আজঃ রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

দুমকিতে বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে আহত ১৫

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

Image

পটুয়াখালীর দুমকিতে চেয়ারম্যান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ও ওষুধ সরবরাহের একটি পিক আপভ্যানের সংঘর্ষে অনন্ত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার দুমকি-লেবুখালী সড়কের কাঁঠালতলা সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সৈয়দ আতিকুল ইসলাম নামে এক পথচারী জানান, সকাল সোয়া নয়টার দিকে ঢাকাগামী দশমিনা রুটের চেয়ারম্যান পরিবহন ঘটনাস্থলের বিপরীত দিকের ওষুধ সরবরাহের একটি পিকআপভ্যানকে সাইড দিতে গিয়ে সজোরে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়কের খাদে পড়ে যায়। এতে পরিবহন বাসের কাচ ভেঙে ও সামনের আংশিক দুমড়ে-মুচড়ে অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত যাত্রীদের পায়রা সেতুর টোল প্লাজার বিভিন্ন ফার্মেসি ও ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। খবর পেয়ে দুমকি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনায় পতিত পিকআপটি সরিয়ে নিয়ে যানবাহন সচল করে দেয়। তবে দায়ী পিকআপচালক পালিয়ে যায়।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হান্নান দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।


আরও খবর



স্বতন্ত্র প্রার্থীর অনুমতি দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত: কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মনোনীত প্রার্থীর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়ার যে অনুমতি দেয়া হয়েছে তা দলের কৌশলগত সিদ্ধান্ত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) ৬৯ এর গণঅভ্যূত্থানে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের কবরে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সময়ের প্রয়োজনে কৌশল পরিবর্তন করে এগোচ্ছে আওয়ামী লীগ। নেত্রীর গাইডলাইন ফলো করে ডামি প্রার্থী হতে বাধা নেই।

আরও পড়ুন>> নৌকার টিকেট পেলেন সুপ্রিম কোর্টের যত আইনজীবী

এর আগে সোমবার আওয়ামী লীগের কোনো জোট বা সঙ্গী দরকার নেই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গীর দরকার নেই, আমাদের শক্তি জনগণ। দুস্কর্মের বন্ধু খুঁজে বেড়ায় বিএনপি।

দেশে নির্বাচনী আমেজ শুরু হয়ে মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছেন। নির্বাচনে দেশের মানুষ ও নেতা কর্মীদের আগ্রহ আছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা নির্বাচন বানচাল করার নানা পাঁয়তারা করছে। সেজন্য তারা নানা জায়গায় চোরাগোপ্তা হামলা করছে। তাদের নির্বাচন বানচাল করার স্বপ্ন পূরণ হবে না। বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি করে নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না। নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে যে উৎসাহ তাতে বোমাবাজি, অগ্নিসন্ত্রাস করে নির্বাচন ঠেকানো যাবে না।


আরও খবর



২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ১০ যানবাহনে আগুন

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ডাকা সপ্তম দফা অবরোধের প্রথম ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বাস-ট্রাকসহ ১০টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার ভোর ৬টার মধ্যে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অগ্নিসংযোগের খবর এসেছে তাদের কাছে।

এর মধ্যে ঢাকা শহরে ১টি, নওগাঁয় ১টি, কিশোরগঞ্জে ১টি, খাগড়াছড়িতে ১টি, দিনাজপুরে ১টি, রাজশাহীতে ১টি, নাটোরে ৩টি ও সিলেটে ১টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

ফায়ার সার্ভিস বলছে, 'দুর্বৃত্তদের' দেওয়া আগুনে বাস পুড়েছে ৫টি, আর ট্রাক ৪টি। এছাড়া একটি কভার্ড ভ্যানে আগুন দেওয়া হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৫ ইউনিটের ৭৫ জন সদস্য এসব ঘটনায় আগুন নেভানোর কাজ করেছেন।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর থেকে বিএনপি দুই দফায় তিনদিন হরতাল এবং ৬ দফায় মোট ১৩ দিন অবরোধ করেছে। দফায় দফায় অবরোধ-হরতালের মধ্যে সারা দেশে যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



হাসপাতালে হামলায় বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না : গেব্রেইয়েসুস

