আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দূরে সরছেন শি-মোদি, বিপজ্জনক হতে পারেন ‘একঘরে’ পুতিন

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্ব পর্যায়ে রাশিয়ার আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া দৃশ্যমান হচ্ছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বলেছেন, এটি যুদ্ধের সময় নয়। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট হুমকি দিয়েছেন ইউক্রেনের তার সামরিক অভিযানে নৃশসংতা আরও জোরদার করার। উজবেকিস্তানে একটি সম্মেলনে টেলিভিশনে প্রচারিত বক্তব্যে এই সমালোচনা করেছেন মোদি। এর একদিন আগে পুতিন স্বীকার করেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশ্ন ও উদ্বেগ রয়েছে। দুটি ঘটনা এক সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে দেখা যাচ্ছে যে, পুতিনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে বিশ্বের দুটি জনবহুল দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার অর্থনীতির টিকে থাকার জন্য দেশ দুটি গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে ক্রেমলিন যে দাবি করে আসছিল রাশিয়া বিশ্বে একঘরে হয়নিএই দাবি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে পুতিনকে মোদি বলেছেন, আমি জানি আজকের যুগ যুদ্ধের নয়। মোদি উল্লেখ করেছেন খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের কারণে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছে। তিনি বলেছেন, আজ আমরা সুযোগ পেয়েছি কীভাবে শান্তির পথে অগ্রসর হতে পারি। এই সমালোচনা ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর আলোকে পুতিন গত কয়েক মাসের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন পুতিন। শুধু যে এই কূটনৈতিক বিপত্তি তা নয়, ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে রুশ সেনাদের প্রত্যাহার এবং দেশে যুদ্ধ পরিচালনা নিয়ে সমালোচনাও শুরু হয়েছে। তবে পুতিনের পরবর্তী পদক্ষেপ এখনও রহস্যময়। পশ্চিমা কর্মকর্তারা মনে করছেন, পুতিন যদি আরও ব্যর্থতার মুখে পড়েন তাহলে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ জোরদার করতে পারেন।

কয়েকজন এশীয় নেতার সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনীয় বেসামরিক স্থাপনায় ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে সতর্কতামূলক হামলা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও ভয়ঙ্কর অভিযানের হুমকি দিয়েছেন। একই সময়ে চীন ও ভারতের মতো অংশীদারদের সঙ্গে অস্বস্তিকর অবস্থা নিয়ে পুতিনকে সচেতন বলেও মনে হয়েছে। কোনও পূর্বশর্ত উল্লেখ না করে পুতিন জোর দিয়ে বলেছেন তিনি আলোচনার জন্য প্রস্তুত। শুক্রবারের বক্তব্যে পুতিন ইউক্রেনকে বেসামরিকীকরণ ও নাৎসীমুক্ত করার কথা বলেননি। অথচ ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণের শুরুতে অভিযানের লক্ষ্য হিসেবে এগুলোর কথা বলেছিলেন। তখন ধারণা করা হয়েছিলম, এই লক্ষ্যের মাধ্যমে পুরো ইউক্রেন দখল করতে চান তিনি।

পুতিন এখন বলছেন, তাদের আক্রমণের মূল ছিল ডনবাস দখলে সীমাবদ্ধ। পূর্ব ইউক্রেনের এই অঞ্চলের দুটি এলাকাডনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এই দুটি এলাকার বেশ কিছু ভূখণ্ড এখনও ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা করছে এবং মস্কো এগুলোর পাল্টা পদক্ষেপ নিচ্ছে। তার কথায়, প্রকৃতপক্ষে আমরা সংযতভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছি। তবে এটি সাময়িক। পরিস্থিতি যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আমাদের জবাব আরও ভয়াবহ হবে। ২০১৪ সালে রাশিয়ার দখলকৃত ক্রিমিয়াতে সামরিক স্থাপনায় হামলার কথা স্বীকার করেছে ইউক্রেন। কিয়েভের দাবি, তারা কোনও বেসামরিক নাগরিকের ওপর হামলা চালাচ্ছে না।

