রাজধানীর শাহজাহানপুরে
দুর্বৃত্তদের গুলিতে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম
টিপু ও বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতি গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ
গাড়িচালক মুন্না বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে প্রীতির বাল্যবন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসেন মরদেহ দেখতে। প্রীতির মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। মর্গ থেকে ফেরার পথে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রীতির এক বান্ধবী বলেন, আমার বাসা প্রীতিদের বাসার পাশে, রাজধানীর পশ্চিম শান্তিবাগে। আমরা একসঙ্গে এক কলেজে না পড়লেও সে ছোটবেলা থেকেই আমার বান্ধবী।
তিনি বলেন, গতকাল
(বৃহস্পতিবার) রাতে সে শাজাহানপুর এলাকায় আমাদের আরেক বান্ধবীর বাসায় যায়। সেখান থেকে
রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে বাসার উদ্দেশে রওনা হয়। বাসায় ফেরার পথে গুলিতে আমার বান্ধবী
নিহত হয়। আমরা যতটুকু জেনেছি, আরেক জনকে মারতে গিয়ে নাকি প্রীতিকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এ সময় তিনি ক্ষোভ
প্রকাশ করে বলেন, এ কেমন রাষ্ট্র, যেখানে একজন শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নেই? প্রকাশ্যে
গুলি করে হত্যা করে ফেলল, এ কেমন রাষ্ট্র? কারো কোনোই মাথাব্যথা নেই। কেমন রাষ্ট্রে
আমরা থাকি? আমার বান্ধবী অকালে এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার কেন হলো?