ডলারের দাম বেড়ে আমদানি মূল্য বেড়ে যাওয়ায় বাজারে চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। গত বুধবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে নতুন দর নির্ধারনের আবেদন করেছে সংগঠনটি। ওই চিঠিতে বলা হয়, প্রতি ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রার ৩০ টাকার মতো অবমূল্যায়ন হয়েছে। ডলারের তেজিভাবের কারণে চিনিতে শুল্কায়নের পরিমাণও বেড়ে গেছে। যে কারণে দাম বাড়াতে চাইছে তারা।
সবশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে নির্ধারিত
মূল্য অনুযায়ী, প্রতিকেজি চিনির খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা থেকে ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
গত দুই মাসে বাজারে দাম একটু একটু করে বাড়ছিল।
চিঠিতে বলা হয়, চিনি পরিশোধনকারী কারখানাগুলো
বিলম্বে মূল্য পরিশোধের সুবিধা নিয়ে ঋণপত্র খুলে থাকে। বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির
কারণে দেরিতে মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের বিপরীতে অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে;
ফলে বিপুল লোকসান গুণতে হচ্ছে কোম্পানিগুলোকে। ঋণপত্র খোলার সময় ডলারের বিনিময় মূল্য
৮৩ টাকা থেকে ৮৫ টাকার মধ্যে ছিল। কিন্তু এখন সেসব এলসির মূল্য পরিশোধের সময় বাণিজ্যিক
ব্যাংকগুলো আমাদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১৫ টাকা পর্যন্ত বিনিময়মূল্য নিচ্ছে।
এতে বলা হয়, আগে যেখানে প্রতি টন চিনি
আমদানিতে শুল্ক ছিল ২২ হাজার টাকা থেকে ২৩ হাজার টাকা, এখন দিতে হচ্ছে ২৮ হাজার টাকা
থেকে ২৯ হাজার টাকা। এতে পরিশোধনের পর প্রতি টন চিনির মিলগেট দাম দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ টাকা
থেকে ১ লাখ পাঁচ হাজার টাকা।অথচ বর্তমানে প্রতি টন চিনির মিলগেট মূল্য ৭৮ হাজার ৩০০
টাকা থেকে ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।
অন্যদিকে নতুন আমদানি শুল্ক অনুযায়ী প্রতি
মণ চিনির মিলগেট মূল্য দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৭০৩ টাকা থেকে ৩ হাজার ৮৮৮ টাকা। অথচ বর্তমানে
প্রতি মণ চিনি ২ হাজার ৯০০ টাকা থেকে থেকে ২ হাজার ৯২০ টাকায় নির্ধারিত আছে।
এই পরিস্থিতিতে খরচ অনুযায়ী দাম না বাড়ালে কারখানাগুলো দেউলিয়া হয়ে যাবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছে সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন। চিনির মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ডলারের মূল্য নির্ধারণ, পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ ও আমদানি শুল্ক মওকুফের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।