বুধবার একটি রাশিয়ার একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামরায় দক্ষিণাঞ্চলীয় একটি শহরের বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি দখলমুক্ত করা ইজিউমে একটি গণকবর পাওয়া গেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে এতে অন্তত ৪৪৫ জনের মরদেহ রয়েছে। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পডোলিয়াক বলেছেন, দখলকৃত ভূখণ্ডে রাশিয়া নৃশংসতা, সহিংসতা, নিপীড়ন ও গণহারে হত্যা করেছে। তিনি যুদ্ধ অবসানে সমঝোতার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। এরপরও পুতিন বারবার রাশিয়ার আক্রমণ জোরদার করা হতে পারে বলে সতর্ক করে আসছেন। মার্কিন কর্মকর্তারাও এখন এই হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। তাদের ধারণা, ইউক্রেনে সেনা মোতায়েন বাড়াতে পারে রাশিয়া অথবা ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহকারী ন্যাটো দেশের ওপর হামলা চালাতে পারেন। ইউক্রেনের পূর্ব বা দক্ষিণে আক্রমণ জোরদার বা ইউক্রেনীয় নেতৃত্বকে টার্গেট করে অভিযান শুরু করতে পারে রাশিয়া।

শুক্রবার পুতিন বলেছেন, আমরা নিজেদের পুরো সেনাবাহিনী নিয়ে লড়াই করছি না। আক্রমণের সামরিক পরিকল্পনায় কোনও সামঞ্জস্য আনার প্রয়োজন নেই বলেও জোর দিয়েছেন। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হলো পুরো ডনবাস ভূখণ্ড মুক্ত করা। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণের পরও আমাদের লক্ষ্যমূখী কাজ চলছে। সেনাবাহিনী কিছু বিষয় গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে, কিছু বিষয়কে দ্বিতীয় পর্যায়ে রাখা হয়। কিন্তু মূল লক্ষ্য বদলায়নি এবং তা বাস্তবায়ন হচ্ছে।

কিন্তু পুতিন যখন মোদির সঙ্গের বৈঠকে বসেন তখন তার কণ্ঠ ছিল অনেক বেশি সংযত। যুদ্ধের সময় রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সংস্থানের উৎস চীন ও ভারত। রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়কৃত মূল্যে তেল কিনছে ভারত। রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে ভোটদানে বিরত থেকে পুতিনকে স্বস্তি দিয়েছে দেশ দুটি। রুশ তেল না কিনতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর আহ্বান উপেক্ষা করে রাশিয়ার কাছ থেকে ছাড়কৃত মূল্যে অপরিশোধিত তেল কিনে যাচ্ছে ভারত। এমন সময় তারা রুশ তেল কিনছে যখন খাদ্যদ্রব্য ও জ্বালানির মূল্য বাড়ছে। এমনকি ইউক্রেনের এক কূটনীতিক বলেছেন, এই ছাড়ের মূল্য ইউক্রেনীয়দের রক্তে পরিশোধ হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে এখন অনেক দৃঢ় হলেও মস্কোর সঙ্গে তাদের দীর্ঘ ও পুরনো বন্ধন রয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য স্বল্পমূল্যের প্রধান উৎস এখনও রাশিয়া। ফলে শুক্রবার মোদি যখন ক্যামেরার সামনে বলেন আজকের যুগ যুদ্ধের নয়, তখন তা ইঙ্গিত দেয় ক্রেমলিন তাদের বন্ধু হলেও এখন নিজেদের একটু দূরে রাখতে চাইছে নয়া দিল্লি। মোদিকে পুতিন বলেছেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার জন্য দায়ী ইউক্রেন। কিয়েভ শান্তি চাইছে না। কিন্তু পুতিন স্বীকার করেছেন যুদ্ধের বিষয়ে মোদির অসন্তুষ্টি রয়েছে।

