আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

দুর্গা পুজায় আসছে উত্তমের নতুন গান ‘আনন্দেরই দিন’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

আসন্ন দুর্গা পূজা উপলক্ষে সঙ্গীত শিল্পী উত্তম কুমার রায়ের নতুন গান আনন্দেরই দিন মুক্তি পাচ্ছে। শিল্পীর নিজের কথা, সুর, সঙ্গীতে মিউজিক ভিডিও আকারে বের হচ্ছে তার নিজের চ্যানেল থেকে। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে নতুন এই গান। শুধু গোটা গান নয় আসছে মিউজিক ভিডিও আকারে। এবারো বেশ আগেই পুজোর উদযাপন শুরু হয়েছে। পুজোর গান সেই উন্মাদনা আরো বাড়িয়ে দেয় যথারীতি। একটা সময় বিভিন্ন পূজা মণ্ডপ থেকে মাইকে ভেসে আসতো পূজার গান। পূজায় নতুন গানের অপেক্ষায় থাকতেন শ্রোতারা।

ভারতীয় কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর, কিশোর কুমার, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, আশা ভোঁসলে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গানগুলোই ছিল পূজার অন্যতম আকর্ষণ। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে নতুন গান প্রকাশিত হয়। এবারের পূজার নতুন গানের মধ্যে রয়েছে উত্তমের গানও। 

ছেলেবেলা থেকেই উত্তমের গান গাওয়ার শুরু। স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। সবখানেই সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে জুটেছে সম্মান আর পুরষ্কার। উত্তমের পড়াশুনা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বিষয় সমাজবিজ্ঞান। নজরুল ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমায় প্রথম শ্রেণি প্রাপ্ত ও সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটির নজরুলের প্রশিক্ষক হিসেবে সার্টিফিকেটধারী। এছাড়া রবীন্দ্রভারতী থেকে বিমিউজ সম্পন্ন করেছেন। তালিম নিয়েছেন বাংলাদেশ ও ভারতের খ্যাতিমান সব সঙ্গীতজ্ঞের কাছে। এখন নিজেও গান শেখান। উত্তম একটি বেসরকারি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের সহকারি অধ্যাপক। গণমাধ্যমকর্মী হিসেবেও পরিচিত। উত্তম বিটিভিসহ প্রায় সবগুলো বেসরকারি টিভি চ্যানলে লাইভসহ রেকর্ডেড নানা ধারার গানের অনুষ্ঠান করে নাম কুড়িয়েছেন। বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনে মূলত নজরুলসঙ্গীত ও আধুনিক গান করেন উত্তম। তিনি বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভূক্ত সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালকও। মিউজিক কম্পোজার্স সোসাইটি বাংলাদেশ এমসিএসবির সদস্য।  নিজের লেখা ও সুর করা অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে। গভীর আবেগী গায়নভঙ্গীর অনন্যতার জন্য এরইমধ্যে উত্তম সঙ্গীতজনদের দৃষ্টি কেড়েছেন। সমানতালে স্টেজ শো-ও করছেন নিয়মিত। সব ধরণের সঙ্গীতেই উত্তমের আগ্রহ। শুনেনও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে পাশ্চাত্য রক-ফিউশন নির্বিচারে। গানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকারও করেছেন তিনি। আজ আর গান গাওয়ার কোনো বিকল্পই খুঁজে পান না।

উত্তমের জন্ম বাংলার প্রাচীন রাজধানী সোনারগাঁয়। বাবা প্রয়াত মনীন্দ্র রায়। মা প্রয়াত চিনুবালা রায়। তার অন্যতম জনপ্রিয় গান গুলোর মধ্যে ভালবাসার ময়না, আমার চোখের জলে বহে নদী অন্যতম। অর্ন্তজাল তথা ফেসবুকে কিশোরকুমার, মান্না দেসহ স্বর্ণযুগের শিল্পীদের অমর সৃষ্ট সব গান নিয়িমিত গেয়ে ভার্চুয়ালি ব্যাপক জনিপ্রয়তা ও দর্শক-ভালোবাসা পেয়েছেন এই শিল্পী। 

