ইউক্রেনে ইরানের
তৈরি ড্রোন হামলার বিষয়ে তদন্ত না করতে জাতিসংঘকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। একইসঙ্গে ইরানের
সাথে যুক্ত হয়ে ড্রোনের উৎস নিয়ে পশ্চিমারা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এদিকে ইউক্রেনে
ড্রোন হামলার প্রেক্ষিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন অবরোধ আরোপের প্রস্তুতি নিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র,
ফ্রান্স ও ব্রিটেন রাশিয়ার কাছে ইরানের ড্রোন বিক্রির অভিযোগ বিষয়ে নিরাপত্তা পরিষদের
রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আহবান জানিয়েছে। একে তারা ইরানের ওপর জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার
লংঘন বলে বর্ণনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র
ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়ে বলছে, ইরান যে রাশিয়াকে এ ড্রোন সরবরাহ করেছে তার প্রমাণ তাদের
কাছে রয়েছে।
সোমবার রাজধানী
কিয়েভে এই ড্রোন হামলায় পাঁচজন নিহত ও বেশকিছু বেসামরিক স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু
রুশ কূটনীতিক দিমিত্রি পলিয়ানস্কি ভিত্তিহীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে একে ষড়যন্ত্র
তত্ত্ব হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
নিরাপত্তা পরিষদের
বাইরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে যেসব ড্রোন ব্যবহার করেছে তা রাশিয়ারই
তৈরি। একইসঙ্গে তিনি ইরানের ওপর বিদ্যমান অবরোধ জোরদার করার অংশ হিসেবে ইউক্রেন বিষয়ে
জাতিসংঘের যে কোন তদন্তের বিষয়ে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেন,
এরপরও যদি জাতিসংঘ সচিবালয় কিংবা মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস এ লক্ষ্যে এগিয়ে যান তাহলে
আমাদেরকে তাদের সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে।
এদিকে জাতিসংঘে
ইরানের দূত আমির সাঈদ ইরাভানিও ড্রোন সরবরাহের ভিত্তিহীন এ দাবিকে অস্বীকার করে বলেছেন,
ইউক্রেন যুদ্ধ বিষয়ে ইরান ভোটদানে বিরত থাকে এবং তেহরান চায় যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধান।
অন্যদিকে ইউরোপীয়
ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে ড্রোন নিয়ে নিষেধাজ্ঞা অনুমোদন
করতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা
এএফপি’র দেখা
একটি তালিকা থেকে জানা গেছে ২৭ জাতিভুক্ত এই ইউনিয়ন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব
স্টাফ জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাঘেরিসহ তিনজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কমৃকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা
আরোপের প্রস্তুতি নিয়েছে। এর মধ্যে শক্তিশালী রেভল্যুশনারি গার্ডসের সাথে যুক্ত ড্রোন
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মহাকাশ কোম্পানী শাহেদ এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিজও রয়েছে।