রাজধানীর ফুলবাড়িয়ার তিনটি মার্কেটের রাস্তা দখল করে তৈরি করা অবৈধ দোকান উচ্ছেদে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান পরিচালনা করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ দুপুর ১২টার দিকে এই অভিযান শুরু করে ডিএসসিসি।
আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
যদিও বুধবার বেলা ১১টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযান শুরুর কথা ছিল। কিন্তু দোকানিদের রাস্তায় অবস্থানের কারণে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে ১২টা বেজে যায়। তবে প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনে দোকানিরা বাধা দেয়নি বলে জানিয়েছেন ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, গতকালকের মতো দোকানিরা অভিযানে বাধা না দিলেও শত শত লোকজন রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে। যেসব দোকান গতকাল উচ্ছেদ করেনি সেসব দোকানিকে তাদের মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।
গতকাল থেকে এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে গেলে বাধার মুখে পড়তে হয় তাদের। শত শত দোকানি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় পুলিশ ও ডিএসসিসির কর্মকর্তাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীরা। সে সময় বাধ্য হয়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে।
আজ তেমন কিছু হয়নি বলে জানিয়ে এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘১২টার দিকে আমরা অভিযান শুরু করেছি। ভবনের ভেতরে ও বাইরে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। গতকাল মঙ্গলবারও অভিযান পরিচালনা করে আমরা ২০০-এর বেশি দোকান উচ্ছেদ করেছি। আজ ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। আগামীকালও আমরা অভিযান পরিচালনা করব। এর পরও যদি মোট ৯১১টি দোকানের সব উচ্ছেদ শেষ করা না যায় তাহলে যত দিন লাগবে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।’
গতকাল মঙ্গলবার দক্ষিণ সিটির নগর ভবনের বিপরীতের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২ এর এ, বি ও সি ব্লকের (সিটি প্লাজা, নগর প্লাজা ও জাকের প্লাজা) ৯১১টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদে অভিযানে নামে নগর কর্তৃপক্ষ। ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর শুরু হয় উচ্ছেদ কার্যক্রম।
প্রথমদিনে ৯১১টি অবৈধ স্থাপনার মধ্যে আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়েছে। বাকি স্থাপনাগুলো উচ্ছেদে আজ এই অভিযান শুরু করেছে ডিএসসিসি।
ডিএসসিসি সূত্রে জানা গেছে, আজকের অভিযান দিনব্যাপী চলবে। যে দোকানগুলো উচ্ছেদ করতে এখনো বাকি আছে সেগুলো আজ উচ্ছেদ করা হবে। সব দোকান যদি আজ উচ্ছেদ করা সম্ভব না হয় তাহলে আগামীকাল বৃহস্পতিবারও এই অভিযান চালাবে ডিএসসিসি।
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অন্যতম বড় এ অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপা।