গোটা ম্যাচেই
ভালো খেলেছে পর্তুগাল, গোল করেছে বেলজিয়াম। এবারের ইউরো কাপ জুড়েই দেখা গেছে এমনটা
যে দল শুরু থেকেই ভালো খেলেছে, শেষ পর্যন্ত হারতে হয়েছে বেশির ভাগ ম্যাচেই।
পর্তুগালের সঙ্গেও
তেমনটাই ঘটল। ম্যাচের ৫৬ শতাংশ বল দখলে ছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। পর্তুগালের ১৩ শটের
মধ্যে ৪টি ছিল টার্গেট শট। বিপরীতে বেলজিয়ামের ৪ শটের ১টিই শিওর শট, সেটিই গোল।
তবে প্রথমার্ধে
বেশ আক্রমণাত্মক ছিল বেলজিয়াম। বল দখলের লড়াই আর পালটা আক্রমণে সমর্থকদেরও আনন্দ কম
দেয়নি। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষ হবার মিনিট তিন আগেই গোল খেয়ে বসে পর্তুগাল।
৪২ মিনিটের মাথায়
লুকাকুর বাড়িয়ে দেয়া বল ডি-বক্সে পেয়ে যান ডি ব্রুইন। ডি ব্রুইনের বাড়িয়ে দেয়া বল পেয়ে
যান তমা মুনিয়ের। সেখান থেকে তিনি বল বাড়ান থোর্গান হ্যাজার্ডের দিকে। হ্যাজার্ড মোড়
নিয়ে বুলেট গতির শট নেন পর্তুগালের জাল লক্ষ্য করে। থোর্গান হ্যাজার্ডের করা গোলে ১-০
ব্যবধানে এগিয়ে দারুণভাবে প্রথমার্ধ শেষ করে বেলজিয়াম।
দ্বিতীয়ার্ধে
বেশ কয়েকটি সুযোগ আসে পর্তুগালের সামনে। নিশ্চিত গোল কিন্তু গোলবারে লেগে ফেরায় গোল
বঞ্চিত হতে হয় পর্তুগীজদের। তবে পর্তুগালকে একা টেনে হাঁপিয়ে ওঠেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
গোটা দল যে রোনালদো নির্ভর, সেটা ম্যাচের প্রথমার্ধেই বোঝা যায় স্পষ্ট।
রোনালদো যতবারই
সুযোগ করে দিয়েছেন গোল পরিশোধের, ততবারই সুযোগ নষ্ট করে বাকিরা।ম্যাচের ৫৬ মিনিটের
মাথায় দিয়াগো জটারের করা শট গোলপোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ৬১ মিনিটে আবারও সুযোগ
পেয়েছিল পর্তুগাল। স্যাঞ্চেজের বাঁকানো শট ফেলিক্স হেড করলেও গতি ছিল না বলে।
১-০ গোলে হেরে
হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গতবারের ইউরো কাপ জয়ীদের। কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালির মুখোমুখি
হবে বেলজিয়ামকে।