আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ঢাকা-৮ সাংসদ পদে সকলের পছন্দ মাসুদ সেরনিয়াবাত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচন ও আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে দেশজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। আসন্ন ভোটের হাওয়া লেগেছে খোদ রাজধানীতেও।

পাঁচটি থানার (রমনা-মতিঝিল-শাহবাগ-পল্টন-শাহজাহানপুর) আওতাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) এর অর্ন্তগত ৮, ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ঢাকা-৮ সংসদীয় আসন। মহাজোটের প্রার্থীর পরিবর্তে এই আসনের সাংসদ পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়ন চান দলটির তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

জানা গেছে, এই আসনের সাংসদ পদে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে সকলের পছন্দ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মাসুদ সেরনিয়াবাত (সাইফুল ইসলাম)। নেতা-কর্মী ও ভোটারদের পাশাপাশি দলের জরিপ এবং সরকারের বিভিন্ন সংস্থার জরিপেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন শহীদ পরিবারের সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এর  কৃতি শিক্ষার্থী মাসুদ সেরনিয়াবাত।

ঢাকা-৮ আসনের বর্তমান সাংসদ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। ২০০৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হয়ে প্রথমবার এ আসনের সাংসদ হয়েছিলেন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে প্রায় ১৫ বছর ধরে সাংসদের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

নেতা-কর্মীরা জানান, মাসুদ সেরনিয়াবাত দীর্ঘদিন ধরে এই আসনের নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে কাজ করছেন। তার (মাসুদ সেরনিয়াবাত) সাংগঠনিক দক্ষতার জন্যই এই আসনের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি-জামাতকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করে যাচ্ছে দৃঢ়তার সঙ্গে।

পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন শফিউল আজম শাহীন। এর আগে তিনি একই থানাধীন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড (সাবেক ৩৬) এর আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। আসন্ন নির্বাচন ও মাসুদ সেরনিয়াবাতের সম্ভাব্য প্রার্থিতার বিষয়ে তিনি বলেন, জনবান্ধব ও কর্মীবান্ধব একজন নেতা। ওয়ান ইলেভেনের সময় দেখেছি, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কিভাবে দলের জন্য কাজ করে গেছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে মাসুদ ভাইয়ের বিকল্প নেই।

১৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সহসভাপতি ও বর্তমানে এই ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী শাহ আলম আরজু বলেন, নৌকার প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে এই আসনে মাসুদ ভাই সবার চেয়ে এগিয়ে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কাছে তিনি ভীষন জনপ্রিয়।

বাংলাদেশ দোকান মালিক ও ব্যবসায়ি সমিতির সহ-সভাপতি এডভোকেট মো: ঈমান হোসেন বলেন, এলাকার সাধারণে ভোটারের সঙ্গে বর্তমান সাংসদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন তাই এখন সময়ের দাবি।

নয়াপল্টন সমাজকল্যাণ উন্নয়ন সমিতির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম বাবু বলেন, এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মাসুদ সেরনিয়াবাত সবদিক থেকে যোগ্য।

শাহবাগ থানাধীন ২১ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো: জাকির হোসেন বলেন, ঢাকা-৮ আসন দলীয়ভাবে অভিভাবকহীন। এই আসনের সাংসদ (অভিভাবক) পদে মাসুদ সেরনিয়াবাতকে দেখতে চাই। 

শাহজাহানপুর থানাধীন ১১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি পদ প্রার্থী ম.খালিদ বলেন, আমরা যারা দল করি তারা চাই মাসুদ ভাই মনোনয়ন পাক।

একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাহিদুজ্জামান সোহেল বলেন, এলাকার উন্নয়ন ও রাজনৈতিক স্থবিরতা কাটাতে এই আসনে মাসুদ ভাইয়ের বিকল্প নেই।

