আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

দুর্গাপূজায় সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ধর্মীয় এই উৎসবটি নির্বিঘ্নে উদযাপনে এরইমধ্যে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ। প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে বিসর্জন শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি যেকোনও গুজব প্রতিরোধে থাকবে সাইবার মনিটরিং। কেউ যেন কোনও ধরনের অপতৎপরতার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। কোনও ধরনের শঙ্কা ছাড়াই পূজামণ্ডপগুলোতে এসে ভক্তরা ভক্তি জ্ঞাপন করতে পারবেন। নিরাপত্তা জোরদার থাকবে দেশব্যাপী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে কেউ যেন কোনও ধরনের গুজব সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে নজরদারি থাকবে। এছাড়া  নাম না জানা বিভিন্ন অখ্যাত সংবাদমাধ্যমগুলোও নজরদারি করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করে দেওয়া সামাজিক সম্প্রীতি কমিটির নেতারাও এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী কাজ করছেন।

প্রতিবছরই দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও না কোথাও প্রতিমা ভাঙচুর কিংবা পূজামণ্ডপে সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা চালায় একটি চক্র। এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধে এ বছর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতারা বিভিন্ন ধর্মের নেতাদের নিয়ে সমন্বিতভাবে এলাকাভিত্তিক করছেন।

পূজার আগে প্রতিমা তৈরির সময় পূজামণ্ডপগুলোতে পুলিশি নিরাপত্তা, পূজা শুরু হওয়ার আগ থেকে পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাতদিন পুলিশি নিরাপত্তার পাশাপাশি আনসার মোতায়েন থাকবে। পূজামণ্ডপে প্রবেশের পথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক পূজামণ্ডপের কমিটিতে থাকা লোকজন দায়িত্ব পালন করবেন। কারা কোন সময় দায়িত্ব পালন করবেন, সে বিষয়ে একটি তালিকা স্থানীয় পুলিশকে জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পূজা বিসর্জনের সময় যাত্রাপথে কেউ যেন  কোনও ধরনের অপ্রীতিকর কিংবা কোনও অপতৎপরতা, কিংবা গুজব চালাতে না পারে, সে ব্যাপারেও তৎপর থাকবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপ থাকবে সিসিটিভির আওতায়। পূজামণ্ডপের আশপাশসহ পূজা চলাকালীন সময়ে রাতদিন বিভিন্ন সড়কে থাকবে সাদা পোশাকে নজরদারি।

এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। পূজা চলাকালীন সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা এছাড়া পূজামণ্ডপে আসা দর্শনার্থীদের ইভটিজিং করলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা। প্রতিটি পূজামণ্ডপে থাকতে হবে সিসিটিভি।  স্বেচ্ছাসেবকদের থাকবে বাধ্যতামূলক আর্মব্যান্ড।

দেশব্যাপী দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সব ধরনের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি অপারেশন্স হায়দার আলী খান  বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিমা নির্মাণ থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত ধাপে ধাপে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ যেন কোনও ধরনের গুজব সৃষ্টির সুযোগ না পায়, সেজন্য সাইবার মনিটরিং জোরদার রয়েছে। বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপত্তার বিষয়গুলো সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। মণ্ডপে ঢোকার জন্য নারী-পুরুষের পৃথক লাইন রাখতে হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসাররাও প্রতিটি মণ্ডপে দায়িত্ব পালন করবেন।

খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, শারদীয় দুর্গা উৎসব নির্বিঘ্নে এবং নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে তিন স্তরে ব্যবস্থা নিয়েছি। প্রথম ধাপ হচ্ছেপ্রতিমা নির্মাণের সময় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা জোরদার, পূজা শুরু থেকে বিজয়া দশমীর আগ পর্যন্ত পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা এবং সবশেষ বিজয়া দশমীর প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তা জোরদার। পূজা শুরুর আগের ১৫ দিন, পূজা শুরুর পরবর্তী ৫ দিন এবং বিশেষ করে বিসর্জন বা দশমীর দিন সিকিউরিটি অ্যারেঞ্জমেন্ট থাকবে আলাদা আলাদা। প্রতিটি পূজামণ্ডপের স্থানীয় কমিটির সঙ্গে কথা বলে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, পূজা চলাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছি। কেউ যেন কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সুযোগ না পায়, সে ব্যাপারে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে।

সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন সুধী সমাজ রাজনৈতিক নেতারা সেই কমিটিতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে থেকে করে দেওয়া এসব কমিটি দেশব্যাপী কাজ করছে। তিনি বলেন, সিলেট জেলার সুনামগঞ্জের শাল্লায় সম্প্রতি সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্টের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা এ বছর দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিকল্পনা করেছি। প্রতিমা তৈরির সময় কেউ যেন কোনও হামলা কিংবা অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন।

কুমিল্লা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান  বলেন, গত বছর পূজাকে কেন্দ্র করে যে ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে, এ ধরনের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। লিখিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে পুলিশ সদস্যদের। সাইবার নিরাপত্তা ও টহল জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে ধর্মীয় অনুভূতি কাজে লাগিয়ে কেউ যেন গুজব সৃষ্টি না করতে পারে, সে বিষয়েও কাজ করছি আমরা। ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।