২০০৪ সালে উত্তমের ডেব্যু অ্যালবাম হাওয়া ছিল আধুনিক গানের। পরের উল্লেখযোগ্য অ্যালবাম  কাজী নজরুলের বাছাই করা অবিস্মরণীয় কীর্তন, ভজন, বাউল, শ্যামা বিষয়ক ৮টি ভক্তিগীতি নিয়ে এলোরে শ্রী দুর্গা। আধুনিক যন্ত্রানুষঙ্গে কিন্তু শুদ্ধ বাণী ও সুরে স্বকীয়ভাবে আধ্যাত্মলোকের স্পন্দনে গানগুলোকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। যা শ্রোতাদের ভালো লেগেছে। ওই অ্যালবামের রেকর্ডিং কোলকাতা ও ঢাকায় করা। মিউজিক শিল্পীর নীজের, লিটন দাসের ও কোলকাতার সাহেব-সুমনের । গানগুলো ছিল, এলো রে শ্রীদুর্গা, ওরে নীলযমুনার জল, সখি আমি না হয় মান করেছিনু, দেখে যারে রুদ্রাণী মা,  খেলিছ এ বিশ্বলয়ে, এ-কূল ভাঙ্গে ও-কূল গড়ে এই তো বিধির খেলা, আমি বাউল হলাম ধূলির পথে ও গোঠের রাখাল বলে দে রে। এছাড়া, উত্তমের আধুনিক ও নজরুলের গানের বেশকিছু মিক্সড অ্যালবাম বাজারে রয়েছে।

বর্তমানে বেশকটি প্রোজেক্ট নিয়ে কাজ করছেন উত্তম। যার মধ্যে রয়েছে  ফোক ফিউশন, আধুনিক, নজরুল, রবীন্দ্র ও সুফি ফিউশন। নিজের স্টুডিওতে কাজ করে চলেছেন। উত্তম। তিনি চান একজন কমপ্লিট মিউজিশিয়ান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে। ছোটবেলা থেকেই বিভিন্নধরণের মিউজিক শোনা ও চর্চার অভ্যেস। চান তাই সব ধরণের গান গাইতে। গিটার ও কি-বোর্ড বাজিয়ে হিসেবে নজর কাড়লেও অন্য বেশ কটি ইনস্ট্রুমেন্টও বাজাতে পারেন উত্তম। স্টুডিওতেও এ কাজগুলো করতে বেশ আনন্দ পান তিনি। তিনি চান, প্রত্যেক স্কুল-কলেজে মিউজিক ক্লাস হোক। ছেলে-মেয়েরা গুরুর কাছে গিয়ে গান শিখুক। ৪-৫ বছর শেখার আগে কেউ পারফর্ম না করুক। বর্তমানে নজরুলসঙ্গীত শিল্পী পরিষদের প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। নজরুল ও তাঁর সঙ্গীতের প্রতি রয়েছে উত্তমের বিশেষ ভালবাসা। তবে সব ধরণের সঙ্গীতেই উত্তমের আগ্রহ। শুনেনও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত থেকে শুরু করে পাশ্চাত্য রক-ফিউশন নির্বিচারে। গানের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকারও করেছেন তিনি।

ভালোলাগা, বিশ্বাস, জীবনবোধ তার সঙ্গীতকে ঘিরেই। উত্তম দীর্ঘদিন নজরুল চর্চা করেছেন সঙ্গীতজ্ঞ সুধীন দাশ ও সোহরাব হোসেনের কাছে।  উত্তমের সঙ্গীতের প্রথম শিক্ষক স্থানীয় শিশু একাডেমিতে প্রয়াত দেলোয়ার হক। বিশুদ্ধ মার্গসঙ্গীত শিখেছেন উস্তাদ মিহির লালা, অনিলকুমার সাহা, গৌতম ভট্টাচার্য, উস্তাদ মাশকুর আলী খান, শুভ্রা গুহ, বিদুষী শান্তি শর্মা প্রমুখের কাছে। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতে উচ্চতর তালিম নিয়েছেন পণ্ডিত তুষার দত্তের কাছে। প্রিয় দর্শক-শ্রোতা, শুভাকাঙ্ক্ষী, গণমাধ্যমকর্মীসহ সংশ্লিষ্টদের দোয়া ও ভালবাসা চান উত্তম। চান আমৃত্যু গান গেয়ে যেতে।


আরও খবর



কেমন হবে বৈশাখের সাজ

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

বাংলা নববর্ষের আনন্দ আরও বহুগুণ বেড়ে যায় যখন সুন্দরভাবে সেজে এই দিনটিকে বরণ করে নেওয়া হয়। পহেলা বৈশাখের সাজে নারী আরও বেশি অনন্যা হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে শাড়িতে এদিন তাকে দেখতে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তবে গরমের সময় বলে সাজের ক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। নয়তো সাজ নষ্ট হয়ে আপনাকে দেখতে উদ্ভট লাগতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কেমন হবে বৈশাখের সাজ-

শাড়ি কেমন হবে

পহেলা বৈশাখের সাজে নারীর পোশাক হিসেবে শাড়িই সবচেয়ে বেশি মানানসই। এক্ষেত্রে আপনি একটি সুতির শাড়ি বেছে নিতে পারেন। গরমের সময়ে সুতির শাড়িতেই সবচেয়ে বেশি আরাম পাবেন। তাই স্বস্তির জন্য সুতির শাড়িই উত্তম। সুন্দরভাবে পরলে সুতির শাড়িতেও আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। এক্ষেত্রে নতুন শাড়ি কিনতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং বাড়িতে থাকা যেকোনো পরিষ্কার শাড়ি পরতে পারেন। সবকিছুই নির্ভর করছে আপনার সামর্থ্য আর ইচ্ছার ওপর।