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। টানা প্রায় দেড় মাস ধরে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। হামলা হচ্ছে হাসপাতালেও। গাজার সবচেয়ে বড় দুটি হাসপাতাল ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতিতে বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। এমনকি গাজায় রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার আল-শিফা হাসপাতাল এখন আর চিকিৎসা অবকাঠামো হিসাবে কাজ করছে না বলে জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে তিনি বলেছেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে, গাজার এই হাসপাতালটি আর হাসপাতাল হিসাবে কাজ করছে না। হাসপাতালগুলো নিরাপদ আশ্রয়স্থল হওয়ার কথা থাকলেও এসব স্থান যখন মৃত্যু, ধ্বংস এবং হতাশার দৃশ্যে রূপান্তরিত তখন বিশ্ব চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।

হাসপাতালের ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতির ওপর জোর দিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই প্রধান বলেন, গত তিন দিন ধরে গাজার এই হাসপাতালে বিদ্যুৎ ও পানির সংকট এবং দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। এসব কারণে রোগীদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে, রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এছাড়া ইসরায়েলের এই বিমান হামলা থেকে বাদ যাচ্ছে না গাজার কোনও অবকাঠামো। তারা মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল ও বেসামরিক মানুষের বাড়ি-ঘর সব জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ১০০ ছাড়িয়ে গেছে। নিহত এসব ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সাড়ে চার হাজারেরও বেশি শিশু। এছাড়া নিহতদের মধ্যে নারীর সংখ্যাও তিন হাজারের বেশি।

পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে, গাজার দুটি বৃহত্তম হাসপাতাল- আল-শিফা এবং আল-কুদস হাসপাতাল উভয়ই বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা আল-শিফা হাসপাতালের কাছে কাউকে দেখতে পেলেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালটির ভেতরে হাজার হাজার মানুষকে আটকে রেখেছে ইসরায়েল।

এছাড়া গেব্রেইয়েসুস গাজার হাসপাতালগুলোতে ভয়াবহ এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হাসপাতালে হামলার ঘটনায় অপরিণত অবস্থায় জন্ম নেওয়া শিশুসহ আরও বহু রোগী দুঃখজনকভাবে মারা যাচ্ছে।


আরও খবর
২৪ ঘণ্টায় ৭ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩




রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা শিখতে বিদেশ সফরে সচিবসহ ৯ কর্মকর্তা, অপেক্ষায় আরও

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনার ওপর প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ ভ্রমণে গেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসানসহ সরকারের ৯ কর্মকর্তা।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২১ নভেম্বর এই ৯ কর্মকর্তা তুরস্ক, জার্মানি ও সুইডেন সফরে যান। তাঁদের ২৯ নভেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ইমার্জেন্সি মাল্টি-সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স প্রজেক্ট শিরোনামের প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ নিতে এই কর্মকর্তারা বিদেশে গেছেন বলে সরকারি আদেশ (জিও) থেকে জানা যায়।

সূত্র জানায়, সরকারের আরও ২৫ কর্মকর্তা রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা শিখতে কানাডা, তুরস্ক ও জার্মানি যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন।

উল্লিখিত ২৫ কর্মকর্তার মধ্যে কানাডা যাবেন ১২ জন। তাঁদের বিদেশ সফরে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে সরকারি আদেশ (জিও) জারি হয়েছে। তবে তাঁরা এখনই যাচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, কানাডায় এখন অনেক শীত পড়েছে। শীত কমলে এই কর্মকর্তারা সুবিধাজনক সময়ে দেশটিতে সফরে যাবেন। বাকি ১৩ কর্মকর্তা যাবেন তুরস্ক ও জার্মানিতে। তাঁদের বিদেশ ভ্রমণের প্রস্তাবটি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা শিখতে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের সমালোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ সরকার ভাসানচরে থাকার ব্যবস্থা করেছে। উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের সব ধরনের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এখন বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া উচিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে।

তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের অনুদানের অর্থে। এখানে সরকারি অর্থায়নের কোনো বিষয় নেই। তা ছাড়া প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণের জন্য আলাদা অর্থ ধরা আছে। সে জন্যই কর্মকর্তারা বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। বিদেশিরা কীভাবে শরণার্থীদের ব্যবস্থাপনা করছেন, তা শিখবেন তাঁরা।

