আজঃ বুধবার ০১ মে ২০২৪
শিরোনাম

দ্বিতীয় ধাপের ১৬৩ উপজেলায় ভোট ২১ মে

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ১৬৩ পরিষদের নির্বাচন আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম। সোমবার (০১ এপ্রিল) কমিশনের ৩০তম সভা শেষে ইসি সচিব গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, প্রথম ধাপের নির্বাচনের মতো দ্বিতীয় ধাপেও প্রার্থীরা মনোনয়ন পত্র অনলাইনে জমা দেবে। একইসঙ্গে প্রার্থীদের জামানত অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।

তিনি বলেন, কমিশন উপজেলা পরিষদের চারটি ধাপে নির্বাচন করার পরিকল্পনা করেছে। সেখানে প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। আজকে দ্বিতীয় ধাপের তফসিল চূড়ান্ত হয়েছে।

সে অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২১ এপ্রিল। মনোনয়ন পত্র বাছাই ২৩ এপ্রিল। মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২৭ থেকে ২৯ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৯ এপ্রিল। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ২ মে। ভোটগ্রহণ ২১ মে।

তিনি আরও বলেন, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯টি জেলায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে। বাকি জেলাগুলোতে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



বিনা টিকিটে কেউ রেল ভ্রমণ করতে পারবে না: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের ট্রেনে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাজধানীর ঢাকা (কমলাপুর) রেলওয়ে স্টেশন সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

জিল্লুল হাকিম বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে যাত্রীরা ট্রেনে করে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারবেন। এবার ঈদে সব টিকিট অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে, যারা অনলাইনে টিকেট নিতে পারেননি তাদের জন্য স্ট্যান্ডিং টিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বিনা টিকিটে কেউ রেল ভ্রমণ করতে পারবে না জানিয়ে তিনি বলেন, টিকিট তদারকি করতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সতর্ক ও তৎপর থাকতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন গন্তব্যে যাতে সময় মতো ট্রেন চলাচল করে সে জন্যও আগে থেকেই নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফিরতি যাত্রাও যাতে নিরাপদ ও আরামদায়ক হয় সে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ট্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা স্টেশনসহ প্রায় প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা নিশ্চিতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, রেলের যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হবে। ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য ২০০ বগি কেনার অনুমোদন পাওয়া গেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো কেনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে জিল্লুল হাকিম বলেন, রেলের দুর্নীতি কমানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি সামনে দুর্নীতি অনেকাংশে কমে যাবে। কমলাপুর স্টেশনে মাল্টিপল হাব নির্মাণ করা হবে। এর কার্যক্রম শুরু হলে বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা থাকবে না।

ঢাকা স্টেশন পরিদর্শন এবং মতবিনিময়কালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর এবং ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই বলে দাবি করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

ঈদযাত্রায় সহজ করতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা আপনারা জানেন। এখন আমরা ঘরের ভেতের করছি, কিন্তু সাংবাদিকদের জন্য পুরো সেশনটিই উন্মুক্ত ছিল। যে যা বলেছেন, সবই আপনারা পেয়েছেন। যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিএ, তাও আপনাদের জানানো হয়েছে পরিষ্কারভাবে।

তবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ঈদের পরে প্রশ্ন করতে সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, এটা আপনারা ঈদের পরে প্রশ্ন করতে পারেন। গাড়ির চাপ আছে, কিন্তু যানজট নেই, এটা আমি বলতে পারবো।

ঢাকায় অস্বাভাবিক যানজট নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে এখন কোনো যানজট নেই, থাকবে না। রাজধানী খালি হয়ে গেছে। কোথায় যে দিনের আলোতে রাতের অন্ধকার!

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে যৌথ অভিযান চলছে, আশা করি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।


আরও খবর



শরিয়তপুরে অসহায় ৩’শ পরিবার পেল ঈদ উপহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদের আনন্দ সকলের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরেও অসহায় ও নিম্ন আয়ের তিনশত পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেছে শরীয়তপুরের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন

গতকাল রবিবার (৭ এপ্রিল) শরিয়তপুর জেলার বিভিন্ন জায়গায় হতদরিদ্র এবং সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ৩০০ পরিবারের মাঝে শরীয়তপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়া হয়।

স্বপ্নযাত্রার ঈদ উপহারে রয়েছে, পোলাউয়ের চাল ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, লাচ্ছা সেমাই ১ প্যাকেট, সাধারণ সেমাই ১ প্যাকেট, নুডুলস ফ্যামিলি ১ প্যাকেট, গুড়ো দুধ ১০০ গ্রাম, কিসমিস ৫০ গ্রাম, গরম মসলা।

সংগঠনের সূত্রে জানা গেছে স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন শরীয়তপুর জেলার একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন। সামাজিক কর্মকাণ্ড ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর শুরু হয় সংগঠনের একের পর এক ব্যতিক্রমী কার্যক্রম। এই সংগঠন যাত্রা শুরুর পরে হতেই ব্যতিক্রমী সব কার্যক্রমে জয় করছে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা।

এ ছাড়াও সংগঠনটি, স্বেচ্ছায় রক্তদান, রক্ত দানে  তরুণদের কে উৎসাহিত করা, বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে শিক্ষার্থীদের সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরন করা, মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, বৃক্ষরোপন কর্মসূচি, অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরন, অনলাইন ভিত্তিক কোরআন তেলোয়াত প্রতিযোগিতা ও বিভিন্ন সামাজিক কাজের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় শরীয়তপুর জেলায়।

সংগঠনটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, সংগঠনটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উদ্যোমী তরুণদের সহযোগিতায় মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এবার নিয়ে আমরা ৫ম বার ঈদ উপহার বিতরন করছি, আমাদের এই মহৎ উদ্যোগে যেসকল স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষী ভাইয়েরা দেশ ও প্রবাস থেকে আর্থিকভাবে,শারিরীকভাবে ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসা জানাই।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সিয়াম বলেন, সংগঠনটি গড়ে তোলা হয়েছে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য,অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটানোই এ সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য, আগামীতেও এমন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কার্যকরী সদস্য মাহফুজ ঢালী বলেন, শরীয়তপুর জেলায় শিক্ষার হার ও মান বৃদ্ধি করে মাদকমুক্ত সৃজনশীল তারুণ্য তৈরির মাধ্যমে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। একইসাথে অসুস্থ,দরিদ্র ও বঞ্চিত মানুষদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় রয়েছে শরীয়তপুরের স্বপ্নযাত্রা ফাউন্ডেশন

তিনি আরও বলেন, সংগঠনের যাত্রালগ্ন থেকে রমাদান উপহার প্রজেক্ট ও ঈদ উপহার প্রজেক্টসহ সকল উদ্যোগে প্রবাসী ভাই ও বিভিন্ন শুভাকাঙ্ক্ষীদের আর্থিক ও পরামর্শমুলক সহযোগিতার ফলেই আমরা শরীয়তপুর জেলা ভিত্তিক সবচেয়ে  সুপরিচিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। আমরা আশাবাদী সবার যৌথ প্রচেষ্টায় আমরা স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করতে সক্ষম হবো।

এ সময় বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, উদ্যমী তরুণ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়ে যা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে আটক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জলদস্যুদের হাত থেকে নাবিক এবং জাহাজ দুটোই উদ্ধার করার ক্ষেত্রেই অল্প সময়ের মধ্যে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আশা করছি শিগগির তাদেরকে মুক্ত করতে পারবো। তবে উদ্ধারের দিনক্ষণ বলাটা কঠিন।

তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের পরিবারকে আশ্বস্ত করতে চাই, সরকার সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে। প্রথমত যারা অপহরণ করেছে তাদের সঙ্গে বিভিন্ন পক্ষের মাধ্যমে আলোচনা চলছে। দ্বিতীয়ত তাদের ওপর মনস্তাত্ত্বিক প্রচুর চাপ তৈরি করা হয়েছে। নাবিকরা ভালো আছেন, নিয়মিতভাবে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, এমনকি ভিডিও কলেও কথা বলছেন। সুতরাং যে উদ্বেগটা কিছুদিন আগে ছিল সেটি এই মুহূর্তে নেই। আমরা আশা করছি তাদেরকে শিগগির মুক্ত করতে পারবো। বুধবার (১০ এপ্রিল) চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানজি পুকুর লেন ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশে সবসময় গণতন্ত্র হরণ করার জন্য অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং এখনো চালিয়ে যাচ্ছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পর বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে তাদের হাত ছিল। নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত এবং গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যেই সেটি ঘটানো হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ১৩ সালে কি ধরণের সন্ত্রাসী ও জঘন্য মানুষ পোড়ানোর মহোৎসব করে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা তারা চালিয়েছিল। ১৪ সালের নির্বাচনে পাঁচশ নির্বাচনী কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং নির্বাচনী কর্মকর্তা ও বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছিল। সেটির উদ্দেশ্য ছিল নির্বাচনকে ভণ্ডুল করা, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা। ১৮ সালের নির্বাচনেও একই প্রচেষ্টা ছিল। সর্বশেষ ২৪ সালের বিগত নির্বাচন বর্জন করার মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালানো হয়।

চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা বৃদ্ধি এবং হামলায় একব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, গত মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় কিশোর গ্যাং নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন জেলা শহরে এই কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয় সে ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি বলেন, কিশোর গ্যাংদের গ্রেপ্তারের পর স্বাভাবিক জেলে না রেখে সংশোধনাগারে পাঠানোর জন্য পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, সাধারণ জেলে যদি তাদেরকে পাঠানো হয় সেখানে থাকা অন্যান্য সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তারা আরো ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে পারে। দেশে এটি নতুন সমস্যা, এটিকে দূর করতে সরকার কাজ করছে। কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে নেপথ্যে যেই থাকুক, সে যেই দলেরই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং হচ্ছে।

দেশবাসীকে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন আমাদের দেশে রমজান আসার আগে এবং রমজানের সময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করার জন্য একটি অসাধু চক্র ও কিছু মজুতদার সবসময় সক্রিয় হয়। এবারও তা হয়েছে। সেটির সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছিল বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বাজারকে অস্থিতিশীল করা, পণ্যের মূল্য যাতে বাড়ে। কিন্তু সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার প্রেক্ষিতে এবার রমজানের সময় বাজার স্থিতিশীল ছিল এবং অনেক পণ্যের দাম কমেছে। 


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

তীব্র তাপদাহের মধ্যে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি। এর আগে ভিন্ন অঞ্চলে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়।

অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি থেমেও যায়। যদিও এর আগেই ঢাকাসহ চার বিভাগের দুএক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাজধানীতে বৃষ্টি তীব্র গরমের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে।

দেশের আট বিভাগে অর্থাৎ সারাদেশে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। তীব্র গরমে সারাদেশের জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। গরমে অনেকের নির্ঘুম কাটছে রাত।

সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার সকাল ৯ টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর এবং সিলেট বিভাগের দুএক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস প্রতিবেদনে জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।


আরও খবর