একবছর আগে এশিয়া কাপ টি–টোয়েন্টিতে শেষ ওভারে ফজল ফারুকিকে ২টি ছয় মেরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে পাকিস্তানকে জিতিয়েছিলেন নাসিম শাহ। সেই নাসিম শাহ একই বোলারকে দুটি চার মেরে ওয়ানডেতে পাকিস্তানকে নাটকীয় জয় এনে দিয়েছেন।
৩০১ রান তাড়া করতে গিয়ে ৪৯ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর দাড়ায় ২৯০/৮। জয়ের জন্য প্রয়োজন ১১ রান। ৩৫ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৮ রান করা শাদাব খান আছেন, তবে নন স্ট্রাইক প্রান্তে। শেষ ওভারের প্রথম বলেই তিনি প্রান্ত বদল করে স্ট্রাইকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ফারুকি বল ছোড়ার আগেই বেরিয়ে যান ক্রিজ ছেড়ে। তাকে মানকাডিং করেন ফারুকি।
কিন্তু তবে দমে যাননি নাসিম। প্রথম বলে চার মারেন। পঞ্চম বলে স্ট্রাইকে ফিরে থার্ডম্যান দিয়ে সীমানায় বল পাঠিয়ে উল্লাসে মেতে ওঠেন এই স্পিডস্টার। এক উইকেটের জয়ে সিরিজ নিশ্চিত হয় পাকিস্তানের।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আফগানদের ব্যাটিং ছিল প্রথম ওয়ানডের ঠিক বিপরীত। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান শুরুটা করেছেন দেখেশুনে, সতর্কভাবে। উইকেট ধরে রেখে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে তারা তুলেছেন মাত্র ৪৮ রান। ২১ ওভারে রান ছিল ৯১।
এরপর যেন খোলস থেকে বেরিয়ে আসেন গুরবাজ ও ইব্রাহিম। তাদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ৩৯.৫ ওভারে ২২৭ রান তোলে আফগানিস্তান। জুটি ভাঙে ১০১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রানে ইব্রাহিমের আউটে। ৪৫তম ওভারে গুরবাজকেও হারায় আফগানিস্তান। আউট হওয়ার আগে ১৫১ বলে ১৪ চার ও ৩ ছয়ে ১৫১ রান করেছেন তিনি।
আফগানিস্তানের ওয়ানডে ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস। গত বছর ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইব্রাহিম জাদরানের ১৬২ রানের ইনিংস তাদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।
ইব্রাহিম ও গুরবাজের পর আর কেউ খুব বড় কোনো ইনিংস খেলতে না পারলেও ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩০০ রান তুলতে পারে আফগানরা। ওয়ানডেতে এ নিয়ে সপ্তমবার ৩০০ বা তার বেশি রানের স্কোর গড়ল দেশটি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে এবারই প্রথম ৩০০ রান করল।
বড় স্কোর তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল ভালোই। নবম ওভারে ৫২ রানে ফখর জামানের উইকেট হারালেও অধিনায়ক বাবর আজম ও ইমাম–উল হক দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন লক্ষ্যের দিকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা তোলেন ১১৮ রান।
কিন্তু ৬৬ বলে ৬ চারে বাবর ৫৩ রান করে ফারুকির বলে আউট হয়ে গেলে এলোমেলো হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ৪১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারালে জয়ের সম্ভাবনা ফিকে হতে থাকে। কিন্তু শাদাব খান ম্যাচকে নিয়ে যান শেষ ওভারে। তারপর নাসিম শাহর ওই নাটকীয় ব্যাটিং।