আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীসহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করেন।

আগামী ৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত। 

দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। 

চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।

রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একইসঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। 

এছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।

ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।

২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।


আরও খবর



বেইলি রোড ট্র্যাজেডি : মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পেছাল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৪ জুন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে, এ দিন মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন দাখিল করতে না পারায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিনের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে রমনা থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। সেখান থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৫ জনকে।

এ ঘটনায় ১ মার্চ পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় পরস্পর যোগসাজশে অবহেলা, অসাবধানতা, বেপরোয়া, তুচ্ছতাচ্ছিল্যপূর্ণ কাজের জন্য গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিদগ্ধ ও শ্বাসনালিতে ধোঁয়া প্রবেশ করে জীবন বিপন্নসহ মারাত্মক জখম ও এর ফলে মৃত্যু ঘটানো এবং ক্ষতি সাধন করার অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্রতাপে পুড়ছে মানুষ, টিউবওয়েলে মিলছে না পানি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখের বিদায় ঘন্টার সুর উঠেছে। তবুও বৃষ্টির দেখা নেই। ভয়ানক গরমে পুড়ছে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিটি মানুষ। অতিমাত্রার দাবদাহে গ্রাম থেকে শহর সবখানেই নাভিশ্বাস অবস্থা। বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আবাদি জমি। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।

শুধু ঠাকুরগাঁও নন, অন্যান্য জেলাগুলোতেও একই চিত্র। দিনে-রাতে সমান গরম। এ পরিস্থিতিতে ঘরের ভেতরেও টিকে থাকা বড়ই দায়। ফ্যানের বাতাসেও যেন প্রাণ জুড়ায় না। সব মিলে বলা যায় অতিষ্ঠ প্রাণ। অনেকেই রোদের আগুনে পুড়ে সংসার চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ।

ইতোমধ্যে তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য জেলার বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। এমনকি তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টির আশায় জমকালোভাবে ব্যাঙের বিয়ের আয়োজন করেছেন এলাকাবাসী।

গত সোমবার শহরের মথুরাপুর এলাকায় স্থানীয়দের আয়োজনে ব্যাঙের বিয়েতে দুই শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুরা অংশগ্রহণ করেন। বিয়ের গীত আর নাচ-গানের মধ্যে দিয়ে ব্যাঙের বিয়ে দেওয়া শেষে বরণ ডালায় ব্যাঙ দুটিকে নিয়ে পুরো গ্রাম ঘুরে বেড়ান তারা। এ সময় গ্রামবাসীদের কাছ থেকে চাল-ডাল সংগ্রহ করে ব্যাঙের বিয়েতে অংশগ্রহণকারীদের খাবারের ব্যবস্থাও করা হয়।

অন্যদিকে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের দক্ষিণ ঠাকুরগাঁও গ্রাম ও হরিপুর উপজেলার শাহানাবাদ, হাটপুকুর, খালেকপাড়া গ্রামের টিউবওয়েল গুলোতে পানি উঠছে না। নেমে গেছে পানির স্তর। এতে করে অনেক নলকূপে মিলছে না পর্যাপ্ত পানি। তাতে খাবার পানিসহ দৈনন্দিন পানির সংকট দেখা দিয়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে নেমে গেছে ভূ-গর্ভস্থ পানির স্থর৷  টিউবওয়েলের পানি ঠিকমতো উঠছে না। পাম্প বসিয়েও পানি মিলছে না। বাড়িতে ব্যবহৃত কাপড়, থালাবাসন ধোয়া ও রান্নাবান্না করতে যে পানি দরকার তা মিলছে না। এতে নানান ধরনের ভোগান্তিতে রয়েছেন গ্রামবাসী।

ভুক্তোভুগীরা জানান, এমনি গরমে জীবন অতিষ্ঠ। তারপর আবার টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছেনা। অনেক ক্ষণ ধরে পানি দিয়ে পানি উঠানোর চেষ্টা করলেও পাওয়া যায় না। হঠাৎ করে অল্প পানি উঠলে আবার নাই হয়ে যায়। এতে করে বাড়ির যে কাজ গুলো এসব করা কঠিন হয়ে যায়। যাদের গভীর নলকূপ আছে তাদের বাড়িতে যেতে হয়।

অপদিকে, তীব্র গরমে ও খরা-অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসল হিটশকের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ অবস্থায় ফসলি জমিতে সেচ দিয়ে দুয়েক ইঞ্চি পরিমাণ পানি রাখার এবং আম, লিচু, জামসহ ফল গাছে পানি ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন জেলার কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।

আজিজ নামে এক এনজিও কর্মী বলেন, আমি অফিসের কাজে তেঁতুলিয়া যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা দিয়েছি। আজকে প্রচণ্ড গরমে গাড়ি চালাতে হাত-পা জ্বলছে। তাই গাছের নিচে একটু থেমেছি। এই রোদে এখন গাড়ি গন্তব্যে যাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি। আসলে এমন তাপদাহ চলতে থাকলে জনজীবন থেমে যেতে পারে।

বাবু নামে এক অটোচালক বলেন, তাপের কারণে অটোর কন্ট্রোলার তাড়াতাড়ি কেটে যাচ্ছে ও চাকা ঘন ঘন পাংচার হচ্ছে। রোদের জন্য প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বেড় হচ্ছে না তাই যাত্রীও কম। এতে আমাদের খুব কষ্ট হয়ে গেছে চলাচল করতে।

এদিকে গরমের কারণে ২৫০ শয্যা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে দেখা যায় তাপমাত্রাজনিত কারণে ছোট-বড় সব বয়সের রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. রকিবুল আলম চয়ন বলেন, তাপমাত্রাও বৃদ্ধির ফলে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমের ফলে ডিহাইড্রেশন রোগ, যেটা পানি শূন্যতা বলে জানান তিনি।


