বরিশাল ও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে বলে স্বস্তি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ সোমবার সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি দেখে এবং মাঠ পর্যায়ের পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান সাংবাদিকদের কাছে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
দুই সিটিতে প্রথম ৩ ঘণ্টার ভোটের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে ইসি আহসান হাবিব বলেন, সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে এত বেশি ভোটারের উপস্থিতি কল্পনার বাইরে। এটা আমাদের শান্তি দিয়েছে।
ইভিএমে ভোট দিতে অসুবিধা হচ্ছে না জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ধীর গতিও পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা নেই। দিনের শেষভাবে ভোটার উপস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সরেজমিনে অনগ্রাউন্ডে প্রতিটি সিসি ক্যামেরা মনিটর করছি। ইসির সুষ্ঠু ভোট ব্যবস্থাপনার জন্য ভোটের আগে নেওয়া পদক্ষেপ ভোটারদের আশ্বস্ত করেছে এবং তাদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন<< ফল যাই হোক মেনে নেব: আব্দুল খালেক
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এবং যুগ্মসচিব মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ১০ জন করে কমিশনের নিজস্ব দুটি পর্যবেক্ষক দল সরেজমিনে ভোটের পরিস্থিতি দেখছেন বলেও জানান আহসান হাবিব। তিনি বলেন, তাদের কাছে ফিডব্যাক পেলাম, সুন্দর, সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। কারও পক্ষ থেকে কোনো অসহযোগিতা পাইনি। ভোটাররা নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে আসছেন, প্রার্থীরা সহযোগিতা করছে। বিশৃঙ্খল আচরণ পরিলক্ষিত হয়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন পরিস্থিতি সুন্দরভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইসি কর্মকর্তারাসহ সবাই মিলে এখন পর্যন্ত সুন্দরভাবে নির্বাচন পরিচালনা করছে।
তিনি আরও বলেন, ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে আনন্দের সঙ্গে ভোট দিচ্ছেন। আমরা আশা করি, অতীতের চেয়ে ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে। কথায় আছে, মনি শোজ দ্য ডে।
ইভিএম নিয়ে ভোটারদের কোনো বিড়ম্বনায় পড়তে হয়নি জানিয়ে ইসি আহসান হাবিব বলেন, ভোটের আগে তাদের ভোটার এডুকেশন দিয়েছি। এখন তেমন কোনো অসবিধা হচ্ছে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোথাও টেকনিক্যালি অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে সেখানে আমাদের ট্রাবলশুটার টিম রয়েছে, তারা দ্রুত সমাধান করে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন<< পায়ের আঙুলের ছাপেই ভোট দেন আশরাফ
ভোটার, প্রার্থী, পর্যবেক্ষক, আইন শৃঙ্খলাবাহিনী- কারও পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি উল্লেখ করেন এই নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, শেষ পর্যন্ত একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পারব। কয়েকটি কেন্দ্রে কথা বলে জেনেছি যে, একটি কেন্দ্রে দেড় ঘণ্টায় ৮০টি, এক ঘণ্টায় ৪৭টি ভোট কাস্ট হয়েছে। বাট কাস্টিং রেট ইজ নট স্লো, গোয়িং ফাইন। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট চলবে, এ সময় কেন্দ্রের চৌহদ্দীতে যারা থাকবেন সবার ভোট নিয়ে শেষ করা হবে।
এর আগে সকাল ৮টায় বরিশাল এবং খুলনা নগরীর ৪১৫টি ভোটকেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়, য বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। দুই নগরীর প্রতিটি ভোটকক্ষে ও প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর মধ্যে বরিশালে ১ হাজার ১৪৬টি এবং খুলনায় ২ হাজার ৩১০টি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার, সচিব, এনআইডি উইংয়ের মহাপরিচালক ও মনিটরিং সেলের প্রধান মিলে এই দুই সিটির ভোট পর্যবেক্ষণ করছেন।