বগুড়া জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ্ত কুমার চক্রবর্তী বলেন, পূজা কমিটিতে যারা রয়েছেন, তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছি।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশব্যাপী দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নে যেন উদযাপিত হয়, সে অনুযায়ী র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। র‌্যাব সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন। সাইবার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। কেউ অপতৎপরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেএমন কোনও তথ্য থাকলে র‌্যাবকে জানানোর আহ্বান জানান তিনি।


আরও খবর



চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় ৯ মে

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী ৯ মে ঘোষণার দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক আলী আহমেদ রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এদিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়- হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


আরও খবর



কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে শোকজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ পরিপন্থী ও সংগঠনের রীতিনীতি পরিপন্থী বক্তব্য দেওয়ায় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খানকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি। শনিবার তাকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এ কারণ দর্শানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত আপনার বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এবং তা সংগঠনের রীতিনীতি ও আদর্শ পরিপন্থি। এসব বক্তব্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না- তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এমপির রাজনৈতিক কার্যালয়ে জানাতে বলা হয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের গোসাইডাঙ্গি গ্রামে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আপন ছোট ভাইয়ের নির্বাচনী পথসভায় গিয়ে সদর উদ্দিন খান বলেন, আল্লাহ পাক উন্নয়ন করাবে আমাকে দিয়ে। আমার সঙ্গে যারা বিরোধিতা করবে তারা আল্লাহর সঙ্গে বিরোধিতা করবেন।

জেলা সভাপতি আরও বলেন, শয়তানরাও মসজিদে আসবে, শয়তানরাও গোরস্থানে শোবে। শয়তানরা মসজিদে এসে সুখে থাকতে পারবে না। আর গোরস্থানে গেলে শয়তানদের যেভাবে মাটি চাপা হবে আপনারা কল্পনাই করতে পারবেন না।

১ মে বুধবারের ওই পথসভায় তার বক্তব্যের ২ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এমন বক্তব্যর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরাসহ সাধারণ ভোটাররা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলো সংগঠনটির পক্ষ থেকে।

এর আগে খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ভাইয়ের পক্ষে নির্বাচন করার জন্য থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেনকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। সে সময় তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।


আরও খবর



সোহেল চৌধুরীর উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ফেনীর ছাগলনাইয়ার মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৯০ দিনের (তিন মাস) মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

৫ বছর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই সময়ের উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হালিমের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন আদালত। অপর প্রার্থী এ এস এম শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার এস এম কফিল উদ্দিন। সোহেল চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. অজি উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান বলেন, ২০১৯ সালে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আব্দুল হালিম ও শহিদুল্লাহ মজুমদারের প্রার্থিতা বাতিল হয়। এর ফলে মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন বাতিল হওয়া দুই প্রার্থী। একইসঙ্গে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সোহেলকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত ঘোষণার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। ২০১৯ সালেই হাইকোর্ট এসব বিষয়ে রুল জারি করেন। একইসঙ্গে ছাগলনাইয়ার উপজেলা চেয়ারম্যানের গেজেট স্থগিত করেন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। তবে আইনি জটিলতায় মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিতে পারেননি। শপথ না নিয়ে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

আদালত ৫ বছর আগে জারি করা রুল আজ (১৬ মে) নিষ্পত্তি করে সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন অবৈধ ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে যে বেতন-ভাতা ও সুবিধা নিয়েছেন তা রায় পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ফেরত দিতে বলেছেন। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলেছেন।

নিউজ ট্যাগ: ছাগলনাইয়া ফেনী

আরও খবর



হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশান-২ এর বাসভবন ফিরোজায় ফেরেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, গতকাল সন্ধ্যার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল বেগম খালেদা জিয়াকে। গতকাল এবং আজ তার কিছু শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি।

গতকাল বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছিল, খালেদা জিয়ার ফুসফুসে পানি জমেছিল। সেটার চিকিৎসার জন্যই গতকাল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল তাকে।


আরও খবর



গাম্বিয়ায় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টেকসই উন্নয়নের জন্য সংলাপের মাধ্যমে ঐক্য ও সংহতি বৃদ্ধি প্রতিপাদ্যে গাম্বিয়ার বানজুলে ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের ১৫তম অধিবেশনের প্রস্তুতিমূলক বৈঠক শুরু হয়েছে। দুই দিনব্যাপী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বৈঠকে যোগ দিয়েছে বাংলা‌দেশ।

বুধবার (১ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, দুই দিনব্যাপী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠকে সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও গাম্বিয়ায় বাংলাদেশের অনাবাসিক হাইকমিশনার মাসুদুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক সংস্থা) ওয়াহিদা আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিচ্ছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বল‌ছে, বৈঠকটি ফিলিস্তিন এবং আল-কুদস আশ-শরিফ ইস্যুতে খসড়া রেজ্যুলেশন, খসড়া চূড়ান্ত ঘোষণা এবং বানজুল খসড়া ঘোষণা চূড়ান্ত করছে, যা পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে গৃহীত হবে। গাজায় সাম্প্রতিক নৃশংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিন সম্পর্কিত ইস্যুতে আলোচনা প্রাধান্য পাবে।

বৈঠকে অর্থনৈতিক, মানবিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং মুসলিম উম্মাহর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে এমন নারী ও যুবকদের বিষয়ে আলোচনা হবে।


আরও খবর