পুতিন বলেন, ইউক্রেনে সংঘাত নিয়ে আপনার (মোদি) অবস্থান সম্পর্কে আমি অবগত। আপনি নিয়মিত এসব উদ্বেগ তুলে ধরেছেন। আপনার আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যতদ্রুত সম্ভব এটি থামাতে। দুর্ভাগ্যজনক হলো বিরোধী পক্ষ ইউক্রেনীয় নেতৃত্ব আলোচনা প্রক্রিয়া পরিত্যাগ করেছে। নিজের সংবাদ সম্মেলনে পুতিন আরেক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। বলেছেন, চীনের সরকারও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে খুশি হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈশ্বিক খাদ্য ও জ্বালানির বাজারের অস্থিতিশীলতা চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যমে পুতিনের উজবেকিস্তানে বেশ কয়েকটি এশীয় দেশের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করতে পশ্চিমাদের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়া হিসেবে তুলে ধরছে।

শুক্রবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন পুতিন। তিনি বলেছেন, তুরস্ক শিগগিরই রুশ গ্যাসের মূল্য রাশিয়ার মুদ্রা রুবলে পরিশোধ করবে। এতে করে মার্কিন ডলারের ওপর রাশিয়ার নির্ভরশীলতা কমবে। তবে সম্মেলনে রাশিয়ার অর্জন নিয়ে সমালোচনাও রয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যমে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলে এক কলামিস্ট উল্লেখ করেছেন, নির্দিষ্টভাবে চীন আমাদের সহযোগিতা করছে না। মাকসিম ইউসিন নামের কলামিস্ট বলেছেন, হয়ত সেখানে জটিল কোনও খেলা চলছে। আমার মনে হয় না চীনের সহযোগিতার বিষয়ে আমাদের খুব বেশি আশাবাদী হওয়া উচিত।

নিউজ ট্যাগ: ভ্লাদিমির পুতিন

আরও খবর



ঢাকার বাতাস আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকার বাতাসের মান আজও সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা ৫৯ মিনিটে ১৯৯ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শহরটির অবস্থান ১৫তম।

ভারতের দিল্লি, মিসরের কায়রো ও নেপালের কাঠমান্ডু যথাক্রমে ৩৮৫, ১৮৭ ও ১৭১ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে বাতাসের মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর, ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে অস্বাস্থ্যকর বিবেচনা করা হয়। এ ছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ুদূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।


আরও খবর



তনির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, শোরুম সিলগালা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পাকিস্তানি বলে বেশি দামে দেশি পোশাক বিক্রি করার অভিযোগে রাজধানীর গুলশানে সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করেছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সোমবার (১৩ মে) গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে তার। অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর বলছে, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।

ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এই প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এই দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে সেসব তথ্য দেবে।


আরও খবর



শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাজশাহী প্রতিনিধি

Image

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে শ্রমিকদের চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এরই প্রতিবাদে বুধবার (১ মে) বেলা ১১টায় রাজশাহী বাস টার্মিনাল এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা রাজশাহী বাস টার্মিনালের সামনের প্রধান সড়ক বাস ও বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়। যানবাহন চলাচলেও দেওয়া হয় বাঁধা।

ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন অর্থ আত্মসাতের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশা দিলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ উঠিয়ে নেন।

এ বিষয়ে রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল আলম সাজু জানান, রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন। তার কাছে শ্রমিকদের পাওনা রয়েছে ৪ কোটি টাকারও বেশি। তাকে বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও শ্রমিকদের অর্থ ফেরত না দেওয়ায় প্রতিবাদস্বরূপ তারা আজকের এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।