মানানসই ব্লাউজ

শুধু শাড়ি নয়, শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ মানানসই না হলে দেখতে ভালোলাগবে না। আবার সুন্দর একটি ব্লাউজ আপনার সাজ আরও বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারে। তাই এদিকে খেয়াল রাখুন। এই সময়ে যেসব ব্লাউজ বেশি ট্রেন্ডিং সেসব থেকে একটি বেছে নিতে পারেন। এতে আপনাকে আরও বেশি আকর্ষণীয় লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে শাড়ির রং কিংবা শাড়ির ঠিক উল্টো রংটিও বেছে নিতে পারেন।

গয়না কেমন হবে

পহেলা বৈশাখে গয়না না পরলে দেখতে ভালোলাগবে না। সুন্দর একটি শাড়ির সঙ্গে মানানসই গয়না পরলে দেখতে আরও বেশি পরিপাটি লাগবে। গয়নার ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ আর স্বস্তির বিষয়টি সবার আগে মাথায় রাখবেন। তবে বৈশাখের সাজে বেশি মানানসই কাঠ, মাটি, পুতি, কাপড় ইত্যাদির গয়না। গলায় বড় কোনো গয়না পরলে কানে হালকা গয়না পরুন। আবার কানে ভারী গয়না পরলে গলায় হালকা পরুন। এতে দেখতে ভালোলাগবে। চাইলে এই দিনে পরতে পারেন ফুলের গয়নাও।

ছবি : ফ্যাশন হাউজ মিরা। অর্ডার করতে চাইলে ভিজিট করুন : www.facebook.com/mirabrandbd অথবা https://mira.com.bd


আরও খবর



তীব্র গরমে যে পরামর্শ সাবিলা নূরের

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

দেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। সারা দেশে হিট অ্যালার্টও জারি করা হয়েছে। তীব্র গরমে ঢাকাসহ সারা দেশের মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এমন অবস্থার জন্য পর্যাপ্ত গাছপালা ও বনায়ন না থাকাকে দায়ী করছেন অনেকে। এই অসহনীয় তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় সবাইকে গাছ লাগানোর আহ্বান জানাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এবার ভক্তদের গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাবিলা নূর। নিজের ফেসবুক পাতায় একটি স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান তিনি।স্ট্যাটাসে ভক্তদের পরামর্শও দিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সাবিলা নূর লিখেছেন, আসুন, আমরা সবাই মিলে একটা উদ্যোগ নিই। নিজ নিজ এলাকায় অন্তত ১০টি করে গাছ লাগাই। আর এটাকে একটা ইভেন্টে পরিণত করি। পরিবার-বন্ধুবান্ধব সবাই একসঙ্গে মিলিত হই। সেলফি/রিল/টিকটকে ট্রেন্ডিংয়ে নিয়ে আসি গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান- এই ধরনের কোনো ইভেন্টকে। কেমন হবে বলুন তো?

অভিনেত্রীর এমন পোস্টে ব্যাপক সাড়া দিয়েছেন তার ভক্তরা। তারাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, খুব ভালো উদ্যোগ।

নিউজ ট্যাগ: সাবিলা নূর

আরও খবর



ঈদে সালমানের বদলে আমার সিনেমা মুক্তি পেয়েছে: জায়েদ খান

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বছরজুড়ে যেসব বড় আয়োজনের সিনেমা নির্মাণ হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই দুই ঈদে মুক্তির টার্গেট থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ঈদুল ফিতরে দেশজুড়ে ২০৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ১১টি সিনেমা।

সিনেমাগুলো হলো- রাজকুমার, কাজলরেখা, ওমর, দেয়ালের দেশ, জ্বীন-২, আহারে জীবন, লিপস্টিক, সোনার চর, গ্রিন কার্ড, মায়া দ্য লাভমেঘনা কন্যা

এদিকে ঢালিউডে প্রচুর সিনেমা মুক্তি পেলেও বলিউডে সালমান খানের কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। অথচ প্রতি ঈদেই সালমান খানের নতুন সিনেমা মুক্তি পায়। ঢাকাই চিত্রনায়ক জায়েদ খান সালমান খানকে পছন্দ করেন।

বলিউডে সালমান খানের সিনেমা মুক্তি নেই- এমন প্রসঙ্গে জায়েদ খান বেশ মজা করে বললেন, সালমান খানের সিনেমা প্রতি ঈদেই বলিউডে মুক্তি পায়, তবে এবার পায়নি। ধরতে পারেন সালমান খানের বদলি হিসেবেই আমার সোনার চর মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশে।