বৃহত্তর মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও শাহজাহানপুর থানাধীন ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী মঈনুল হাসনাত রানা বলেন, এলাকায় দলীয় সাংসদ না থাকায় বর্তমান সাংসদের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের গ্যাপ রয়েছে। এই গ্যাপ পূরণে মাসুদ ভাই যোগ্যতম প্রার্থী।

আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়ে মাসুদ সেরনিয়াবাত বলেন, একজন দলীয় কর্মীর দায়বদ্ধতা নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বৈশ্বিক করোনা মহামারির সময়েও মানুষের পাশে ছিলাম, এখনো আছি আগামীতেও থাকবো ইনশাআল্লাহ।

জন্মস্থান বরিশাল, তবে তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে উত্তর শাহজাহানপুরের বাসিন্দা হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত মাসুদ সেরনিয়াবাত। মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সন্তান এই যুবনেতার আপন চারভাই বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকের হাতে জাতির পিতার সঙ্গে নির্মমভাবে নিহত হন তার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনসহ ১৮জন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন মাসুদ সেরনিয়াবাতের চাচা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, বড় ভাই শহীদ সেরনিয়াবাত, চাচাতো বোন আরজু মনি ও তার স্বামী শেখ ফজলুল হক মনি (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে), বেবি সেরনিয়াবাত, আরিফ সেরনিয়াবাত ও সুকান্ত সেরনিয়াবাত। 

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঢাকা-৮ সংসদীয় নানা কারণেই অনেক গুরুত্বপূর্ণ দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই আসনের সাংসদ পদে মাসুদ সেরনিয়াবাত মনোনয়ন পাবেন এমন প্রত্যশা সবার।


আরও খবর



আমতলী উপজেলা নির্বাচন: ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনা আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে ৪ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন সহ মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিনে নির্ধারিত সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমতলী উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র দাখিল করা প্রার্থীরা হলেন- আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাড. এম এ কাদের মিয়া, গোলাম সরোয়ার ফোরকান, আলতাফ হাওলাদার, এলমান উদ্দিন আহমেদ সুহাদ, অ্যাড. মোশাররফ হোসেন মোল্লা।

নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- আমতলী উপজেলা পরিষদের বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান তামান্না আফরোজ মনি, জেসিকা তারতিলা জুথী, মাকসুদ আক্তার জোছনা।

এছাড়া পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা, কমান্ডার একেএম শামসুদ্দিন শানু, মোয়াজ্জেম হোসেন খান, নাজমুল হাসান সোহাগ, অ্যাড. মঈন পহলান।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, আমতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি পদে ১৭ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন।

আগামী ১২ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনটি পদে দাখিলকৃত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ ও ১৫ মে প্রার্থীদের আপীল, ১৬ থেকে ১৮ মে প্রার্থীদের আপীল নিস্পত্তি, ১৯ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহার, ২০ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ ও ৫ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর



ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

Image

চাকুরীবিধি বৈষম্য, সাময়িক বহিস্কৃত কর্মকর্তাদের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার, চাকরি নিয়মিতকরণসহ কয়েক দফা দাবি আদায়ে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

রোববার সকালে বিদ্যুৎ অফিসের সামনে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন।

সে সময় ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মোস্তাক আহম্মেদ, হাবিবুর রহমান, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার রবিউল ইসলাম, লাইন ক্রু লেভেল ওয়ান জামিরুল ইসলামহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।

কর্মবিরতি চলাকালে বক্তারা বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দুই রকম নীতির কারণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিত কর্মীরা একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন সময় গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে স্মারকলিপি প্রদানসহ নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই তাদের দাবি দাওয়া বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছেন।

কিন্তু সমিতির নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থাকা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তাদের দাবি না মেনে বরং উল্টো প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত ভোলা পবিসের দু'জন এজিএমকে সাময়িক বরখাস্ত, দু'জন এজিএমকে স্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্য পিবিএসে বদলী এবং সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর একজন ডিজিএম এবং একজন এজিএমকে বোর্ডে সংযুক্ত করে। এতে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্ষুব্ধ হয়। তবে আজ থেকে আন্দোলনে গেলেও জরুরি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে একজন করে জনবল কাজ করছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় জাল ভোটের চেষ্টা, কাউন্সিলরসহ আটক ৩

