বগুড়া দুপচাঁচিয়া এলজিইডি’র আওতায় সড়ক পাকা হওয়ায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। মানুষের সহজ যাতায়াত নিশ্চিতের পাশাপাশি গ্রামেই মিলছে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। জন জীবনের লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া।
এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ ও সংস্কারেও উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর রেখেছেন অগ্রণী ভূমিকা। বিগত অর্থবছরে উপজেলা প্রকৌশলীর প্রচেষ্টায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় ২৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ও বাউন্ডারি ওয়ালসহ সংস্কার কাজ করা হয়েছে।
সড়ক পাকা করণে গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক মান উন্নত হয়েছে। বহুপুরাতন মাটির তৈরি সড়কগুলো বর্ষা মৌসুমে চলাচলেন অযোগ্য ছিল। সামান্য বৃষ্টিতে সড়কে কাদা ও খানাখন্দ হয়ে পড়তো। লক্কর-ঝক্কর সড়কে এ অবস্থার কারণে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলই দায় হয়ে পড়েছিল।
সংযোগ সড়কগুলো খারাপ থাকার কারণে কৃষি প্রধান এ এলাকার কৃষকরা কখনো তাদের কৃষিপণ্য সঠিক দামে হাট বাজারে ক্রয়-বিক্রয়, সার-বীজসহ কোন ধরনের মালামাল আনা নেয়া করতে পারতো না। গ্রামের ছেলে মেয়েরা শহরের স্কুল কলেজে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারতো না। গো খামারিদের দুগ্ধ মিল কারখানায় নেয়া যেত না।
উপজেলার ফুটানীগঞ্জ গ্রামের পথচারি মো. ফেরদৌস জানান নবনির্মিত এই সড়ক দিয়ে এখন মানুষ দ্রুত গতির যানবাহনে চলাচল করতে পারছে। কৃষকরা উৎপাদিত কৃষি পণ্যসহ সব ধরনের মালামাল নিয়ে আসা যাওয়া করতে পারছে।
এ অধিদপ্তরের অধীনে আইআরআইডিপি-৩, জিপিবিআরআইডিপি-২ আরডিআরআইডিপি ও সিআরএমআইডিপি প্রকল্পের আওতায় ১২ কিমি রাস্তার সংস্কার ও ২ কিমি রাস্তা নির্মাণ করেছে উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
দেশব্যাপী গ্রামীণ বাজার অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তালুচহাট মার্কেট ভবনের কাজ চলমান রয়েছে বলে উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তর হতে জানা যায়। এছাড়া ধাপহাটে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. রুবেল হোসেন বলেন গ্রামীণ অর্থনীতি গতিশীল আর শক্তিশালী করতে কাজ করছে জেলা ও উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর। এছাড়া অসুস্থ রোগির চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে সহজে নিয়ে যাওয়া, কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য শহড়ের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করতে পারা, কমলমতি শিশুদের পর্যাপ্ত শ্রেণি কক্ষের সুবিধা করে পড়াশুনার উপযুক্ত পরিবেশ দিতে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।
এলজিইডি বিভাগের বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মোর্শেদ জানান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় গ্রামীণ সড়কগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাকা করণ করা হচ্ছে যাতে গ্রামীণ জনজনগণ শহড়ের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারে। এছাড়া সংশিষ্ট সকলকে দ্রুততার সাথে মানসম্পন্ন কাজ করার জন্য বারংবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।