সোনার চর দেখার আহবান জানিয়ে জায়েদ খান বলেন, এই সিনেমায় আমি খুব পরিশ্রম করেছি। অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কুমির আছে জেনেও আমি নদীতে লাফ দিয়েছি। মাছ ধরতে গিয়ে জাল ফেলার মতো কঠিন কাজ করেছি। শীতের সকালে আমাকে কাদাপানিতে নামতে হয়েছে। আমার সিনেমার গানগুলোও চমৎকার হয়েছে। তাই আমি সকলকে আহবান করবো আমার সিনেমাটা যেন সবাই দেখেন।

সোনার চর মুক্তি পেয়েছে রাজধানীর যমুনা ব্লকবাস্টার, লায়ন সিনেমাস, চট্টগ্রামের সিলভার স্ক্রিনসহ ৯টি হলে। এতে আরো অভিনয় করেছেন ওমর সানী, মৌসুমী আর জায়েদ খানের নায়িকা হিসেবে রয়েছেন নবাগতা স্নিগ্ধা।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতারের মধ্যে ১০ চুক্তি-সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকায় সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই সই হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

চুক্তিগুলো হলো- দ্বৈত কর ও কর ফাঁকি পরিহার, আইনি বিষয়ে সহযোগিতা, সমুদ্র পরিবহন, পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা, দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের স্থানান্তর এবং একটি যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা। এর বাইরে শ্রমশক্তি, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

মিরপুরের কালশী এলাকার বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়ালসড়ক পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে সড়কটির নামকরণ করা হয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওকাতারের আমির শেখ তামিম। একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন শেখ হাসিনা ও আমির শেখ তামিম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন তারা।

সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা।

দুপুরে বঙ্গভবনের দরবার হলে কাতারের আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে করে আমির কাতারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তাকে বিমানবন্দরে বিদায় জানাবেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকেল ৫টার দি‌কে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: আইএইএ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইরানে সরাসরি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে দেশটির ইসফাহানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এখানে একটি বড় বিমান ঘাঁটির পাশাপাশি রয়েছে পারমাণবিক স্থাপনাও।

তবে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। এছাড়া ইসফাহানের কাছে অবস্থিত পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক ভাবে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভি।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বলেছে, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় কোনো ক্ষতি হয়নি বলে তারা নিশ্চিত করতে পারে।

এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সবার কাছ থেকে সর্বোচ্চ সংযমের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো কখনোই সামরিক সংঘাতের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়।’

এদিকে ইসফাহানের কাছে পারমাণবিক স্থাপনাটি স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে’ কাজ করছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি। ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নিউজ নেটওয়ার্ক প্রেস টিভি জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের কাছে অবস্থিত ওই পারমাণবিক স্থাপনায় বিস্ফোরণ বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো চিহ্ন’ নেই।

প্রেস টিভির এই প্রতিবেদনে পারমাণবিক স্থাপনাটি চিহ্নিত করা হয়নি, তবে ইরানের প্রধান পারমাণবিক কেন্দ্রটি ইসফাহানের উত্তরে নাতাঞ্জ শহরে অবস্থিত। এই শহরটি আবার ইসফাহান প্রদেশের মধ্যে অবস্থিত।

এর আগে ইরানের আধা-সরকারি ফারস নিউজ এজেন্সি জানায়, শুক্রবার ভোরে ইরানের ইসফাহান শহরের উত্তর-পশ্চিমে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ফারস জানিয়েছে, শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণটি ঘটেছে। তবে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি এই নিউজ এজেন্সি।

ইরানের মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত এই ইসফাহান প্রদেশে একটি বড় বিমান ঘাঁটি, বড় ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কমপ্লেক্স এবং বেশ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা রয়েছে।

এছাড়া ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা নিরাপদে’ রয়েছে বলে আগেই জানায় ইরানের আরেক রাষ্ট্রীয় টিভি ও সম্প্রচারকারী আইআরআইবি। নির্ভরযোগ্য সূত্র’কে উদ্ধৃত করে সংস্থাটি বলেছে, ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনা সম্পূর্ণ নিরাপদ’।

অন্যদিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির সংবাদদাতা বলেছেন, ইসফাহান শহরও নিরাপদ’ রয়েছে।

নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্রটি এর আগেও অবশ্য নাশকতামূলক হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে। ২০২১ সালে একই অবকাঠামোতে একটি নিয়ন্ত্রিত’ বিস্ফোরণের খবরও রিপোর্ট করা হয়েছিল।


আরও খবর