের উত্তরে এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার। এর মধ্যে সাধারণ বম জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে প্রশাসনিকভাবে সকল সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তাদের খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারপরেও এ ধরনের ঘটনায় আমরা বিস্মিত।

পুনরায় কি এই শান্তি আলোচনা চালিয়ে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ঘটনার পর কেএনএফ এর লিয়াজোঁ কমিটির সব সদস্যের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, পাহাড়ে কেএনএফের অপতৎপরতা বন্ধের লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ১৮ জুন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গঠিত হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ নভেম্বর বান্দরবানের রুমায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির প্রথম মুখোমুখি বৈঠকের অনুষ্ঠিত হয় এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সঙ্গে সমঝোতা বৈঠকে বসে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) উচ্চ পর্যায়ের নেতারা।

তবে শান্তি আলোচনা, সমঝোতা হওয়ার পরেও পাহাড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেদের বিরত না রেখে একের পর এক হামলা, চাঁদাবাজি, গুম, খুনের মতো ঘটনা ঘটিয়েছে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।


আরও খবর



ভারতীয় তিন কোম্পানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিসহ এক ডজনেরও বেশি সংস্থা, ব্যক্তি এবং জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ইরানের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে অবৈধ বাণিজ্য থাকা এবং ড্রোন সরবরাহের কারণে ওই তিনটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ইরানের কাছ থেকে যেসব ড্রোন পেয়েছে তা গোপনে বিক্রিতে সহায়তা করেছে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া কোম্পানিগুলো। ইরানের এ বাণিজ্যিক কাজকে সামনে থেকে সমর্থন দিয়েছে ইরানি কোম্পানি সাহারা থান্ডার। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় তিনটি ভারতীয় কোম্পানিকে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

এ কোম্পানিগুলো হলো জেন শিপিং, পোর্ট ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড এবং সি আর্ট শিপ ম্যানেজমেন্ট (ওপিসি) প্রাইভেট লিমিটেড। সাহারা থান্ডার ইরানি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আর্মড ফোর্সেস লজিস্টিকসের পক্ষ থেকে চীন, রাশিয়াসহ একাধিক দেশে ইরানি পণ্য বিক্রয় এবং চালান করে থাকে।

চলতি মাসের শুরুতে সিরিয়ার দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। ওই হামলার জবাবে গত ১৩ এপ্রিল রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে তিনশত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। এরপর ইরানের ওপর প্রথম দফায় নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির ড্রোন প্রযুক্তি ও উৎপাদন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও কোম্পানিকে লক্ষ্য করে ১৯ এপ্রিল এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।

মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৩ এপ্রিল ইসরাইলে হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে, ইরানের এমন ইউএভি বা ড্রোন উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ১৬ ব্যক্তি ও দুটি সংস্থাকে লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত গাড়িসহ কেএনএফের ৪ সদস্য গ্রেফতার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বান্দরবান প্রতিনিধি

Image

বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংক ডাকাতিতে ব্যবহৃত জিপগাড়িসহ পৃথক অভিযানে কেএনএফের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে রুমা-থানচিতে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় আটটি মামলায় সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, গতকাল রোববার রাতে থানচি থেকে একজন এবং রুমা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে সদরের স্যারণপাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এদিকে কেএনএফ তাণ্ডবের ঘটনায় বান্দরবান জেলাজুড়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের সাঁজোয়া যানসহ বিভিন্ন ধরনের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি উপজেলায় ব্যাংক বন্ধ থাকায় বান্দরবান জেলা সদরে সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় গ্রাহকের দীর্ঘলাইন। বেড়েছে ভোগান্তিও।

প্রসঙ্গত, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা এবং থানচিতে ব্যাংক লুট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র লুট করেছিল কেএনএফ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত রুমায় চারটি ও থানচিতে চারটি মামলা করা হয়েছে।


আরও খবর