প্রকল্পের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুল হাসানের নেতৃত্বে এখন তিন দেশ সফরে থাকা অন্য কর্মকর্তারা হলেনপ্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক-২ মো. শহীদুল ইসলাম, প্রকল্পের পরিচালক এ টি এম মাহবুব উল করিম, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) পরিচালক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান সরকার, প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের একান্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব শামীম রহমান, প্রীতম সাহা, মনজুর আলম ও সুজিত কুমার চন্দ। মন্ত্রণালয় সূত্র ও জিও থেকে এই তথ্য জানা যায়।

সূত্র জানায়, এই সফরে প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি তাঁর নাম প্রত্যাহার করে নেন।

জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণে যাওয়ার অপেক্ষায় থাকা কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাসান সারওয়ার, কে এম আবদুল ওয়াদুদ, এ বি এম সফিকুল হায়দার।

এ ছাড়া এই তালিকায় পরিকল্পনা কমিশন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এবং শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তা আছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান গত শনিবার বলেন, সরকারি অর্থায়নে বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তবে আন্তর্জাতিক বা উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়নের ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এসব সফরের ব্যয়ভার তারাই বহন করে। এই প্রকল্পে যেহেতু বিশ্বব্যাংক অনুদান দিচ্ছে, তাই সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

তবে একটি সূত্র বলেছে, বিশ্বব্যাংকের অনুদানে সরকারি কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা সংকট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনে বিদেশ সফরে যাক, তা চাননি প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। তিনি এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপক আগ্রহের কারণে এ ব্যাপারে ছাড় দিতে হয়েছে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাবেক সচিব ফাওজুল কবির খান বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য সরকার ভাসানচর, টেকনাফ ও উখিয়ায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে কী শিখবেন, আর কী প্রয়োগ করবেন, তা সবাই জানেন ও বোঝেন। কর্মকর্তারা যদি বিশ্বব্যাংকের অনুদানে গিয়ে থাকেন, তবে বলতে হয়, এই অর্থ অন্য খাতে খরচ করা যেত। যেকোনো প্রকল্পে বিদেশ ভ্রমণের ব্যবস্থা রাখা হয় সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতে। দেশে চলমান ডলারসংকটের মধ্যে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে না গিয়ে তা রোহিঙ্গাদের জন্য অন্য খাতে খরচের পরামর্শ দেন তিনি।


আরও খবর



৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

৩০০ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার শেষ হয়েছে। প্রার্থী বাছাই শেষে সোমবার বিকালে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে।

রোববার দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি ৩০০ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের তথ্য জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করছি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করার জন্য নির্বাচন কমিশন তার কথা রাখবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন। নির্বাচনে যেন ভোটারদের মতামতের প্রতিফলন হয়।

রোববার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের শনিবার রাতে তার ভাবি বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এটা তাদের পারিবারিক বিষয়, তিনি একা গিয়েছেন। দলীয় কিছু হলে পার্টি মহাসচিব হিসাবে আমাকে যেতে হতো। আমি আসলে ওই বৈঠকের বিষয়ে জানিই না। রাজনৈতিক বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা তা আমি জানি না।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রেগম রওশন এরশাদ, তার ছেলে সাদ এরশাদ এবং ডা. কে আর ইসলাম যদি নির্বাচন করেন আমরা মনোনয়ন ফরম দেব, তাদের স্বাগত জানাব। আমরা চাই বেগম রওশন এরশাদ যেন নির্বাচনে আসেন। আমরা তাকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা করব।

রোববার বেলা ১১টা থেকে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপির সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এমপি, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত এবং লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি।

মো. মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, যারা দলীয় মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে কাকে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা মনোনয়ন বোর্ড সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কাঠামোয় কোনো বিভেদ নেই। জিএম কাদেরের নেতৃত্বের বাইরে কেউ নেই। জাতীয় পার্টি এখন যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। জাতীয় পার্টি এখন অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। জাতীয় পার্টিতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কোনো অবকাশ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আখতার এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, হেনা খান পন্নি, মো. খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান দিদারুল কবির দিদার, মোবারক হোসেন দুলু, তারেক আহমেদ আদেল, মো. জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, লুৎফুর রেজা খোকন, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, ফখরুল আহসান শাহজাদা, আব্দুল হামিদ ভাসানী, মো. বেলাল হোসেন, মো. আমির হোসেন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, ইউসুফ আজগর, দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমদু, দপ্তর সম্পাদক-২ এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।

নিউজ ট্যাগ: জাতীয় পার্টি

আরও খবর