আরও খবর



খেলাপি ঋণ না কমায় আইএমএফের অসন্তোষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী খেলাপি ঋণের উন্নতি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংস্থাটির সফররত প্রতিনিধি দল। একই সঙ্গে তারা সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যেসব লিকেজ রয়েছে তা দূর করতে পদক্ষেপ নিতে বলেছে। গতকাল (২৫ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রলণালয়ে আইএমএফের সঙ্গে পৃথক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওইসব সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। অপর সভায় নেতৃত্ব দেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সিরাজুন নূর চৌধুরী। আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কার্যক্রমের কর্মসূচি চলমান। এরই মধ্যে বাংলাদেশ দুটি কিস্তি পেয়েছে, এখন তৃতীয় কিস্তির অর্থ পাওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বিভিন্ন বাস্তবতা সামনে রেখে বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের ৩৮টি শর্ত পূরণের কাজ পর্যালোচনা বা রিভিউ করতে আইএমএফের একটি দল অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে অর্থ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া এ আলোচনায় দলটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-সহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে। প্রতিবছর বাজেটের আগে আইএমএফের একটি দল এ সময় ঢাকায় আসে। সভা সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংক মার্জার করায় প্রতিনিধি দল বাংলাদেশকে স্বাগতম জানালেও খেলাপি ঋণের উন্নতি করতে পারেনি সরকার। আইএমএফের ৪৭০ কোটি ডলার ঋণের শর্তের একটি ছিল খেলাপি ঋণ কমানো। ২০২৪ সালের মধ্যে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলেছে সংস্থাটি।

এর মধ্যে সরকারি ব্যাংকে ১০ শতাংশের নিচে এবং বেসরকারি ব্যাংকে ৫ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনার শর্ত ছিল। সরকার তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক এ সংস্থার প্রতিনিধি দল। সূত্র আরও বলছে, ব্যাংক খাতের সংস্কারের অংশ হিসেবে বেশ কিছু আইন তৈরি ও সংশোধনের প্রস্তাব ছিল আইএমএফের। এর মধ্যে সরকার ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন এবং আর্থিক কোম্পানি আইন এবং অফশোর ব্যাংক আইন পাস করেছে। তবে এখনো বৈদেশিক মুদ্রা ও বিনিয়োগ আইন এবং দেউলিয়া-বিষয়ক আইনসহ অন্যান্য আইন সংস্কার ও তৈরি এখনো হয়নি। এসব আইন দ্রুত পাস করার জন্য বলা হয়েছে। আইএমএফের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে ঋণ ও আমানতের সুদহারে ৯ ও ৬ শতাংশ সুদহার বজায় রাখা থেকে সরে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বদলে সুদহারের নতুন নিয়ম চালু করা হয় সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল’ (স্মার্ট) পদ্ধতি। গত বছরের জুলাই থেকেই তা কার্যকর করা হয়। সে অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ট্রেজারি বিল ও বন্ডের ছয় মাসের গড় সুদহার বিবেচনা করে প্রতি মাসে একটি দর নির্ধারণ করে। এর সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ সুদ যুক্ত করতে পারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। আইএমএফ প্রতিনিধি দল এই সুদ হার বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে আরও স্বাধীনতা দিয়ে বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছে।


আরও খবর



শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ: রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১১টার পর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, আশিকুর রহমান অপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সেটা লিখিতভাবে সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে আমার কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। কোনও তদন্ত ছাড়া এভাবে বহিষ্কার সম্পর্কে আমার জানা নেই। তাছাড়া এ ঘটনায় আমার কক্ষে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বহিষ্কারাদেশ অযৌক্তিক বলেছেন অন্য নেতারাও।

গত ১১ মে রাতে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের অতিথি কক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে হল ছাত্রলীগ ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। অস্ত্রের মহড়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণে সাতজন আহত হয়। সেদিন রাতভর সংঘর্ষ চলে। গত ১৩ মে মধ্যরাতে ফের দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাতেই হলে তল্লাশি চালিয়ে অনাবাসিক ২০ জনকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ১৪ মে তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