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

Image

কুষ্টিয়া জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে এক কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে হস্তান্তর করেছে। গ্রেফতার কাউন্সিলরের নাম মীর রেজাউল ইসলাম বাবু।

তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, জাল ভোট ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে কুষ্টিয়ার বাড়াদি কেন্দ্র থেকে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি চিঠি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) চিঠি পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে সরকারি চাকরিতে আবেদনের সময়সীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে এটা মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি এই সুপারিশ করেছেন। সিদ্ধান্ত নেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব ধরনের চাকরিতে প্রবেশে বয়সসীমা ৩০ বছর মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করা হয়। এ অবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩৫ বছর করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।

সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চাকরিপ্রার্থী শিক্ষার্থীদের একটি অংশ চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তারা বলে আসছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ থেকে ৫৯ বছর পর্যন্ত। অর্থাৎ বয়স নয়, যোগ্যতাই একজন প্রার্থীর একমাত্র মাপকাঠি। ওই দেশের আলোকে বাংলাদেশেও চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ বছর করা দাবি করে আসছেন। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে ওই সব শিক্ষার্থী দফায় দফায় কর্মসূচি পালন করে এলেও এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন শিক্ষামন্ত্রীও একই ধরনের সুপারিশ করলেন।


আরও খবর



পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আটক ১২

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার ঈশ্বরদীর পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) অভিযান চালায়। এ সময় ১২জন বালু উত্তোলনকারীসহ একটি স্কেভেটর ও ৫টি ড্রাম্পট্রাক আটক করেছে পাবনা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলা লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের বিলকেদা দাদাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলো, ঈশ্বরদী উপজেলার বিলকেদা গ্রামের মৃত: তোফাজ্জল হোসেন প্রামানিকের ছেলে জামিরুল ইসলাম (৪২), একই গ্রামের কামিরুল প্রামানিকের ছেলে রুমন হোসেন (১৯), বাবলু মালিথার ছেলে বাধন হোসেন (১৯), ঈশ্বরদী ভেলুপাড়ার মো. নাজমুল হোসেনের ছেলে ইমন ইসলাম (১৯), নতুন রুপপুর গ্রামের মৃত নান্নু মালিথার ছেলে ইমরান মালিথা (২৯), ফতেপুরের মৃত ফজলুল হকের ছেলে ফয়সাল হোসেন (৩২), সাহাপুরের  মৃত: আব্দুস সামাদের ছেলে শুভ (২৪), চর রুপপুর জিগাতলার মো. খায়রুল মোল্লার ছেলে মোহন মোল্লা (২৯), আলহাজ্ব মোড় এলাকার মো. লিয়াকত আলীর ছেলে সিয়াম হোসেন (১৯), আটঘরিয়া উপজেলার নাগদাহ স্কুলপাড়ার মো. ইব্রাহিমের ছেলে মাসুম আলী (৩০), একই গ্রামের মো. আকব্বর এর ছেলে সাগর (১৯), মির্জাপুরের বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিনের ছেলে রজমান (২০)।

পাবনা র‌্যাব-১২, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিলকেদার দাদাপুর এলাকায় পদ্মার শাখা নদী হতে কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে ভেকু মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে ক্রয়-বিক্রয় করছিল। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে একটি স্কেভেটর ও ৫ টি ট্রাকসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।

তিনি জানান, তারা দীর্ঘদিন ধরে ঈশ্বরদী উপজেলার পদ্মানদী তীরবর্তী এলাকায় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সংঘবদ্ধ ভাবে অবৈধ উপায়ে বালি উত্তোলন করে আসছিল।


আরও খবর