আরও খবর



হাসপাতালে ভর্তি সৌদি বাদশাহ সালমান

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে জেদ্দার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে কয়েক ঘণ্টার জন্য তিনি হাসপাতালে অবস্থান করেন। দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ এপ্রিল) এমনটি জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।

ইসলামের পবিত্র স্থানগুলোর রক্ষক বাদশাহ সালমান ক্রাউন প্রিন্স এবং উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে আড়াই বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর ২০১৫ সালে বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারক দেশটির শাসক হিসেবে দায়িত্ব পান।

৮৮ বছর বয়সী বাদশাহকে শেষ বার ২০২২ সালের মে মাসে কোলনোস্কোপি এবং মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২০২০ সালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন বসছে আজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলমান দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেল ৫টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ১৫ এপ্রিল এ অধিবেশন আহ্বান করেন।

জুনে বর্তমান সরকার ও দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশনের আগে অনুষ্ঠেয় এ দ্বিতীয় অধিবেশন তেমন দীর্ঘ হবে না বলে জানা গেছে।

অধিবেশন শুরুর আগে সংসদ ভবনে সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হবে। বর্তমান সংসদের কার্যউপদেষ্টা কমিটির এটিই হবে প্রথম বৈঠক। বৈঠকে আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ নির্ধারণ ছাড়াও আলোচ্যসূচি ও কার্যবিবরণী নিয়ে আলোচনা হবে।

অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিমণ্ডলী মনোনয়ন দেবেন। এরপর শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে। ঝিনাইদহ-১ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আবদুল হাই মৃত্যুবরণ করায় রেওয়াজ অনুযায়ী তার ওপর আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা হবে। শোকপ্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর অধিবেশন মুলতবি করা হবে।

চলমান সংসদের কোনো সদস্যের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনা শেষে তার সম্মানে অধিবেশন মুলতবি করার রেওয়াজ রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: সংসদ অধিবেশন

আরও খবর



দেশে এক মাসে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে সাড়ে ৪৩ লাখ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টানা পাঁচ মাস দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক কমার পর ফেব্রুয়ারি থেকে তা বাড়তে শুরু করে। বছরের দ্বিতীয় মাসে এক লাফে ১১ লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক বাড়ে। সবশেষ মার্চে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক ৩৭ লাখ ৯০ হাজার বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কমিশনের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মার্চ মাসে দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে হয়েছে ১২ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার। এর আগের মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার। সে হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়েছে ৩৭ লাখ ৯০ হাজার।

গ্রাহক বেড়েছে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটেরও। ফেব্রুয়ারিতে আইএসপির গ্রাহক সংখ্যা ছিল এক কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার। মার্চে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার। এ মাসে আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৩৪ লাখ ৪০ হাজার।

এদিকে, মোবাইল এবং আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেটের গ্রাহক বাড়ায় দেশে মোট ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যাও বেড়েছে। মার্চে দেশের মোট ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৪৭ লাখ। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে মোট গ্রাহক ছিল ১৩ কোটি ৩ লাখ ৫০ হাজারে। সেই হিসাবে এক মাসের ব্যবধানে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ৪৩ লাখ ৫০ হাজার।

জানা গেছে, বিটিআরসি প্রতি মাসে দেশের ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। এবার কিছুটা দেরিতে অর্থাৎ, মে মাসে এসে মার্চের ইন্টারনেট গ্রাহকের তথ্য প্রকাশ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

এর আগে টানা পাঁচ মাস দেশে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক সংখ্যা কমতে দেখা গেছে। গ্রাহকদের অভিযোগ ছিল, প্যাকেজ সমন্বয়ের নামে মোবাইল অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম বাড়ানোর কারণে তারা ব্যবহার কমিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি ইন্টারনেটের দাম আরও বেড়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছিল ফেব্রুয়ারি-মার্চে আরও গ্রাহক হারাবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো। তবে বিটিআরসির তথ্যে দেখা গেলো উল্টোচিত্র।

বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার। এরপর সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক কমতে শুরু করে। সেপ্টেম্বরে ২০ হাজার গ্রাহক কমে ১১ কোটি ৯৭ লাখ ৭০ হাজারে নেমে যায়। অক্টোবরে এক লাফে ৩ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ১১ কোটি ৯৪ লাখ ১০ হাজার। নভেম্বর প্রায় ৫ লাখ গ্রাহক কমে যায়। ওই মাসে গ্রাহক ছিল ১১ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার। এরপর ডিসেম্বর তা কমে ১১ লাখ ৮৪ লাখ ৯০ হাজারে নেমে যায়।

সর্বশেষ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা কমে ১১ কোটি ৬০ লাখ ৩০ হাজারে নামে। এরপর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ টানা দুই মাস মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন পর আইএসপি ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহকও বাড়লো।

জানতে চাইলে বিটিআরসির মহাপরিচালক (এসএস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিলুর রহমান বলেন, এটা বিভিন্ন কারণে কমতে-বাড়তে পারে। খরচ বাড়া-কমা নিয়েও প্রশ্ন থাকতে পারে। অন্য বিভিন্ন কারণও থাকে। ফেব্রুয়ারিতে গ্রাহক সংখ্যা কিছুটা বেড়েছিল। মার্চে বেশ ভালো অগ্রগতি দেখছি আমরা। প্রকৃতপক্ষে আমরা যে তথ্য পাই, সেটাই প্রতি মাসে প্রকাশ করে থাকি। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই।


আরও খবর